Friday, June 10, 2022

সূরাহ তাওবার ৩১ নং আয়াতের বর্তমান মিসদ্বাকে আউওয়াল হলো মুসলিম দাবীদার রাজারবাগি পির দিল্লুর

অদ্ভুত লাগে যখন দেখি, কুরআন সুন্নাহ দিয়ে বোঝানোর পরেও দিল্লুকে রব মনে করা পরিত্যাগ করতে নারাজ তার মূর্খ জাহিল মুরিদেরা। এরা কেবল মুশরিকই নয় বরং আউওয়াল দরজার মুনাফিক, এরা না জানে দ্বীনের উসুল, না জানে কুরআন সুন্নাহ-এর হুকুমের সঠিক এপ্লাই।

উপরোক্ত স্ক্রিনশটের আইডি নাকি মূর্খ দিল্লুর রহমানের বিরাট ফেবু ইসলামী ঘবেষক, আসলে “বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়” বাক্যটার হাক্বিকি রূপ কি, এদের দেখলেই বোঝা যায়।

এই জাহেল বলে পবিত্র সূরাহ তাওবার ৩১ নং আয়াতের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। আসলে মাথার মগজকে যখন দিল্লুর মতো জাহিল পিরেরা ব্রেইন ওয়াশ করে “গু” তে পরিনত করবে তখন আর নিজস্ব চিন্তা ভাবনা করার যোগ্যতা থাকবেনা এটাই স্বাভাবিক।

প্রথমতো, রাজারবাগি দিল্লুর হলো মুশরিক এটা অনেক আগেই প্রমান করে দেওয়া হয়েছে, সামনে আরো দেওয়া হবে। এখন দিল্লুর ও তার মূর্খ চ্যালারা যদি নিজেদের মুসলিম মনে করে তাহলে মুসলিম মিল্লাতের কি করার আছে? এদের মতো মানুষের ব্যপারে মহান আল্লাহ পাঁক বলেনঃ (وَ مَا یُؤۡمِنُ اَکۡثَرُهُمۡ بِاللّٰهِ اِلَّا وَ هُمۡ مُّشۡرِکُوۡنَ) তাদের অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনা সত্ত্বেও (শিরক করে) মুশরিক (হয়ে যায়)। (সূরাহ ইউসুফ আলাইহিস সালাম ১২/১০৬)।

পাঠক খেয়াল করুন, আল কুরআনের অনেক আয়াত শরীফ আছে যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা অসম্ভব, তাই মানুষ হাক্বিকি আলিম উলামার দ্বারস্থ হয়, কিন্তু সেই আলিম উলামাও অনেক সময় সঠিক ফায়সালা দিতে যাদের দিকে তাকান তারা হলেন সেইসব মানুষ যাদের উপস্থিতিতে এই আল কুরআন নাযিল হয়েছে, উনারা কুরআন পাঠ করেছেন এবং ব্যাখ্যা খোদ রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম থেকে জেনে বুঝে আমল করেছেন, এপ্লাই করেছেন।

তাফসীরের কিতাবে পাওয়া যায়ঃ ইবনু আববাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যারা মহান আল্লাহ তা’আলাকে সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, জীবন এবং মৃত্যুদাতা বলে বিশ্বাস করে থাকে, কিন্তু ইবাদতের ক্ষেত্রে অন্যকে আল্লাহ পাঁকের সাথে শরীক করে, উক্ত আয়াতে তাদেরকে মুশরিক বলা হয়েছে। (দেখুন)  

এখন রজারবাগিরা কি উপরোক্ত আয়াতের মিসদ্বাক নয়?

  • এরা কি সুবহানআল্লাহ থেকে আল্লাহ কেটে মামদুহ বসিয়ে সুবহানা মামদুহ যিকরের প্রচলন করেনাই?
  • এরা কি আলহামদুলিল্লাহ থেকে আল্লাহ কেটে মামদুহ বসিয়ে আলহামদু লি মামদুহ যিকরের প্রচলন করেনাই?
  • এরা কি ইন’শা-আল্লাহ থেকে আল্লাহ কেটে মামদুহ বসিয়ে ইন’শা মামদুহ যিকরের প্রচলন করেনাই?

এরূপ অসংখ্য তাসবিহ এরা বিকৃত করে তাদের কথিত বাবা, মুশরিক শায়েখের পূজা চালু করেছে। অথচ এইসব কেবল মহান আল্লাহ পাঁক উনার জন্যেই খাস।

আসলে এটা এমন বাস্তবতা যার বর্ণনা কুরআনের আয়াতে পাঁকে সুস্পষ্টভাবে বিভিন্ন স্থানে বর্ণনা করেছেন মহান আল্লাহ পাঁক। আর তা এই যে, মুশরিকরা তো স্বীকার করত, আল্লাহ তা’আলা আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, সবকিছুর মালিক, রিযিকদাতা এবং কায়েনাতের একমাত্র পরিচালক ও তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইবাদতে তারা মহান আল্লাহ তা’আলার সাথে অন্যকেও শরীক করত। আর এইভাবেই অধিকাংশ মানুষ মুশরিকে পরিনত হয়েছিলো ধিরে ধিরে দ্বীনে হানিফ থেকে বিচ্যুত হয়ে। অর্থাৎ প্রত্যেক যুগের লোকেরা তাওহীদে রবূবিয়্যাত (প্রতিপালকত্বের তাওহীদ)-কে তো মেনে নেয়; কিন্তু তাওহীদে উলূহিয়্যাত (উপাসত্বের তাওহীদ)-কে মানতে প্রস্তুত হয় না। বর্তমান যুগের শায়েখ পূজারীদের শিরকও ঠিক এই ধরণের যে, তারা তাদের কথিত বাবা/শায়েখদেরকে উলূহিয়্যাতের গুণাবলীর অধিকারী মনে করে তাদের যিকর করে এবং ইবাদতের বেশ কিছু বিষয় তাদের উদ্দেশ্যেই করে থাকে মহান আল্লাহ তা’আলার বদলে।

অতএব প্রমান হলো রাজারবাগিরা মুশরিকঃ তাওহীদে উলূহিয়্যাতকে অস্বীকার করে। রইলো এই মুশরিকদের দাবি যে সূরাহ তাওবার ৩১ নং আয়াতের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে? কিভাবে? তাদের দাবি অনুসারে এটা ইহুদী খ্রিষ্টানদের উপর নাযিল হয়েছে, আর আমি নাকি এপ্লাই করেছি অলি আউলিয়াদের উপর। নাউযুবিল্লাহ!!!

দিল্লুর যদি আউলিয়া হয় তাহলে তেলাপোকাকে আজ থেকে পাখি ডাকা লাগবে, দিল্লুর তো প্রথমতো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত, আর দ্বিতীয়ত “রাজারবাগের পির দিল্লুর রহমান ১০০% মিথ্যা আওলাদে রসূল ও আহলে বাইতের দাবিদার!” পোষ্টে প্রমান করে দিয়েছি।

এর পরেও আসূন দেখি সূরাহ তাওবার ৩১ নং আয়াতের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে কি না?

মহান আল্লাহ পাঁক বলেনঃ ( اِتَّخَذُوۡۤا اَحۡبَارَهُمۡ وَ رُهۡبَانَهُمۡ اَرۡبَابًا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ وَ الۡمَسِیۡحَ ابۡنَ مَرۡیَمَ ۚ وَ مَاۤ اُمِرُوۡۤا اِلَّا لِیَعۡبُدُوۡۤا اِلٰـهًا وَّاحِدًا ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ سُبۡحٰنَهٗ عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ) এ লোকেরা মহান আল্লাহ তা’আলাকে বাদ দিয়ে তাদের ধর্মীয় শিক্ষক(শায়েখ), তাদের পির-দরবেশদের মাবূদ বানিয়ে নিয়েছে এবং (মাবুদ বানিয়ে রেখেছে) মারইয়াম (আলাইহিস সালামের) পুত্র (ইসা) মাসীহ(আলাইহিস সালাম)কেও, অথচ এক ইলাহ ব্যতীত অন্য কারোরই বন্দেগী করার আদেশ এদের দেয়া হয়নি, তিনি ছাড়া আর কোন মাবুদই (নেই); তারা যাদের উনার সাথে শরীক করে, তিনি এসব থেকে অনেক পাঁক-পবিত্র।

এই তরজমায় মূর্খদের আপত্তি, সে পেশ করেছে, বায়ান ফাউন্ডেশনের তরজমা ও ব্যাখ্যা, যা নিম্নরূপঃ

উপরোক্ত স্ক্রিনশটে আপনারা ইংরেজি সহ ৪ টা তরজমা দেখেছেন। কোন সন্দেহ নাই যে মহান আল্লাহ পাঁক আয়াত নাযিল করেছেন ইহুদী ও নাসারাদের। এবং (أحبار) দ্বারা ইয়াহূদীদের আলিম আর (رهبان) দ্বারা খ্রিষ্টানদের মধ্যে থাকা সেই সময়ের পির- দরবেশদেরকে বুঝানো হয়েছে। এর মানে কি আয়াতের হুকুম মুসলমানদের জন্যে প্রযোজ্য নয়? মুসলমানদের মধ্যে থাকা কোন আলিম ও পির-দরবেশ যদি তাদের মতো কাজ করে তাহলে এই আয়াতের হুকুম তার উপর বর্তাবেনা?

কতইনা হাস্যকর দাবি আর জাহেলিয়াত এরা প্রকাশ করছে ভাবলেই হাসি আসে, এদের জন্য কষ্ট লাগে যে এরা কেমন বিভ্রান্ত হয়ে গেছে।

আসুন, প্রথমে উক্ত আয়াতের তাফসীরে খোদ রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম কি ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা জেনে নিই?

(أحبار) শব্দটি (حبر) এর বহুবচন। ইয়াহুদীদের আলেমদেরকে (حبر) বলা হয়। পক্ষান্তরে (رهبان) শব্দটি (راهب) এর বহুবচন। নাসারাদের আলেমকে (راهب) বলা হয়। তাদের অধিকাংশই সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে, যেরূপ তাসাউফপন্থিদের মধ্যে অনেক পির, মজ্জুব পাওয়া যায়, অর্থাৎ সংসার বিরাগী। (ফাতহুল ক্বদ্বির)

সকল তাফসিরকারকদের মতে এ আয়াতে পাঁকে, ইয়াহুদী-নাসারাগণ তাদের আলেম ও যাজক শ্রেণীকে আল্লাহর পরিবর্তে রব ও মাবুদ সাব্যস্ত করে রেখেছে। অনুরূপ ঈসা আলাইহিস সালামকেও মা’বুদ মনে করে। উনাকে মহান আল্লাহ পাঁকের পুত্ৰ মনে করায় উনার প্রতি মা’বুদ সাব্যস্ত করার দোষে যে নাসারাদের দোষী করা হয়, তার কারণ হল, তারা পরিষ্কার ভাষায় ওদের মা’বুদ না বললেও পূর্ণ আনুগত্যের যে হক বান্দার প্রতি মহান আল্লাহ পাঁকের রয়েছে, তা তারা যাজক শ্রেণীর জন্যে উৎসর্গ করে রাখে। অর্থাৎ তারা যাজক শ্রেণীর আনুগত্য করে চলে; যতই তা মহান আল্লাহ পাঁকের আদেশ-নিষেদের বিরোধী হোক না কেন? বলাবাহুল্য পাদ্রী ও পুরোহিতগণের মহান আল্লাহ পাঁক বিরোধী উক্তি ও আমলের আনুগত্য করা তাদেরকে মা’বুদ সাব্যস্ত করার নামান্তর, আর এটি হল প্রকাশ্য কুফরী ও শির্ক। যা এই আয়াত শরীফ নাযিল করে মহান আল্লাহ পাঁক বুঝিয়ে দিয়েছেন, যেনো মুসলমানদের মধ্যে যারা কুরআন থেকে শিক্ষা নিতে চায় তারা এরূপ শিরকে লিপ্ত না হয়।

তফসিরে এতো স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা এসেছে যে, যেকোন আম লোক ও এটা বুঝতে সক্ষমঃ আদী ইবন হাতেম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি গলায় একটি সোনার ক্রুশ নিয়ে রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসলাম। তখন তিনি বললেনঃ হে আদী, তোমার গলা থেকে এ মূর্তিটি সরিয়ে ফেল এবং (তখন) উনাকে সূরা আত-তাওবাহ-এর এ আয়াতটি তেলাওয়াত করতে শুনলামঃ- “এ লোকেরা মহান আল্লাহ তা’আলাকে বাদ দিয়ে তাদের ধর্মীয় শিক্ষক (শায়েখ), তাদের পির-দরবেশদের মাবূদ বানিয়ে নিয়েছে।” আমি তখন বললামঃ হে মহান আল্লাহ তা’আলার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম, আমরা তো তাদের ইবাদত করি না। (পাঠক ফিকির করুন) রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম (জবাবে কি) বললেনঃ তারা তোমাদের জন্য কোন কিছু হালাল করলে তোমরা সেটাকে হালাল মনে কর আর কোন কিছুকে হারাম করলে তোমরা সেটাকে হারাম হিসাবে গ্রহণ কর এটাই তাদের ইবাদত। (তিরমিযী শরীফ ৩০৯৫)

অর্থাৎ, এইখান থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, শরীআতের মাসলা-মাসায়েল সম্পর্কে অজ্ঞ জনসাধারণের পক্ষে ওলামায়ে কেরামের নির্দেশনার অনুসরণ বা ইজতিহাদী মাসায়েলের ক্ষেত্রে মুজতাহিদ ইমামগণের মতামতের অনুসরণর ততক্ষণই করতে পারবে যতক্ষণ না এর বিপরীতে মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন কিছু প্রমাণিত হবে। যখনই কোন কিছু মহান আল্লাহ তা'আলা ও উনার রাসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লামের মতের বিপক্ষে গিয়েছে বলে প্রমাণিত হবে তখনি তা পরিত্যাগ করা ফরজ। অন্যথায় ইয়াহুদী নাসারাদের মত হয়ে যাবে। কারণ ইয়াহুদী-নাসারাগণও একিই আল্লাহ তা’আলার কিতাব এবং মহান আল্লাহ তা’আলার রাসূলদের আদেশ নিষেধকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে দুনিয়াদার আলেম এবং অজ্ঞ পির দরবেশদের কথা ও কর্মকে নিজেদের ধর্ম বানিয়ে নিয়েছে। আয়াতে পাকে এরই নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে। (ফাতহুল ক্বদ্বির)

এছাড়াও আয়াতে পাকে বর্ণিত, "অথচ এক ইলাহ ব্যতীত অন্য কারোরই বন্দেগী করার আদেশ এদের দেয়া হয়নি" এর অর্থ ইমামগন এরূপ করেছেন যেঃ আল্লাহ পাঁক কোন কিছু হারাম করলেই কেবল তা হারাম হবে, আর তিনি হালাল করলেই তা হালাল হবে, যিনি কোন কিছু ফরজ করলেই কেবল ফরজ, কোন কিছু ঐচ্ছিক বললে তা ঐচ্ছিক, উনি ও উনার রসূল ব্যতীত কেউই এইসব হুকুম দেওয়ার অধিকার রাখেনা। অনুরূপভাবে তিনি কোন শরীআত প্রবর্তন করলে সেটাই মানা হবে, তিনি হুকুম দিলে সেটা বাস্তবায়িত হবে। তিনি ব্যতীত আর কোন সত্য ইলাহ নেই। তারা যেসব বিষয়ে উনার সাথে শরীক করছে তা থেকে তিনি কতই না পবিত্র। উনার কোন সন্তান-সন্ততি নেই, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি ছাড়া কোন রব নেই। (ইবন কাসীর) কিন্তু তারা সে নির্দেশের বিপরীত কাজ করেছে। উনার সাথে শরীক করেছে। মহান আল্লাহ তা'আলা তাদের সে সমস্ত অপবাদ ও শরীক থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। উনার পূর্ণতার বিপরীত উনার জন্য যে সমস্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ গুণ সাব্যস্ত করে তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। [সা'দী]

পাঠক এইখানে আপনার ফিকির করার বিষয় আছে, আজকে রাজারবাগিদের যখন বলা হয় তোমরা দিল্লুর রহমানকে মুখ দিয়ে তোমাদের পির বলো, শায়েখ বলো, মুরশিদ বলো কিংবা ধর্মীয় আলিম, যাই বলো না কেনো, হাক্বিকতে তাকে তোমরা রব বানিয়ে নিয়েছ। প্রশ্ন আসতে পারে তা কিভাবে?

তোমরা সুবহানআল্লাহের বদলে সুবহানা-মামদুহ, আলহামদুলিল্লাহের বদলে আলহামদু-লি-মামদুহ, ইন’শা-আল্লাহের বদলে ইন’শা-মামদুহ যিকরের মতো অসংখ্য আল্লাজীর খাস তাসবিহ পিরের উপর প্রচলন করেছ?

তোদের পির যখন পঙ্গপাল খাওয়া হারাম বলেছে তখন হাদিসে যায়েজ থাকার পরেও চোখ বুঝে মেনে নিয়েছিস। তোদের পির যখন নিজের কুরবানী ওয়াজিব আর রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের উপর করা ফরজ বলেছে তখন তোরা চোখ বুঝেই তা মেনে নিয়েছিস, অথচ ৪ খিলাফতের ৫ খলীফা সহ, সাহাবা-তাবেঈ-তবে তাবেঈদের জীবন ও বাকি খিলাফতের খলীফাদের জীবন তালাশ করে, কুরআন হাদিসের কোথাও এরূপ ফরজ হওয়ার দলিল পাওয়া যায়না, না কেউ প্রত্যেক বছর এরূপ ফরজ আদায় না করে যাহান্নামী হয়েছেন। তবে শরীয়ত ও সুন্নতেরঃ “হুকুমে আম আর হুকমে খাস” যেসব মূর্খ বুঝেনা তাদের দ্বারা সবকিছুই সম্ভব।

পরিশেষে এদের দাবি ছিলোঃ এই আয়াত নাকি ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের ব্যপারে নাযিল হয়েছে একারনে এটা মুসলমানদের উপর লাগানো যাবেনা, অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাঁক যে আল কুরআনের মধ্যে শত শত আয়াত নাযিল করেছেন মুশরিকদের উদ্যেশে যে তোমরা দেব দেবির পূজা করনা, তো সেইসব আয়াত মুসলমানদের মধ্যে পির/শায়েখ/দরবেশ সেজে থাকা কোন বাবা যদি কখনো লঙ্গন করে (ছবিতে দেখুন সুরেশ্বরী পির জাহাঙ্গিরের কাজ) তাহলে তার উপর তা এপ্লাই করা যাবেনা। কেনো? কারণ রাজারবাগি পির দিল্লুরের মতো লোকেরা তখন (তাওহীদে উলূহিয়্যাত - তথা উপাসত্বের তাওহীদ) এর মালিক, রব মহান আল্লাহ পাঁকের স্থানে আদিষ্ট হয়ে যায়, তাই বাবার পিট বাঁচাতে কেউ যখন আল কুরআনের সঠিক ব্যাখ্যা দেবে তখন তা মেনে না নিয়ে উল্টো অপপ্রচার চালাবে।

মহান আল্লাহ পাঁক এদের মতো মুশরিকদের ছায়া থেকেও আমাদের হেফাজতে রাখুন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুনঃ

এডমিন

আমার লিখা এবং প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বে আইনি।

0 ফেইসবুক: