أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطٰانِ الرَّجِيْمِ - بِسْمِ اللَّهِ
الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
رَبِّ اشْرَحْ لِى صَدْرِى وَيَسِّرْ لِىٓ أَمْرِى وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِى يَفْقَهُوا قَوْلِى
سُبْحَانَ
اللہِ وَالْحَمْدُ لِلّٰہِ وَ لآ اِلٰہَ
اِلَّا اللہُ وَاللہُ اَکْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّۃَ اِلَّا بِاللہِ
الْعَلِیِّ الْعَظِیْمِ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ مَعْدَنِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَ عَلَى آلِهٖ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ
মসজিদে উপস্থিত সম্মানিত মুসল্লিয়ানে কেরাম সহ, পর্দার অন্তরালে থাকা মা-বোনদের প্রতি আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকতুহ।
আজ পবিত্র ইয়াওমুল জুমু’আহ শরীফের দিন, মুমিনদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। আজ চৌঠা শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি। আজ ৪ দিন হলো সম্মানিত পবিত্র রমদ্বান শরীফ মাস আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছেন। রমদ্বান শরীফ মাসে আমরা যা অর্জন করেছি তা যেনো না হারাই, এঁর কারণে আমাদের উচিৎ আগামী রমদ্বান শরীফ পর্যন্ত যেনো আমাদের আমল আখলাককে পবিত্র রমদ্বান শরীফের অনুরূপ বিদ্যমান রাখতে পারি, সেইমতো প্রতিটা, দিন, প্রতিটা সপ্তাহ, প্রতিটা মাস পার করতে পারি।
শাওয়াল হলো আরবি চঁন্দ্র বছরের দশম মাস। এই মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ পালন করতে হয়। পহেলা শাওয়ালে ঈদের নামাযের আগে ছ্বদ্বাকাতুল ফিতর বা ফিতরা আদায় করা এবং ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। এই মাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে পবিত্র ফরজ হজ্জের, এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে ঈদের, এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রোজা ও রমজানের এবং এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে দান সদাকার। তাই এই মাস আমল ও ইবাদতের জন্য অত্যন্ত উর্বর ও উপযোগী।
শাওয়ালের অর্থ ও তাৎপর্যঃ ‘শাওয়াল’ আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো উঁচু করা, উন্নতকরণ, উন্নত ভূমি, পূর্ণতা, ফলবতী, পাল্লা ভারী হওয়া, গৌরব করা, বিজয়ী হওয়া, প্রার্থনায় হস্ত উত্তোলন করা বা ভিক্ষায় হস্ত প্রসারিত করা, পাত্রে অবশিষ্ট সামান্য পানি, ফুরফুরে ভাব, দায়ভারমুক্ত ব্যক্তি, ক্রোধ প্রশমন ও নীরবতা পালন, সিজন করা কাঠ। এসব অর্থের প্রতিটির সঙ্গেই শাওয়ালের সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই মাসের আমলের দ্বারা উন্নতি লাভ হয়, পূর্ণতা, ফল লাভ হয়, নেকির পাল্লা ভারী হয়, গৌরব অর্জন হয় ও সাফল্য আসে। একারণেই ফলপ্রার্থী মুমিনেরা মহান আল্লাহ তা’য়লার কাছে হস্ত সম্প্রসারিত করে প্রার্থনা করেন, পূর্ণ মাস রোজা পালনের পরও আরও কয়েকটি রোজা রাখেন, প্রাপ্তির আনন্দে বিভোর হন, ফরজ রোজা পালন শেষে নফল রোজার প্রতি মনোনিবেশ করেন, আত্মনিয়ন্ত্রণের শক্তি অর্জন করেন, পরিপক্বতা ও স্থিতি লাভ করেন। এসবই হলো শাওয়াল মাসের নামের যথার্থতা।
সম্মানিত মুসল্লিয়ানে কেরাম, শাওয়াল মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস, এই মাসে এমন কিছু জিনিস আছে, এমন কিছু বিষয় সংঘটিত হয়েছে যা আপনাদের না জানলেই নয়। মুসলিম নারী পুরুষদের বিয়ের সুন্নতী মাস হচ্ছে এই শাওয়াল মাস। হাদিস শরীফে এসেছেঃ আয়িশা সিদ্দিকা আলাইহাস সালাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন ‘রসূলুল্লাহ্ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শাওয়াল মাসে বিবাহ করেন! এবং শাওয়াল মাসেই উনার সঙ্গে আমার বাসর হয়। আয়িশা সিদ্দিকা আলাইহাস সালাম উনার বংশের মেয়েদের জন্য শাওয়াল মাসে বিয়ে/বাসর হওয়া পছন্দ করতেন।
দলিল সূত্রঃ- বুখারি শরীফ ৩৩৫২, ইবনু মাজাহ ১৯৯০, মুসলিম শরীফ, তিরমিজী শরীফ ১০৯৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
বর্ণিত হাদিস শরীফ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, কেউ যদি বিয়ের সুন্নত আদায় করতে চান তাহলে তিনি যেনো তা শাওয়াল মাসেই করেন। এছাড়াও এই সম্মানিত শাওয়াল মাস পবিত্র হজ্জের মাসের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র আল কুরআনের (الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومٰتٌ) হাজ্জ হয় কয়েকটি নির্দিষ্ট মাসে। ২/১৯৭ এই আয়াতের ব্যখায় হাদিস শরীফে এসেছেঃ আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, পবিত্র হজ্জ-এর মাসগুলো হলঃ শাওয়াল, যিলকদ, এবং যিলহজ্জ মাসের দশ দিন।
দলিল সূত্রঃ- সহীহুল বুখারী-৩/৪৯০, ফাতহুল বারী ৩/৪৯০।
অর্থাৎ রমদ্বানের পরেই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস হচ্ছে শাওয়াল মাস। তাই এই মাসের মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলি আমাদের জানা ও পালন করা খুবই প্রয়োজন। স্বরনীয় যে শাওয়াল মাস পবিত্র হজ্জের মাসগুলোর প্রথম মাস। এ মাস থেকেই পবিত্র হজ্জের সকল কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়া সহীহ হাদীস শরীফ দ্বারা এ মাসের অসংখ্য ফযীলত প্রমাণিত। যেমন, আবূ আয়্যুব আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ্ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি রমদ্বান মাসের সিয়াম পালন করল, ‘তারপর শাওয়াল মাসের ছয় দিনকে তার অনুগামী করল (অর্থাৎ এই মাসে আরো ৬টি রোজা সে রাখল) সে যেন সারা বছর রোযা রাখল। অর্থাৎ ‘যে ব্যক্তি রামদ্বান মাসের সিয়াম পালন করবে। এরপর সে শাওয়াল মাসে ৬টি নফল রোজা রাখবে, তার সারা বছরই সিয়াম পালনের মত হবে।
দলিল সূত্রঃ- মুসলিম শরীফ, সিয়াম অধ্যায়, হাদিস নং ২৬২৯।
অতএব হে মুমিন ভাই ও পর্দার অন্তরালে থাকা মা বোনেরা, আপনারা যারা রোজা রাখাকে পছন্দ করেন এবং বছরের সারাটি দিন রোজা অবস্থায় আল্লাজীর দরবারে থাকতে চান তারা যেনো, এই সারা মাসে ৬ টি রোজা যেকোন নিয়মে ইচ্ছে হয় রাখবেন (অর্থাৎ টানা রাখুন বা ভেঙ্গে ভেঙ্গে বা দুইদিন, দুইদিন, তিন দিন তিন দিন করে রাখুন কোন সমস্যা নাই)। তবে প্রত্যেক মাসের মতো আমাদের মা বোনদের রমদ্বান মাসেও নিদৃষ্ট কিছু দিন নামায ও রোজার ক্বাযা হয় (হায়েজ বা মাসিক পিরিয়ডের কারণে)। নামায মাফ হলেও রোজার ক্বাযা যেহেতু করতে হবেই সেহেতু আপনাদের স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে এই মাসে যদি আপনারা ক্বাযাগুলি আদায় করে নেন তাহলে তা হয় অতি উত্তম। সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো প্রত্যেক সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখা, এতে আপনারা প্রথমতো ক্বাজা আদায়ের ফযিলত পাবেন, দ্বিতিয়ত পাবেন শাওয়ালের রোজার ফযিলত, তৃতীয়ত পাবেন সাপ্তাহিক সুন্নত রোজার ফযিলত, চতুর্থ পবানে হুব্বে রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম প্রকাশের ফযিলত। এতো ফযিলত যেনো কেউ অবহেলায় কাটিয়ে না দেন।
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এই সম্মানিত মাসেই খন্দকের জ্বিহাদ সংঘটিত হয়েছিলো। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ ও বলা হয়। মুসা ইবনে উকবা রদ্বিয়ায়ল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে সংঘটিত হয়েছিল। (বুখারি শরীফ ২১৯৩) এছাড়াও অষ্টম হিজরীর শাওয়াল মাসে তায়েফের জ্বিহাদ বা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। (বুখারি শরীফ ২২২০)।
এছাড়াও ১৪৮ হিজরির পবিত্র এই মাসেই অফাৎ লাভ করেন (অনেকের মতে শহীদ হয়েছেন) আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব মুবারক, হযরত জাফর সাদিক আলাইহিস সালাম। এছাড়াও হাদিস শরীফের দুনিয়ায় সবার নিকট গ্রহণযোগ্য কিতাব বুখারি শরীফের যিনি মূল রচয়িতা, সেই আবু আব্দুল্লাহ্ মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল বিন ইবরাহীম বিন মুগীরা বিন বারদিযবাহ আলজু’ফী রহমতুল্লাহি আলাইহি, যাকে আমীরুল মু’মিনীন ফীল হাদীছও বলা হয়, ১৯৪ হিজরির ১৩ই শাওয়াল জুমু’আহ শরীফের রাত্রিতে বুখারা নামক স্থানে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন।
অতিব দুঃখের বিষয় হলো, আজ আমরা রাসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটবর্তী যামানার আল্লাজীর অলি ও যুগশ্রেষ্ট ইমাম, মুস্তাহিদ, মুজাদ্দিদ, মুহাদ্দিসদের কবে জন্ম, কবে অফাৎ কিছুই জানিনা, যাদের কারণে আজ কুরআন হাদিস অনুসারে দ্বীন পালন করতে পারছি, করে যাচ্ছি, যাদের দিনের পর দিন দুনিয়ার কাজ কর্ম পরিত্যাগ করে ইসলামের খেদমতের ফলে, যাদের রাতের পর রাত নিদ্রাহীন রিসার্চ আর লিখনির ফলে আজ আমরা বিশুদ্ধভাবে নামায, রোজা, হজ্জ, যাকাত পালন করে যাচ্ছি, হারাম, শিরকি, বিদয়াতি আমল থেকে বিশুদ্ধ আমল করতে পারছি তাদের আজ আমরা গুরুত্ব দেইনা, অথচ দেখা যায় নাম পরিচয় না জানা কতো মাজার বিদ্যামান এদেশে যেখানে সেইসব অজ্ঞাত আউলিয়ার উরুস মাহফিলে কোটি কোটি টাকা খরছ করা হচ্ছে। অথচ যাদের অবদান দ্বীন ইসলামের রন্দ্রে রন্দ্রে, তাদের বেলায় তাদের বিলাদত বিছাল শরীফে নাই কোন আলোচনা, নাই কোন মাহফিল। এটা কি আমাদের নিজেদের সাথে প্রতারণা নয়? এটা কি আমাদের অকৃতজ্ঞের কাতারে দাঁড় করাচ্ছেনা? আমাদের উচিৎ এইসব সম্মানিত গ্রহণযোগ্য আউলিয়া, যুগশ্রেষ্ট ইমাম, মুস্তাহিদ, মুজাদ্দিদ, মুহাদ্দিসদের জন্ম ও মৃত্যু দিবসে মিলাদ মাফফিল বা আলোচনা সভার আয়োজন করা, উনাদের ব্যপারে, উনাদের কর্মের ব্যপারে, আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অবগত করা, যাতে তারাও দ্বীন ইসলামের খেদমতে নিবেদিতপ্রাণ হয়, উৎসাহ পায়।
যাইহোক, প্রতি সপ্তাহের মতো আজকেও সবাইকে আহ্বান করছি, অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে শুরু হবে জুমু’আহ শরীফের খুৎবা, আর খুৎবার আযান থেকে শুরু করে নামায চলাকালীন সময়ে করা সকল ব্যবসা আল্লাহ পাক নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন, মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ [یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الۡبَیۡعَ ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ] হে ঈমানদারগণ! (পবিত্র) জুমু’আহ শরীফের দিনে যখন নামাযের জন্য (তোমাদের) আহবান করা হয় (অর্থাৎ যখন আযান দেওয়া হয়), তখন তোমরা মহান আল্লাহ তা’য়ালার স্মরণের দিকে (অর্থাৎ নামাযের উদ্যেশ্যে মসজিদের দিকে) ধাবিত হও। এবং (সকল ধরণের) বেচা-কেনা পরিত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পারো।
√ কিতাব সূত্রঃ আল কুরআন – ৬২/৯।
কুরআনের এই আয়াত দ্বারা জুমু’আহ শরীফের দিন খুৎবার আযানের সময় থেকে নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত সকল ধরণের ব্যবসা বাণিজ্যকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাই এই সময় দোকানপাঠ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে, ব্যবসা প্রতিষ্টানে তালা মেরে নামাযে উপস্থিত হতে হবে। এই সময় বেচাকেনা হারাম, আমাদের ফিকির করা উচিৎ যে, মাত্র আধা ঘন্টার জুমু’আহ নামাযের সময় আমরা কি এমন বেচাকেনা করছি, কি এমন লাভ করছি যে সামান্য কিছু টাকার জন্য সমস্থ উপার্জনটাই হারাম করে দিচ্ছি, কারণ ঐ মুহূর্তে করা এক টাকার ব্যবসাও বাকি টাকার সাথে মিলে সম্পূর্ণ টাকাই হারাম করে দিচ্ছে। আর হারাম উপার্জনে কখনোই মহান আল্লাহ তা’য়ালার বরকত থাকেনা, যার কারণে দিনশেষে দেখা যায় সারাদিন খেঁটেও ফায়দা হচ্ছেনা।
এর পরের আয়াতে মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ [فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلٰوةُ فَانتَشِرُوا فِى الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ] অতঃপর নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে (অর্থাৎ জমিনে) ছড়িয়ে পড় এবং মহান আল্লাহ তা’য়ালার অনুগ্রহ (অর্থাৎ জীবিকা) তালাশ কর এবং মহান আল্লাহ তা’য়ালাকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা (জীবিকা উপার্জনে) সফলকাম হও।
√ কিতাব সূত্রঃ আল কুরআনঃ ৬২/১০।
আয়াতে পাকে, মহান আল্লাহ তা’য়ালা যে অনুগ্রহ তালাশের কথা বলেছেন, এর অর্থ দুনিয়াবি কাজ-কর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্য আবার শুরু করো। অর্থাৎ, জুমু’আর নামায শেষ করার পর তোমরা পূনরায় নিজ নিজ কাজে-কামে এবং দুনিয়ার ব্যস্ততায় লেগে যাও। তবে আমার স্বরন থেকে গাফেল হয়োনা, বরং মনে মনে আমার যিকির করো আর কাজ কাম করতে থাকো। এছাড়াও একটি বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, জুমু’আহ শরীফের দিন কাজ-কর্ম বন্ধ রাখা জরুরী নয়। কেবল নামাযের জন্য, নামাযের সময় তা বন্ধ রাখা জরুরী। মহান আল্লাহ পাক-এর এরূপ স্পষ্ট হুকুম জানার পরেও যারা এই হুকুম অমান্য করে ব্যবসা করবেন তারা ইচ্ছা অনিচ্ছা আর অজ্ঞতায় নিজেদের হালাল মালের মধ্যে হারাম কে মিশিয়ে দেবেন। আর হারাম মালের সংমিশ্রণের রিযিক দ্বারা গঠিত দেহ কখনোই জান্নাতে যাবেনা।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে পবিত্র জুমু’আহ শরীফ সহ দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামায জামায়াতে আদায়ের তৌফিক দিন, জামায়াতে না পারলেও অন্তত একা আদায়ের তৌফিক যেনো দেন, এই আর্জি পেশ করলাম মালিক মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে। আল ফাতিহা (সূরাহ ফাতিহা দিয়ে দোয়া শেষ করবেন।)
0 ফেইসবুক: