হিন্দু পুলিশ কর্মকর্তা বনজ কুমার মজুমদার! |
বাংলার পুলিশের গর্ব সৎ নিষ্টাবান চৌকশ
মুসলিম পুলিশ অফিসার বাবুল আক্তারকে গভীর রাতে 'গ্রেফতার',
'ছেড়ে
দেয়া', নিজ
স্ত্রী হত্যায় জড়িত 'স্বীকার' করা এসবের পিছনে নাটের
গুরু হিসেবে কাজ করছে মূলত মুসলিম পুলিশ অফিসার বাবুলেরই এক সময়ের চট্রগ্রামের
সহকর্মী এক হিন্দু পুলিশ অফিসার। ক্ষমতাসীনদের অত্যন্ত ঘনিষ্ট হিন্দু বনজ কুমার মজুমদারই হচ্ছে এই 'নাটকের' মুল হোতা। চট্রগ্রামের
আওয়ামী লীগের বিরোধী নেতা কর্মীদের নির্মুল করতে রাজপথে প্রকাশ্যে গুলি চালাতে এই
হিন্দু পুলিশ অফিসারের সুখ্যাতি আছে।
এই হিন্দু পুলিশ কর্মকর্তা বনজ কুমার
বর্তমানে নবগঠিত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজি । এর আগে সে
চট্রগ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ছিলো।
তদন্তের এক পর্যায়ে মিতু হত্যায় বের হয়ে
আসে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতার নাম। বর্তমানে ঢাকায় পোস্টিং পুলিশের এই
কর্মকর্তা কয়েকদিন আগে গোপনে চট্টগ্রামে এসে ঢাকায় নিয়ে যান স্বেচ্ছাসেবক লীগ
নেতাসহ বাবুলের স্ত্রী হত্যায় জড়িত কয়েকজনকে। সরকার বান্ধব হিসেবে পরিচিত দৈনিক
যুগান্তরে এনিয়ে অনুসন্ধানী প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরে বেকায়দায় পড়ে যায়
ক্ষমতাসীনরা হাত
দেয়া হয় নাটকের নতুন প্লট লিখতে। এক্ষেত্রে এগিয়ে আসেন বাংলানিউজ২৪ বিশেষ
সংবাদদাতা ও হিন্দু বনজ কুমারের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত হিন্দু সাংবাদিক রমেন
দাসগুপ্ত। হিন্দু রমেন দাশ চট্টগ্রামে পুলিশ এবং অপরাধ বিষয়ে রিপোর্ট করেন।
হিন্দু সাংবাদিক রমেনের সহযোগিতায় মুলত
নাটকের ছক আকেন এই হিন্দু পুলিশ কর্মকর্তা। মিতু হত্যায় সরকারী দলের কতিপয় লোক
যুক্ত হওয়ায় উপরের নির্দেশে এ ঘটনার মোড় ঘুরাতে হাতে নেন স্থানীয় কয়েকজন
সাংবাদিককে। হিন্দু রমেন তার ঘনিস্ট ঐ হিন্দু পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে সৎ
নিষ্টাবান চৌকশ মুসলিম পুলিশ অফিসার বাবুল আকতার ও তার নিহত ধার্মিক পর্দাশিল
স্ত্রীকে নিয়ে 'পরকীয়া
কেচ্ছা' কাহিনী
প্রচার করতে থাকে। হত্যাকান্ডে মুসলিম পুলিশ অফিসার বাবুলকে জড়িয়ে প্রথম খবর
প্রকাশ করেন বাংলানিউজ২৪ই। মাত্র কয়েক মিনিট পরই তৈরি হয় একের পর এক নিউজ ।
চট্রগ্রামের ঘটনার প্রতি নজর রাখেন এমন
একজন সাংবাদিক জানান, 'বাবুল
নাটকের' সংবাদ
প্রকাশের কয়েক মিনিট আগেও নিজের ফেসবুক টাইম লাইনে বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাসও দেয়
হিন্দু সাংবাদিক রমেন। পরে অবশ্য সেই স্ট্যাটাস সে মুছে দেয়।
0 ফেইসবুক: