Saturday, October 28, 2023

জায়ানিষ্ট উগ্র ইহুদী কতৃক ফিলিস্থিনে গণহত্যার বিপরীতে নিশ্চুপ কেন কথিত মুসলিম দেশের নেতারা?

মহান আল্লাহ তা’য়ালা মানুষের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেনঃ (لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِیۡۤ اَحۡسَنِ تَقۡوِیۡمٍ) নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম আকৃতিতে (আত ত্বীন ৯৫/৪) অতএব উক্ত আয়াত শরীফ থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে স্রষ্টার নিকট সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টিই হচ্ছে মানুষ অথবা ইনসানঅর্থাৎ মানুষই হচ্ছে “আশরাফুল মাখলুকাত” কিন্তু সকল মানুষই কি তাহলে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি? এর উত্তর হলো না, এর কথাও মহান আল্লাহ পাক স্পষ্ট করেই এর পরের আয়াত শরীফে বলে দিয়েছেনযেমনঃ (ثُمَّ رَدَدۡنٰهُ اَسۡفَلَ سٰفِلِیۡنَ) অপরদিকে তাকেই আমি করেছি নিকৃষ্টদের চেয়েও অতি নিকৃষ্টরূপে (তার কুফর, তার অন্যায়, অত্যাচার, যুলুম নির্যাতনের ফলে) (আত ত্বীন ৯৫/৫)

আজকে ইসরাঈল ও ফিলিস্থিনের দিকে তাকালেই উক্ত আয়াত শরিফদ্বয়ের হাক্বিকত বোঝা যায়, যে মজলুম নিরীহ নিস্পাপ (اَحۡسَنِ تَقۡوِیۡمٍ) এর অধিকারী শিশুদের নির্বিচারে নৃশংসভাবে হত্যার বিভীষিকাময় ফুটেজ আর কিশোরী যুবতী নারীদের উপর চলা পাশবিক নির্যাতন, এমনকি চামড়া কুঁচকে যাওয়া বয়স্ক মহিলাদেরও যারা ছাড়া দিচ্ছেনা, ছাড় দিচ্ছেনা তাদেরই আক্রমণের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে থাকা হাত হারানো, পা হারানো মাজুর মুসলমানদের দিকে তাকালেমহান আল্লাহ পাক যে বল্লেন (اَسۡفَلَ سٰفِلِیۡنَ) অর্থাৎ নিচ থেকেও নিচু, নিকৃষ্টের চেয়েও নিকৃষ্ট এই মানুষই আবার মহান আল্লাহ তায়ালা উনার আশ্রাফুল মাখলুকাত হয়েও, আর এটা বর্তমানের ফিলিস্থিনের নিরীহ, শিশু, কিশোরী, যুবতী আবাল বৃদ্ধাদের করুণ পরিণতির দিকে তাকালেই একেবারে স্পষ্ট হয়ে যায়

এবার আসি এই নিকৃষ্ট সন্ত্রাসী, যালিম, অত্যাচারী ইহুদীদের ব্যপারে মহান আল্লাহ পাক সরাসরি স্পষ্টভাবে কি বলেছেন পবিত্র আল কুরআনের মধ্যে, যা অধিকাংশ মুসলিম হয়তো জানেও না, তিনি বলেনঃ (وَ لَنۡ تَرۡضٰی عَنۡکَ الۡیَهُوۡدُ وَ لَا النَّصٰرٰی حَتّٰی تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمۡ ؕ قُلۡ اِنَّ هُدَی اللّٰهِ هُوَ الۡهُدٰی ؕ وَ لَئِنِ اتَّبَعۡتَ اَهۡوَآءَهُمۡ بَعۡدَ الَّذِیۡ جَآءَکَ مِنَ الۡعِلۡمِ ۙ مَا لَکَ مِنَ اللّٰهِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیۡرٍ) আর ইহুদী ও নাসারাগণ আপনার প্রতি কখনোই সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না আপনি তাদের ধর্মের অনুসারী হয়ে যাবেন(পেয়ারে হাবীব ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম, বরং) আপনি তাদের বলে দিন, নিশ্চয় মহান আল্লাহ তায়ালা উনার হেদায়াতই প্রকৃত হেদায়াতআর যদি আপনার কাছে (কিতাব আল কুরআনের) ইলম আসার পরও আপনার উম্মত তাদের প্রবৃত্তির (অর্থাৎ তাদের নফসের কুফরী চাওয়া পাওয়ার) অনুসরণ করে, তাহলে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার তরফ থেকে তাদের জন্যে (দুনিয়া ও আখিরাতে) কোন অলী থাকবে না, না থাকবে কোন সাহায্যকারী(ছুরা বাক্বারা ২/১২০) অতএব নির্দেশ ক্রিস্টাল ক্লিয়ার, কোন অবস্থায় ইহুদী ইসরাঈল, নাছারা ইউরোপ আমেরিকাসহ কোন ইহুদী-নাসারা নেতা, আলীমের খেয়াল-খুশির, চাওয়া পাওয়ার অনুসরণ করাই যাবেনা, যে করবে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে তার আর কোন সম্পর্কই থাকবেনা, না সে কোন অলি পাবে দুনিয়া আখিরাতেমুসলিমদের উপর এটাই ফরজ যে, সে যখন দেখবে কোন ইহুদী নাছারার নেতা বা তাদের কোন আলীম কোন মুসলিম সঙ্ঘটনকে সন্ত্রাসী বলতেছে, তাহলে বুঝে নিতে হবে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে ১৪০০ বছর আগেই তাদের ব্যপারে এর ঠিক ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত আক্বিদাহ রাখতে হবে বলে মহান আল্লাহ পাক নির্দেশ দিচ্ছেনঅর্থাৎ আজকে যখন ইহুদী ইসরাঈল সরকার, ইউরোপ আমেরিকান নাছারা সরকার হামাসকে সন্ত্রাসী সঙ্ঘটন বলে ঘেউঘেউ করছে তখন আমাদেরকে তাদের মুক্তিকামী ফিলিস্থিনিই মেনে নিতে হবে হে কলিমায় বিশ্বাসী, আপনি একজন মুসলিম দাবীদার? আপনার সাথে আপনার কোন দ্বীনি ভাইয়ের আক্বিদাহগত ইখতিলাফ রয়েছে? এই সুযোগে ইহুদী নাছারা তাদের দালালদের দ্বারা আপনাদের দিয়ে তাদেরকে তাদের খেয়াল-খুশির অনুসারী যেনো না বানিয়ে ফেলে, আপনার কলিমার অনুসারী আপনার সাথে আমল-আক্বিদায় ইখতিলাফ রাখা কাউকে আপনি ফতোয়া দিবেন, অবশ্যই অবশ্যই তবে তা যখন দেওয়ার প্রয়োজন হবে, কিন্তু ভুলেও আজকে ইহুদী নাছারাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে দিতে যাবেন না, যখন মজলুমের বিপরীতে তারা জ্বিহাদ করছে, তখন তাদের উপর অনলাইনে অফলাইনে ফতোয়া মেরে তাগুতের বান্দা হয়ে যাবেন নাকারন খোদ ইহুদী-নাছারাদের ব্যপারেও মহান আল্লাহ পাক, তিনি উনার নবী রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লামকে এইভাবেই নির্দেশ দিয়েছিলেনঃ (قُلۡ یٰۤاَهۡلَ الۡکِتٰبِ تَعَالَوۡا اِلٰی کَلِمَۃٍ سَوَآءٍۢ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکُمۡ اَلَّا نَعۡبُدَ اِلَّا اللّٰهَ وَ لَا نُشۡرِکَ بِهٖ شَیۡئًا وَّ لَا یَتَّخِذَ بَعۡضُنَا بَعۡضًا اَرۡبَابًا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ؕ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَقُوۡلُوا اشۡهَدُوۡا بِاَنَّا مُسۡلِمُوۡنَ) আপনি তাদের বলে দিন, হে আহলে কিতাবীগণ, এসো আমরা এমন এক কথায় (একমত হই) যা আমাদের কাছে এক (ও অভিন্ন), আমরা উভয়েই মহান আল্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবো না এবং উনার সাথে অন্য কিছুকে শরীক করবো না, (সর্বোপরি) মহান আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আমরা আমাদের মাঝেও একে অপরকে রব হিসেবে মেনে নেবো না; অতপর তারা যদি (এ থেকেও) মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে আপনি তাদের বলে দিন, তোমরাই সাক্ষী থেকো, নিশ্চয় আমরা (আত্ম-সমর্পণকারী) মুসলিম(আলে ইমরান য়ালাইহিছ ছালাম ৩/৬৪) অতএব একেবারেই ক্রিস্টাল ক্লিয়ার হয়ে গেলো, যারা শিরক থেকে মুক্ত থাকবে, মহান আল্লাহ পাক উনারই ইবাদত করবে, তাদের সাথে মিলেমিশে চলতে হবে, সেখানে ইহুদী নাসারাদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে তাদের মনস্পুত নয় বলে অনলাইনে অফলাইনে আপনি ফতোয়া মেরে বেড়াবেন হামাস বা যেকোন মুক্তিকামী কলিমার অধিকারীকে এর কোন লাইসেন্স আপনাকে দেওয়া হয়নি, অতএব তাওবা করে নিন, নিজেকে সংশোধন করুণ, আর মনে রাখবেন আসমানের নিচে যত মানুষ বিদ্যমান, এদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট আর নিচ কিন্তু এই উগ্রপন্থী ইহুদী ও মুশরিকদেরই বলা হয়েছেএর পরেও অনেক মুসলিম ভাবে যে এদের সাথে মিলেমিশে চললেই এরা ঠিক হয়ে যাবে, আমাদের মতো মন মানষিকতার হয়ে যাবে, একত্রে মিলে মিশে থাকবে, কিন্তু না কস্মিনকালেও না এরূপ চিন্তা করাই কুফরি, কুফফার কখনোই তা করবেনা, আর এটা আমার কথা নয়, খোদ মহান আল্লাহ তায়ালা উনারই কথা, তিনি বলেনঃ (لَتَجِدَنَّ اَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَۃً لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوا الۡیَہُوۡدَ وَ الَّذِیۡنَ اَشۡرَکُوۡا) (পেয়ারে হাবীব ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম) অবশ্যই আপনি মুমিনদের ব্যপারে (সমস্থ) মানুষের মধ্যে শত্রুতায় অধিক হিংস্র হিসেবে প্রথমেই পাবেন ইয়াহূদীদেরকে অতঃপর মূর্তিপূজারীদেরকে(ছূরাহ মায়েদাহ ৫/৮২) মহান আল্লাহ পাক উনার বাণী যে লাখো কোটি% সত্য তা একেবারে স্পষ্ট হয়ে যাবে আজকে ফিলিস্থিনের মজলুম, নির্যাতিত, যুলুমের স্বীকার নিরীহ, শিশু, কিশোরী, যুবতী আবাল বৃদ্ধাদের করুণ পরিণতির দিকে তাকালেই, ইতিহাসের কোন্ কিতাব পাঠ করার আর দরকারই পড়বেনা এইসব ইস্রায়েলি জায়ানিষ্ট ইহুদী ও ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দিকে তাকালে

এর পরেও যারা মুসলিমদের লেবাস পরে ইহুদী নাছারাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে মুক্তিকামী ফিলিস্থিনি মজলুমদের পক্ষে আওয়াজ তুলছে, প্রতিবাদ করছে, তাঁদেরকে সন্ত্রাসী বলছে তাদের উচিৎ ইসলামিক ইতিহাস ঘাটানোদ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফতের সময় যখন পারস্যে জ্বিহাদ পরিচালনা করা হয় তখন মুসলিম মুজাহিদ বাহিনীর সাথে একদল নাছারাও ছিলো সেই জ্বিহাদে মজুসী অগ্নিপূজারীদের বিরুদ্ধে, তখন লক্ষ লক্ষ সাহাবীদের মধ্যে থাকা শত শত মুহাদ্দিস সাহাবীদের কেউও তাদের ফতোয়া মারেন নাইদ্বীন কেউ উনাদের চেয়ে বেশী বুঝে এই দাবি করে তার কথায় ও কাজে প্রমান করতে চাইলে সে নিস্বন্দেহে পথভ্রষ্ট গুমরাহ

অথচ বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি আমরা ইসলাম বিরোধী উগ্রপন্থী ইউরোপিয়ান আমেরিকান পলিটিশিয়ানদের ডোয়েল ষ্ট্যাণ্ডার্ড দেখি তাহলে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হবে, যেমন আমেরিকান হোয়াইট হাউজ বলতেছে (no red lines for israel) এর মানে কি? এর মানে বুঝতে হলে আমাদেরকে আজ থেকে ১২/১৩ বছর পুর্বে ফিরে যেতে হবে, যখন বারাক অবামা ছিলো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। 

আমারিকার অন্যতম শত্রু ইরানপন্থী বাশার আল আসাদের কারণে সিরিয়ায় যখন গৃহযুদ্ধ শুরু হয় তখন সাধারণ মানুষের উপর সে আক্রমণ চালিয়েছিলো, মানুষ যখন বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করা শুরু করে, তখন বাশার আল আসাদ যেনো লাল দাগ ক্রস না করে এই হুমকি দেয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক অবামা, অর্থাৎ তুমি সাধারণ মানুষের উপর কোন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেনা, করলে তা আমাদের দেওয়া লাল দাগ ক্রস করা হবে, এরূপ কাজ করলে আমরা সিরিয়া ঢুকে তোমার রাজত্বকে তছনছ করে দেব, কিন্তু বাশার আল আসাদ সেখানে অসংখ্যবার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলেও কেউ কিছু বলেনি বরং চুপ ছিলোঅথচ সেই একিই আমেরিকান হোয়াইট হাউজ আজ বলতেছে (no red lines for israel) অর্থাৎ তোমরা যেমন খুশী, হামাসের চুল ছিড়তে না পারলেও রাসায়নিক অস্ত্র, পারমানবিক অস্ত্র, পাশবিক নির্যাতন, যুলুম যা মনে চায় করতে পারো নিরীহ সাধারণ ফিলিস্থিনি নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের উপর

এর পরেও ঘুম ভাঙ্গেনা মুসলিম উম্মাহর ঠিকাদার দাবীদার নেতা, ইমাম, পির, মুল্লা ও তাদের অনুসারীদেরকতটা মুসলিম দেশ আজ বয়কট করেছে ইস্রায়েলি পন্যকে? অথচ হাদিছ শরীফে কি এসেছে? আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন আমি রছুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছিঃ (مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ) তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোনো অন্যায়/গর্হিত কাজ হতে দেখবে, সে যেনো তা তার নিজ হাত দ্বারা প্রতিহত করেযদি (তাতে) ক্ষমতা না রাখে, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা (উপদেশ দিয়ে হলেও পরিবর্তন করে)যদি (তাতেও) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তর দ্বারা (ঘৃণা করে)আর এটাই হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান(বুখারী শরীফ ৯৫৬, মুসলিম শরীফ ৪৯, তিরমিযী শরীফ ২১৭২, নাসায়ী শরীফ ৫০০৮, ৫০০৯, আবূ দাউদ শরীফ ১১৪০, ৪৩৪০, ইবনু মাজাহ শরীফ ১২৭৫, ৪০১৩, মুছনাদে আহমাদ শরীফ ১০৬৮৯, ১০৭৬৬, ১১০৬৮, ১১১০০, ১১১২২, ১১১৪৫, ১১৪৬৬, দারেমী শরীফ ২৭৪০১)এখন মুসলিম উম্মাহ কি তাদের নুন্যতম ঈমান বিদ্যমান রয়েছে এটা প্রমান দিয়েছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইহুদী নাসারা ও মুশরিকদের শুরু করা ফিলিস্তিনের উপর চলিত ক্রুসেডে? তুমি ক্রুসেড মনে না করলেও কিছুই যায় আসেনা তাদের, তারা এটাকে ক্রুসেডই মনে করছে, কারন এই গণহত্যার মূলেই কিন্তু কলিমা ও আল আক্বছা শরীফ, মুসলমানদের পুণ্যভূমি ফিলিস্থিনকে নিজেদের দখলে নেওয়াই তাদের মূল উদ্যেশ্য যে ভাই ও বোনেরা আজ শহীদ হচ্ছে এদের অপরাধ এরা মুসলিম, এরা উম্মতে রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম, এরা মুসলিম, এরা যদি আজ দ্বীন ইসলাম ত্যাগ করে ইহুদী হয়ে যেত, তাহলে এদের উপর কি ইহুদীরা বোমা বর্ষন করতে পারতো? না কস্মিনকালেও না।

আজ মুসলিম দাবীদার ৫৭ টি দেশ কিন্তু নির্যাতিত, নিপীড়িত নিরীহ মুসলিম ফিলিস্থিনিদের পক্ষে কে কতটুকু সরব? মহান আল্লাহ পাক তিনি কি আদেশ করেন নাই এরূপ পরিস্থিতিতে মুসলিম নেতারা কি করবে? দ্বীনের ঠিকাদার দাবীদারেরা কি করবে? (وَ مَا لَکُمۡ لَا تُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ الۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الرِّجَالِ وَ النِّسَآءِ وَ الۡوِلۡدَانِ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡ هٰذِهِ الۡقَرۡیَۃِ الظَّالِمِ اَهۡلُهَا ۚ وَ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ وَلِیًّا ۚۙ وَّ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ نَصِیۡرًا) (এই মুসলমানেরা) তোমাদের এ কি হয়েছে (আজ), (কেনো) তোমরা মহান আল্লাহ তা’য়ালা উনার পথে ঐসকল মজলুম নর-নারী ও (দুস্থ) শিশুদের (বাঁচাবার) জন্যে জ্বিহাদ করছনা, যারা (এই বলে আমার নিকট) ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের প্রতিপালক, যালেমদের এই জনপদ থেকে আপনি আমাদের বের করে নিন, অতঃপর আপনিই আমাদের জন্যে আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক বানিয়ে দিন, আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে একজন সাহায্যকারী বানিয়ে দিন! (ছুরা নিছা ৪/৭৫)

উক্ত আয়াত শরীফকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করে উলামায়ে আহলে সুন্নতগণ বলেছেন, পৃথিবীর কোন জনপদে মুসলমানরা যদি এই ধরনের যুলুম-অত্যাচারের শিকার হয় এবং কাফেরদের বেষ্টনে অবরুদ্ধ থাকে, তাহলে তাদেরকে কাফেরদের যুলুম-অত্যাচার থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জিহাদ করা অন্য মুসলিমদের উপর ফরয হয়ে যায়এটা হল জিহাদের দ্বিতীয় প্রকারআর প্রথম প্রকার হল, মহান আল্লাহ তায়ালা উনার দ্বীন প্রতিষ্ঠা, প্রচার-প্রসার এবং উহাকে জয়যুক্ত করার জন্য জিহাদ করা কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় মুসলিম নেতারা ঘুমিয়ে থাকলেও অনেক অমুসলিম দেশ ও তাদের নেতারা ফিলিস্থিনিদের পক্ষে এতো বেশী সরব যে তাদের প্রশংসা ও পরিচিতি উল্লেখ না করে পারা যাচ্ছেনা, যেমন আইরিশ তথা আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী এমপি সহ আরো অনেক অমুসলিম দেশের মানুষের বাচ্চারাও এতে শামিল, যা নিচের ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে

            

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুনঃ

এডমিন

আমার লিখা এবং প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বে আইনি।

0 ফেইসবুক: