খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেনঃ “নিশ্চয়ই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী, অতঃপর মুশরিক হিন্ধুরা।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফঃ পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২) অর্থাৎ খাছভাবে ইহুদী ও মুশরিক হিন্ধুরা মুসলমানদের সবথেকে বড় শত্রু আর আমভাবে সমস্ত কাফিররাই মুসলমানদের শত্রু। তাহলে যারা মুসলমানদের শত্রু তারা কি করে মুসলমানদের বন্ধু হতে পারে? কস্মিনকালেও তারা বন্ধু হতে পারে না।
এই ব্যপারে
আরো কতিপয় আয়াত শরীফ পেশ করা হলো পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ থেকে নিচে।
১) মহান
আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন পরিষ্কার বলতেছেন কালামুল্লাহ শরিফে যে “নিশ্চয়ই
কাফিররা মহান আল্লাহ্ পাক উনার শত্রু” । (পবিত্র সূরা বাকারা শরীফঃ আয়াত শরিফ ৯৮)
এতএব তুমি তাদেরকে বন্ধু ভাবার মানেই হলো মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন উনার সাথে
শত্রুতা করা।
২) এখানে
মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল ইজ্জত বলছেন যে “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের
শত্রুকে ভক্তি বা শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে গ্রহণ করোনা।” (পবিত্র
সূরা মুমতাহিনা-১) তাহলে কিভাবে ঐ কাফেরগনের জন্যে এতো দরদ তুমার অন্তরে কেনো এতো বিনম্র
শ্রদ্ধা মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন উনার হুকুমকে অমান্যে করে?
৩) দেখেন
আপনি যদি মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন উনার হুকুম মানেন যদি মনে করেন পবিত্র কিতাব
আল কুরআন উল কারিম উনার হুকুম মানা অবশ্যই ফরজ তাহলে দেখুন “হে ঈমানদারগণ!
তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করোনা। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের
মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” (পবিত্র
সূরা মায়িদা শরীফঃ আয়াত শরিফ ৫১) তাহলে দেখা যাচ্ছে তাদের বন্ধুর চেয়ে বেশি আপন মনে
করে আপনিও ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে তাদের মতো ইহুদি নাসারা মুশ্রিক হয়ে গেছেন।
৪) কুনো
মুমিন মুসলমান যেনো ভিন্ন ধর্মের কুনো ব্যক্তিকে মনে প্রানে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না
করে যদি করে থাকে তাহলে সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত এবং মহান আল্লাহ্ পাক সুবহানাহু ওয়া
তা’য়ালা
উনার সাথে সম্পর্ক চ্ছেদ হয়ে যাবে আর এব্যপারে পবিত্র কুরআন উল কারিমে মহান আল্লাহ্
পাক রাব্বুল আলামিন ইরশাদ মোবারক করেন যে “মু’মিনগণ যেন মু’মিনগণ
ব্যতীত কাফেরদিগকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যে কেউ এরূপ করবে তার সাথে মহান আল্লাহ্
পাক রাব্বুল আলামিন উনার কোন সম্পর্ক থাকবে না ”(পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফঃ আয়াত শরিফ ২৮)
আর
কুফরি কোন বিষয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করার অর্থ হলো মহান আল্লাহ্
পাক রাব্বুল আলামিন উনার বক্তব্যের বিরূদ্ধে তাদের নিজের মনগড়া বক্তব্য মেনে নেয়া৷
তাদের বিশ্বাসহীনতা সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন তিনি বলেন “তুমি
কি তাদেরকে দেখনি, যারা
কিতাবের কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়েছে,
যারা মান্য করে প্রতিমা ও শয়তানকে এবং কাফেরদেরকে বলে যে, এরা মুসলমানদের
তুলনায় অধিকতর সরল সঠিক পথে রয়েছে। এরা হলো সেই সমস্ত লোক, যাদের
উপর লা`নত
করেছেন মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন নিজে। বস্তুতঃ মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন
তিনি যার উপর লা`নত
করেন তুমি তার জন্যে কোন সাহায্যকারী খুঁজে পাবে না। (পবিত্র সূরা আন নিসা শরীফঃ আয়াত
শরিফ ৫১-৫২)
৬) যে
ইহুদি খ্রিষ্টান কাফের মুশরিকদেরকে আপনি হৃদয়ের অন্তস্থলে অতি যতনে প্রেমিকের মতো রেখেছেন
তাদের ব্যপারে মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন স্পষ্ট বলতেছেন যে “ইহুদী
ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ
করেন। বলে দিন, যে
পথ মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন তিনি প্রদর্শন করেন, তাই হলো
সরল পথ। যদি আপনি তাদের আকাঙ্খাসমূহের অনুসরণ করেন, ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার
কাছে পৌঁছেছে, তবে
কেউ মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন উনার কবল থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী
নেই” (পবিত্র
সূরা আল বাক্বারাহ শরীফঃ আয়াত শরিফ ১২০) তাহলে আপনি মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিনের
নির্দেশ অমান্য করে কি হওয়ার চেষ্টায় আছেন?
আপনার
জানা উচিৎ কাফিরদের মমতা-ভালবাসা পাওয়ার চেষ্টা করার অর্থ হলো পবিত্র দ্বীন
ইসলামকে ত্যাগ করে তাদের সঙ্গে নিজেকে সম্পর্কযুক্ত করা। “মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন তিনি এরকম
কাজ করতে নিষেধ করেছেন,
মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন তিনি বলেনঃ ”যারা
মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন উনার উপর ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে
আপনি মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিন উনার ও উনার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
উনার বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও
তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা
অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। (পবিত্র সূরা আল মুজাদালাহ শরীফঃ আয়াত শরিফ ২২)
এখন দেখা
গেলো পবিত্র আয়াত শরিফ অনুসারে তাদের সাথে আন্তরিক বন্ধুত্ব সম্পূর্ণ হারাম কেউ করলে
নির্ঘাত ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে,
যদিও এগুলো পবিত আল কোরআন উল কারিম উনার সম্মানিত আয়াত শরীফ কিন্তু
আপনি এগুলো এই বাংলার ওয়াজিদের মুখে শুনতে পাবেন না কারন এরা সবাই কাফেরদের ভয় পায়
নয় দালালি করে যদিও প্রকৃত মুসলিম মহান আল্লাহ পাক উনাকে ছাড়া আর কাউকে ভয় করতে পারেনা।
আর শুধু
বন্ধুত্ব নয় পবিত্র হাদিস শরীফ দ্বারা এদের সাথে কুনো কাজের মিল রাখাও হারাম মানা না
মানা আপনার ব্যপারঃ হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছেঃ “হযরত আমর বিন শুয়াইব রহমতুল্লাহি আলাইহি
উনার পিতা থেকে এবং তিনি রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করিম
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মোবারক করেন, ঐ ব্যক্তি
আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়,
যে বিজাতীয়দের(সমস্থ বিধর্মী তথা হিন্ধু, বৌদ্ধ, ইহুদি, খ্রিস্টান)
সাথে সাদৃশ্য রাখে।” (পবিত্র
মিশকাত শরীফ)
আর কাফের
মুশ্রিকের সাথে বন্ধুত্ব তো অনেক দূর মুসলিম
নামধারী “ফাসিক
ও বিদয়াতীদের পর্যন্ত সম্মান করা হারাম”
এই মর্মে
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মোবারক করেনঃ “যখন কোন
ফাসিক (ফরজ-ওয়াজিব ও সুন্নতে মুয়াক্কাদা তরক্বকারী)-এর প্রশংসা করা হয় তখন মহান
আল্লাহ পাক উনার পবিত্র আরশ প্রকম্পিত হয়।” নাঊজুবিল্লাহ !
এমনকি
“যে, কোনো বিদয়াতী
লোককে সম্মান করলো, সে
যেন ইসলাম ধ্বংসে সহযোগিতা করলো।”
নাঊজুবিল্লাহ ! (বায়হাক্বী শরীফ, মিশকাত
শরীফ)
তাহলে
আমরা বুঝতে পারলাম যে কাফির,
ফাসিক ফুজ্জারদেরকে সম্মান করা যাবে না বন্ধুত্ব করাও যাবেনা
কিন্তু তাদের সাথে কথা বলা যাবে চলাফেরা করা যাবে কাজকর্ম করা যাবে যতটুকু
প্রয়জন ঠিক ততটুকু আর কথা বলতে হবে এই খিয়ালে যে মহান আল্লাহ
পাক যেনো তাদেরকে
হেদায়াত করেন। মহান
আল্লাহ পাক তিনি আমাদের বোঝার তৌফিক দিন আমীন
আর
আপনি যদি তাদের প্রেমে মুহব্বতে অন্ধ হয়ে সহানুভুতি ধর্মনিরপেক্ষে হতে চান পবিত্র
কালামুল্লাহ শরিফ এবং উপরে দেওয়া আয়াত শরিফের স্পষ্ট হুকুম অমান্য করে তাহলে আপনার
জানা উচিৎ যে পবিত্র কোরআন সুন্নাহ উনাদের আয়াত শরীফ সমূহ
দেখেও মানতে নারাজ তাদের
ব্যপারে মহান আল্লাহ পাক তিনিঃ সূরা আল জাসিয়া শরীফঃ উঁনার ৭-১১ আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ
পাঁক তিনি এরশাদ মোবারক করেনঃ প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপাচারীর দুর্ভোগ। সে মহান আল্লাহ
পাক উঁনার আয়াত শরীফ সমূহ শুনে,
অতঃপর অহংকারী হয়ে জেদ ধরে, যেনো সে আয়াত শরীফ শুনেনি। অতএব, তাকে
যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন। যখন সে আমার কোন আয়াত শরীফ অবগত হয়, তখন তাকে
ঠাট্টারূপে গ্রহণ করে। এদের জন্যই রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। তাদের সামনে রয়েছে জাহান্নাম।
তারা যা উপার্জন করেছে(ইবাদতের মাধ্যমে), তা তাদের কোন কাজে আসবে না, তারা
মহান আল্লাহ পাঁক উঁনার পরিবর্তে যাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছে(ইবলিশের অনুসারিদের)
তারাও নয়। তাদের জন্যে রয়েছে মহাশাস্তি। এটা সৎপথ প্রদর্শন, আর যারা
তাদের পালনকর্তার আয়াত শরীফসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
এবং যারা
কিতাবের অর্ধেক মানে এবং নিজের বিপক্ষে যাওয়ার কারনে বাকি অর্ধেক মানেনা তাদের ব্যপারে
মহান আল্লাহ পাঁক তিনি পবিত্র সুরা বাক্বারার ৮৫ নাম্বার আয়াত শরিফে এরশাদ মোবারক করেনঃ
তবে কি তোমরা কিতাবের কিয়দাংশ বিশ্বাস করো এবং কিয়দাংশ অবিশ্বাস করো? যারা
এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম
শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন।
মহান
আল্লাহ পাক আমাদের পবিত্র কালামুল্লাহ শরিফ হাদিস শরিফ উনাদের হুকুম পুঙ্খানুপুঙ্খ
ভাবে আমল এবং মেনে চলার তৌফিক দান করুন।
0 facebook: