Thursday, May 5, 2022

দান সদাকাহ বনাম > রাজারবাগী মুশরিক মুরিদ-দের মনগড়া আক্বীদাহ!

(أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطٰانِ الرَّجِيْمِ - بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ)

মহান আল্লাহ পাকের নিকট বিতাড়িত শয়তান ও তার একনিষ্ট অনুসারী মুশরিক দিল্লুর রহমান এবং তার মুরিদ-দের থেকে পানাহ চাই।

সমস্থ পবিত্রতা ও সমস্থ প্রশংসা কেবলই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন উনারই জন্যে, যিনি সমস্থ সৃষ্টিজগৎ-এর মালিক। আর শতকোটি দূরুদ ও সালাম আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালিন, খতামান্নাবিই’য়্যিন, নূরে আউওয়াল, হাবিবুল্লাহ, নবী মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম-এঁর উপর।

পাঠক কেমন আছেন, পবিত্র রমদ্বান শরীফ শেষ হয়েছে, বলেছিলাম যে রমদ্বান শরীফে ব্যস্ত থাকবো, একারণে এইখানে লিখালিখি করিনি। কারণ মুশরিক রাজারবাগিদের মূর্খ মুরিদ-দের ধোলাইয়ের জন্যে অনেক সময় প্রয়োজন, এর কারণ হচ্ছে গাধা পানি খায় ঘোলা করে। যদিও আল্লাহ পাক বলেছেনঃ (وَ عِبَادُ الرَّحۡمٰنِ الَّذِیۡنَ یَمۡشُوۡنَ عَلَی الۡاَرۡضِ هَوۡنًا وَّ اِذَا خَاطَبَهُمُ الۡجٰهِلُوۡنَ قَالُوۡا سَلٰمًا) আর রাহমান(আল্লাহ তা’য়ালা)-এর বান্দা তারাই, যারা যমীনে অত্যন্ত বিনম্রভাবে চলাফেরা করে এবং যখন জাহেল ব্যক্তিরা তাদেরকে (যখন অশালীন ভাষায়) সম্বোধন করে, তখন তারা বলে, সালাম। (আল কুরআন ২৫/৬৩)।

অর্থাৎ যখন জাহেল ব্যক্তিরা তাদের সাথে কথা বলে, তখন তারা বলে- ‘সালাম’। এখানে جَاهِلُون শব্দের অর্থ বিদ্যাহীন ব্যক্তি নয়; বরং যারা মূর্খতার কাজ ও মূর্খতাপ্রসূত কথাবার্তা বলে, যদিও বাস্তবে তারা বিদ্বানও বটে। এইখানে জাহিল শব্দকে মূর্খ মানে অশিক্ষিত বা লেখাপড়া না জানা লোকদের ব্যপারে ব্যবহার করেন নি মহান আল্লাহ পাক, বরং এমন লোকদের ব্যপারে ব্যবহার করেছেন যারা জাহেলী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবার উদ্যোগ নিয়েছে এবং কোন ভদ্রলোকের সাথে অশালীন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এরূপ অবস্থায় রহমানের বান্দাদের পদ্ধতি হচ্ছে, তারা সেইসব জাহেলদের গালির জবাবে গালি এবং অপবাদের জবাবে অপবাদ দেবে না। (দেখুন-ফাতহুল কাদীর, কুরতুবী, বাদাইউত তাফসির)। যেমন আল কুরআনের অন্য জায়গায় বলা হয়েছেঃ (وَ اِذَا سَمِعُوا اللَّغۡوَ اَعۡرَضُوۡا عَنۡهُ وَ قَالُوۡا لَنَاۤ اَعۡمَالُنَا وَ لَکُمۡ اَعۡمَالُکُمۡ ۫ سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ ۫ لَا نَبۡتَغِی الۡجٰهِلِیۡنَ) আর যখন তারা কোন বেহুদা কথা শোনে, তা উপেক্ষা করে যায়। বলে, আমাদের কাজের ফল আমরা পাবো এবং তোমাদের কাজের ফল তোমরা পাবে। সালাম তোমাদের, আমরা জাহেলদের সাথে কথা বলি না। (আল কুরআনঃ ২৮/৫৫) এখানে ‘অসার বাক্য’ বলতে উদ্দেশ্য সেইসব গাল-মন্দ ও দ্বীনের সাথে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ যা মুশরিকরা মুসলমানদের উদ্যেশ্যে করত। আর এখানে ‘সালাম’ বলতে অভিবাদন বা সাক্ষাতের সালাম নয়; বরং বিদায় বা সঙ্গ ত্যাগ করার সালাম বুঝানো হয়েছে। যার অর্থ আমরা তোমাদের মত মূর্খদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করার লোক নই। যেমন বলা হয়, ‘দুর্জনেরে পরিহারি, দূরে থেকে সালাম করি।’ অর্থাৎ তার সঙ্গে কথাবার্তা না বলা, তাকে পরিহার, বর্জন ও উপেক্ষা করা।

ইমাম জাসসাস বলেন, সালাম দুই প্রকারঃ

১) মুসলিমদের মধ্যে প্রচলিত অভিবাদনমূলক সালাম (যার দ্বারা অন্যের উপর প্রশান্তি, কল্যাণের দোয়া করা হয়)।

২) সন্ধি ও বর্জনামূলক সালাম। অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে বলে দেয়া যে, আমি তোমার নোংরা আচরণের প্রতিশোধ নিতে তোমরা মতো আচরণ করবনা, তাই সালাম, তুমি তোমার পথে যাও আমি আমার পথে যাই। এখানে এ অর্থই বোঝানো হয়েছে।

অতএব স্পষ্ট হয়ে গেলো যে মুশরিক রাজারবাগিদের সাথে কোণ মুসলামানের কু-তর্কে জড়ানো উচিৎ হবেনা, তবে অবশ্যই তাদের দ্বীনের সাথে সাংঘর্ষিক প্রত্যেকটি বিষয়ের জবাব দিতে হবে।

এবার আসি মূল প্রসঙ্গে, এখন পর্যন্ত অনেকেই রাজারবাগের কুফুরিস্থান পরিত্যাগ করেছেন, পুলিশ, আর্মি, ইঞ্জিনিয়ার, ওয়েব ডেভেলপার, প্রবাসী প্রফেস্যর, ক্বারি, হাফিজ, সাংবাদিক সহ অসংখ্য আলিমা বোন রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্যতম একজন সম্মানিত ব্যক্তি, বাংলাদেশের প্রথম সারির একজন ডেভলপার সোহেল ইকবাল ভাই, তিনি ঈদ উপলক্ষ্যে একটি পোষ্ট দিয়েছেনঃ

যেখানে আগাগোড়া চোখ খুলে দেওয়ার মতো নসিহত ছিলো মুমিনদের জন্য, কিন্তু রাজারবাগি দিল্লুর তার মুশরিক মুরিদ-দের ব্রেইন এমন ওয়াশ করেছে যে এরা কোন ভালো নসিহত শোনতেই চায়না, সেটা হোক কোন কুরআন দিয়ে, হাদিস দিয়ে বা যুক্তি দিয়ে বোঝানো। তারা নসিহত গ্রহণ না করে উল্টো মূর্খের মতো কাউন্টার দিয়ে দিয়েছে

আমাকে টেলিগ্রামে ব্যপারটি জানানো হলে আমি এর জবাব দেওয়া প্রয়োজন মনে করলাম, কারণ এরা কুরআন হাদিসের ভুল ব্যখ্যা, ভুল অনুবাদ ও ভুল প্রয়োগ করে সরলমনা ইসলাম প্রিয়, কুরআন হাদিসকে বুঝেনা কিন্তু মুহব্বত করে এমন মানুষদের ধোঁকা দিয়ে ঈমান লুটে নিচ্ছে।

“মুহাম্মদ তাহের খান” নামের এক ব্যক্তি সোহেল ভাইয়ের কাউন্টার পোষ্ট দিয়েছেন। পোষ্ট এর গুরুত্বপূর্ণ অংশটা এমনঃ

//ঈদের দিন মসজিদের সামনে অনেক ফকির-ভিক্ষুক দাড়িয়ে থাকে। অনেকে ঈদের নামাজ শেষে তাদের যাকাত-ফিতরা দেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে এইসব ফকির-ভিক্ষুকরদের যাকাত-ফিতরা দেয়ার পক্ষপাতি না, কারণঃ- আমি অনেকবার লক্ষ্য করেছি, যখন নামাজ শুরু হয়, তখন ঐ সব ফকির- ভিক্ষুকদের কেউ নামাজ পড়ে না। বরং- কে লাইনে কার আগে দাড়াবে, সেটা নিয়ে মারামারি-ঝগড়া করে। আমার সোজা-সাপটা কথা "যে লোকটা প্রকাশ্যে আমার সামনে ওয়াজিব তরক করছে, তাকে কিভাবে আমি আমার ফরজ বা ওয়াজিব দান-সদকা করি"? আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সব পথ ভিক্ষুক-ফকিরদের ব্যাপারে অনেক খোঁজ নিয়েছি। নিয়ে দেখেছি, এরা বেশি ভাগ ভিক্ষুক বাস্তবে দরিদ্র নয়, বরং তাদের অনেকে "স্বচ্ছল"। কারো কারো গ্রামে "জমি-জমা" আছে। কেউ কেউ আবার অতিরিক্ত টাকা জমিয়ে "সুদের ব্যবসাও" করে। ভাল করে খোঁজ নিলে "ফ্ল্যাট-বাড়ির সন্ধানও মিলবে অনেকের। টাকার গরমে অনেকের আছে একাধিক স্ত্রী। বাস্তব জীবনে এরা কেউ ধর্ম-কর্ম করে না, জীবন কর্মে এরা পুরোপুরি ধর্মবিমুখ। শুধুমাত্র মসজিদের সামনে টাকা নেয়ার জন্য দাড়ি-টুপি ও আল্লাহ পাক উনার যিকির আর কালেমার আওয়াজ ব্যবহার করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় কার্জন হলের পাশে অনেক পলিথিনের ঘর দেখেছি, যেখানে অনেক দৃশ্যত্ব দরিদ্র লোকের বসবাস। বিভিন্ন সময় তারা হাইকোর্ট মাজারের সামনে দাড়িয়ে মানুষের যাকাত-ফিতরা-দান গ্রহণ করে। ঐ এলাকার এক লোকের মাধ্যমে জেনেছি, ঐ ঘরে যারা থাকে তারা সবাই স্বচ্ছল, কিন্তু রাতের বেলায় পতিতা ও মাদক সরবরাহের জন্য মূলত এ লোকগুলো এ এলাকায় বসবাস কর। উপরি হিসেবে পায় মাজারে আগত লোকদের দান-সদকা। আবার মসজিদের সামনে হাত পাতা শিশুদের মধ্যে প্রায় অধিকাংশ ড্যান্ডি নামক নেশায় আসক্ত, দরিদ্রতার কারণে তাদের ক্লিষ্ট শরীর হয়নি, বরং ড্যান্ডি নামক নেশা করার কারণে শরীর ভেঙ্গে গেছে। নগদ টাকা পেলে তারা আরো ড্যান্ডি খাবে। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন পাকে ইরাশদ মুবারক ফরমান- “তোমরা নেকি ও পরহেজগারিতে সাহায্য সহযোগীতা করো, পাপ ও গুনাহের মধ্যে সহযোগীতা করো না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাককে ভয় করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তিদাতা"। (সূরা মায়িদা শরীফ, আয়াত শরীফ ২)।//

আসলে, কুরআন হাদিসের চিন্তা ফিকির ছেঁড়ে বাবার নির্ধারিত নির্দিষ্ট কিছু আয়াত আর হাদিস এর মনগড়া ব্যখা ও তরজমা থেকে বের না হতে পারলে এরূপ হবেই।

প্রথমতো আসুন একটি হাদিস দেখিঃ সহিহ মুসলিম এর ২১৭৭ ইঃফাঃ, যাকাতের অধ্যায়ের, দান-সদকায় উৎসাহ প্রদান বাবে, ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহ একটি হাদিস নিয়ে এসেছেন,

কুতায়বা ইবনু সাঈদ রহমতুল্লাহ, আবু যার গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক রাতে আমি বের হলাম। দেখলাম, রসুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম একাকী পায়চারী করছেন। উনার সঙ্গে অন্য কোন মানুষ ছিল না। তিনি বলেন, আমি মনে করলাম, হয়ত উনার সঙ্গে কারো হাঁটা তিনি পছন্দ করছেন না। তাই আমি চাঁদের ছায়ায় হাটতে আরম্ভ করলাম। এরপর তিনি এদিকে তাকালেন এবং আমাকে দেখে ফেললেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এ কে? আমি বললাম, আবূ যার। মহান আল্লাহ তা'আলা আপনার প্রতি আমাকে উৎসর্গিত করুন। তিনি বললেন, হে আবূ যার! এসো। এরপর আমি উনার সঙ্গে কিছুক্ষণ পথ চললাম। এক পর্যায়ে তিনি বললেন, কিয়ামতের দিন বিত্তশালী লোকেরাই নিঃস্ব হবে, কিন্তু সে ব্যতীত যাকে মহান আল্লাহ পাক মাল দিয়েছেন, এরপর সে বিলিয়ে দিয়েছে সে সস্পদ ডানে, বামে, সামনে ও পেছনে এবং এর দ্বারা কল্যাণকর কাজ করেছে।

তিনি বলেন, এরপর আমি উনার সঙ্গে আরো কিছুক্ষণ চললাম। তিনি বললেন এখানে বস। এ বলে তিনি আমাকে পাথরঘেরা একটি সমতল মাঠে বসালেন এবং বললেন, আমি তোমার কাছে ফিরে আসা পর্যন্ত তুমি এখানে বসে থাকবে। রাবী বলেন, এর পর তিনি "হাররা" এর দিকে চলতে লাগলেন। এমনকি আমি উনাকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। তিনি আমার থেকে পৃথক হয়ে দীর্ঘ সময় বিলম্ভ করলেন। এরপর তিনি ফিরে আসার পথে আমি শুনতে পেলাম তিনি বলছেন, "যদিও সে চুরি করে থাকে???" "যদিও সে ব্যাভিচার করে থাকে???"। আবূ যার গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যখন তিনি আসলেন, তখন আমি আর সহ্য করতে পারলাম না। তৎক্ষণাৎ জিজ্ঞাসা করলাম, হে মহান আল্লাহ তা’আলার নবী! আল্লাহ আমাকে আপনার প্রতি উৎসর্গিত করুন, আপনি হাররা অঞ্চলে কার সাথে কথা বলছিলেন? আমি তো কাউকে আপনার কথার কোন উত্তর দিতে শুনলাম না।

তখন তিনি বললেন, এ হলেন জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম, হাররা অঞ্চলে উনার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি বলেছেন, আপনি আপনার উম্মাতকে এ সুসংবাদ শুনিয়ে দিন যে, যে ব্যাক্তি মহান আল্লাহ পাঁকের সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক না করে মারা যায় সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এরপর আমি বললাম, হে জিবরীল! যদিও সে চুরি করে, যদিও সে যিনা করে। তিনি বললেন, হ্যাঁ। পুনরায় আমি বললাম, যদিও সে চুরি করে, যদিও সে ব্যভিচার করে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। এরপর আবার আমি বললাম, যদিও সে চুরি করে, যদিও সে ব্যভিচার করে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যদিও সে মদ্যপান করে।” (দলিলঃ সহিহ মুসলিম ২১৭৭ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)।

পাঠক খেয়াল করুণ, এই একটি হাদিস আপনাদের চোখ খুলে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট। অনেক কিছুই এর মধ্যে পাবেন। প্রথমতো এই হাদিস রাজারবাগি মুশরিকদের জন্য বিরাট দুঃখের সংবাদ জানাচ্ছে, তারা যে তাদের পির কে খোঁদার আসনে বসিয়ে শিরক করে মুশরিক হয়েছে এর বিনিময়ে তাদের আখেরাত শূন্য হলেও, আজ যাদের দান সদাকা যাকাত ফিতরা দিতে নিরুৎসাহিত করছে, ডান্ডি, নেষা, জিনার ধোঁয়া তুলে তারাই দেখা যাচ্ছে জান্নাতে যাবে যদি না তারা শিরকে লিপ্ত হয়।

পাঠক ফিকির করে দেখুন, ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহ শিরক না করা চোর, জেনাখুরের ব্যপারে দান ছ্বদাকার বাবে যে হাদিস বর্ণনা করেন তাতে, মহান আল্লাহ পাক শিরক না করা চোর, জেনাখুরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন অথচ এই মুশরিকরা এদের দান সদাকা দেওয়া যাবেনা বলছে। এ কেমন পাপী যাদের আল্লাহ পাক জান্নাত দিতে কার্পণ্য করেন না অথচ দুই পয়সার দাম নাই মানুষ তাদের যাকাত ফিতরা না দিতে ফতওয়া মারে। নাউযুবিল্লাহ!

ইমরান ইবনে হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ব্যভিচার, মদ্যপান ও চুরি সম্পর্কে কি বলো? আমরা বললাম, মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূলই সর্বাধিক জ্ঞাত। তিনি বলেনঃ এগুলি জঘন্য পাপাচার এবং এগুলির জন্য ভীষণ শাস্তি অবধারিত আছে। (কিন্তু) আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে মারাত্মক কবীরা গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করবো না? (আর তা হচ্ছে) মহান আল্লাহ তা’য়ালার সাথে শীরক করা এবং পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া। তিনি হেলান দিয়ে বসা ছিলেন, অতঃপর সোজা হয়ে বসে বলেনঃ এবং মিথ্যাচার (বাযযার, তাবারানী)।

রাজারবাগের অধিকাংশ মুরিদের মা বাবার সাথে ভালো সম্পর্ক নাই, নকল বাবার খেদমতে জীবন বিলিয়ে দিবে বলে আসল মা-বাবার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন, এরা বাবা পূজা করে শিরকে উলায় লিপ্ত, আর মিথ্যাচারে এরা সবার উপরে। ফেইসবুক খুল্লেই নাকি এদের মিথ্যাচার আর গালিগালাজ, গীবত পাওয়া যায়।

পাঠক হাদিস শরীফটি খেয়াল করুন, এরা পথশিশুদের ড্যান্ডি নামক নেশার জন্য তাদের যাকাত-ছ্বদকা দেওয়া যাবেনা ফতওয়া মারে অথচ তা মদের সমান ও না, আর এই মদের নেশাকারীর চেয়েও কোটিগূন বেশী গুনাহ শিরকে নিজেরা লিপ্ত, লিপ্ত পিতা মাতার অবাধ্যতা ও তাদের পরিত্যাগ করে পির বাবার নাপাক ক্বদমে সব ঢেলে দেওয়ার মতো নিকৃষ্ট কাজে, আর মিথ্যাচারের কথা কি আর বলবো, সুন্নত নয় এমন সব জিনিসে সুন্নতি লেবেল লাগিয়ে মিথ্যাচার করে পন্য বিক্রি করার মতো জঘন্য পাপে এরা প্রতিনিয়ত লিপ্ত, অথচ যখন যাকাত-ছ্বদকা ইয়াতিম, মিসকিন, ফকির, বিধবা, গরীবকে দেওয়ার প্রসঙ্গ আসলো তখন তাদের নেশাখোর, পতিতা, একাধিক বিয়ের মতো সুন্নত কে অবজ্ঞা করে ফতোয়া মারছে।

এছাড়াও বলছে যেঃ শুধুমাত্র মসজিদের সামনে টাকা নেয়ার জন্য দাড়ি-টুপি ও আল্লাহ পাক উনার যিকির আর কালেমার আওয়াজ ব্যবহার করে থাকে।

অথচ পাঠক আপনি যদি খিলাফতে হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইলিহিস সালাম তালাশ করেন তাহলে দেখবেন, যখন বিভিন্ন অপরাধে দন্ডিত আসামীরা বেশী বেশী নফল নামায পড়া শুরু করলো তখন তিনি তাদের মাফ করে মুক্তি দিতে শুরু করলেন, এর দরূন অনেকে মুক্তির জন্য নামায পড়া শুরু করলে খলীফার নিকট অভিযোগ পেশ করা হলো যে এরা হাক্বিকি নামায পাঠ আদায় করছেনা, তারা তা মুক্তির উদ্যেশ্যে করছে আপনাকে ধোঁকা দিতে, তখন তিনি বল্লেন যে এরা আল্লাজির নামে আমাকে শতবার ধোঁকা দিলেও আমি সেই ধোঁকা খেতে রাজী। এবার চিন্তা করে দেখুন এদের মুশ্রিক বাবার আক্বিদাহ ও অনুসরণীয় ইসলামিক খিলাফতের খলীফার ইসলামের তফাৎ কিরূপ।

এছাড়াও পাঠক, আপনারা যারা জানেন না তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, সূরাহ তওবা শরীফের ৬০ নং আয়াতে পাকে যে ৮ ক্যাটাগরির মানুষকে যাকাত দেওয়ার হুকুম দিয়েছেন তার মধ্যে (مُؤَلَّفَةِ قُلُوب) অর্থাৎ “আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; (তা বণ্টন করা যায়)” এরা কারা?

এই ক্যাটাগরির ব্যখ্যায় নির্ভরযোগ্য তাফসীর গ্রন্থগুলিতে এসেছেঃ

প্রথমতঃ সেইসব কাফের যাদের অন্তর কিছু কিছু ইসলামের প্রতি অনুরাগী হয়, এমন ব্যক্তিকে সাহায্য করলে আশা করা যায় যে, সে ইসলাম গ্রহণ করবে। অর্থাৎ অমুসলিমকে মুসলিম হতে উৎসাহ দিতে যাকাত দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, এতে সে মুসলিম হোক বা না হোক।

দ্বিতীয়তঃ সেই নও-মুসলিম যাকে ইসলামে দৃঢ়স্থির থাকার জন্য সাহায্য করার দরকার হয়। যেনো ধর্ম পরিত্যাগের কারণে সে তার সমাজে চাকুরী, ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়ে একঘরে হয়ে আবার কুফুরের দিকে ফিরে না যায়।

তৃতীয়তঃ সেই লোকও এর শামিল যাকে সাহায্য করলে আশা করা যায় যে, সে নিজের এলাকার অমুসলিমদেরকে মুসলিমদের উপর হামলা করা থেকে বিরত রাখবে এবং অনুরূপভাবে সে নিজের নিকটতম মুসলিমদেরকে রক্ষা করবে (অমুসলিমদের মধ্যেও এমন অনেকে রয়েছে, যাদের শক্রতা থেকে বাঁচার জন্যে তাদের পরিতুষ্ট রাখার প্রয়োজন পড়তো মাল দিয়ে, যা এখনো পড়ে)। উক্ত সকল লোক এবং এই শ্রেণীর আরো অন্যান্য লোকের উপর যাকাতের মাল ব্যয় করার অনুমতি দিয়েছেন মহান আল্লাহ পাক; চাহে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ ধনবান হোক না কেন।

এছাড়াও সেই সময় অনেকই ছিল, যারা ওয়াজ নসীহত কিংবা যুদ্ধ ও শক্তি প্রয়োগ দ্বারাও ইসলামে প্রভাবিত হচ্ছে না, বরং অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যাচ্ছে যে, তারা দয়া, দান ও সদ্ব্যবহারে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে তাই সেইসব লোকদের মাল দেওয়া হত যাকাতের খাত থেকে। [কুরতুবী; ইবন কাসীর] রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লামের সমগ্র জীবনের প্রচেষ্টা ছিল কুফরীর অন্ধকার থেকে মহান আল্লাহ পাকের বান্দাদের ঈমানের আলোয় নিয়ে আসা। তাই এ ধরনের লোকদের প্রভাবিত করার জন্য যে কোন বৈধ পন্থা অবলম্বন করতেন। এরা সবাই মুওয়াল্লাফাতুল কুলুবের অন্তর্ভুক্ত এবং আলোচ্য আয়াতে এদেরকে সদকার চতুর্থ ব্যয়খাত রূপে অভিহিত করা হয়েছে।

পাঠক এবার আপনারাই বলেন, আল্লাহ রাসূল অমুসলিমদের অন্তরে ইসলামের প্রতি মুহব্বত স্থাপনে যাকাত-ছ্বদকা দিতে উৎসাহ দিয়েছেন যেখানে সেখানে রাজারবাগি মুশরিকরা আল্লাহ-রাসূল পরিত্যাগ করে তাদের মুশরিক বাবার গুমরাহ ফতওয়া অনুসারে গুনাহগার ফাসেক মুসলিমদের যাকাত না দিতে নির্দেশ দিচ্ছে, নাউযুবিল্লাহ। ফাসেক, গুনাহগার, চোর, বদমাশ, জেনাখুর, মদুড়ি যেই হোক, এরূপ লেবেলের একজন মুসলিম যদি শিরক না করে তাহলে সে সমস্থ অমুসলিমদের চেয়েও উত্তম কারণ তার আমলনামায় গুনাহ মওজুদ থাকলেও কল্বে সবচেয়ে দামী জিনিস ঈমান মওজুদ।

এবার আসি, এই ব্রেইন ওয়াশ মূর্খরা যে তাদের বাবাকে যাকাত-ফিতরা দেয় এটা কতটুকু যায়েজ?

প্রথমতো, রসূলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম যাকাতের সময়সীমা নির্ধারণ করে না দিলেও ফিতরা আদায়ের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন, আর তা হলো ঈদের নামাযের আগে বাধ্যতামূলক, অথচ মুশরিক দিল্লুর রহমানের নিকট যে যাকাত-ফিতরা দেওয়া হয় তা একিই ফান্ডে থাকে, যখন ইচ্ছা নিজেদের পছন্দ মতো খরচ করে, এছাড়াও যাকাতের ৮ খাতের কোন খাতেই খরচ করেনা, আজ পর্যন্ত কত টাকা যাকাত আদায় হয়েছে এর চুল-চেরা কোন হিসাব নাই, যাকাতের কোন কোন খাতে কত টাকা ব্যায় হয়েছে, কাকে কাকে ফিতরা দেওয়া হয়েছে কেউ জানতেও পারেনাই, বরং এই যাকাতের টাকায় নিজের পারসোনাল সম্পত্তি বাড়াচ্ছে, বানাচ্ছে ২২ তলা বিল্ডিং। অথচ এরাও দাবী করে বাবা তাদের আহলে বাইত, আওলাদে রসূল (যদিও ইহা ১০০% মিথ্যা) অথচ যাকাত ও ছ্বদকা খাওয়া আহলে বাইতের নিজের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত হারাম (দেখতে পারেন এখানে), সেটা মুখ দিয়ে হোক বা হাত দিয়ে। যাকাত ছ্বদাকার টাকায় নিজের পার্সোনাল বিল্ডিং বানিয়ে ভোগবিলাশের সাথে ব্যবহার করে সেটাকে ইসলামের খাত বললে কস্মিনকালেও তা গ্রহণযোগ্য হবেনা কুরআন সুন্নাহর অনুসারীদের নিকট।

আরেকটি বিষয় খেয়াল করবেন, তারা বলবে যে আপনার যাকাত এর একটি টাকাও রাজারবাগে না দিয়ে অন্য কোথাও দিলে তা কবুল হবেনা, যাকাতের সব টাকা/মাল আপনাকে তাদের নিকটই দিতে হবে, একটি পয়সার ও এদিক সেদিক করা যাবেনা। এখন এই প্রোপ্যাগান্ডার হাক্বিকত কি?

এর হাক্বিকত হলো, যখন কোন মুরিদ বা অন্য কোন ব্যক্তি তার যাকাতের সকল টাকা তাদের দিয়ে দেবে, তখন তারা তার মূল সম্পদের খবর পেয়ে গেলো, এই মুরিদের টোটাল সম্পদ কেমন আছে, এর মাধ্যমে সারা বছর তাদের বানানো হাজারো মনগড়া বিদাতি ইবাদতের খাতে চাঁদা দিতে চাপ দিবে, বাধ্য করবে, আর যারা একবার তাদের ফাঁদে পা দিয়ে সকল যাকাত দিয়ে নিজের সম্পদের হিসাব দিয়ে দিয়েছেন তারা মরেছেন চিরস্থায়ী।

এবার আসি, চাপে সবাই ড্যান্ডি খোর, জেনাখুর, মদুড়ি বলে যে অপবাদ দিচ্ছে এরূপ দেওয়া কি যায়েজ? এটার শরীয়ত ও সুন্নত এর কোন ভিত্তি কি আছে?

মহান আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফে এরশাদ করেনঃ (وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ) দুর্ভোগ এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে (সামনাসামনি) মানুষের নিন্দা করে আর (অসাক্ষাতে) করে দুর্নাম।

তো কিছু উলামা-এ আহলুস সুন্নাহ هُمَزَ এবং لُمَزَ এর একই অর্থ বলেছেন। আর কিছু সংখ্যক উলামা উভয়ের মাঝে কিছুটা পার্থক্য করে বলেন, هُمَزَ বলা হয় সেই ব্যক্তিকে, যে সামনা-সামনি মানুষের নিন্দা করে যদিও তা সত্য হয়। আবার لُمَزَ বলা হয় সেই ব্যক্তিকে, যে পশ্চাতে গীবত (পরর্চ্চা) করে। আবার কেউ কেউ এর বিপরীত অর্থও করেছেন। অনেকের মতে هَمز চোখ ও হাতের ইশারায় নিন্দা প্রকাশ করা এবং لَمز জিহ্বা দ্বারা পরনিন্দা করাকে বলা হয়। এ দুটি কাজই জঘন্য অপরাধ মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে।

তাফসীর-কারকগণ এ শব্দ দু’টির আরও অর্থ বর্ণনা করেছেন। তাদের বর্ণিত তাফসীর অনুসারে উভয় শব্দ মিলে এখানে যে অর্থ দাঁড়ায় তা হচ্ছেঃ যে কাউকে লাঞ্ছিত ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে, কারোর প্রতি তাচ্ছিল্য ভরে অংগুলি নির্দেশ করে, চোখের ইশারায় কাউকে ব্যঙ্গ করে কারো বংশের নিন্দা করে, কারো ব্যক্তি সত্তার বিরূপ সমালোচনা করে, কারো মুখের ওপর তার বিরুদ্ধে মন্তব্য করে, কারো পেছনে তার দোষ বলে বেড়িয়ে, এর কথা ওর কানে লাগিয়ে বন্ধুদেরকে পরস্পরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে, ভাইদের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্যে ফাটল ধরিয়ে, মানুষের নাম বিকৃত করে খারাপ নামে অভিহিত করে, মুখের কথার খোঁচায় কাউকে আহত করে এবং কাউকে দোষারোপ করে। এসব যাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে তারা এই আয়াত শরীফের মিসদ্বাক। অথচ এসবই মারাত্মক অপরাধ মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে।

হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, এর অর্থ হলো খোটাদানকারী এবং গীবতকারী। রবী রাবী ইবনে আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, সামনে মন্দ বলাকে (هُمَزَ) বলা হয় এবং অসাক্ষাতে নিন্দে নিন্দা করাকে (لُمَزَ) বলে। হযরত কাতাদাহ রহমতুল্লাহ বলেন যে, এর ভাবার্থ হলো মুখের ভাষায় এবং চোখের ইশারায় মহান আল্লাহ পাকের বান্দাদেরকে কষ্ট দেয়া। মুজাহিদ রহমতুল্লাহ বলেন যে, (هُمَزَ) এর অর্থ হলো হাত এবং (لُمَزَ) চোখ দ্বারা কষ্ট দেয়া এবং এর অর্থ মুখ বা জিহ্বা দ্বারা কষ্ট দেয়া। মুজাহিদ রহমতুল্লাহ বলেন যে, এ আয়াত কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির উদ্দেশ্যে অবতীর্ণ হয়নি।

পশ্চাতে পরনিন্দার শাস্তির কথা পবিত্র আল কুরআন ও হাদীস শরীফে কঠিভাবেই বর্ণিত হয়েছে।

এর কারণ এরূপ হতে পারে যে, এ গোনাহে মশগুল হওয়ার পথে সামনে কোন বাধা বাঁধা থাকে না। যে এতে মশগুল হয়, সে কেবল এগিয়েই চলে। ফলে গোনাহ বৃহৎ থেকে বৃহত্তর ও অধিকতর হতে থাকে। তবে সম্মুখের নিন্দা কিন্তু এরূপ নয়। এতে প্রতিপক্ষও বাধা দিতে প্রস্তুত থাকে। ফলে গোনাহ দীর্ঘ হয় না। এছাড়া কারও পশ্চাতে নিন্দা করা এ কারণেও বড় অন্যায় যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জানতেও পারে না যে, তার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছে। ফলে সে সাফাই পেশ করার সুযোগ পায় না। আবার একদিক দিয়ে لمز তথা সম্মুখের নিন্দা গুরুতর। যার মুখোমুখি নিন্দা করা হয়, তাকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হয়। এর কষ্টও বেশি, ফলে শাস্তি ও গুরুতর। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দাদের মধ্যে নিকৃষ্টতম হচ্ছে তারা, যারা পরোক্ষ নিন্দা করে, বন্ধুদের মধ্যে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করে এবং নিরপরাধ লোকদের দোষ খুঁজে বেড়ায়।” (মুসনাদে আহমাদঃ ৪/২২৭) (এবং কুরতুবী শরিফেও হাদিস শরীফ খানা এসেছে)।

পবিত্র আল কুরআনের অন্যত্রও মহান আল্লাহ পাক এই ব্যপারে এরশাদ করেনঃ (هَمَّازٍ مَّشَّآءٍۭ بِنَمِيمٍ) অর্থাৎ, যে (ব্যক্তি) পশ্চাতে নিন্দা করে, (এবং) একের কথা অন্যের নিকট লাগিয়ে বেড়ায়। অর্থাৎ চুকলি বা চুগলখুরি করে আমাদের সহজ বাংলা ভাষায়।

এছাড়াও পবিত্র আল কুরআন ও হাদীস শরীফের বিভিন্ন স্থানে যারা “পিছনে নিন্দাকারী, এবং যে একের কথা অন্যের কাছে লাগিয়ে বেড়ায়” তাদেরকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। তাদের সম্পর্কে কঠিন সাবধানবাণী শোনানো হয়েছে। বুখারির একটি হাদীস শরীফে এসেছেঃ রসূলুল্লাহ ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কাত্তাত (যে একের কথা অন্যের কাছে লাগিয়ে বেড়ায় সে) জান্নাতে প্ৰবেশ করবে না।” (বুখারী শরীফ ৬০৫৬)

সহীহ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আরেকটি হাদিস এই মর্মে বর্ণিত আছে যে, একদা রসূলুল্লাহ ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম দু’টি কবরের পার্শ্ব দিয়ে গমন করার সময় বলেনঃ “এই দুই কবরবাসীকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে, আর এদেরকে খুব বড় (পাপের) কারণে শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। এদের একজন প্রস্রাব করার সময় পর্দা করতো না এবং অপরজন ছিল চুগলখোর।"

মুসনাদে আহমাদে হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রসূলুল্লাহ ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ “চুগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ হাদীসটি ঐ সময় শুনিয়েছিলেন যখন তাঁকে বলা হয় যে, এ লোকটি আমীর-উমারার নিকট (গোয়েন্দারূপে) কথা পৌঁছিয়ে থাকে।

মুসনাদে আহমদে হযরত আসমা বিনতু ইয়াযীদ ইবনে সাকন রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম ছ্বল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম লোক কারা এ খবর কি আমি তোমাদেরকে দিবো না?” সাহাবীগণ উত্তরে বলেনঃ “হ্যাঁ, হে মহান আল্লাহ পাক এর রসূল ছ্বল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম! আমাদেরকে এ খবর দিন!” তিনি তখন বললেনঃ “তারা হলো ঐ সব লোক যাদেরকে দেখলে মহামহিমান্বিত আল্লাহ পাক-কে স্মরণ হয়!” তারপর তিনি বললেনঃ “আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের নিকৃষ্ট লোকদের সংবাদ দিবো না? তারা হলো চুগলখোর, যারা বন্ধুদের মধ্যে বিবাদ বাধিয়ে থাকে এবং সৎ ও পবিত্র লোকদের উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থাকে।” (ইমাম ইবন মাজাহ রহিমাহুল্লাহও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন)।

এবার বুঝুন আল্লাজির দুনিয়ার সকল ফকির মিসকিন খারাপ এই গিবতকারি, চোগলখুরদের নিকট, আর কেবল রাজারবাগের মুশরিক পির দিল্লুর রহমান ভালো।

পাঠক শুনে রাখুন এইসব মুশরিকদের দ্বারা ব্রেইন ওয়াশ হওয়ার আগে, এরা কুরআনের আয়াত পেশ করেঃ তোমরা নেকি ও পরহেজগারিতায় একে অন্যেকে সাহায্য সহযোগীতা করো, পাপ ও গুনাহের কাজে সহযোগীতা করো না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাককে ভয় করো, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তিদাতা"। (আল কুরআন ৫/২)। এই আয়াত পেশ করে বলতে চাচ্ছে এরা যেহেতু যাকাত, ফিতরা, দান ছ্বদাকার টাকায় নেষা নেশা করবে, হারাম কাজ করবে তাই তাদের তা দিয়ে ঐসব হারাম কাজের ভাগিদার হওয়া যাবেনা, অথচ এরা কি তাদের বাবাকে কখনো জিজ্ঞাসা করেছেঃ আপনাকে যে আমরা কোটি কোটি টাকা প্রত্যেক বছর যাকাত-ছ্বদকা এনে দেই, এই টাকা দিয়ে এইসব মানুষের পুনর্বাসন করে দেন না কেনো, তারা কি কখনো জিজ্ঞাসা করেছেঃ পতিতাদের যে যাকাত-ছ্বদকা দিতে নিষেধ করছেন তাদের পতিতাবৃতি ছাড়তে আপনার মুরিদ-দের সাথে অথবা অন্য কোন মানুষের সাথে বিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনের ব্যবস্থা করে দেন না কেনো?

না, এই মূর্খদের এই ক্ষমতাই নাই তাদের মুশরিক বাবাকে এইসব হক্ব কথা বলার। তারা পাপী কে ঘৃণা করার ক্ষমতা রাখে কিন্তু পাপ কে নির্মূল করার মতো ক্ষমতা দেখাতে পারেনা।

তারা যাকাত-ছ্বদকার টাকায় একাধিক বিয়ের বিরোধিতা করে, অথচ এই মুশরিকেরা ভুলে যায় রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম উনার ১৩ জন আহলিয়া ছিলেন, সাহাবীদের একেক জনের ৩/৪ জন করে আহলিয়া ছিলেন। সমাজে কোন মহিলা বিধবা হলে সাথে সাথেই তাদের সমপর্যায়ের মানুষের সাথে ইদ্দতের পর বিয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হতো, যেমন হযরত জাফর ইবনে আবি তালিব আলাইহিস সালাম যখন ৩ জন সন্তান রেখে শহীদ হলেন তখন উনার ৩ সন্তানের স্ত্রী আসমা বিনতে উমাইসকে বিয়ে করে ফেললেন হযরত আবু বক্বর সিদ্দিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালাম, তিনিও যখন মারা যান তখন উনার একটি সন্তান সহ চার সন্তানের মাকে, জাফর-এর ভাই হযরত আলী ইবনে আবি তালিব আলাইহিস সালাম বিয়ে করেন। ইসলামপূর্ব জাহেলি সমাজে বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীরা বিভিন্ন অবিচার ও বৈষম্যের শিকার ছিল, যা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম এসে বিলীন করে দেয়, অথচ সেই জাহেলি আক্বিদাহ এখনো রাজারবাগি মুশরিকের মুরিদেরা ধারণ করে আছে। অথচ এরা ভুলে যায় যে খোদ রসুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বিধবা নারীদের সামাজিক ও ধর্মীয় সম্মান প্রতিষ্ঠা করেছেন। নিজে একাধিক বিধবা নারীকে বিয়ে করে প্রমাণ করেছেন তারা অপয়া ও অস্পৃশ্য নন। উনার চাচা আবু তালিব নবী করীম ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম-এর এই বিধবা ও ইয়াতিমদের দায়িত্ব নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বুক ফুলিয়ে বলতেনঃ “তিনি শুভ্র, উনার চেহারার অসিলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করা হতো, তিনি এতিমদের খাবার পরিবেশনকারী আর বিধবাদের তত্ত্বাবধায়ক” (বুখারি শরীফ ১০০৮) অথচ রাজারবাগি মুশরিকরা যাকাতের টাকা নিয়ে কেউ যদি একাধিক বিয়ে করে তার ব্যপারে ফতওয়া মারে তাদের যাকাত-ছ্বদকা দেওয়া যাবেনা, অথচ কোন তালাকপ্রাপ্তা, বা বিধবা ইয়াতিমের মাকে কেউ বিয়ে করে এর বিনিময় যে সে কি পাবে তা এই মূর্খরা জানেই না। এদের কারণেই অনেক নারী আজ জেনা ব্যবিচারে লিপ্ত কেবল একজন ভাত-কাপড় আর মাথা গোঁজার ঠাই দেনে ওয়ালা স্বামী নাই বলে।

অথচ এরূপ একজন বিধবা ইয়াতিম সহ কেউ বিয়ে করে ভাত-কাপড়, মাথা গোঁজার ঠাই করে দিলে বিনিময়ে কি পাওয়া যায় দেখুনঃ হাদিস শরীফে এসেছে, “বিধবা ও মিসকিনের জন্য খাদ্য জোগাড়ে চেষ্টারত ব্যক্তি মহান আল্লাহ তা’য়ালার রাস্তায় জিহাদকারীর মতো অথবা রাতে ছ্বলাতে দণ্ডায়মান ও দিনে সিয়ামকারীর মতো” (বুখারি শরীফ ৫৩৫৩)।

এছাড়াও ‘চরম মূর্খতার কারণে বেশির ভাগ মানুষ বিধবা নারীর দ্বিতীয় বিয়েকে দোষের মনে করে। অথচ কখনো কখনো বিধবা নারীর জন্য দ্বিতীয় বিয়ে প্রথম বিয়ের মতো ফরজ। যেমন বিধবা যুবতী হলে, তার বিভিন্ন আচরণে বিয়ের চাহিদা প্রকাশ পেলে, বিয়ে না দিলে ফিতনার ভয় থাকলে, খাওয়া-পরার কষ্ট থাকলে, দারিদ্র্যের কারণে দ্বিন-ধর্ম ও সম্ভ্রম নষ্ট হওয়ার ভয় আছে - এমন নারীর জন্য দ্বিতীয় বিয়ে ফরজ। এমন অবস্থায় বিধবা নারী বিয়ে করতে না চাইলেও তার বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। (মুসলিম বর-কনে ইসলামী বিয়ে, পৃষ্ঠা ৬১ ও ৬৩) কারণ সন্তান প্রতিপালনের অজুহাতে মায়ের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করার সুযোগ নেই। মহান আল্লাহ পাক বলেন, “কোনো মাকে তার সন্তানের জন্য এবং কোনো পিতাকে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে না” (আল কুরআন ২/২৩৩)

লিখা লম্বা হয়ে যাচ্ছে, তাই শেষ করার আগে উপরোক্ত কুরআন হাদিসের আলোকে পাঠকদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে শেষ করছি, কোন মুসলমানের এই অধিকার ই নাই সে উলামায়ে ছু ব্যতীত কোন সাধারণ মুসলমানের দোষত্রুটি বলে বেড়াবে, কে মদ খেলো, কে গাঁজা, কে জেনা কে চুরি করলো, এইসব বলার অধিকার ই কোন মুসলমান রাখেনা অন্য সাধারণ মুসলমানের ব্যপারে। হাদিস শরীফে এসেছে, আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, মহান আল্লাহ তা’য়ালার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলিম হতে তার পার্থিব বহু দুঃখকষ্টের মধ্যে একটিও দূর করে দেবে, মহান আল্লাহ সেই ব্যক্তি হতে তার কিয়ামতের বহু দুঃখকষ্টের মধ্যে একটিকে দূরীভূত করবেন। যে (ঋণদাতা) ব্যক্তি কোন নিঃস্ব ঋণগ্রস্তকে অবকাশ (বা সহজ করে) দেবে, মহান আল্লাহ তার জন্য ইহকাল ও পরকালে (সবকিছু) সহজ করে দেবেন। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন মুসলিমের দোষত্রুটি গোপন করে নেবে, মহান আল্লাহ পাক তার দোষত্রুটিকে দুনিয়া ও আখেরাতে গোপন করে নেবেন। আর মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দার সহায় থাকেন যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকে। (আহমাদ ৭৪২৭, মুসলিম ৭০২৮, আবূ দাঊদ ৪৯৪৮, তিরমিযী ১৪২৫, ইবনে মাজাহ ২২৫, সহীহুল জামে’ ৬৫৭৭)।

অথচ এরা চাপে সকল মুসলিমদের দোষত্রুটি খুলে খুলে বর্ণনা করছে, এরা জানেই না কেউ জিনা করলে তাকে জেনাখুর, পতিতা বলার আগে তার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিতে হবে নিজ খরচে এর পরে তার ব্যপারে মন্তব্য করতে হবে, কাউকে নেশাখোর বলার আগে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে যা কিছু করা প্রয়োজন তা করতে হবে, সেটা পকেটের টাকায় বা মুখ/কায়ীক শ্রম দিয়ে, কাউকে বেপর্দা বলার আগে তাকে পর্দায় থাকার জন্য, ঘর, রিজিক, পোশাক এর দায়িত্ব নিতে হবে, কারো ইসলামিক বদ আক্বিদার জন্য তাকে কটু কথা বলার আগে তার পিছনে দিনের পর দিন ইসলামিক দাওয়াত দিয়ে সময় ব্যায় করে তারপর মন্তব্য করতে হবে, মুরিদের যাকাত-ছ্বদকার হারাম টাকায় ভূড়ি বানিয়ে কুয়ার মধ্যে থেকে মানুষের ব্যপারে গিবত, চোগলখুরি করার কোন লাইসেন্স কাউকেই আল্লাহ পাক দেন নাই। হেদায়েতের মালিক একমাত্র আল্লাহ পাক, কেউ হেদায়েত না পেলে এটা তার দুর্ভাগ্য, রাজারবাগি মুশরিকদের এই লাইসেন্স কে দিলো, সাধারণ ফকির, মিসকিন, গরীব মুসলামানকে নিয়ে মন্তব্য করার? কলিমা না পড়া আবু তালিবের ব্যপারেও মন্তব্য করার অধিকার যেখানে মুসলমানের নাই নবীর হাজারো অনুরোধের পরে, সেখানে কলিমা পড়া গুনাহগার মুসলিমদের ব্যপারে বলার অধিকার কেউ কিভাবে পায়?

এছাড়াও এই জাহিল মূর্খরা, সোহেল ভাইকে কালা কুত্তা বলে সম্বোধন করে পোষ্ট দিচ্ছে, কতো বড় মুরতাদ এরা-এদের পির, একজন মানুষ কোথায় জন্মাবে, তার চেহারা কেমন হবে, সে কোন রঙ্গের মুসলিম হবে, কতটুকু লম্বা, কতটুকু খাটো, কত পাতলা বা মোটা হবে এটা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাঁকের ব্যপার, উনিই নির্ধারণ করেছেন, আজকে এরা সোহেল ভাইকে আক্রমণ করতে গিয়ে সরাসরি আল্লাজিকে অপবাদ দিচ্ছে। আর এইযে নাম বিকৃতি করে সম্বোধন করে, এরা এদের পির এতো জাহিল যে কুরআন যদি অধ্যায়ন করতো তাহলে এরূপ করতনা, কারণ মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ (یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَسۡخَرۡ قَوۡمٌ مِّنۡ قَوۡمٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا خَیۡرًا مِّنۡهُمۡ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنۡ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُنَّ خَیۡرًا مِّنۡهُنَّ ۚ وَ لَا تَلۡمِزُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ وَ لَا تَنَابَزُوۡا بِالۡاَلۡقَابِ ؕ بِئۡسَ الِاسۡمُ الۡفُسُوۡقُ بَعۡدَ الۡاِیۡمَانِ ۚ وَ مَنۡ لَّمۡ یَتُبۡ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الظّٰلِمُوۡنَ) হে মু’মিনগণ! কোন পুরুষ যেন অপর কোন পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন মহিলা অপর কোন মহিলাকেও যেন উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিনী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করনা এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকনা; ঈমান আনার পর মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ। যারা এ ধরণের আচরণ হতে নিবৃত্ত না হয় তারাই যালিম। (আল কুরআন ৪৯/১১)

আরো হাজারো দলিল আমি উপস্থাপন করতে পারি এদের হক্বিকত প্রকাশে, কিন্তু এরা এগুলিই সহ্য করতে পারবেনা। যাইহোক, এরা যেহেতু গুমরাহ যেহেতু সেহেতু কুরআন হাদিস, দলিল প্রমান, যুক্তি কোন কিছুতেই এরা ফিরবেনা, তবে আপনারা যারা এখনো কুফুরিস্থানে তাদের ফাঁদে পা দেন নাই, তারা সাবধান থাকবেন।

অনিচ্ছাকৃত সকল অপরাধের বিপরীতে নবিজী ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে আল্লাজির নিকট ক্ষমা চাই, মহান আল্লাহ পাক মাফ করুন আমিন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুনঃ

এডমিন

আমার লিখা এবং প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বে আইনি।

0 ফেইসবুক: