এসপি বাবুলের স্ত্রীকে নিয়ে যমুনা নিউজের প্রলাপ ও আমার অকাট্য কিছু যুক্তিপূর্ণ কমেন্ট |
যমুনা নিউজের এই রির্পোটা পড়লামঃ এসপি বাবুলের স্ত্রী মিতুকে হত্যা করার নাটকীয় বর্ণনা। পড়ে একটু অবাকই হলাম। মনে হলো মিথ্যাকে সত্য বানানোর একটা সুস্পষ্ট তৎপরতা বিদ্যমান। একটা মহল যে ঘোলা পানিতে মৎস শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে সেটা বোঝা যায়। (নিউজ লিংকঃ- http://goo.gl/8gZt27 আর্কাইভ http://archive.is/3gmi2)
তাদের নিউজটা পড়ে যে পয়েন্ট গুলো মাথায়
আসলো সেগুলো হচ্ছেঃ
১) নিউজে লেখা হয়েছেঃ “সোর্স মুসার স্ত্রী’র সঙ্গে এসপি বাবুল আক্তারের
পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো প্রায়শই সে মুসার স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতো আর তার পরকয়ার
পথের কাঁটা হিসেবে ছিলো মিতু তাই পথের
কাঁটা সরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মিতুকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন। এই খুনের দায়িত্ব দেন তার দীর্ঘদিনের
সোর্স মুসাকে।”
পাঠক চিন্তা করুন বাবুলের সাথে যদি
র্সোস মুসার স্ত্রীর পরকীয়া থাকতো তবে সেক্ষেত্রে মুসার তো মিতুকে খুন না করে
বাবুল আক্তারকে অথবা নিজের স্ত্রীকে খুন করাটাই শতভাগ যুক্তি সংগত ছিলো? অথচ সে তা করেনি কি
কারনে? সে কি বুদ্বি প্রতিবন্দি ছিলো?
অথচ কয়েকদিন আগে অনেক নিউজ পেপারে বলা
হয়েছিলো যে মিতুর সাথে চট্রগ্রামের এক ব্যবসায়ীর পরকীয়া ছিলো যার কারনে বাবুল
আক্তার তার স্ত্রীকে হত্যা করিয়েছে সূত্রঃ http://goo.gl/O1q1TC,
আর্কাইভ http://archive.is/c0dRY)। এবার বোঝেন অবস্থা?
২) নিউজে বলা হয়েছেঃ বাবুল মুসাকে বলেছিলো যে
একজন জঙ্গী মহিলাকে খুন করতে হবে,
সে
তার বাচ্চাকে নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যায়। এই
খুনের জন্য সরকারের তরফ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পুরুস্কার দেওয়ার ও প্রলোভন দেখানো হয়
সোর্স মুসাকে।
পাঠক ভেবে দেখুন জঙ্গী মহিলাকে যদি
হত্যা করার প্রয়োজন হতোই র্যাব কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলো? অথবা বাবুল নিজেই
কেনো তালাক দিয়ে এঙ্কাউন্টার করলনা? কন্টাক
কিলার দিয়ে প্রশাসনের লোক যে জঙ্গী মারায় না এটা বোঝার মত বুদ্ধি কি মুসার ছিলো না?
সে পুলিশের সর্বচ্ছ চৌকশ অফিসারের সোর্স ছিলো আর এইটা জানতোনা? আরেকটি কথা হলো বাবুল
আক্তারের স্ত্রীকে চেনেনা এমন কেউ ঐ এলাকায় নায় সবার কাছে সে পরিচিত ছিলো পুলিশ
ভাবি হিসেবে (সূত্রঃ http://goo.gl/tj5zBT, http://goo.gl/fGLQLX) অথচ
সোর্স মুসা তাকে চিনতনা এইটা কি হাস্যকর নয়? আর ৭ লক্ষ টাকা পুরুষ্কারের বিষয় থেকে এডভান্স কত দিয়েছিলো কেউ
বলতে পারেন? অবশ্য
নিউজে এসছে ২/৩ হাজার টাকা... হা হা হা
৩) নিউজে বলা হয়েছেঃ খুনের আগের দিন সকালে
মুসা চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে মিতুকে রেকি করতে যায়। গত ৫ জুন রোববার খুনের দিনক্ষণ ঠিক করে
কিলাররা।”
পাঠক যারা কম বেশি থ্রিলার গল্প পড়েছেন
তারা সহজেই বুঝবেন মিতুকে যদি মুসা রেকি করে তাহলে মুসার জানার কথা মিতুর বাসা
কোথায় আর সেই বাসা যে বাবুল আক্তারে বাসাও সেটাও বোঝার কথা।
বার বার বলা হয়েছে কিলাররা নাকি জানতো
না মিতু যে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী। এ
কথা আমার কাছে এমনই লাগছে যে ঝুম বৃষ্টির মধ্যে কেউ হাঁটছে অথচ সে ভিজতেছেনা।
যাইহোক বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে
কারা যে তাদের নোংরা নগ্ন হস্ত সঞ্চালন করছে সেটা অবশ্য জনগনের বুঝতে বাকি নেই।
বিঃদ্রঃ আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে এই নিউজ
এবং বাবুল আক্তার কে নিয়ে হওয়া বাকি সবগুলো নিউজ পড়েন তাহলে একটি জিনিস খেয়াল
করবেন যে এসপি বাবুল আক্তার আর তার স্ত্রী উভয়ই ছিলেন মুসলমান, শুধু আর দশ জনের
মতো মুসলমান না পাক্কা ঈমানদার মুসলমান যে বাবুল আক্তার কেবল সৎই ছিলেন না, বরং ছিলেন নিষ্টাবান, এবং উনার স্ত্রী ছিলেন পর্দাশিল মুসলিমা যার বাসায় ডিসের নোংরা লাইন পর্যন্ত ছিলোনা। এতএব আপনারা সহজেই বুঝতে পারছে যে সৎ নিষ্টাবান
আর ধার্মিক মুসলমান হওয়ার কারনে বাবুল আক্তারের স্ত্রী কে হত্যা করে বাবুল আক্তার
কে স্ত্রীর হত্যা কারি বানিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছে একটি গোষ্টি আর এতে সর্বচ্ছ মদদ
দিচ্ছে বাবুলেরই এক সময়ের সহকর্মী হিন্দু পুলিশ অফিসারবনজ কুমার আর তার সহযোগী হিন্দু সাংবাদিক রমেন।
0 ফেইসবুক: