হাইকোর্টের সামনে বানানো লেডী জাস্টিস মূর্তি সহ অনেক অপকর্মের জনক মৃণাল হক। এই ব্যপারটা বোঝার জন্য অনলাইন থেকে দুটো সাক্ষাৎকার খুজে পেয়ে সেগুলোকে বিশ্লেষণ করার চেস্টা করেছি মাত্র।
ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান ও ভাস্কর মৃণাল হকের সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণঃ
মৃণাল (না) হকের কাছে প্রশ্নঃ বিদেশে কিভাবে কাজ শুরু করেন?
মৃণাল হকঃ আমি ১৯৯৫ সালে আমেরিকাতে যাই । সেখানে কয়েকটি কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে অনেক কাজ করি । নিউইয়র্ক সিটি আমাকে রাষ্টীয়ভাবে যোগ্যতার স্বীকৃতি দেয় । তাতে আমি সেখানে আরও ব্যাপক কাজ করার সুযোগ পাই । সেখানে এত বেশি মিউরাল (Mural) তৈরি করেছিলাম যে , নিউইয়র্কের সরকারি চ্যানেলে আমার চার মিনিটের একটি সাক্ষাৎকার ২৬ বার প্রচার করেছে । সিএনএন-এর হেডলাইনে আমার সাক্ষাৎকারটি ১৮ বার প্রচার করা হয়েছে । এভাবেই আমি বিদেশের মাটিতে কাজ করতে থাকি ।
***** এইবার বোঝেন। ইহুদীরা যখন তার সাক্ষাৎকার ১৮ বার প্রচার করে সে কি আর মাটিতে আছে? ষড়যন্ত্রের বীজ সেখান থেকেই।
প্রশ্নঃ আপনি সর্বপ্রথম কবে থেকে পাবলিক প্লেসে ভাষ্কর্য তৈরি করেন ?
মৃণাল হকঃ আমি ২০০২ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসি এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করি । আমার মধ্যে একটা চিন্তা এলো যে , আমি দেশের রাস্তা-ঘাট সাজানোর কাজ করবো । আর প্রথমেই আমার নিজের উদ্যোগে (????) সামান্য বাজেটে মতিঝিলে হোটেল পূর্বানী ও বলাকা অফিসের মাঝামাঝি বক-এর ভাষ্কর্য তৈরি করি । এই ভাবেই পাবলিক প্লেসে কাজ শুরু হয় । তারপর ২০০৬ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের উদ্যেগে সাইন্সল্যাব সিটি কলেজের সামনে অর্ঘ নামক ভাষ্কর্য তৈরি করি । এভাবে একের পর এক কাজ চলতে থাকে ।
***** নিজের পয়াসায় ভাস্কর্য ??????।
প্রশ্নঃ এই ভাষ্কর্য শিল্পকে আরো জনপ্রিয় করা যায় কিভাবে ?
মৃণাল হকঃ এই শিল্পকে আরো জনপ্রিয় করতে হলে প্রথমত মানুষের চিন্তা-ভাবনাকে আরো মুক্ত করতে হবে । ভাষ্কর্যকে মূর্তি বলা যাবেনা । মূর্তি হচ্ছে সেই যিনিস, যা মানুষ পূজার জন্য তৈরি করে। আর ভাষ্কর্য হচ্ছে একটি শিল্প। যা সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলে। তাই মানুষের মুক্ত চিন্তা-ভাবনাকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে।
***** দেশে ৯৮ ভাগ মুসলমানের চিন্তা ভাবনা কে সে প্রাধান্য না দিয়ে তার চিন্তা-ভাবনাকেই সে প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছে আর তাকে আমাদের গ্রহন করতে হবে মুক্ত চিন্তা হিসেবে। ফাজিল কোথাকার। ৯৮ ভাগ মুসলমান কে শেখাচ্ছে ভাস্কর্য কে মূর্তি বলা যাবে না।
ভাস্কর হামিদুজ্জামান কে প্রশ্নঃ
প্রশ্নঃ আচ্ছা। স্যার ঢাকা শহরে ওপেন এয়ারে বা মুক্ত অবস্থায় যে ভাস্কর্যগুলো আছে, তাতে তো আপনার চেয়ে মৃণাল হকের ভাস্কর্যের সংখ্যা বেশি। আমার সাথে একটা সাক্ষাৎকারে শিল্পী হাশেম খান বলছিলেন, অরুচিকর ভাস্কর্যের সংখ্যাই বেশি। মূলত মৃণাল হক প্রসঙ্গে। এগুলো নিয়া আপনার মতামত কি স্যার?
হামিদুজ্জামান খানঃ মৃণালের কাজ প্রপোরশনটপোরশন মিলায়া আরো সুচিন্তিত হওয়া উচিত আর কি! ওর কিছু কাজে প্রপোরশনের খুব ঝামেলা আছে। চোখে পড়ে সেগুলো।
***** অরুচিকর এবং প্রপোরিশনেট বিহীন ভাস্কর্য বানাবার পরেও এই ফরমায়েশি ভাস্কর তার কাজ চালিয়েই যাচ্ছে। কে দেয় তাকে টাকা? কার ইন্ধনে হচ্ছে এসব?
কৃতজ্ঞতাঃ আল হিলাল ভাই।
কৃতজ্ঞতাঃ আল হিলাল ভাই।
0 facebook: