এই হেদায়েতপূর্ণ লিখাটি যারা ১০০% কুরআন সুন্নাহ উনাদের অনুসারী মুসলিম তাদের জন্য তাই দলকানারা দূরে থাকবেন। দয়াকরে প্যাঁচাল না পাড়লেই খুশী হবো। ত্যানা পেঁচাইয়া কোন ফায়দা হবেনা।
এরপর
☞ চরমোনাই বল্ল হাত পাখায় ভোট দিলে ভোট পাবেন আল্লাহ পাক উনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। (নতুন ডেলিভারী) নামাজ যেমন ফরজ ইসলামী রাজনীতিও তেমন ফরজঃ আমীরে চরমোনাই!
এরপর
এরপর
☞ বিএনপির সমর্থকেরা বলছে আওয়ামীলীগের যুলুমের বিপরীতে নাকি বিএনপিকে ভোট দেওয়া ফরজ হয়ে গেছে।
এরকম আরো কতো ভূরি ভূরি কুফুরী ইমানবিধ্বংসী বুলি যে এই মুহূর্তে ভোটের মার্কেটে বিদ্যমান তা বলার বাহিরে।
নাউযুবিল্লাহ!!! নাউযুবিল্লাহ!!! নাউযুবিল্লাহ!!!
আসলে তাদেরকে আমার বলার কিছুই নাই, তবে বলার অনেক কিছুই আছে মুসলমানদের। তাই মুসলমানদেরকেই বলছি।
সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম যদি আপনার ধর্ম হয়ে থাকেন আর আপনি যদি শুধু জন্মে নন কর্মেও ১০০% মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আক্বিদাহ পরিশুদ্ধ করতে হবে। আপনাকে মেনে নিতে হবে যে, ইসলাম প্রতিষ্টার জন্য কোন কুফুরি মতবাদ তথা, গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র বা যেকোন তন্ত্র মন্ত্রই হোক এসব দিয়ে আপনি দ্বীন প্রতিষ্টা করতে পারবেন না কস্মিনকালেও, কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেনঃ (بِمَا
أنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ
فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ) যারা আমার অবতীর্ণকরা বিধান (সম্মানিত আল কুরআন ও রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নাহ) দ্বারা দুনিয়ার শাসনকার্য পরিচালনা করেনা, তারাই কাফের, তারাই যালিম। (সূত্রঃ সুরাহ মায়েদা শরীফ আয়াত শরীফ ৪৪-৪৫)
এখন আপ্নিই বলেন, মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রগুলো কি মহান আল্লাহ পাক উনার বিধান দ্বারা পরিচালিত হয়েছে নাকি হচ্ছিলো নাকি হচ্ছে নাকি হবে নাকি কুফফার্দের বানানো বিঁধানে পরিচালিত হয়েছে, হচ্ছে, হবে?
আওয়ামীলীগ বিএনপি বাদ দিলাম, এরা তো নিজেদের ইসলামিক দল বলে দাবী করছেনা কিন্তু যারা নিজেদের ইসলামের ঠিকাদার বলছে তারা কি ইসলাম কি তা একচুয়েলি জানে? জানলে কি বুঝে? বুঝলে কি মানে?
✪ তারা আদতে কি তা বোঝার জন্য পাঠকের সম্মুখে কয়েকটি হাদিস শরীফ উপস্থাপন করছিঃ পবিত্র হাদীছ শরীফে উল্লেখ আছেঃ (عَنْ
حَضْرَتْ اَبِي مُوسٰى رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى
النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا وَرَجُلَانِ مِنْ بَنِيْ
عَمِّيْ فَقَالَ اَحَدُ الرَّجُلَيْنِ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ اَمِّرْنَا عَلٰى بَعْضِ مَا وَلَّاكَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ
الاٰخَرُ مِثْلَ ذٰلِكَ فَقَالَ اِنَّا وَاللهِ لَا نُوَلِّيْ عَلٰى هٰذَا
الْعَمَلِ اَحَدًا سَأَلَهُ وَلَا اَحَدًا حَرَصَ عَلَيْهِ.) অর্থঃ “হযরত আবূ মুসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়া'লাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে আমি ও আমার দু’জন চাচাত ভাই উপস্থিত হলাম। সে দু’জনের একজন বললেন, ইয়া রছুলাল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু য়া'লাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম! আল্লাহ পাক আপনাকে যেসকল কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন, আপনি আমাদেরকে ওটার মধ্য হতে কোন একটির শাসক নিযুক্ত করুন এবং দ্বিতীয়জনও অনুরূপই বললো। উত্তরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়া'লাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! আমরা এ কাজে (শাসক পদে) এমন কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিনা, যে ওটার প্রার্থী হয় এবং ঐ ব্যক্তিকেও নিয়োগ করিনা, যে ওটার লোভ বা আকাঙ্খা করে।”
√ (মুসলিম শরীফঃ কিতাবুল ইমারাতঃ বাবুন নাহয়ি ‘আর ত্বলাবিল ইমারাত ওয়াল হিরছ ‘আলাইহাঃ হাদীছ শরীফ নং ৪৫৬৬, ইফা)
✪ পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত রয়েছেঃ (عَنْ
حَضْرَتْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَـمُرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ
قَالَ لِي رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ
لَا تَسْأَلِ الْإِمَارَةَ فَاِنَّكَ اِنْ اُعْطِيْتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ اُكِلْتَ
اِلَيْهَا وَاِنْ اُعْطِيْتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ اُعِنْتَ عَلَيْهَا) অর্থঃ “হযরত আব্দুর রহমান ইবনে সামুরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়া'লাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, হে আব্দুর রহমান! আপনি নেতৃত্ব বা পদ চাইবেন না। কেননা, যদি আপনাকে ওটা চাওয়ার কারণে দেয়া হয়, তবে ওটা আপনার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। আর যদি ওটা আপনাকে চাওয়া ব্যতীত দেয়া হয়, তাহলে এ ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করা হবে।”
√ (মুছলিম শরীফ: কিতাবুল ইমারাত: বাবুন নাহয়ি ‘আর ত্বলাবিল ইমারাত ওয়াল হিরছ ‘আলাইহা: হাদীছ শরীফ নং ৪৫৬৪, ইফা)
✪ আরো বর্ণিত রয়েছেঃ (عَنْ
حَضْرَتْ اَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَـجِدُوْنَ مِنْ خَيْرِ النَّاسِ اَشَدَّهُمْ
كَرَاهِيَةً لِـهَذَا الْاَمْرِ حَتّٰى يَقَعَ فِيْهِ) অর্থঃ “হযরত আবূ হুরায়রা রদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়া'লাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এই শাসনভারকে যারা কঠোরভাবে ঘৃণা করে, উনাদেরকে আপনারা উত্তম লোক হিসেবে পাবেন, যে পর্যন্ত উনারা তাতে লিপ্ত না হয়।”
√ (বুখারী শরীফঃ কিতাবুল মানাক্বিবঃ বাবু ‘আলামাতিন নুবুওওয়াতি ফিল ইসলামঃ হাদীছ শরীফ নং ৩৫৮৮)
পাঠক লক্ষ্য করুন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়া'লাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম প্রত্যেক ব্যক্তিকে পদপ্রার্থী হতে নিষেধ করেছেন। তাহলে যারা ইসলামের নাম দিয়ে নির্বাচনে পদপ্রার্থী হচ্ছে, যদি তারা উম্মত দাবী করে থাকে, তাদের খালিছ তওবা করে এ ধরনের হারাম কাজ থেকে ফিরে আসতে হবে।
আমি জানি যে এর পরেও কতিপয় নামধারী মুফতি গোয়ারমী করবে যে ইসলাম প্রতিষ্টার জন্য এখন রাজনীতি, নির্বাচন, কুফুরিতন্ত্র ব্যতীত আর কোন পথ নাই, নাউযুবিল্লাহ!!! তবে কি রাসূলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়া'লাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম সেই ১৪০০+ বছর আগে মিথ্যা বলে গিয়েছিলেন? নাউযুবিল্লাহ!!!
✪ হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছেঃ (قَالَ
رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : تَكُونُ النُّبُوَّةُ فِيكُمْ
مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ أَنْ يَرْفَعَهَا
، ثُمَّ تَكُونُ خِلاَفَةٌ عَلَى مِنْهَاجِ النُّبُوَّةِ ، فَتَكُونُ مَا شَاءَ
اللَّهُ أَنْ تَكُونَ ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَرْفَعَهَا ،
ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا عَاضًّا ، فَيَكُونُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَكُونَ ،
ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ أَنْ يَرْفَعَهَا ، ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا
جَبْرِيَّةً ، فَتَكُونُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا
إِذَا شَاءَ أَنْ يَرْفَعَهَا ، ثُمَّ تَكُونُ خِلاَفَةً عَلَى مِنْهَاجِ
نُبُوَّةٍ ثُمَّ سَكَتَ) অর্থঃ হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক যতদিন ইচ্ছা করেন ততদিন আপনাদের মাঝে নুবুওওয়াত পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান থাকবে। অতঃপর তিনি এক সময় তা তুলে নিবেন। তারপর দুনিয়ার যমীনে খিলাফত আ’লা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠিত হবে। মহান আল্লাহ পাক যতদিন ইচ্ছা করেন ততদিন দুনিয়ার যমীনে খিলাফত আ’লা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠিত থাকবে। অতঃপর একসময় এই খিলাফত বিদায় নিয়ে এমন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, যেখানে অত্যাচারী রাজা-বাদশাহরা ক্ষমতা লাভের জন্য একে অপরের সাথে কামড়াকামড়ি করবে। (অর্থাৎ রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।) তারপর হবে অত্যাচার, বেইনসাফীতে পরিপূর্ণ শাসন ব্যবস্থা, (গণতন্ত্র)। মহান আল্লাহ পাক এক সময় তা মিটিয়ে দিবেন। অতঃপর পুনরায় দুনিয়ার যমীনে খিলাফত আ’লা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠিত হবে।” সুবহানাল্লাহ!!!
(দলীলঃ মুসনাদে আহমদ, হাদীছ শরীফ নং ১৮৪০৬, মুসনাদে ত্বয়ালসী, হাদীছ শরীফ নং ৪৩৯, বাযযার, হাদীছ শরীফ নং ২৭৯৬, বাইহাক্বী শরীফ, আল মু’জামুল কাবীর হাদীছ শরীফ নং ১/১৫৯: হাদীছ হাদীছ শরীফ নং ৩৭২, আহকামুশ শরী‘য়াহ হাদীছ শরীফ নং ৪/৫২৫, মাজমা‘উঝ ঝাওয়াইদ, হাদীছ শরীফ নং ৫/২২৬, জামি‘উল আহাদীছ, হাদীছ শরীফ নং ৯/১৩২)
এই হলো নবুওওয়াত মুবারক থেকে শুরু করে দুনিয়ার জমিনের শেষ পর্যন্ত শাষন ব্যবস্থার চিত্র।
ইসলামের কথিত ঠিকাদারদের কাছে আমার জানার বিষয় হচ্ছে যারা আজ কুফুরিতন্ত্রের মাধ্যেমে ইসলাম প্রতিষ্টার জন্য যারা পদপ্রার্থী হওয়া জায়িয বলছে, গনতন্ত্র জায়িয বলছে, তারা উপরোক্ত হাদীছ শরীফের কোন অংশের দাবিদার? উত্তর কি পাবো?
এখন তাহলে পথ কি? কিভাবে আপনি আমি জালিমের যুলুম থেকে পরিত্রান পাবো?
পথ বলার আগে আমাদের জানা প্রয়োজন যে আমরা যদি নিজেদের শুধু জন্মে নয় বরং কর্মেও মুসলিম মনে করি আর চাই মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সাহায্য করবেন তাহলে আমাদের কি নিজেদের মনগড়া চলে তা হাসিল করা যাবে নাকি আমাদের যেভাবে চলার কথা বলা হয়েছে সেরকম চলে তা হাসিল করতে হবে?
আর বর্তমান বিশ্বপরিস্থিতিতে যদি প্রশ্ন করেনঃ- ইসলামী খিলাফত আবার কবে ফিরে আসবে দুনিয়ার মাঝে?
তাহলে উত্তর হলোঃ মহান মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেনঃ (وَعَدَ
اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُم
فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ
لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَى لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُم مِّن بَعْدِ
خَوْفِهِمْ أَمْنًا يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا وَمَن كَفَرَ
بَعْدَ ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ) তোমরা যখন প্রকৃত ঈমান আনবে বা ঈমানদার হতে পারবে এবং একই সাথে আমলে ছ্বলেহ অর্থাৎ ছুন্নাহ মুতাবিক নিজেদের আমল আখলাক সুসজ্জিত করতে পারবে তখনি তোমাদেরকে খিলাফত অর্থাৎ শাসন কতৃত্ব দান করা হবে-এটাই মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়াদা। সুবহানাল্লাহ! (সূত্রঃ সুরাহ নুর শরীফ, আয়াত শরীফ নং ৫৫)
আবার আপনি বলুন আপনি যে গণতন্ত্র দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্টার কুফুরী চিন্তা করছেন তা কি কনদিন সফল হবে?
বিএনপির সাথে জামায়াত শিবিরের বাঘা বাঘা কথিত ইসলামীক নেতা ছিলো পূর্বে এদেশের শাসনকার্যে, আমাকে কেউ কি বলবেন ইসলাম কতটুকু প্রতিষ্টা হয়েছিলো?
আসলে আপনাদের এই কঠিন সত্যের সম্মুখে কুতর্ক ব্যাতিত কিছুই বলার নাই, কারন হলো আপনি আপনার নফসের পূজারী, মহান আল্লাহ পাক ও উনার রাসুল ছল্লাল্ললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নন।
উনাদের হলে তো আপনি মোমিন হতেন, কুফুরিতন্ত্রের ধারকবাহক হতে হারাম পন্থায় বিজয়ের স্বপ্ন দেখতেন না কারন বিজয় কেবল মোমিনদের জন্যেই বরাদ্ধ, যা ক্লিয়ার কাট মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেনঃ (وَلاَ
تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ) তোমরা নিরাশ/হতাশ/আশাহত বা মন ভাঙ্গা হয়ো না, দুঃখিতও হয়ো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা (সত্যিকারার্থে) মুমিন হও। (সূত্রঃ সুরাহ আলে ঈমারান শরীফ, আয়াত শরীফ নং ১৩৯)
উপরে বর্ণীত কুরআন শরীফ, হাদিস শরীফ ও উনাদের ব্যখা বিশ্লেষণ পড়ে কি আপনার মনে হয় এসব গণতন্ত্র নামক কুফুরীতন্ত্রের ধারকবাহকেরা মোমিন? এরা তো মুসলমানের কাতারেই পড়েনা মোমিন তো বহুদূর।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের যা বলেছেন তা বোঝার, মানার ও পালন করার তৌফিক দিন আমিন।
0 ফেইসবুক: