সম্প্রতি ভারতের কলকাতার আর জি কর হাঁসপাতালের চিকিৎসক মৌমিতাকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতীবাদে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে একটি সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবন চত্বর থেকে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে আসে তারা। সমাবেশ উপস্থিত নারীবাদিরা বলে, ৫৪ বছর ধরে যে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, তা নাকি নারীবান্ধব নয়। আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সব কাঠামোই পিতৃতান্ত্রের নাকি শিকার। ১৬ই আগষ্ট রাতে আয়োজিত সেইদিনের শেষ প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয় অন্তরবর্তিকালিন সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা এস মুরশিদ। কথিত এই নারীবাদী উপদেষ্টা উপস্থিত নারীদের কাছে একটি প্রস্তাব দেওয়ার দাবী রাখে, দাবী পেশ করলে নাকি অন্তরবর্তিকালিন সরকার সেই দাবী দাওয়া বাস্তবায়নে ঝাপিয়ে পড়বে। সে আরো বলেছে, তোমরা যদি রাস্তায় থাকো, তাহলে আমিও রাস্তায়। তোমরা যদি অনিরাপদ হও, তাহলে নিরাপত্তাহীনতা কীভাবে দূর করব, তা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। যে সরকার হয়েছে, তা তোমাদের সরকার। আমি তোমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই। হোয়াট? যে সরকার হয়েছে, তা তোমাদের সরকার? হাও নুইসেন্স? ছাত্র জনতা কি এইসব ইসলাম বিরোধী, ধর্ম বিরোধী, কুরআন বিরোধী, পুরুষ বিরোধী দাবী দাওয়া বাস্তবায়নের জন্যেই প্রান দিয়েছে আর হাঁসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফেমিনিষ্ট আনিয়া ফাহমিন দাবী করে, “নারী শিক্ষার্থীদের রাত ১০টার মধ্যে হলে প্রবেশের এক সামন্ত্রতান্ত্রিক প্রথা চালু রয়েছে। আমাদের এসব সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে”।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ফেমিনিষ্ট তানিয়া মাহমুদা তিন্নি বলেছে, ৫৪ বছর ধরে যে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, তা নাকি নারীবান্ধব নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানই নাকি নারীবান্ধব নয়।
অতঃপর সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফেমিনিষ্ট নুজিয়া হাসিন রাশার সঞ্চালনায় একটি অবস্থানপত্র পাঠ করে আরেক ফেমিনিষ্ট শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান। অবস্থানপত্রে সে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরে, দাবিগুলো হলোঃ-
১) তনু
মুনিয়াসহ প্রতিটি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে হবে।
২) নারী
ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে হবে।
৩) ধর্ম, গোত্র, বর্ণের ঊর্ধ্বে গিয়ে প্রতিটি লিঙ্গের মানুষের সম্পত্তিতে সমানাধিকার দিতে
হবে।
(সরাসরি কুরআন বিরোধী কুফরি দাবী)
৪) ইউনিফর্ম ফ্যামিলি কোড চালু এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। (এটাও কুরআন বিরোধী কুফরি দাবী)
৫) সন্তানের
অভিভাবকত্ব আইন পরিবর্তন করতে হবে। নারীকে সন্তানের অভিভাবকত্ব দিতে হবে। (এটাও কুরআন বিরোধী কুফরি
দাবী)
৬) ২০০৯
সালের হাইকোর্ট নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নবিরোধী
কমিটি ও সেল তৈরি এবং কার্যকর করতে হবে।
৭) নারী, আদিবাসী, প্রতিবন্ধী এবং ভিন্ন লৈঙ্গিক পরিচয়ের মানুষের প্রতিনিধিত্বের জন্য যৌক্তিক
অনুপাতে কোটা বরাদ্দ দিতে হবে। (এটাও কুরআন বিরোধী কুফরি দাবী, এবং সমকামিতা প্রচারের
লাইসেন্স)
৮) ১৮৬০
সালে গর্ভপাতের আইন বাতিল করতে হবে। নারীকে গর্ভপাতের পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। (এটাও কুরআন বিরোধী কুফরি দাবী)
৯) নারী
ও লিঙ্গ বৈচিত্র্যের মানুষের জন্য সমান কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে হবে এবং নিরাপদ কর্মসংস্থান
নিশ্চিত করতে হবে। (এটা তো এই গণঅভ্যুথানের মূলনীতিরই বিপরীত, চাকুরী হবে মেধার ভিত্তিতে)
১০) প্রতিটি
ভিন্ন ভিন্ন লৈঙ্গিক পরিচয়ের মানুষের রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্রে তার লৈঙ্গিক পরিচয়ের স্বীকৃতি
দিতে হবে। (সমকামীদের
বৈধতার লাইসেন্স, প্রাকৃতিক লিঙ্গ ব্যতীত আর্টিফিশিয়াল লিঙ্গ ধারণ করাই হারাম
কুফরি)।
১১) সব
প্রকার লৈঙ্গিক বৈষম্যকারী আইন বাতিল করতে হবে। (সামাজ বিরোধী দাবী)
১২) বিচার
বিভাগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে হবে।
১৩) আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে রাষ্ট্রীয় সব পর্যায়ে নারীর ৩৩ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। (এটা তো এই গণঅভ্যুথানের মূলনীতিরই বিপরীত, চাকুরী হবে মেধার ভিত্তিতে)
এই দেশ যদি মুছলিমের হয়, দেশের মানুষ যদি ধর্মকে ইসলাম হিসেবে মেনে নেয়, যারা মারা গেছে তারা যদি মুছলিমদের সন্তান হয়ে থাকে, আবারো দ্বীন বিরোধী সমাজ ব্যবস্তা যদি বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায় না চায় তাহলে এখুনি ভয়ানক ইসলাম বিদ্বেষী সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা এস মুরশিদের পদত্যাগের দাবী তোলা হোক, ছাত্র জনতা আলীম সমাজের পক্ষ থেকে, এদের যদি মূলেই নির্মুল না করা হয় তাহলে কিন্তু চরম মুল্য দিতে হবে।
0 ফেইসবুক: