গত কয়েকদিন আগে, মোস্তাফা সারোয়ার ফারুকীর ডুব‘ নামে একটা সিনেমা বাংলাদেশী সেন্সর বোর্ড
আটকিয়ে দিয়েছে। আটকানোর কারণ- ঐ মুভিতে নাকি উপন্যাসিক
মুক্তমনা হুমায়ুন আহমেদের ব্যক্তি চরিত্রকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। যদিও মুভির চরিত্রগুলো হুমায়ুন বা তার স্ত্রী-কন্যা হুবুহু
কারো নাম অনুসারে নয়, কিন্তু
তারপরও হুমায়ুনের দ্বিতীয় স্ত্রী শাওন বলেছে ঐ মুভির মাধ্যমে বেনামে হুমায়ুনের জীবনী
তুলে ধরে তা বিকৃত করার চেষ্টা করেছে মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী। শাওনের আবেদন রক্ষা করেছে সেন্সর বোর্ড, মুভিটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। (http://bit.ly/2kY8YkG)
মোস্তাফা সারোয়ার ফারুকীর `ডুব‘ সিনেমার
উদাহরণ নিয়ে আসলাম এই কারনে যে এবার বইমেলায় এমন একটি বই বিক্রি হচ্ছে যা সেই ছবির
থেকেও কয়েক কোটি গুন মারাত্মক যার মাধ্যমে একই কৌশলে আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসুল হাবিবুল্লাহ
হুযুরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চরিত্র বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটির নাম- শুভব্রত তার সম্পর্কে সুসমাচার। লেখক- স্বঘোষিত নাস্তিক হুমায়ুন আযাদ এবং প্রকাশনী- আগামী প্রকাশনী
( স্টলঃ প্যাভিলিয়ন-১৩)।
বইটিতে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মনিত পবিত্র নাম মুবারকের পরিবর্তে
বিধাতা এবং আমাদের প্রানপ্রিয় রাসুল হাবিবুল্লাহ হুযুরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার নামের(মুহম্মদ) বদলে শুভব্রত নাম ব্যবহার করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!! বইয়ের
কাহিনী এরকমঃ-
শুভব্রত নিজের মনের চিন্তা গুলোকে জড়ো করে একটি ধর্ম বানায়। বিধাতা তার কাল্পনিক ধর্মের সৃষ্টিকর্তা। সে দাবি করে, বিধাতা তার কাছে ওহী পাঠায়। সে তার অনুসারিদের কলেমা পড়িয়ে তার ধর্মে অন্তর্ভূক্ত করে। কলেমাটা হলো- বিধাতা এক ও অনন্য, শুভব্রত বিধাতার মনোনীত জন।
শুভব্রতের বানোয়াট সেই ধর্মের বেসিক থিউরী ও পর্যবেক্ষণগুলো
হলো-
১) সকল মূর্তি ধ্বংস করতে হবে।
২) একাধিক নারীকে বিয়ের করা যাবে।
৩) নারীদের পর্দা করাতে হবে।
৪) দাসী রাখা যাবে, তবে দাসীর গর্ভের সন্তান অধিকার পাবে না।
৫) বিধাতার ধর্মগ্রন্থ ছাড়া অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ মানা যাবে না।
৬) বিধাতার একটি গৃহ থাকবে (মহা সম্মানিত মহা পবিত্র খানায়ে
কাবা শরীফ ঘরকে বুঝানো হয়েছে)।
৭) নবীর প্রথম পত্নী চরিত্রকে নকল করে আনা হয়েছে পারমিতা নামক
একটি চরিত্রকে। নাউযুবিল্লাহ!!
৮) মহা সম্মানিত পবিত্র মক্কা শরীফ শহরের বদলে আনা হয়েছে বিক্রমপল্লী
নামক একটি শহরকে। নাউযুবিল্লাহ!!
৯) গল্পটির পাতায় পাতায় পৃথিবীর একমাত্র নির্ভুল গ্রন্থ এবং
মহা সম্মানিত পবিত ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনের বিভিন্ন সম্মানিত আয়াত শরীফকে বিকৃত করে উপস্থাপন
করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!!
গল্পটিকে মূল চরিত্র শুভব্রতকে নারীলোভী ও বানোয়াট ধর্মের সৃষ্টিকর্তা
হিসেবে উপস্থাপন করাই ছিলো মুল উদ্দেশ্য।
এই গল্পটির মাধ্যমে যে আমাদের মুসলমানদের শেষ নবী প্রানের
আক্বা রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র সম্মানিত চরিত্রকে
বিকৃত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে তা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে অনেক আগেই অনেকে মন্তব্য
করেছে। যেমন-
ক) http://bit.ly/2lmsYtB
খ) http://bit.ly/2lbYd9J
গ) http://bit.ly/2lmpIyd
উল্লেখ্য গত ২ বছর আগে এই আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত একটি
বইয়ের মধ্যে পবিত্র দ্বীন ইসলাম ধর্মকে নারীদে যৌনাঙ্গের সাথে তুলনা করে বই ছেপে চরম
বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলো এই আগামী প্রকাশনী (http://bit.ly/2kYoJrM)। এই আগামী প্রকাশনী থেকেই নাস্তিক হুমায়ুন আযাদ, নাস্তিক আহমদ শরীফ ও নাস্তিক তসলিমা নাসরিনের
সমস্ত বই ছাপা হয়।
আরো উল্লেখ্য, এবার পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার ঘোষণা করা হয়েছেঃ- বইমেলায় কিছুতেই
ধর্মকে কটাক্ষ করে বই ছাপা যাবে না। করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ
হবে (http://bit.ly/2lHKGKt)
পুলিশের এত বার বার
ঘোষণার পরও কিভাবে বইমেলায় এ ধরনের একটি ইসলাম বিদ্বেষী বই তোলা হলো তা সত্যিই আশ্চর্যজনক।
তাহলে কি আমরা ধরে নেবো দেশে আইন বলে আর কিছুই রইলোনা?
থাকলে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে চোখে আঙ্গুল দিয়ে এমন ইসলাম বিদ্বষী কাজ কিভাবে
হয়?
এব্যাপারে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা যোগাযোগ করতে পারেনঃ-
১) শামসুজ্জামান খান, মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমী – ০১৭১৩০৪০০০৬
২) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সচিব – ০১৮১৬৯৩৪৪৩৭
৩) বাংলা একাডেমী নিরাপত্তা কর্মকর্তা- ০১৭২০৩৯০৮৭৬
৪) শাহবাগ থানার ওসি - ০১৭১৩-৩৭৩১২৭
৫) শাহবাগ থানার অপরেশন অফিসার- ০১১৯১-০০২২২২
৬) শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার - ০১১৯৯-৮৮৩৬২৬
৭) পুলিশ কমিশনার - ০১৭১৩-৩৭৩০৯৯
৮) আইজিপি - ০১৭১৩-৩৭৩০০০
0 facebook: