Wednesday, August 31, 2022

আনুগত্য কি শুধু আল্লাহ তা’আলারই হবে নাকি রসূলে পাঁক (ﷺ) উনারও?

মূর্খ জাহেলরা কুরআন পড়েও যখন বুঝেনা তখন তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়েই দেখানো লাগে যে, নবী করীম ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্যকেও মহান আল্লাহ তাআলা নিজের আনুগত্যরূপে শামিল করেছেন এবং নিজের আদেশ পালন করার সাথে সাথে উনার আদেশও পালন করতে মানব সম্প্রদায়কে নির্দেশ দিয়েছেন।

রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ মান্য করার বিষয়ে আল কুরআনে এইভাবে এসেছেঃ “রসুল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম তোমাদেরকে যা (আদেশ) দেন, তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং তোমরা মহান আল্লাহ তাআলার তাকওয়া অবলম্বন কর; নিশ্চয় মহান আল্লাহ তাআলা শাস্তি দানে (অত্যন্ত) কঠোর।” (আল কুরআন ৫৯/৭)

রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম উনার হুকুম মানাও যে ফরজ, হুবুহু কুরআনের না থাকলে বেঁচে গেলাম বলে যারা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে তাদের জন্যে দুঃখের খবর হলো, যারা কুরআন ও বুঝতেন, কুরআন নিয়ে আসা নবী রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামকেও বুঝতেন, তারাই ক্লিয়ার করে দিচ্ছেন, শুধু কুরআনে নয়, হাদিস শরীফে থাকলেও তা মানা ফরজ। যেমন উপরোক্ত আয়াত দ্বারা সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম সবসময়ই রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের হুকুমও যে পালনীয় ফরজ তা বর্ণনা করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট এক মহিলা এসে বললেন, শুনেছি আপনি উল্কি আঁকা ও পরচুলা ব্যবহার করা থেকে নিষেধ করেন? এটা কি আপনি কিতাবুল্লাহ তথা আল কুরআনে পেয়েছেন? নাকি রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের হাদীসে পেয়েছেন? তিনি বললেন, অবশ্যই হ্যাঁ, আমি সেটা কিতাবুল্লাহ এবং রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের কওল ফেএল সব জায়গায়ই পেয়েছি। মহিলা বললেন, আমি তো কিতাবুল্লাহ ঘেটে শেষ করেছি কিন্তু কোথাও পাইনি। তিনি বললেন, তবে কি আপনি তাতে (وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا) “রসুল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম তোমাদেরকে যা (আদেশ) দেন, তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক” এটা পাননি? তিনি বললঃ হ্যাঁ, তারপর ইবনু মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, পরচুলা ব্যবহারকারিনী, উল্কি অংকনকারীনী, ভ্ৰু প্লাককারীনীর প্রতি মহান আল্লাহ তাআলা লা'নত করেছেন। (বুখারী শরীফ ৪৮৮৬, ৪৮৮৭, মুসলিম শরীফ ২১২৫, আবু দাউদ শরীফ ৪১৬৯, তিরমিযী শরীফ ২৭৮২, নাসাঈ শরীফ ৫০৯৯, ইবনে মাজাহ শরীফ ১৯৮৯, মুসনাদে আহমাদ ১/৪৩২)

এছাড়াও আজকাল অনেক আলীম নামের জালিম দেখা যায় কুরআনের এই হুকুম জেনে শুনেও মানতে নারাজ অসংখ্য অগণিত বিষয়ে, যেমন অনেক আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার আছে দাঁড়ি রাখেনা, অনেকে আবার ক্লিন শেইভ করা পির সেজে বসে আছে, অনেকে আবার রেখেছে স্টাইল করে এক মুষ্টির কম। অথচ আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন, তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধাচরণ কর-মোচ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর। (তিরমিজি শরীফ ২৭৬৪, মুয়াত্তা মালিক ৫১/১, মুসলিম শরীফ ২৫৯বি, আবু দাউদ ৪১৯৯) রাবি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হাদিস বর্ণনা করে হাত দিয়ে দাঁড়ি ধরতেন, অতপর এক মুষ্টির বাহীরে কেটে ফেলতেন। (বুখারি শরীফ ৫৮৯২) অর্থাৎ নবীর হুকুমের আমল হাদিসের বর্ণনাকারী রাবি হাতে কলমে শিখিয়েছেন। অতএব, দাঁড়ি যে রাখে সে সুন্নত পালন করে, কিন্তু দাঁড়ি লম্বা করা যে রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ এবং মিনিমাম এক মুষ্টি রাখা আমলে সাহাবা দ্বারা প্রমাণিত ফরজ, এইটাই অনেক মুল্লা/পির/শায়খ বুঝেনা। আর বুঝেনা বলেই গুমরাহ হয়, যার প্রমান স্বয়ং আল্লাহ পাঁক দিয়েছেন আল কুরআনে এইভাবেঃ “মহান আল্লাহ তা’আলা ও রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম কোনো বিষয়ের ফায়সালা দিলে কোনো মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য সে ব্যাপারে তাদের নিজেদের কোনো রকম (ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার) ইখতিয়ার থাকবে না। আর যে মহান আল্লাহ তাআলা ও রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের নাফরমানী করল, সে নিঃসন্দেহে সুস্পষ্টভাবে গোমরাহ (পথভ্রষ্ট) হলো।” (আল কুরআন ৩৩/৩৬) এছাড়াও মহান আল্লাহ পাঁক বলেনঃ “আর যে-কেউ মহান আল্লাহ তাআলা ও রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামকে অমান্য করে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।” (আল কুরআন ৭২/২৩)

একারণেই মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, “তোমরা মহান আল্লাহ তাআলা এবং উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য কর”। (আল কুরআন ৬২/১২) এর কারণ, “যে (ব্যক্তি) রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করল, সে (তো মূলত) মহান আল্লাহ তাআলারই আনুগত্য করল। (আল কুরআন ৪/৮০) অতঃএব, “হে মুমিনগণ, তোমরা আনুগত্য কর মহান আল্লাহ তাআলার এবং উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের। (আল কুরআন ৪/৫৯) কারণ, আমি রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামকে এ উদ্যেশ্যেই প্রেরণ করেছি, যেন মহান আল্লাহ তা’আলার নির্দেশে উনার আনুগত্য করা হয়। (আল কুরআন ৪/৬৪) এতেকরে, “যারা মহান আল্লাহ তাআলা এবং রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করবে, তারা নাবী (আলাইহিমুস সালামগণ), সিদ্দীকগণ, শহীদগণ এবং নেককার লোকদের সঙ্গী হবে, যাদের প্রতি মহান আল্লাহ তা’আলা উনার নিআমাত দান করেছেন, (আর) সঙ্গি হিসেবে উনারা কতই না উত্তম!” (আল কুরআন ৪/৬৯) আর যারা তা হতে চাইবেনা, তাদের ব্যপারে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন (হে আমার হাবীব ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম), “বলুন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ তা’আলার ও রসুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য কর’। এরপরেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তা’আলা কাফিরদেরকে ভালবাসেন না”। (আল কুরআন ৩/৩২) অতএব “তোমরা আনুগত্য কর মহান আল্লাহ তা’আলা ও রসুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের, যাতে করে তোমাদের উপর দয়া করা হয়।” (আল কুরআন ৩/১৩২)

মহান আল্লাহ তা’আলা আরও বলেন, “হে ইমানদারগণ তোমরা মহান আল্লাহ তাআলা এবং উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য কর, এবং আদেশ শোনার পর তা অমান্য করনা। (আল কুরআন ৮/২০) বরং, “তোমরা মহান আল্লাহ তাআলার আনুগত্য কর এবং আনুগত্য কর রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের, আর সাবধান হও। (আল কুরআন ৫/৯২) কারণ, “যে লোক মহান আল্লাহ তা’আলা ও উনার রসুল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করে, মহান আল্লাহ তা’আলা তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতসমূহে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর এটাই (হচ্ছে) মহা সফলতা। (আল কুরআন ৪/১৩) আর যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ তাআলা এবং উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই এক মহা সাফল্য অর্জন করল। (আল কুরআন ৩৩/৭১)

এছাড়াও মহান আল্লাহ পাঁক বলছেন, “যে কেউ মহান আল্লাহ তাআলা এবং উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করে, মহান আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে এবং উনার তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই কৃতকার্য”। (আল কুরআন ২৪/৫২) তোমরা তোমাদের ঈমানদারীর প্রমান দিতে, “মহান আল্লাহ তাআলা এবং উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য কর, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো। (আল কুরআন ৮/১) আর মহান আল্লাহ তাআলা এবং উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্যই কর, এবং পরস্পর ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হইয়না। (আল কুরআন ৮/৪৬) সেইসব লোকদের মতো যাদের ব্যপারে আল্লাজীর নির্দেশ, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ তাআলার আনুগত্য কর এবং আনুগত্য কর রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের, আর (মুনাফিক মুরতাদ্দের মতো বিমুখ হয়ে) তোমাদের আমালগুলোকে নষ্ট করে দিও না। (আল কুরআন ৪৭/৩৩) বরং, “তোমরা মহান আল্লাহ তাআলা এবং উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য কর। (আল কুরআন ২৪/৫৪) আর, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ তাআলা এবং উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করবে তিনি তাকে এমন জান্নাতে দাখিল করাবেন যার নিচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত (হয়)। আর যে ব্যক্তি পিঠ ফিরিয়ে নেবে, তিনি তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবেন”। (আল কুরআন ৪৮/১৭) আর, “তোমরা নামায কায়েম করো, যাকাত দাও, এবং মহান আল্লাহ তাআলা এবং উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য কর। (আল কুরআন ৫৪/১৩)

আর যারা হাক্বিকতে মনেপ্রাণে আনুগত্য করে, মহান আল্লাহ তাআলা তাদের তারীফ এভাবেই করছেন, “মু’মিনদেরকে যখন তাদের মাঝে ফায়সালা করার জন্য মহান আল্লাহ তা’আলা ও রসুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের দিকে ডাকা হয়, তখন মু’মিনদের জওয়াব এরূপই হয় যে, তারা বলে, আমরা শুনলাম ও (বিনা চু চেরায় মনেপ্রানে) মেনে নিলাম, আর তারাই (কিন্তু) সফলকাম। (আল কুরআন ২৪/৫১) আর যারা তা মেনে নিবেনা তাদের ব্যপারে মহান আল্লাহ পাঁক বলছেন, “অতএব আপনার রবের কসম! তারা কখনই মু’মিন হতে পারবেনা যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের ব্যাপারে আপনাকে বিচারক নির্ধারণ করবে, অতঃপর আপনি যে ফয়সালা দেবেন সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোন দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে (বিনা চু চেরায়) তা মেনে নেয়।” (আল কুরআন ৪/৬৫) রসুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম জমিনে বিদ্যামান না থাকলেও আয়াতের হুকুম বিদ্যমান। আজকে যখনই মুসলিমদের মধ্যে কোন বিষয়ে বিরোধ-ইখতেলাফ বা ঝগড়া হবে তখনই সে উনার সুন্নাহ তথা সেই বিষয়ের হাদিসের দিকে রুজু হবে। কারণ মহান আল্লাহ তা’আলা সাবধান করেই যাচ্ছেন, “অতএব যারাই (রসুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) উনার নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যেন তাদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসা অথবা যন্ত্রণাদায়ক আযাব পৌঁছার ভয় করে। (আল কুরআন ২৪/৬৩) আয়াতে পাঁকে ‘বিপর্যয়’ বলতে অন্তরের সেই বত্রুতাকে বুঝানো হয়েছে, যা মানুষকে ঈমান হতে বঞ্চিত করে ফেলে। এ হল রসুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম-এর আদেশ থেকে বিমুখতা প্রদর্শন করা এবং উনার বিরোধিতা করার পরিণাম। আর ঈমান থেকে বঞ্চনা ও কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ জাহান্নামের চিরস্থায়ী শাস্তির কারণ; যেমন আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে। অতএব নবী রসুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আদেশ, নিষেদ, আদর্শ, তরীকা ও সুন্নতকে সব সময় সামনে রাখা উচিত সকল দল, মত, বাবা, স্কলার, পির, শায়েখের বিপরীতে, নতুবা ঈমান ছাড়াই দুনিয়া থেকে যেতে হবে।

মহান আল্লাহ পাঁক সবাইকে গুমরাহি থেকে হেফাজত করুন যারা গুমরাহ হতে চায়না। আর হেদায়েত দিন পথভ্রষ্ট সেইসব দলকে যারা আহলে সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত এখনো হয়নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুনঃ

এডমিন

আমার লিখা এবং প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বে আইনি।

0 ফেইসবুক: