পৃথিবীর যে সকল মাদ্রাসার সাইনবোর্ডে ‘দারুল উলুম’ লিখা দেখবেন, সেটা ভারত, পাকিস্থান বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোন দেশ হোক, সকল দারুল উলুম দেবন্দীদের আক্বীদা এক, সেইসব মাদ্রাসায় নিম্নে বর্নিত এরূপ আকিদাহ শিক্ষা দেওয়া হয়, মানা হয়, ইস্তিকামত থাকা হয়। (প্রথমে এইলিখাটা পড়ে আসুন, গুস্তাখে রছুলের মাক্বাম কত ভয়ানক আর জঘন্য, গোস্তাখী এমন জিনিষ যারকোন মাফ নাই)
(১) মহান আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা মিথ্যা বলতে পারেন। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৯। রশিদ আহমদ গাংগুহী, তালিফাত রশিদিয়া, কিতাবুল আক্বাইদ অধ্যায়, পৃষ্ঠা ৯৮। খলীল আহমদ আম্বেটী, তাজকিরাতুল খলীল, পৃষ্ঠা ১৩৫। মেহমুদ হাসান, আল-জিহাদুল মুগিল, পৃষ্ঠা ৪১।)
(২) মহান আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা উনার বান্দা ভবিষ্যতে কি করবে না করবে তা আগে থেকে তিনি বলতে পারেন না। বান্দা কর্ম সম্পাদনের পর মহান আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তা জানতে পারেন। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ হুসাইন আলী, তাফসীরে বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৮।)
(৩) রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম উনার জ্ঞানের চেয়ে শয়তান ও হযরত আযরাঈল য়ালাইহিছ ছালামের জ্ঞান বেশী। (নাঊযুবিল্লাহ)। (দলীলঃ খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ৫১।)
(৪) রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম উনার ভাগ্য সম্পর্কে জানতেন না এমনকি দেয়ালের ওপাশ সম্পর্কেও না। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ৫১।)
(৫) রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম উনার যদি কিছু ইলমে গায়েব থেকেও থাকে তাহলে এতে উনার বিশেষত্ব কী? এমন ইলমে গায়েব তো সকল চতুষ্পদ জন্তু, পাগল ও শিশুরও আছে। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ আশরাফ আলী থানভী, হিফজুল ঈমান, পৃষ্ঠা ৭।)
(৬) “ইয়া রসূলুল্লাহ” বাক্যটি কুফরি বাক্য। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া।)
(৭) সাধারণ মানুষের কাছে রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম খতামুন নাবিয়্যীন হলেও বুযুর্গ ব্যক্তির কাছে নয়। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা ৩।)
(৮) রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম আগে বা সর্বশেষে আসার মধ্যে কোন ফযিলত নেই। ফযিলত হলো মুল নবী হওয়ার মধ্যে। উনার পরে যদি এক হাজার নবীরও আগমন মেনে নেয়া হয় তাতেও রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম এর খতমে নবুওয়্যাতের কোন রূপ বেশ-কম হবে না। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা ২৫।)
(৯) রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম দেওবন্দের উলেমাদের কাছ থেকে উর্দূ ভাষা শিখেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ খলীল আহমদ আম্বটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ২৬।)
(১০) একজন নবীর জন্য সকল মিথ্যা থেকে মুক্ত ও নিস্পাপ হওয়ার প্রয়োজন নেই। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ কাশেম নানুতুবী, শফীয়াতুল আক্বাইদ, পৃষ্ঠা ২৫।)
(১১) রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লামকে তাগুত (শয়তান) বলা যায়। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ হুসাইন আলী, তাফসীর বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ৪৩।)
(১২) আমলের মাধ্যমে নবী-রসূলের চেয়ে নবী-রসূলগণের উম্মত মর্যাদাবান হয়। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা ৫।)
(১৩) আমি রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লামকে পুলসিরাত থেকে পড়া থেকে রক্ষা করেছি। (নাঊযুবিল্লাহ) (হুসাইন আলী, তাফসীর বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ৮।)
(১৪) কালিমা শরীফ-এ “লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রছুলুল্লাহ” এর পরিবর্তে “লা ইলাহা ইল্লালাহু আশরাফ আলী রছুলুল্লাহ” এবং দরূদ শরীফ-এ “আল্লাহুম্মা ছল্লি য়ালা ছাইয়্যিদিনা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ” এর পরিবর্তে “আল্লাহুম্মা ছল্লি য়ালা ছাইয়্যিদিনা নাবিয়্যিনা আশরাফ আলী” পড়লে কোন ক্ষতি হবে না। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ আশরাফ আলী থানভী, রিসালা আল ইমদাদ, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫।)
(১৫) রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লামের বিলাদত শরীফ (দুনিয়াতে আগমন) উপলক্ষে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা আর হিন্দুদের দেবতা কৃষ্ণের জম্ম দিন পালন করা একই। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ১৪৮।)
(১৬) রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লামের বিশেষত্ব দাজ্জালের মত। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ কাশেম নানুতুবী, আবে হায়াত, পৃষ্ঠা ১৬৯।)
(১৭) রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম আমাদের বড় ভাই এবং আমরা উনার ছোট ভাই। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ৩।)
(১৮) দুরুদে তাজ মূল্যহীন এবং এটি পাঠ করা নিষিদ্ধ। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ রশিদ আহমদ গাংগুহী, তাজকীরাতুর রশীদ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১১৭। জাকারিয়া কান্দালভী দেওবন্দী, ফাজায়েলে আমল, পৃষ্ঠা ৫২-৫৩।)
(১৯) মীলাদ শরীফ, মীরাজ শরীফ, ফাতিহা খাওয়ানী, চেহলাম, সোয়েম এবং ঈছালে ছ্বওয়াব সমস্ত আমল শরীয়ত বিরোধী, বিদায়ত এবং কাফের-হিন্দুদের রেওয়াজ। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১৪৪ এবং ১৫০। রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৩-৯৪।)
(২০) স্থানীয় “কাক” খাওয়া ছ্বওয়াবের কাজ। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১৩০।)
(২১) হোলী ও দিওয়ালীর ভোগ খাওয়া এবং উপহার গ্রহণ করা সওয়াবের কাজ। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১২৩।)
(২২) হিন্দুদের সুদের টাকা দ্বারা নির্মিত পানির চৌবাচ্চা (সাবীল) থেকে পানি পান করা জায়িয ও অধিক সওয়াবের কাজ। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১১৩-১১৪।)
(২৩) রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া।)
(২৪) কোন কিছু ঘটানোর জন্য রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম ইচ্ছা পোষণ করার গুরুত্ব নেই। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ কাশেম নানুতুবী, আবে হায়াত, পৃষ্ঠা ১৬৯।)
(২৫) নবী-রসূলদের মোজেজার চেয়ে যাদুকরদের যাদু সর্বোকৃষ্ট হতে পারে। (নাঊযুবিল্লাহ) (দলীলঃ রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৫।)
(২৬) যে বলবে রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম হাজির-নাযির সে কাফির। (নাঊযুবিল্লাহ) (গোলামুল্লাহ খান, যাওয়াহিরুল কোরান।)
আর এদিকে তাদেরই এক দল প্রচলিত ছয় উছুলী ইলিয়াস মেওয়াতীর অনুসারী তাবলীগওয়ালারা মানুষকে কুফরী আক্বীদা শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে তাবলীগের নামে। অবশ্য কথিত ছুন্নীরা যখন দ্বীন প্রচার রেখে মাজার ব্যবসা আর খানকায় মুরিদের টাকায় লাক্সারী জীবনকেই তাসাউফ হিসেবে সাব্যস্থ করে ফেলেছে তখন তো এরূপ হবেই।
১) যাইহোক তাদেরও কিছু কুফরী আক্বীদাও উল্লেখ করা হলোঃ “মালফুযাত’এর ৪৩ পৃষ্ঠার ৪২ নম্বর মালফুযে, ‘নবুওয়ত’ ও ‘মাওলানা ইলিয়াছ’ নামক কিতাবের ৩০-৩২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, “মুসলমান দু’প্রকার-একদল প্রচলিত তাবলীগের জন্য হিজরত করবে, দ্বিতীয় দল নুছরত বা সাহায্য করবে, এ দু’দলই মুসলমান। অর্থাৎ যারা প্রচলিত তাবলীগও করবে না আর তাবলীগকারীদেরকে সাহায্যও করবে না, তারা মুসলমান নয়।” নাউযুবিল্লাহ! (তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব লেখক- মাওলানা ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী পৃষ্ঠা ১৭৪, দাওয়াতে তাবলীগ কি ও কেন? লেখক- মাওলানা ওবায়দুল হক পৃষ্ঠা ২১, হযরতজীর কয়েকটি স্মরণীয় বয়ান ২য় খ- পৃষ্ঠা ১১)
২) প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের সমর্থনপুষ্ট প্রায় কিতাবেই একথা লেখা আছে যে, নবী য়ালাইহিমুছ ছালামগণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভুল করেছিলেন। যেমনঃ- হযরত আদম য়ালাইহিছ ছালাম তিনি গন্দম খেয়ে ভুল করেছিলেন ও হযরত ইউনুছ য়ালাইহিছ ছালাম তিনি দাওয়াত না দিয়ে ভুল করেছিলেন ইত্যাদি ইত্যাদি। নাউযুবিল্লাহ! (মালফুযাতে শায়খুল হাদীস পৃষ্ঠা ২৩১, তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব লেখক- মাওলানা ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী পৃষ্ঠা ৬১।)
৩) হযরত ইউনুছ য়ালাইহিছ ছালাম উনার সম্পর্কে প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের লোকদের আক্বীদা হলো যে, “দাওয়াত বন্ধ করার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইউনুস য়ালাইহিছ ছালাম উনাকে গযবে ফেলিলেন।” “হযরত য়ালাইহিছ ছালাম তিনি মাছের পেটে ৪০ দিন আবদ্ধ থাকিয়া নিজ ত্রুটি স্বীকার করিয়া তওবা করিবার কারণে বিপদ হইতে উদ্ধার পাইলেন।” নাউযুবিল্লাহ! (তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব লেখক- মাওলানা ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী পৃষ্ঠা ৬২ ও ৮৯)
৫) প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের লোকেরা আরও বলে থাকে যে, রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম তিনি গারে হেরায় চিল্লা দেয়ার অসিলায়ই আল কুরআন ও নুবুওয়্যাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। যেমন এ প্রসঙ্গে তাদের কিতাবে বিবৃত হয়েছে- “রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম তিনি ৪০ দিন পর্যন্ত ‘গারে হেরা’ পর্বতে থাকিয়া মহান আল্লাহ তায়ালা উনার ধ্যান ও যিকিরে চিল্লা দিলেন, যাহার ফলে তিনিও কুরআন ও নুবুওওয়াত প্রাপ্ত হইলেন।” নাউযুবিল্লাহ! (তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব লেখক- মাওলানা ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী পৃষ্ঠা ৮৯)
৬০ মাওলানা ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী লিখিত ‘তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব’ নামক কিতাবের ৯৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, “লক্ষাধিক ছ্বহাবায়ে কিরাম রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে অধিকাংশই মূর্খ ছিলেন।” নাউযুবিল্লাহ! (শরীয়তের দৃষ্টিতে তাবলীগী নেছাব, লেখক মাওলানা জাকারিয়া সাহেব পৃষ্ঠা ১৩, তাবলীগী জামায়াতের প্রধানের তর্ক ও ইচ্ছা পৃষ্ঠা ৮।)
৭) প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের লোকেরা বলে থাকে যে, হিদায়েতের ক্ষেত্রে মূর্খরাই সমধিক উপযুক্ত। যে ক্ষেত্রে নবীগণ এবং আলেমরা ফেল করে, সেখানেও মূর্খরা কৃতিত্ব দেখায়। নাউযুবিল্লাহ! এ প্রসঙ্গে মাওলানা ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী লিখিত ‘তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব’ নামক কিতাবের ১১৬ পৃষ্ঠায় একথা লেখা আছে যে, “অনেক স্থানে নবীগণ পর্যন্ত হিদায়েতে বিরাট সঙ্কটে ও বিপদে পড়িয়াছিলেন, তাই অনেক স্থানে বিরাট আলেমও ফেল পড়িতেছে। কিন্তু মূর্খগণ তথায় দ্বীন জয় করিতেছে।” নাউযুবিল্লাহ! এ ধরনের আরও বহু কুফরী বক্তব্য ও আক্বীদা তাদের কিতাবে রয়েছে।
অতএব, এই সকল লোকদের কুফরী আক্বিদা কতই না জঘন্য। নিশ্চয়ই তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী। আমাদের সমাজে এখন এই সকল কুফুরী আক্বিদা পোষনকারী লোকদের অনুসারীর অভাব নাই। আমাদের জানা নাই, তারা আদৌ কি তাদের এই সকল মান্য-গন্য মুরুব্বীদের কুফুরী সম্পর্কে অবগত আছেন কিনা? আশা করি, তাদের এই সকল কুফুরী আক্বিদাসমূহ পড়ার পর, যদি তারা সত্যিকারের মুছলমান হয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই তাদের সান্নিধ্য ত্যাগ করবেন। এবং অন্যদেরকেও তাদের সান্নিধ্য ত্যাগ করতে সহায়তা করবেন। মহান আল্লাহ ছুবাহানাহু ওয়া তা’য়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। (আমিন)
এই ভিডিওতে পাকিস্থানের এক আলীমের লাইভ দলিল কিতাব থেকে দেখে নিতেও পারেন যাদের উপরোক্ত দলিলে পোষাচ্ছেনাঃ
0 ফেইসবুক: