রাজারবাগিরা কুরআনের নির্দেশিত ইন’শা-আল্লাহ থেকে আল্লাহ কেটে ইন’শা-মামদুহ বানিয়ে দিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
একজন গোলামে ইলাহী হয়ে একবার ভাবুন তো? আপনার মালিকের শানে পঠিত একটি খাস মর্যাদাপূর্ণ বাক্য থেকে উনাকে ডিলিট করে
একজন মানুষের উপর তার মুরিদেরা পাঠ করছে, একবার ও কি খারাপ
লাগেনা?
একারণেই কি আমাদের জমিনে খলীফা বানিয়ে পাঠিয়েছিলেন? একারণেই কি আমাদের এতো এতো নিয়ামত দিয়েছেন মহান আল্লাহ পাঁক?
কখনো কল্পনাও করিনি যে এমন দিন আসবে যেদিন
আমাকে ইন’শা-আল্লাহ যে কেবল মালিক মহান আল্লাহ পাঁক উনারই জন্য ব্যবহার করতে হবে এটা
প্রমান করতে ব্লগ লিখতে হবে। অদ্ভুত এক মূর্খের যামানায় বসবাস করছি। মানুষ এতো অন্ধ হলে কীভাবে হবে? এতো মূর্খ হলে
কীভাবে হেদায়েত নসীব হবে? হেদায়েত চাইলে গোয়ারমি ছাড়তে হবে। নিরেপেক্ষভাবে চিন্তা করা লাগবে। কেউ যদি আপন পিতার ব্যপারেও অভিযোগ তুলে, তাহলে দেখতে হবে সেই অভিযোগের স্বপক্ষে কোন দলিল সে পেশ করেছে কি না, আল্লাহ পাঁক ও রসূলুল্লাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম এবং
উনার হেদায়েতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদিন আলাইহিমুস সালাম ব্যতীত কারো অন্ধ অনুসুরন
করা যাবেনা। কারণ রসূল ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তা’আলাকে, মহান আল্লাহ পাঁক রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামকে, আর রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম হেদায়েতপ্রাপ্ত
খোলাফায়ে রাশেদিন আলাইহিমুস সালামদের অন্ধ তাক্বলীদের হুকুম দিয়েছেন, কিন্তু হেদায়েতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদিন আলাইহিমুস সালাম কারো অন্ধ তাক্বলিদের
হুকুম দিয়ে যান নাই।
শোন হে রাজারবাগি ভাই ও বোনেরা, আমি তোমাদের কুরআন হাদিসের আলোকেই বোঝানোর চেষ্টা করবো, এর পরেও যদি তোমরা না বুঝো, আফসোস ব্যতীত কিছুই নাই।
পবিত্র এই (اِنۡ
شَآءَ اللّٰه) বাক্যটির ব্যপারে মহান আল্লাহ পাঁক খুবই কট্টর
ছিলেন। মানুষ যাতে এই বাক্যটিকে
অবহেলা না করে, গাফেল না হয়, এর জন্যে মহান আল্লাহ পাঁক বিরাট এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন, যা ঈমানদার মাত্রই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠার কথা। পবিত্র আল কুরআনের ৮ যায়গায় মহান আল্লাহ পাঁক
পবিত্র এই গুরুত্বপূর্ণ বাক্য উল্লেখ করেছেন যার মধ্যে সূরাহ কাহাফের ১৮/২৩-২৪ নং
আয়াতের ঘটনা সমগ্র জ্ঞানি মুসলিমের নিকট মশহুর। মহান আল্লাহ পাঁক বলেনঃ (وَ لَا تَقُوۡلَنَّ لِشَایۡءٍ اِنِّیۡ فَاعِلٌ ذٰلِکَ غَدًا اِلَّاۤ
اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰهُ ۫ وَ اذۡکُرۡ رَّبَّکَ اِذَا نَسِیۡتَ وَ قُلۡ عَسٰۤی اَنۡ
یَّهۡدِیَنِ رَبِّیۡ لِاَقۡرَبَ مِنۡ هٰذَا رَشَدًا) (হে নবী
ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) কখনো কোনো কাজের ব্যাপারে এ কথা
বলবেন না,
(এ কাজটি) আমি আগামীকাল করবো, বরং (বলুন) ইন’শা-আল্লাহ (মহান আল্লাহ তা’আলা যদি চান তাহলেই আমি আগামীকাল এ কাজটা করতে পারবো), আর যদি কখনো (কিছু) ভুলে যান তাহলে আপনার রবকে স্মরণ করুন এবং বলুন, সম্ভবত আমার রব এর চেয়েও সত্যের নিকটবর্তী পথে আমাকে পরিচালিত করবেন। (কেননা কোন মানুষ যেভাবেই সঠিক পথে চলুক না কেন, আল্লাহ পাঁক চাইলে তার চেয়েও উত্তমভাবে পথ চলা যেতে পারে)। (বিস্তারিত আরবি তাফসীর)
মুফাসসিরগণ বলেন যে, ইয়াহুদীরা নবী করীম ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামকে তিনটি কথা
জিজ্ঞাসা করেছিল। আত্মার স্বরূপ কি এবং
গুহার অধিবাসী ও যুল-কারনাইন কে ছিলেন? তাঁরা বলেন যে, এই প্রশ্নগুলোই ছিল এই সূরা অবতীর্ণ হওয়ার কারণ। নবী করীম ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া
সাল্লাম বললেন, আমি তোমাদেরকে আগামী কাল উত্তর দেব। কিন্তু এর পর ১৫ দিন পর্যন্ত জিবরীল আলাইহিস
সালাম অহী নিয়ে এলেন না। অতঃপর যখন এলেন, তখন মহান আল্লাহ তা’আলা ‘ইন’শা-আল্লাহ’ বলার নির্দেশ দিলেন। নিম্নোক্ত আয়াতে পাকে (غَدًا) আগামী কাল বলতে ভবিষ্যৎ বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, অদূর ভবিষ্যতে বা
দূর ভবিষ্যতে কোন কাজ করার সংকল্প করলে, ‘ইন শা-আল্লাহ’ অবশ্যই বলে নিও। কেননা,
মানুষ তো জানেই না যে, যা করার সে
সংকল্প করে, তা করার তাওফীক সে আল্লাহর ইচ্ছা থেকে পাবে, নাকি পাবে না?
কুরায়েশরা নাযার ইবনু হারিস ও উকবা ইবনু মুঈতকে
মদীনা শরীফের ইয়াহুদি আলেমদের নিকট পাঠিয়ে দেয় এবং তাদেরকে বলেঃ “তোমরা তাদের কাছে গিয়ে তাদের সামনে মুহাম্মদ (ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি
ওয়া সাল্লাম)-এর সমস্ত অবস্থা বর্ণনা করবে। পূর্ববর্তী নবীদের সম্পর্কে তাদের জ্ঞান রয়েছে। সুতরাং মুহাম্মদ (ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
আলিহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে তাদের মতামত কি তা তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে।” এই দু’জন তখন মদীনা শরীফের ইয়াহুদী আলেমদের সাথে সাক্ষাৎ করে এবং তাদের সামনে
রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম-এর অবস্থা ও গুণাবলী
বর্ণনা করে, তারা এদেরকে বলেঃ “দেখো,
আমরা তোমাদেরকে একটা সমাধানের পথ বলে দিচ্ছি। তোমরা ফিরে গিয়ে উনাকে তিনটি প্রশ্ন করবে। যদি তিনি উত্তর দিতে পারেন, তবে তিনি যে সত্য নবী এতে আর কোন সন্দেহ নেই। আর যদি উত্তর দিতে না পারেন, তবে উনার মিথ্যাবাদী হওয়া সম্পর্কে কোন সন্দেহ থাকবে না। তখন তোমরা উনার ব্যাপারে যা ইচ্ছা সিদ্ধান্ত
নিতে পার”। তোমরা উনাকে জিজ্ঞেস করবেঃ “পূর্বযুগে যে যুবকগণ নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন তাদের ঘটনা বর্ণনা করুন তো? এটা একটা বিস্ময়কর ঘটনা তারপর উনাকে এ ব্যক্তির অবস্থা জিজ্ঞেস করবে যিনি
সমস্ত পৃথিবী ভ্রমণ করেছিলেন। যিনি পূর্ব প্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে এসেছিলেন। আর উনাকে তোমরা রূহের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করবে। যদি তিনি এই প্রশ্নগুলির
উত্তর দিতে পারেন, তবে তোমরা উনাকে নবী বলে স্বীকার করে নিয়ে
উনার অনুসরণ করবে। আর যদি উত্তর দিতে না
পারেন তবে জানবে যে, তিনি মিথ্যাবাদী। সুতরাং তখন যা ইচ্ছা তা-ই করবে।”'
এরা দু'জন মক্কায় ফিরে গিয়ে
কুরায়েশদেরকে বলেঃ “শেষ ফায়সালার কথা ইয়াহুদী আলেমগণ বলে
দিয়েছেন। সুতরাং চল আমরা তাকে
প্রশ্নগুলি করি।” অতঃপর তারা
রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে আগমন করে এবং
উনাকে এ তিনটি প্রশ্ন করে। তিনি তাদেরকে বলেনঃ “তোমরা আগামী কাল এসো, আমি তোমাদের এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিবো।” কিন্তু তিনি ইন’শা-আল্লাহ (মহান আল্লাহ তা’আলা যদি চান তাহলেই আমি আগামীকাল এ কাজটা করতে পারবো) বলতে ভুলে যান। এরপর পনেরো দিন অতিবাহিত হয়ে যায়, কিন্তু উনার কাছে না কোন ওয়াহী আসে, না মহান আল্লাহ
তা’আলার পক্ষ থেকে উনাকে এই প্রশ্নগুলির জবাব জানিয়ে দেয়া হয়। এর ফলে মক্কাবাসী কাফেররা কটূক্তি করে এবং
পরস্পর বলাবলি করেঃ “দেখো, কালকার ওয়াদা
ছিল, আর আজ পরো দিন কেটে গেল, তবুও তিনি জবাব দিতে
পারলেন না।” এতে রসূলুল্লাহ
ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম দ্বিগুণ দুঃখে জর্জরিত হতে লাগলেন। একতো কুরায়েশদেরকে জবাব দিতে না পারায় তাদের
কথা শুনতে হচ্ছে, দ্বিতীয়তঃ ওয়াহী আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আগমন করেন এবং
সূরায়ে কাহ্ফ অবতীর্ণ হয়। এতেই ইন’শা-আল্লাহ না বলায় যে ওয়াহী বন্ধ করা হয়েছিলো
এটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়, এছাড়াও ঐ যুবকদের ঘটনা বর্ণনা করা হয়, এবং সেই ভ্রমণকারীর বর্ণনা দেয়া হয় এবং রূহের ব্যাপারে জবাব দেয়া হয়।
এখানে রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
আলিহি ওয়া সাল্লাম ও উনার উম্মতকে শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতকালে কোন কাজ করার ওয়াদা বা স্বীকারোক্তি করলে এর সাথে “ইন’শা-আল্লাহ” বাক্যটি যুক্ত করতে হবে। কেননা, ভবিষ্যতে জীবিত
থাকবে কিনা তা কারো জানা নেই। জীবিত থাকলেও কাজটি করতে পারবে কিনা, তারও নিশ্চয়তা
নেই। কাজেই মুমিনের উচিত মনে
মনে এবং মুখে স্বীকারোক্তির মাধ্যমে মহান আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করা। ভবিষ্যতের কোন কাজ করার কথা বললে এভাবে বলা দরকারঃ “মহান আল্লাহ তা’আলা যদি চান তাহলেই আমি আগামীকাল এ কাজটা করতে
পারবো”। ইন’শা-আল্লাহ বাক্যের অর্থ
হলো এটাই।
এছাড়াও রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “সুলায়মান ইবনে দাউদ আলাইহিমুস সালাম বললেনঃ আমি
আজ রাতে আমার সত্তর জন স্ত্রীর সাথে মিলিত হব। কোন কোন বর্ণনায় এসেছে- ৯৯ জন স্ত্রীর সাথে
মিলিত হব,
তাদের প্রত্যেকেই একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেবে যারা মহান
আল্লাহ তা’আলার রাস্তায় জিহাদ করবে। তখন উনাকে ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন যে, বলুনঃ ইন’শা-আল্লাহ। কিন্তু তিনি তা বললেন না/অথবা ভুলে গেলেন। ফলে তিনি সমস্ত স্ত্রীর সাথে মিলিত হলেও তাদের
কেউই কোন সন্তান জন্ম দিলেন না। শুধু একজন স্ত্রী একটি অপরিণত সন্তান প্রসব করলেন। রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া
সাল্লাম বললেনঃ যার হাতে আমার প্রাণ উনার শপথ, তিনি যদি ইন’শা-আল্লাহ বলতেন, তবে অবশ্যই উনার ওয়াদা/চাওয়া ব্যর্থ হত না। আর তা উনার ওয়াদা/চাওয়া পূর্ণতায় সহযোগী হত’৷ (বুখারী শরীফঃ ৩৪২৪, ৫২৪২, ৬৬৩৯, ৭৪৬৯,
মুসলিম শরীফ, ১৬৫৪, মুসনাদে আহমদ ২/২২৯, ৫০৬)।
(আর যদি কখনো বলতে ভুলে যান তাহলে আপনার রবকে
স্মরণ করুন) কোন কোন মুফাসসির বলেন, উক্ত আয়াতের
অর্থ হলো,
যখনি আপনি কোন কিছু ভুলে যাবেন তখনই মহান আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করবেন। কারণ,
ভুলে যাওয়াটা শয়তানের ওয়াসওয়াসার ফলে ঘটে। আর মহান আল্লাহ পাঁক উনার স্মরণ শয়তানকে দূরে
তাড়িয়ে দেয় যা পুনরায় স্মরণ করতে সাহায্য করবে। এ অর্থটির সাথে পরবর্তী বাক্যের মিল বেশী। অপর কোন কোন মুফাসসির বলেন, এ আয়াতটি পূর্বের আয়াতের সাথে মিলিয়ে অর্থ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ইনশাল্লাহ ভুলে যান তবে যখনই
মনে হবে তখনই ইনশাআল্লাহ বলে নেবেন যদিও তা এক বছর পরেও হয়। (দেখুন, ইবন কাসীর)
কেবল এটাই না, এই (اِنۡ شَآءَ اللّٰه) না বলায় পুরো একটি বাগান আল্লাহ পাঁক পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছেন (দেখুন এইখানে)। এছাড়াও হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম যখন হযরত
ইসমাঈল আলাইহিসকে আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির
উদ্দ্যেশ্যে কুরাবানীর স্বপ্নের কথা বল্লেন তখন হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উত্তরে
বলেনঃ (اِنۡ شَآءَ اللّٰه) ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে অবশ্যই ধৈর্যশীলদের
অন্তর্ভুক্ত পাবেন’। (দেখুন এইখানে)। আর মূসা আলাইহিস সালামের কওমের বিষয়টা তো মশহুর, মহান আল্লাহ পাঁক তাদের যে স্পেসিফিক গাভী কুরাবানীর কথা বলেন, তখন তারা দিশেহারা হয়ে মূসা আলাইহিস সালাম কে অনুরোধ করে, তিনি যেনো গরুটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেন মহান আল্লাহ তা’আলার কাছ থেকে জেনে, এবং সাথে (اِنۡ شَآءَ اللّٰه) ও বলে তারা। উক্ত আয়াতের তাফসিরে বলা হয় যেঃ যদি তারা (اِنۡ شَآءَ اللّٰه) বাক্য না বলত, তবে কখনই সে ধরনের গরু খুঁজে পেত না। (দেখুন এখানে) এছাড়াও হযরত খিজির আলাইহিস সালামের সাথে যখন হযরত মূসা আলাইহিস সালাম সফর করেন, তখন তিনি উনাকে নিতে অস্বীকৃতি জানালে হযরত মূসা আলাইহিস সালাম বল্লেন (اِنۡ شَآءَ اللّٰه) আপনি আমাকে
ধৈর্যশীল পাবেন এবং আপনার কোন আদেশ আমি অমান্য করব না। (দেখুন এখানে) এছাড়াও নবী শোয়াইব আলাইহিস সালাম যখন উনার কন্যাকে হযরত মূসা আলাইহিস সালামের
নিকট বিবাহের প্রস্থাব দেন তখন (اِنۡ
شَآءَ اللّٰه) বলে এক নবী আরেক নবীর নিকট ওয়াদা করেন এই বলে
যেঃ তোমার সাথে কখনো ঝগড়া-বিবাদ করব না, কোন কষ্টও দেব না
এবং তোমার প্রতি আমাকে কখনো কঠোর পাবে না। (দেখুন এখানে)
এখন পাঠক বলুন, আল্লাজীর দায়িমি নির্দেশ, রসূলে পাঁক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লামের উপর (اِنۡ
شَآءَ اللّٰه) না বলায় ওয়াহী বন্ধ হয়ে থাকা, পরবর্তীতে রসূলে পাঁক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম আর কখনো (اِنۡ شَآءَ اللّٰه) না বলে কোন কাজের সংকল্প করেন নাই, এক নবী আরেক নবীকে ওয়াদা দেন (اِنۡ
شَآءَ اللّٰه) বলে, একটি জাতীর কতিপয়
লোক (اِنۡ شَآءَ اللّٰه) না বলায় তাদের বাগানকে আল্লাহ পাঁক পুড়িয়ে
দিলেন, সাহাবী তাবেঈ, তবে তাবেঈ সহ ১৪০০ বছরের ইসলামের ইতিহাসে
প্রত্যেক কুরআন সুন্নাহর অনুসারী (اِنۡ
شَآءَ اللّٰه) এর উপর আমল করে গেলেন আর গণ্ডমূর্খ জাহিল
মুশরিক দিল্লুর রহমান ও তার চ্যালারা আমাদের (اِنۡ
شَآءَ اللّٰه) না বলে ইনশা মামদুহ বলাতে চায়। নাউযুবিল্লাহ!!! বাকি সব বাদ দিলাম, কেবল যদি (اِنۡ شَآءَ اللّٰه) না বলায় নবীর জন্যে ওয়াহী বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের জন্য কি কি বন্ধ হতে পারে
তা ফিকির করুন, ঈমান তো ১০০% যাবেই ফ্রিতে।
আসলে এত দলিলের প্রয়োজনই নাই, এই আয়াত শরীফই যথেষ্ট ছিলো, কিন্তু যাদের কলবে মোহর
মেরে দেওয়া হয়েছে তাদের স্বয়ং জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এসে বল্লেও কাজ হবেনা, তাও শেষ করার আগে শেষ বুলেট দিলাম, যদি নাপাক নফস
কারো বধ হয় আর ফিরে আসে কুফর থেকেঃ (وَ
مَا تَشَآءُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰہُ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ) আর সমস্থ আলমের যিনি রব মহান আল্লাহ তায়ালা উনার ইচ্ছা ব্যতীত তোমরা কোন
ইচ্ছাই করতে পার না। (সূরাহ আত তাকউইর ৮১/২৯) মহান আল্লাহ পাক তিনি একটা মানুষের অন্তরে হলেও যেনো
হেদায়েতের নূর পয়দা করে দেন এই লিখা যারা পড়বে, অন্তত তাহলে এই
সময় ব্যয় টা সার্থক হবে।
অতএব কুরআন, তাফসীর, সুন্নাহ, হাদিস সহ আইম্ম্যায়ে কেরামদের মত দ্বারা আমরা
বুঝতে পারলামঃ সুবহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, ইন’শা-আল্লাহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বলা বাধ্যতামূলক, এবং এইসব কলিমার বাক্যাংশকে বিকৃত করা হারাম কুফুর এর অন্তর্ভুক্ত।
আর একারণেই, আরবি কুরআন যাদের
উপর নাযিল হয়েছে, সেই উম্মাহাতুল মু’মিনিন,
খোলাফায়ে রাশেদিন আলাইহিমাস সালাম, সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমদের কেউ কখনোই কারো ব্যপারে সুবহানা-অমুক, আলহামদু-লি-অমুক, ইন’শা-অমুক পাঠ করেন নাই। এমনকি রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
আলিহি ওয়া সাল্লামের শানেও কখনো পাঠ করার মতো কাজ তারা করেন নাই, অথচ আরবিতে কোন জিনিষের বিপরীতে কিভাবে কোন শব্দ ব্যবহার করতে হয় তা উনারা
অনারবীয়দের চেয়ে হাজার গূন বেশী জানতেন, মাতৃভাষা বলে কথা। অথচ ১৪০০ বছর পরে ৫ হাজার মাইল দূরে থাকা
বাঙ্গালী মূর্খরা আজ বুঝে ফেলছে যে আল্লাহ পাঁকের নাম ডিলিট করে এইসব কলিমায় কথিত
এক সাধারণ মানুষের নাম ব্যবহার করা যাবে। নাউযুবিল্লাহ!!!
তাই যারাই মহান আল্লাহ পাঁক উনার জন্য খাস এইসব
কলিমাকে কোন সৃষ্টির বেলায় ব্যবহারের অপচেষ্টা করবে তারাই মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত
হবে। মহান আল্লাহ পাঁক উনার
সৃষ্টিতে অনেক গোস্তাখ, দুষমনে ইলাহী এলেও, এরূপ দুঃসাহস ফেরাউন, নমরূদ, সাদ্দাদ, এমনকি খোদ আযাযিল ও দেখায়নাই। এদের বয়কট করা কেবল মুমিনদেরই কাজ না, বরং ফাসেক নামে
মুসলমানের উপর ও ফরজ।
এত দলিল পাওয়ার পরেও যদি আপনার মগজে না ঢুকে? তাহলে নিম্নোক্ত আয়াত শরীফ আপনার জন্যেই নাযিল হয়েছে বলে মনে করবেন, আপনাকে বলার আমার আর কিছুই নাই।
মহান আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ (سَآءَ مَثَلَاۨ الۡقَوۡمُ الَّذِیۡنَ
کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَا وَ اَنۡفُسَهُمۡ کَانُوۡا یَظۡلِمُوۡنَ مَنۡ یَّهۡدِ اللّٰهُ
فَهُوَ الۡمُهۡتَدِیۡ ۚ وَ مَنۡ یُّضۡلِلۡ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ وَ لَقَدۡ
ذَرَاۡنَا لِجَهَنَّمَ کَثِیۡرًا مِّنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ ۫ۖ لَهُمۡ قُلُوۡبٌ لَّا
یَفۡقَهُوۡنَ بِهَا ۫ وَ لَهُمۡ اَعۡیُنٌ لَّا یُبۡصِرُوۡنَ بِهَا ۫ وَ لَهُمۡ اٰذَانٌ
لَّا یَسۡمَعُوۡنَ بِهَا ؕ اُولٰٓئِکَ کَالۡاَنۡعَامِ بَلۡ هُمۡ اَضَلُّ ؕ اُولٰٓئِکَ
هُمُ الۡغٰفِلُوۡنَ) উপমা হিসাবে (তা) খুবই নিকৃষ্ট সেই কওমের জন্য
যারা আমার (পবিত্র) আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে। এবং তারা নিজেরাই নিজেদের উপর যুলুম করতে থাকে। যাকে মহান আল্লাহ তা’আলা হিদায়াত দান করেন সে-ই হিদায়াতপ্রাপ্ত আর যাদেরকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন
তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। আর অবশ্যই আমরা সৃষ্টি
করেছি জাহান্নামের জন্য বহু জিন ও মানুষকে। তাদের রয়েছে অন্তর, তা দ্বারা তারা বুঝে না; তাদের রয়েছে চোখ, তা দ্বারা তারা দেখে না এবং তাদের রয়েছে কান, তা দ্বারা তারা শুনে না। (মূলত) তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তারা (এর
চেয়েও) অধিক পথভ্রষ্ট। (আর) তারাই হচ্ছে গাফেল। (আল কুরআন ৭/১৭৭-১৭৯)
এছাড়াও মহান আল্লাহ পাঁক আরো স্পষ্ট করে, কঠোর ভাষায় বলেছেনঃ (وَیۡلٌ لِّکُلِّ اَفَّاکٍ اَثِیۡمٍ
یَّسۡمَعُ اٰیٰتِ اللّٰهِ تُتۡلٰی عَلَیۡهِ ثُمَّ یُصِرُّ مُسۡتَکۡبِرًا کَاَنۡ لَّمۡ
یَسۡمَعۡهَا ۚ فَبَشِّرۡهُ بِعَذَابٍ اَلِیۡمٍ وَ اِذَا عَلِمَ مِنۡ اٰیٰتِنَا شَیۡئَۨا
اتَّخَذَهَا هُزُوًا ؕ اُولٰٓئِکَ لَهُمۡ عَذَابٌ مُّهِیۡنٌ مِنۡ وَّرَآئِهِمۡ جَهَنَّمُ
ۚ وَ لَا یُغۡنِیۡ عَنۡهُمۡ مَّا کَسَبُوۡا شَیۡئًا وَّ لَا مَا اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ
اللّٰهِ اَوۡلِیَآءَ ۚ وَ لَهُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ هٰذَا هُدًی ۚ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا
بِاٰیٰتِ رَبِّهِمۡ لَهُمۡ عَذَابٌ مِّنۡ رِّجۡزٍ اَلِیۡمٌ) প্রত্যেক
মিথ্যাবাদী পাপাচারীর জন্য ধংস (অনিবার্য)। সে মহান আল্লাহ তা’আলার আয়াত শরীফ সমূহ শুনে যা তার সামনে
তিলাওয়াত করা হচ্ছে, অতঃপর (সে) অহংকারী হয়ে জেদ ধরে, যেনো সে আয়াত শরীফ শুনেইনি। অতএব,
তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন। যখন সে আমার কোন আয়াত শরীফ অবগত হয়, তখন তাকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করে। এদের জন্যই রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। তাদের সামনে রয়েছে জাহান্নাম। তারা যা উপার্জন করেছে, তা তাদের কোন কাজেই আসবে না, তারা মহান আল্লাহ তা’আলার পরিবর্তে যাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছে
তারাও নয়। তাদের জন্যে রয়েছে মহা
শাস্তি। এই (কুরআন) হিদায়াত
দানকারী। আর যারা তাদের
পালনকর্তার আয়াত শরীফসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে
রয়েছে কঠোর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (আল কুরআন ৪৫/৭-১১)
এর পরে আর বলার, উপস্থাপনের কিছুই থাকেনা রাজারবাগি কোন মুরিদ কে সেই কুফরিস্থান থেকে ফেরানোর। মহান আল্লাহ পাঁক তাদের হেদায়েত দিন।
প্রমান স্বরূপ কিছু স্ক্রিনশট দিলাম, অনলাইনে হাজার হাজার ভরাঃ
মা শা আল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ পাক আপনার ইলম ও সহী আমলে বারাকাহ দান করুন। কাফির মুশরিক মুরতাদদের বিরুদ্ধে একজন মুজাহিদের ধারালো তরবারি সম এই কলমের কালি যেনো কখনো ফুরিয়ে যায় কায়মনোবাক্যে মহান মা'বুদের কাছে এই দোয়া করছি।
ReplyDeleteআমি একজন মুসলমান হিসেবে ব্যাপক আশাবাদী আপনার এই দলিল ভিত্তিক সহজ এবং বোধগম্য লেখা পড়ে রাজারবাগি মুরিদের মধ্যে যেসব ভাই বোন আছেন তারা তাওবা করে পবিত্র ইসলামে ফিরে আসবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তাওবা কবুলকারী। যদি কেউ খাটি নিয়তে তাওবা করে ফিরে আসে।