Monday, February 10, 2025

শবে বরাত পালনীয়? ছ্বলাফী, ওহাবী ইমামদের মতামত কি?

বাংলাদেশে যারা শবে বরাত নেই বলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, এরা সবাই ওহাবী, ছ্বলাফি ও কিছু দেওবন্দী ফেরকার লোক। দ্বীন পালনের ক্ষেত্রে তারা যাদের লেঞ্জুড় ছাড়া অচল, তাদের সেইসব শীর্ষ বাবাদের আমল ও আক্বিদাহ কি তা আমরা দেখবো এই লিখার মধ্যে, তাদের বাবারা তো শবে বরাতের ভিত্তি এবং মর্যাদার কথা স্বীকার করেছে, কিন্তু পুত্ররা বাপদের অস্বীকার করে কি হালালজাদা থাকতেছে তা তাদের জানা প্রয়োজন।

শবে বরাতের ফযীলত সম্প‌র্কে নব্য ছ্বলাফি ও ওহাবিদের গুরু ইবনে তাইমিয়্যার বক্তব্য হলোঃ

১। ইবনে তাইমিয়্যা বলেছেঃ এ রাতের ফজীলতে বেশ কিছু মারফু হাদীস এবং আছার বর্ণিত আছে যা প্রমাণ করে যে এ রাতটি ফযীলতপূর্ণ। পূর্ববর্তীদের কেউ কেউ এ রাতে বিশেষভাবে ছ্বলাত আদায় করতেন। যে মতের উপর আমাদের মাযহাবের বা অন্যান্য মাযহাবের বহু সংখ্যক বরং বেশিরভাগ আলেম রয়েছেন তা হলো এই রাতটি অন্যান্য রাতের উপর ফযীলত রাখে। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহ উনার স্পষ্ট কথার মাধ্যমে এটি জানা যায়। আর যেহেতু এ বিষয়ে একাধিক হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে এবং পূর্ববর্তীদের আমল সেসকল হাদীছ শরীফকে সত্যায়ন করে, এই রাতের কিছু ফযীলত সুনান ও মুসনাদ গ্রন্থসমূহতে উল্লেখিত রয়েছে। (ইক্তিদাউস-সিরাত আল মুস্তাকীম)

ইবনে তাইমিয়্যার এ উক্তি দ্বারা স্পষ্টভাবেই বুঝা যায়, তাবেঈন, তবে তাবেঈন সহ ছ্বলফে ছ্বলেহীনরা অনেকেই এ রাতকে ফজীলতপূর্ণ হিসেবে রায় দিয়েছেন এবং এ রাতে বেশি বেশি ইবাদত করেছেন।

ইবনে তাইমিয়্যা এ রাত সম্পর্কে আরও বলেছেঃ অতএব যদি কোন ব্যক্তি একা একা ছ্বলাত আদায় করে তবে তার পক্ষে একদল ছ্বলাফকে পাওয়া যাবে এবং তার পক্ষে দলীলও রয়েছে। (মাজমুয়ায়ে ফাতওয়া)

ইবনে তাইমিয়্যা তার ফাতওয়াতে লিখেছেঃ ছ্বহাবারা, তাবেঈনরা, ছ্বলাফরা এ রাত অনেক গুরুত্বের সাথে পালন করে এসেছেন। (২৩ খন্ড, ১৩২ পৃষ্টা)

পূর্ববর্তী যুগের অনেক উলামাই এ রাতের ফযীলতকে গ্রহণ করেছেন। যেসব বুজুর্গানে দ্বীনরা এই রাতের ফজীলত সম্পর্কে একমত হয়েছেন, তাদের মধ্যে উমর বিন আব্দুল আযীয, ইমাম আল শাফী, ইমাম আল আওযায়ী, আতা ইবনে ইয়াসার, ইমাম আল মাজদ বিন তাইমিয়্যাহ, ইবনে রজব আল হাম্বলী এবং হাফিয যয়নুদ্দীন আল ইরাকী রহমতুল্লাহী য়ালাইহিমগন অন্যতম। (লাতাইফুল মারিফ, হাফিজ ইবনে রজবঃ পৃষ্টাঃ- ২৬৩, ২৬৪; ফাতহুল ক্বাদীরঃ খন্ডঃ- ২, পৃষ্টাঃ- ৩১৭)

২। ইমাম নববী রহমতুল্লাহ যাকে ওহাবীরাও চোখ বুঝে মানে, তিনি বলেনঃ ইমাম শাফেঈ রহমতুল্লাহ উনার কিতাব 'আল-উম' এ বলেন, আমি জানতে পেরেছি পাঁচটি রজনীতে দোয়া কবুল করা হয়, জুমআর রাত, ঈদুল আযহার রাত, ঈদুল ফিতরের রাত, রজব মাসের প্রথম রাত ও শাবান মাসের মাঝ রাত।

এর পর তিনি উক্ত রাতসমূহতে পূর্ববর্তীদের কে কি আমল করতেন তা বর্ণনা করেন, পরে বলেনঃ ইমাম শাফেঈ রহমতুল্লাহ বলেছেন, আমি এসব রাতে পূর্ববর্তীরা যা কিছু আমল করতো বলে বর্ণনা করেছি তা সবই মুস্তাহাব মনে করি, ফরজ নয়। (আল মাজমু)

৩। ইমাম জালালুদ্দিন সুয়্যুতী রহমতুল্লাহ উনার হাকীকত আল সুন্নাহ ওয়াল বিদাহতে বলেনঃ  শাবান মাসের মাঝ রাত সম্পর্কে, এর অনেক ফযীলত রয়েছে এবং এর কিছু অংশ অতিরিক্ত ইবাদতে কাটানো মুস্তাহাব। (হাকীকত আল ছুন্নাহ ওয়াল বিদাহ আও আল আমর বি আল ইত্তিবা ওয়া আল নাহি আনাল ইবতিদা (১৪০৫/১৯৮৫ সংস্করণ, পৃষ্টা-৫৮)

৪। বাংলাদেশে কওমী আক্বীদার সবচাইতে বড় মাদ্রাসা হাটহাজারীর মুখপত্রের জুলাই/২০১১ এর ১৩-১৪ পৃষ্ঠায়, “ক্ষমা ও মার্জনায় মহিমান্বিত রাত শবে বরাতশিরোনামে লিখা হয়েছেঃ অসীম কল্যানে ভরপুর এই শবে বরাত রজনী বান্দার জন্য মহান আল্লাহর বিশেষ এক নিয়ামত। কোন কোন মহল এ রাতের ফজীলতকে অস্বীকার করতে লাগলো। এসব লোক চরম ভূল ভ্রান্তির শিকার। হাদীছ শাস্ত্র সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা ও অনভিজ্ঞতাই সে ভূল ধারনার একমাত্র কারন। উপমহাদেশের বিখ্যাত হাদীস ব্যাখ্যাকার আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী বলেন এটা লাইলাতুল বরাত, এ রাতের ফজীলত সম্পর্কীয় হাদীসগুলো সহীহ তথা নির্ভরযোগ্য। (আরফুশ শাযী শরহে তিরমিযী, পৃষ্ঠা-১৫৬)

৫। মাওলানা মাহিউদ্দীন খান তার মাসিক মদীনায় জুলাই/২০১১ এর ৪১ পৃষ্ঠায় আল-কুরআনে শব-ই-বরাতঃ একটি বিশ্লেষনশিরোনামে লিখা হয়েছেঃ সুরা দুখানের লাইলাতুম মুবারকা শব্দের সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষন করলে দেখা যায় যে, সুরা দুখান আল কুরআনের ১ম থেকে ৪৪নং সুরা। ৪৪ এর অঙ্কদ্বয়ের সমষ্টি ৪+৪=৮; ৮ দ্বারা বুঝায় ৮ম মাস অর্থাৎ শাবান মাসে লাইলাতুম মুবারকা অবস্থিত। আবার কুরআনের শেষ থেকেও সুরা দুখান ৭১ নং সুরা। ৭১ অঙ্কদ্বয়ের সমষ্টি ৭+১=৮, পুনরায় ৮ম মাসের দিকেই ইঙ্গিত করে। আবার এ সুরার প্রথম থেকে ১৪টি হরফ শেষ করে ১৫তম হরফ থেকে লাইলাতুম মুবারকায় কুরআন নাযিল সংক্রান্ত আয়াত শুরু হয়েছে। এটা ইঙ্গিত করে যে, ঐ ৮ম মাসের ১৪ তারিখ শেষ হয়ে ১৫তারিখ রাতেই লাইলাতুম মুবারকা। এই সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষন প্রমান করে, সুরা দুখানে বর্নিত লাইলাতুম মুবারকা ১৪ই শাবান দিবাগত ১৫ই শাবানের রাত। অর্থাৎ লাইলাতুল বরাত বা শব-ই-বরাত। এছাড়া মুফাছসিরীনদের বিশাল এক জামাত দাবী করেছেন, সুরা দুখানে বর্নিত যে রাতকে লাইলাতুম মুবারকা বলা হয়েছে তা অবশ্যই শব-ই-বরাত। (ইমাম কুরতবী, মোল্লা আলী কারী রহমতুল্লাহ, বুখারী শরীফের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষ্যকার হাফিজুল হাদীস আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহ এবং হাম্বলী মাজহাবের অন্যতম ইমাম বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী রহমাতুল্লাহি য়ালাইহিম সহ আরো অনেকে এ বিষয়ে একমত)

৬। মাসিক আল জামিয়া এর জুলাই/২০১১ সংখ্যায় লাইলাতুল বরাতঃ করনীয়-বর্জনীয়শিরোনামে প্রকাশিত আর্টিকেলে লিখা হয়েছেঃ শবে বরাতের ফজীলত হাদীস শরীফ দ্বারা ছাবেত তথা প্রমানিত নয়, এ কথা বলা সঠিক নয়, বরং বাস্তব কথা হলো দশ জন ছ্বহাবী রহমতুল্লাহ থেকে বর্নিত হাদীছে রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম থেকে এ রাতের ফজীলত সম্পর্কে বর্ননা পাওয়া যায়। সঠিক কথা হলো, এ রাত হলো ফজীলতের রাত। এ রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত করা সওয়াব ও পূন্যের কাজ, যার অনেক গুরুত্ব কুরআন ও হাদীস পাকে রয়েছে। (বায়হাকী, মিশকাত ১ম খন্ড)

৭। মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেবের প্রধান খলীফা মাওলানা সামসুল হক ফরীদপুরী সাহেব প্রতিষ্ঠিত মুখপত্র মাসিক আল আশরাফ এর জুলাই/২০১১ সংখ্যায় শবে বরাত নিয়ে প্রান্তিকতাশীর্ষক আর্টিকেলে লিখা হয়েছেঃ শবে বরাত সম্পর্কিত হাদীস বেশ কয়েকজন ছ্বহাবায়ে কিরাম থেকে বিভিন্ন সুত্রে বর্নিত হয়েছে। এ জন্য এসব হাদীছ শরীফকে দুর্বল অনির্ভরযোগ্য বলে অস্বীকার করার আদৌ কোন সুযোগ নেই। হাদীছ শরীফ দ্বারা শবে বরাত প্রমানিত এটা কিন্তু স্বীকার করতেই হবে। এক শ্রেনীর মুসলমান রয়েছেন যারা শবে বরাতের ফজীলত শ্রেষ্ঠত্বের কথা স্বীকারই করেন না। এটা মারাত্নক প্রান্তিকতা যা অতি জগন্য ব্যাপার।

৮। ক্বওমীদের নিকট শায়খুল হাদীস খ্যাত মাওলানা আযীযুল হকের মুখপত্র মাসিক রাহমানী পয়গাম জুলাই/২০১১ সংখ্যায়, “শবে বরাত; জীবন বদলে যাক মুক্তির আনন্দেশিরোনামের আর্টিকেলে লিখা হয়েছেঃ এক শ্রেনীর লোক মনে করে, শবে বরাতের কোন অস্তিত্বই নেই ইসলামে। ইসলামের সঠিক দৃষ্টিবঙ্গি কি তা আমাদের জানা দরকার। কুরআন হাদীসের বক্তব্য থেকে জানতে পারি, চৌদ্দই শাবান দিবাগত রাতটি অত্যন্ত বরকতময় মহিমান্বিত এক রজনী। যাকে অবহিত করা হয় শবে বরাত নামে। শব্দটির অর্থ হচ্ছে মুক্তির রজনী। এ রাতে মহান রাব্বুল আলামীন রহমতের দৃষ্টি দেন, দয়ার সাগরে ঢেউ উঠে, মাগফিরাতের দ্বার উম্মোচিত হয় পাপি-তাপি সকল বান্দার জন্য।

৯। মাসিক দাওয়াতুল হক জুলাই/২০১১ সংখ্যায় শবে বারাআত; কয়েকটি তাহক্বীকি মাসআলাশিরোনামে লিখা হয়েছেঃ সহীহ হাদীস থাকা অবস্থায় শবে বরাতের ফজীলত ও গুরুত্বকে সম্পূর্ন অস্বীকার করা এবং এ সংক্রান্ত সকল বর্ননাকে মওজু বা জয়ীফ বলা কত যে বড় অন্যায়, তা তো বলাই বাহুল্য। শবে বরাতের গুরুত্ব ও ফজীলত প্রমানিত হওয়ার জন্য হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রদ্বিআল্লাহু তায়ালা বর্নিত একটি হাদীস শরীফই যথেষ্ট। যদিও হাদীসের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে এ বিষয়ক আরো হাদীস উল্লেখ করা সম্ভব।

১০। মাসিক আন নাবা এর জুলাই/২০১১ সংখ্যার ৭ পৃষ্ঠায় মাওলানা আশরাফ আলী থানবী কর্তৃক পবিত্র শবে বরাত এর হাদীস শরীফ নিয়ে সরাসরি সংগৃহিত একটি লিখাক্ষমা ও বিপদমুক্তির রাত ১৫ শাবানশিরোনামে পত্রস্থ হয়েছে।

১১। আবদুর রহমান মুবারকপুরীর বক্তব্যঃ লাইলাতুন নিসফি মিন শা’বান সংক্রান্ত আয়েশা সিদ্দিকা য়ালাইহাছ ছালামের হাদীছ শরীফ ছাড়াও আবু বকর সিদ্দিক রদ্বিআল্লাহু আনহুর থেকে হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। ইমাম তিরমিজি রহমতুল্লার এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুবারকপুরী লিখেছে, আবু বকর সিদ্দিক রদ্বিআল্লাহু আনহুর হাদিছ শরীফটি ইমাম বাযযার ও ইমাম বায়হাকি রহমতুল্লাহী য়ালাইহি তাখরিজ করেছেন। হাদিছ শরীফের ছনদে কোন সমস্যা নেই। এমনটি ইমাম মুনজিরি “আত তারগীব ওয়াত তারহীব” এও বলেছেন। এরপর মুবারকপুরি বলেঃ লাইলাতুন নিসফি মিন শা’বান এর ফজিলত সংক্রান্ত অনেকগুলো হাদিছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। সমষ্টিগতভাবে সবগুলো হাদিছ শরীফ এ কথা প্রমাণ করেন যে, এ রাতের ফজিলতের ভিত্তি ইসলামী শরিয়তে রয়েছে। এরপর মুবারকপুরি সবগুলো হাদিছ শরীফ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে, বিস্তারিত আলোচনা করার পর সে বলে, এ সমস্ত হাদিছ শরীফ  সমষ্টিগতভাবে তাদের বিরুদ্ধে দলিল, যারা বলে থাকে যে লাইলাতুন নিসফি মিন শা’বান শরীফের কোন ভিত্তি নেই। (তুহফাতুল আহওয়াযীঃ ৫/৪০০-৪০৩)

পানির মতো স্পষ্ট বিষয় হলো, মুবারকপুরি প্রথমে আবু বকর সিদ্দিক রদ্বিআল্লাহু আনহুর হাদিছ শরীফের ব্যাপারে ইমাম মুনযিরির বক্তব্য সমর্থন করেছে, কোন আপত্তি করে নি। এরপর হাদীছ শরীফগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করে বলেছে যে, এ রাতের ভিত্তি আছে।

১২। মাদখালিদের ইমাম আলবানির বক্তব্যঃ সে তার লিখিত কিতাবে উল্লেখ করেছে যে, “মহান আল্লাহ তা’য়ালা শা’বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে পুরো সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকানমুশরিক এবং বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সকলকে মহান আল্লাহ তায়ালা এ রাতে মাফ করে দেন। হাদিছ শরীফটি ছ্বহিহ। এ হাদিস শরীফটি সাহাবায়ে কেরাম রদ্বিআল্লাহু আনহুমদের এক জামাত থেকে ভিন্ন ভিন্ন ছনদে বর্ণিত হয়েছে। একটির কারণে অপরটি শক্তিশালী হয়ে গেছে। এ রাতের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে আয়েশা সিদ্দিকা য়ালাইহাছ ছালাম, আবু বকর সিদ্দিক, আবু হুরায়রা, মুয়াজ বিন জাবাল, আবু মুছা আশয়ারী, আবদুল্লাহ বিন আমর, আউফ বিন মালিক, আবু ছা’লাবা খুশানী রদ্বিআল্লাহু আনহুমাদের থেকে। এছাড়াও অনেক আকাবীর সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুগন হাদীস শরীফ বর্ণনা করেন(ছিলসিলাতুছ ছ্বহীহা ৩য় খন্ড ১৩৫ পৃষ্ঠা, হাদীছ শরীফ নম্বর ১১৪৪)

“সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব” কিতাবের ৩য় খন্ড ৫৩ ও ৫৪ পৃষ্ঠায় শবে বরাত শরীফ সর্ম্পকে ৫ টা হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেউক্ত কিতাবের ২৭৬৭ নম্বর হাদীস শরীফে হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত হাদীস শরীফকে “হাসান সহীহ” বলেছে২৭৬৮ নম্বর হাদীস শরীফ হযরত আবু আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীস শরীফকে “সহীহ লি গাইরিহী” বলেছে২৭৬৯ নম্বর হাদীস শরীফ হযরত আবু বকর সিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু অনহু হতে বর্ণিত হাদীস শরীফকে “সহীহ লি গ্বইরিহী” বলেছেএবং মন্তব্য হিসাবে বলেছে “এই সনদে কোন সমস্য নেইএরপর ২৭৭০ নম্বর হাদীস শরীফে হযরত কাছীর ইবনে মুররা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস শরীফকে “সহীহ লি গাইরিহী” বলেছেহযরত মাকহুল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত ২৭৭১ নম্বর হাদীস শরীফকে “ছ্বহীহ লি গ্বইরিহী” বলেছে

আমরা দেখতে পেলাম যে, ছ্বলাফি, ওহাবী মুল্লারা যে মূলনীতির আলোকে এ রাতের ফজিলত সংক্রান্ত হাদিছ শরীফকে ছ্বহিহ বলেছে, সে মূলনীতি হলো, এক দল ছ্বহাবায়ে কেরাম রদ্বিআল্লাহু আনহুমাদের থেকে ভিন্ন ভিন্ন ছ্বনদে হাদিছ শরীফগুলো বর্ণিত হওয়ার কারণে এটি উম্মতে মুহাম্মাদী ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লামের ১৪ বছরের স্বীকৃত মূলনীতি অনুযায়ী ছ্বহিহ শুদ্ধ আমল।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুনঃ

এডমিন

আমার লিখা এবং প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বে আইনি।

0 ফেইসবুক: