পার্বত্য উপজাতি গোষ্ঠীগুলো ইদানীং আদিবাসীর তকমা পেতে খুব তোড়জোড় করছে। হাজার হাজার বাঙ্গালী হত্যার নায়ক সন্তু লারমা আদিবাসী স্বীকৃতি নিয়ে বিভিন্ন হুমকী দেয়। কিন্তু কেন?
কারণ ‘আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ ঘোষণাপত্র ২০০৭’ অনুসারে ‘আদিবাসী’ শব্দটি সংবিধানে সংযোজিত হলে ২০০৭ সালের ‘আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ ঘোষণাপত্র’ মেনে নিতে হবে; যা হবে বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী। কারণ ঘোষণাপত্রের অনুচ্ছেদ-৪-এ আছেঃ ‘আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার চর্চার বেলায়, তাদের অভ্যন্তরীণ ও স্থানীয় বিষয়ের ক্ষেত্রে স্বায়ত্তশাসন এবং স্বশাসিত সরকারের অধিকার রয়েছে ও তাদের স্বশাসনের কার্যাবলির জন্য অর্থায়নের পন্থা এবং উসরের ক্ষেত্রেও অনুরূপ অধিকার রয়েছে।’ অর্থাত্ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করলে আদিবাসী স্বীকৃতি দিলে এবং পার্বত্য অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশ সরকার খাগড়াছড়ির গ্যাস উত্তোলন করে অন্য জেলায় আনতে পারবেনা। জাতিসংঘ সেখানে নিয়ন্ত্রণাধিকার লাভ করবে। জাতিসংঘ প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করতে পারবে। সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন লাগবেনা। অর্থাৎ ইউরোপ আমেরিকা ও জাতিসংঘ তথা কুচক্রীদের বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন জুমল্যান্ড গঠন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাড়াবে। বাংলাদেশের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের ধারণাই সত্য।
সেটা বোমাং রাজার স্বীকৃতিতেও রয়েছে। বোমাং রাজপরিবারের ইতিহাস তিনশ বছরের পুরানো। বোমাং রাজাদের মধ্যে পঞ্চদশ রাজা ছিলেন অং শৈ প্রু চৌধুরী। সে মারা গেছে ২০১২ সালে। রাজা অংশৈ প্রু চৌধুরি একসময় বাংলাদেশের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলো। মৃত্যুর বছর দুয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে সে বলে, আমার বয়স ৯৬। এখন আর আমি যুবক নই। আমি অসুস্থ বৃদ্ধ।
কথা প্রসঙ্গে সে জানায়, আসলে আমরা আদিবাসী নই। আমাদের পূর্বপুরুষ বার্মা থেকে এখানে এসেছিল। বোমাং রাজাদের অল্প বিস্তর ইতিহাস এবং তারা যে আদিবাসী নয় নীচের ভিডিওতেই তার প্রমাণ দেখুন।
সুতরাং এদেশকে বিচ্ছিন্নের ষড়যন্ত্রকারী সুলতানা কামাল, ঢাবি অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, টিআইবি’র ইফতেখার, প্রথম আলো, বিডি নিউজ, মেনন আর বাম-রামদের দাবি অনযায়ী কথিত ‘বিশ্ব আদিবাসী দিবস’ পালনের কোনই দরকার নেই, সরকারী হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করা হউক।
ভিডিও লিংকঃ http://bit.ly/2hDKInD অথবা http://bit.ly/2AMuTyW জুলফিকার হায়দার।
ভিডিও লিংকঃ http://bit.ly/2hDKInD অথবা http://bit.ly/2AMuTyW জুলফিকার হায়দার।
0 facebook: