Sunday, August 14, 2022

যেভাবে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয়েছে দ্বীন ইসলামকে, যার ধ্বংস্তুপে আজ আমরা আছি দাঁড়িয়ে!!!

কোন একটা জাতিকে যখন বিভক্ত করে দেয়া যায় তখনই তাদের ধ্বংস করতে সুবিধা হয়। এটা বুঝতে হলে ইসলামের গোঁড়ার দিকে যেতে হবে। ইবলিশের হাক্বিকত সবচেয়ে ভালো জানে ইহুদীরা, কীভাবে সে মহান আল্লাহ তা’আলার হুকুমের ১৮০ ডিগ্রি বিপরীত কাজ করে লানত প্রাপ্ত হয়েছিলো, নিস্পাপ নূরের ফেরেশতাদের সর্দার আযাযিলের অগণিত ইবাদত বন্দেগী মওজুদ থাকার পরেও, লক্ষ কোটি বছরের ইবাদত যে ধোপে টেকেনি তাঁর বে-আদবি, তাঁর গোস্তাখি আর তাঁর অমান্য করা মহান আল্লাহ তাআলার হুকুমের কারণে, এটা তারা ভালই বুঝেছিলো। কোন কাজ করালে মুসলিমদের অবস্থাও ইবলিশের মতো হবে, তাদের ইবাদত বন্দেগিও কখন তাদের কোন কাজে আসবেনা এই বিষয়টা ইহুদীরা বুঝেছিলো ইসলামের প্রথম দিকেই কুরআন সুন্নাহ অধ্যায়ন করে। আর বুঝেছিলো বলেই তারা প্রথমে রাফেজী/শিয়া এবং খারেজী দুইটা বাতিল দল সৃষ্টি করে। কারণ মহান আল্লাহ তা’আলা দ্বীন ইসলামের গ্রুপিং নিষেধ করেছেন আল কুরআনে। আর যারাই উনার হুকুম অমান্য করবে তারাই লানতপ্রাপ্ত হবে। যেমনঃ (وَ لَا تَکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ مِنَ الَّذِیۡنَ فَرَّقُوۡا دِیۡنَهُمۡ وَ کَانُوۡا شِیَعًا ؕ کُلُّ حِزۡبٍۭ بِمَا لَدَیۡهِمۡ فَرِحُوۡنَ) আর (তোমরা) মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। যারা নিজদের দীনকে বিভক্ত করেছে এবং যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে (তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না)। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত। (আল কুরআন ৩০/৩০-৩১) আর আজকের প্রত্যেকটা বাতিল দল যে ইহুদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এটা প্রমান পাওয়া যায় উপরোক্ত আয়াত দিয়ে তাদের ঘষামাজা করলে, তারা যে সিরাতুল মুস্তাকিম তথা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত থেকে বের হয়ে, নিজদের বাতিল ভিন্ন ভিন্ন দল তৈরি করেছে, যেটা নিয়ে তারা উল্লসিতও এটা আজ স্পষ্ট। একবার রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমদের নসিহত করেন এই বলে যেঃ, “সাবধান! তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাবী ইয়াহুদী ৭১ ও খ্রিষ্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে, আর এই মিল্লাত (আমার উম্মত) ৭৩ দলে বিভক্ত হবে; ৭২ টি দল জাহান্নামে যাবে এবং একটি যাবে জান্নাতে আর সেটি হল আল জামাআত।” দ্বিতীয় আরেক নসিহতে তিনি বলেন, “কেবল একটি দল ব্যতীত সবগুলি জাহান্নামে যাবে; যে দলটি আমি ও আমার সাহাবার মতানুসারী হবে অর্থাৎ যারা আহলে সুন্নাহ এর জামাআত হবে। উপরোক্ত হাদিসের চূড়ান্ত রূপ পাওয়া যায় এই হাদিসে যেখানে ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জন্য স্বহস্তে একটি রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি বললেন, “এটি মহান আল্লাহ তা’আলার সরল পথ।” অতঃপর ঐ রেখার ডানে ও বামে কতকগুলি রেখা টেনে বললেন, “এগুলি বিভিন্ন পথ। এই পথগুলির প্রত্যেটির উপর একটি করে শয়তান আছে; যে ঐ পথের প্রতি মানুষকে আহ্বান করে।” অতঃপর তিনি মহান আল্লাহ তা’আলার এই বাণী পাঠ করলেনঃ (وَأَنَّ هَٰذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ ۖ وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَن سَبِيلِهِ ۚ ذَٰلِكُمْ وَصَّاكُم بِهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ) অর্থাৎ, এবং নিশ্চয় এটি আমার সরল পথ। সুতরাং তোমরা এরই অনুসরণ কর এবং বিভিন্ন (মত ও) পথের অনুসরণ করো না। করলে তা তোমাদেরকে আমার পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এ ভাবে মহান আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা সাবধান হও। (আল কুরআন ৬/১৫৩)

এছাড়াও মহান আল্লাহ তা’আলা এই নির্দেশ ও দিয়েছেন যেঃ (وَ اعۡتَصِمُوۡا بِحَبۡلِ اللّٰهِ جَمِیۡعًا وَّ لَا تَفَرَّقُوۡا) আর তোমরা সকলে মিলে (জামায়াতবদ্ধ ভাবে) মহান আল্লাহ তা’আলার রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না (আল কুরআন ৩/১০৩) অথচ ঠিক সেই কাজই ইহুদিরা করালো যা ১৮০ ডিগ্রি কুরআন সুন্নাহর হুকুমের বিপরীতে।

তারপরও ইসলামের এক বৃহৎ জনগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ থাকায় এসকল বাতিল ফির্কা, বাতিল গ্রুপ দ্বারা সুদূরপ্রসারী কোন চক্রান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয় নাই। যেহেতু মুসলমানগন ঐক্যবদ্ধ ছিলেন সঠিক আক্বীদা এবং আমলের উপর, তাঁরা সারা রাত জেগে ইবাদত বন্দেগী এবং মহান আল্লাহ তা’আলার ভয়ে অশ্রু প্রবাহিত করতেন, এবং দিনে সম্মানিত দ্বীন ইসলামের শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করতেন সেই সাথে জীবিকা নির্বাহের জন্য হালাল রুজীর অন্বেষণ করতেন। মূলত একারনেই মহান আল্লাহ তা’আলার গায়েবী মদদ ছিলো মুসলমানদের সাথেই। ইহুদী খ্রিষ্টানরা যখন এই বিষয়টা বুঝতে পারলো যে সম্মুখ সমরে কখনোই মুসলমানদের পরাজিত করা সম্ভব হবে না, তখন তাঁরা তাদের কাজের ধারা পাল্টিয়ে দিলো, আর এ ধারনাটা তাদের নিকট আরো পরিস্কার হয়েছিলো মুজাহিদে মিল্লাত গাঁজিয়ে আযম সালাহ উদ্দিন বিন আইয়্যুবি রহমতুল্লাই-এর সাথে তাদের হওয়া অবিস্মরণীয় ক্রুসেডে যুদ্ধের পর।

সর্বশক্তি নিয়োজিত করেও সর্বোচ্চ রণকৌশল অবলম্বন করেও যখন তারা পরাজিত হলো, বুঝে নিলো যুদ্ধ করে মুসলমানদের হারানো সম্ভব নয়, কারন মুসলমানরা গায়ের জোরে যুদ্ধ করে না। মুসলমানরা মহান আল্লাহ তা’আলার গায়েবী মদদে জিহাদ্ব করে থাকে, লক্ষ কোটি কাফির বাহীনিও ক্ষুদ্র কোন হাক্বিকি মুসলিম মুজাহিদ বাহিনীকে ইসলাম কায়েমে বাঁধা দিতে অক্ষম হচ্ছে, কারণ মুসলমানদের আছে শাহাদাতের পেয়ালা পান করার অদম্য ইচ্ছা, জিহাদের ময়দানে একারনে মুসলমানরা অপ্রতিরোধ্য থাকে। কাফিররা তাদের জীবনকে যতটা না ভালোবাসে মুসলমানগন শাহাদাত বরনকে তার চাইতে লক্ষ কোটি গুন বেশি ভালোবাসেন। তখনই বিধর্মী কাফির-মুশরিকরা আরো ভালো করে বুঝে গেলো যে, সম্মুখ সমরে মুসলমানদের কিছুই করা সম্ভব নয়, মুসলমানদের ক্ষতি করতে হলে তাদের মধ্যে অনৈক্য এবং দলাদলির সৃষ্টি করতে হবে। সেই থেকে বিভিন্ন ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা ছদ্মবেশে ঢুকে পড়লো মুসলমানদের মধ্যে।

যেহেতু শুধু মুসলমানদের ভিতর ঢুকলেই কিছু একটা করা সম্ভব নয়। মুসলমানদের ইসলাম সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারনা থাকা প্রয়োজন। এর জন্য তারা অনেক সাধনাও করে। এসব ইহুদী এজেন্টরা কুরআন শরীফ হেফজ করে অনেক হাদীস শরীফ মুখস্ত করে। এরপর বিভিন্ন রুপে মুসলমান কাফেলাতে ছদ্মবেশে মিশে যায়। এরা জানতো একদিনেই বা এক যুগেই মুসলমানদের ক্ষতি করা সম্ভব হবে না। চুড়ান্ত ফলাফল পেতে কয়েক প্রজন্ম পাড়ি দিতে হবে। তাই ঠিক সেভাবেই ধাপে ধাপে তারা মুসলমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন দল উপদল তৈরীর বীজ বপন করতে থাকে। ইহুদী খ্রিষ্টানরা জানতো মুসলমানদের মধ্যে একমাত্র হক্ব পথে পরিচালিতরা হচ্ছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর অন্তর্ভুক্ত যারা তারাই। এ কারনে ইহুদীরা খুব সুকৌশলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের বিরুদ্ধে কিছু দল তৈরী করলো যেমন, মুশাবব্বিয়া, ইবনে তাইমিয়া, পরবর্তীতে নজদি ওহাবী, সলাফি, আহলে হদস ইত্যাদি গ্রুপ।

কিন্তু ইহুদীরা চিন্তা করলো বিরোধী গ্রুপ বানালেই শুধু কাজ হবেনা, শুধু আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের বিরুদ্ধে দল তৈরী করলেই কাজ হবে না। বরং আহলে সুন্নত দাবিদার কিন্তু হাক্বীকতে আহলে সুন্নতের পরিপন্থি কিছু দল তৈরী করতে হবে এবং এই দলগুলোই হবে বেশি কার্যকারী। সেই মতে ইহুদীরা তাদের তৈরী কিছু সুন্নী নামধারী ভন্ডকেও তৈরী করলো নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। এরফলে চতুর্মূখী আক্রমনের শিকার হলো প্রকৃত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীরা। নজদি ওহাবী, সলাফি, আহলে হদস ফির্কা দ্বারা তারা সরাসরি বিরোধিতা, মুখোমুখী করালো, অপরদিকে কথিত ওহাবী বিরোধী এজেন্ট সুন্নীদের দিয়ে আবার ওহাবীদেরও বিরোধিতা করালো সেই সাথে প্রকৃত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের বিরুদ্ধেও লেলিয়ে দিলো। এমন চতুর্মূখী বিতর্কের কারনে অবশেষে সাধারণ জনগনের জন্য হক্ব দল চেনাটা অনেক কঠিন হয়ে গেলো।

ইহুদীরা এর পরেও এখানেই থেমে রইলো না। তারা দেখলো প্রকৃত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মূল ভিত্তি হচ্ছে ইলমে তাছাউফ ও জ্বিহাদ। তাই এই ক্ষেত্রেও তারা আঘাত হানার সিদ্ধান্ত গ্রহন করলো। নজদি ওহাবী, আহলে হদস, সলাফিদের তারা দায়িত্ব দিলো জ্বিহাদের চেতনা নষ্ট করার, জ্বিহাদ কে মুসলিম আক্বিদাহ বিশ্বাস থেকে নির্মূল করার, এরই নিমিত্তে সেইসব কথিত নজদি ওহাবী, আহলে হদস, সলাফি আলিমেরা আগে কিতাবন আর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বুলি আওড়ায় নফসের জ্বিহাদ বড় জ্বিহাদ, যুদ্ধ করে ইসলাম কায়েম করা যাবেনা, কাফেররা শক্তিশালী সবাই দোয়া করো, তাসবিহ টেপ, দ্বীনের দাওয়াত দাও, তাহলেই জমিনে দ্বীন ও শান্তি প্রতিষ্টা হবে, এছাড়াও তারা সৌদি হারাম রাজতন্ত্রই ইসলামি হুকুমাতের মূল ভিত্তি বলে মেনে নিল, একারনে তাঁরা ভালো মতো সৌদি পূজা শুরু করলো। বোমা মারলেও পবিত্র ভূমি মক্কা শরীফ মদিনা শরিফ যেখানে অবস্থিত সেই যাজিরাতুল আরবে দখলদার নজদি আলে সৌদের হাজারো অনৈসলামিক কাজের বিপরীতে মুখ খুলবেনা। তাদেরই আরেক এক্সট্রিম দলকে দিয়ে বিভিন্ন ফেইক জ্বিহাদী গ্রুপ বানাল আইএস এর মতো, যারা মুসলমানদের হত্যা করা, ইসলামিক সব স্থাপনা ধ্বংস করা, অথচ আল্লাহ তা’আলা বলছেনঃ (وَ یُحِبُّوۡنَهٗۤ ۙ اَذِلَّۃٍ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَعِزَّۃٍ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ۫ یُجَاهِدُ) (আল কুরআন ৫/৫৪)। এছাড়াও তারা নিরীহ অমুসলিমদের হত্যা করাকে জ্বিহাদ মনে করে জ্বিহাদ নামক পবিত্র ইবাদতকে কলুষিত করলো, যার ফলে আজ কেউ জ্বিহাদের নাম নিতেও ভয় পায় অথচ আল কুরআনে এর চেয়ে বেশি আয়াত অন্য কোন বিষয়ে নাযিল হয়নি।

আর অন্যদিকে ইলমে তাসাউফের পেছনে তারা সুফী নামধারী কিছু ভন্ড ফকির তৈরী করে লাগিয়ে দিলো। এসকল ভন্ড ফকিরদের মাধ্যমে প্রচার করতে লাগলো শারিরীক নামাজ রোজার দরকার নাই মারিফতি নামাজই বড় নামাজ। অলিকে সেজদা দিলে আল্লাহকে সেজদা দেওয়া হয়, তাজিম করা হয়, নাউযুবিল্লাহ!!!, পর্দার কোন প্রয়োজন নাই মনের পর্দাই বড় পর্দা। সারাদিন নেশা করে, মাজারে গানের আসর বসিয়ে বিভিন্ন ফায়েশা নারীর দেহ ভোগ করে তারা সিদ্ধি লাভের আয়োজন করতে লাগলো। তারা নারী দেহের সম্ভোগ করে পূর্নতার বিভিন্ন অশ্লীল বানী প্রচার করতে লাগলো। তারা ইলমে তাছাউফকে এতটা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করলো যে, একপর্যায়ে সাধারন মানুষের মনে ইলমে তাছাউফ মানে এসকল ভয়নক চিত্র ফুটে উঠতো। আর এসকল সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য ইহুদী এজেন্ট বিপরীত পক্ষ ওহাবী সলাফিরা ওৎ পেতেই বসেছিলো। ব্যাস শুরু হলো তাদের ইহুদীদের শিখানো বিরোধিতা, তারা পাইকারী ভাবে ইলমে তাছাউফকে শিরিক, মুর্শিদের নিকট বাইয়াত হওয়া হারাম, মাজার শরীফ জিয়ারত হারাম ইত্যাদি গরম গরম ফতোয়া প্রদান শুরু করলো।

মাঝখানে চাপের মুখে পড়লো প্রকৃত ইলমে তাছাউফ চর্চাকারী আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীরা। জনসমাজে প্রচার হতে লাগলো সকল পীর মুর্শিদই ভ্রান্ত ইত্যাদি, নাউযুবিল্লাহ!!! মানুষও বিপদে পড়ে গেলো, তারাও কোথায় আশ্রয় পাবে বুঝতে না পেরে দিশেহারা হতে লাগলো।

আজ আমরা সেই ধ্বংস্তুপে বসে আছি। চারদিকে বিভিন্ন ফের্কা, বিভিন্ন দল উপদলের সংঘাত আর অপরদিকে ইহুদীরা তাদের মিশনের সফলতার দৃশ্য দেখে আনন্দের ঢেঁকুর তুলছে। আজ মুসলমানদের উপর পাইকারী গনহত্যা হলেও প্রতিরোধ করার কেউ নেই, বাঁধা দেয়ার কেউ নেই। কারন হারিয়ে গেছে ঈমানী শক্তি ভেঙ্গে গেছে ঐক্য, কিন্তু মহান আল্লাহ পাক বলেই রেখেছেন ক্বিয়ামত পর্যন্ত উনার বান্দাদের মধ্যে একটা দল সব সময় হক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, যদিও সেটা ক্ষুদ্র ১০০/২০০/৫০০/১০০০ জনের ও হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এখনো প্রকৃত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রকৃত অনুসারীরা এখনো হক্বের পতাকা উঠিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, পৃথিবীর নানা প্রান্তে। কিন্তু এই ধ্বংসস্তুপে পড়ে থাকা সাধারণ জনগনের জন্য সেই হক্ব দল পর্যন্ত পৌঁছানো ক্ষেত্র বিশেষে অনেক কঠিন। কারন বারবার বিশ্বাস ভঙ্গ হতে থাকলে বিশ্বাস স্থাপন করা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার সেই হক্ব দলের সন্ধান পাওয়া চাইলেই খুব সহজ। প্রশ্ন জাগতে পারে কীভাবে?

উত্তরঃ মানুষ যদি প্রতি রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে বিনীত ভাবে মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে ফরিয়াদ জানায়, আয় মহান আল্লাহ তা’আলা আমাকে সঠিক এবং আপনার সন্তুষ্টি প্রাপ্ত সিরাতুল মুস্তাকীমের উপর প্রতিষ্ঠিত সেই কাফেলায় সামীল করুন। মহান আল্লাহ তা’আলা নিজ দায়িত্বে কুদরতি ভাবে বান্দার খালিছ নিয়ত অনুযায়ী মনোনিত সেই সঠিক পথের উপর প্রতিষ্ঠিত কাফেলায় পৌঁছে দিবেন ইন’শা-আল্লাহ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুনঃ

এডমিন

আমার লিখা এবং প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বে আইনি।

0 ফেইসবুক: