গত বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড এর মধ্যেকার ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশ
জয়লাভ করেছে। পরবর্তীতে এই ২ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের খবরের
চেয়ে সবচেয়ে বেশী যেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেটা হলো, খেলার মাঝে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের একটি সিজদা নিয়ে। খেলার এক পর্যায়ে মাহমুদুল্লাহ পবিত্র কাবা শরীফের দিকে
ফিরে শুকরিয়া স্বরূপ একটি সিজদা দিয়েছে। আর ব্যস দাদা! ভ্যাদাদের! সহ এটা নিয়ে ব্যাপক চুলকানি শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশের
মুক্তমনা নামধারী সমকামী নাস্তিকদের মধ্যে। যার মধ্যে অন্যতম হলো, সুসু
পাঠা ওরফে সুসুপ্ত পাঠক। সে এই সিজদা নিয়ে তার টাইমলাইনে একটি স্ট্যাটাস
প্রসব করেছে। তার পোষ্টে সে বলেছে-
‘এককালে আমরা পাকিস্তানী খেলোয়ারদের এইসব করতে দেখে দুধের স্বাদ
ঘোলে মেটাতাম। বুলবুল,পাইলটদের পরের প্রজন্ম আশরাফুল প্রথম তাদের পাকিস্তানী বড় ভাই
ইউনুস-আকমলদের দেখাদেখি মাঠে সেজদা দেয়া শুরু করে। ৮৭-৮৮ সালের শারজা কাপে ভারত পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তানী দর্শকরা নারায়ে তাকবির
আল্লাহু আকবর বলে গ্যালারিতে চিৎকার করেছিল। এই অপূর্ণতা আমাদের গ্যালারিতে এখনো রয়ে গেছে। আশা করি সামনের যে কোনদিন আমাদের দর্শক ভাইরা সেই অভাবটাও দূর করে দিবেন। ভারতের সঙ্গে ম্যাচেই সেই সূচনাটা হলে তো সোনায় সোহাগা। আমীন…।’’ সুসু পাঠা এখানে বুঝাতে চেয়েছে যে, আল্লাহু আকবার বলা সেটা পাকিস্তানী রাজাকারদের
স্বভাব। সিজদা দেয়া সেটাও পাকিস্তানীদের স্বভাব।
কিন্তু বলার বিষয় হলো, মাহমুদুল্লাহ মুসলিম হয়ে শুকরিয়া আদায় করতে গিয়ে যদি আল্লাহকে
সিজদা দেয়ায় পাকিস্তানী রাজাকার হয়ে যায় তাহলে হিন্দুরাও তো খেলার মাঠে পুজা করে থাকে
বিজয়ের জন্য। অষ্ট্রেলিয়ার সিডনীতে ভারত-অষ্ট্রেলিয়া খেলা
চলাকালীন সময়ে হিন্দুরা তাদের গেরুয়া পতাকা উড়িয়েছে। (https://goo.gl/Bhkm25) ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে ভারত খেলার মাঠে পুরোহিত দিয়ে পূজা
করিয়েছে। (https://goo.gl/cuyHLz)
ধোনী খেলা শুরু হওয়ার
আগে প্রার্থনা করছে।
(https://goo.gl/cuyHLz)
কিন্তু এই সুসুপ্ত
পাঠা নামধারী সমকামী লেসবিয়ানদের এজেন্ট কোন সময় খেলার মাঠে পূজা অর্চনা নিয়ে কোন সময়
কথা বলে না। আর বলবেই বা কেন, কারন তাদের লেজ আর পাছা তো এক গোত্রেরই।
মূলত সুসুপ্ত পাঠার মতো সমকামী এজেন্টদের এসব বলার সাহসই যুগিয়েছে
বাংলাদেশের মুসলমানদের নীরবতা। বাংলাদেশের মুসলমানদের
নীরবতার কারণে তারা মুসলমানদের নারা ধ্বনি নিয়ে অবমাননা করতে পারে। সিজদা নিয়ে অবমাননা করতে পারে। তাই যেসব কুকুরের ৫ নম্বর বাচ্চা সব বিষয়েই পাকিস্তানীদের গন্ধ পায় সেসকল রামছাগলদের
এখনই খুজে বের করে গণধোলাই দেয়া উচিত। তা না হলে এরা একসময়
দেশের মুসলমানদের জন্য ভাইরাস তথা এটম বোম হয়ে উঠবে।
বিঃদ্রঃ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সেজদার বিরুদ্বে কথা বলার
অধিকার মুসলমান ব্যতীত কাররই নাই কারন সেজদা মুসলমানদের ধর্মীয় ইবাদতের সবথেকে
গুরুত্বপূর্ণ অংশ যার কারনে ক্রিকেট খেলার মাঠে পবিত্র কাবা শরীফের দিকে ফিরে শুকরিয়া
স্বরূপ সেজদা দেওয়া যাবে কি যাবেনা তা নির্ধারণ করবে মুসলমানদের আলেম সমাজ সহ
মুফতি মুহাদ্দিস রা কোনো নাস্তিক কাফের মুশরেকরা নয়।
0 facebook: