Sunday, August 21, 2022

রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের শানে গোস্তাখীর পরিণতি

এরা দেশি বিদ্বেষী কিছু নামধারী বক্তা যারা তাদের বয়ানে বিভিন্ন সময় গোস্তাখী প্রকাশ করেছে

ইহুদী, নাসারা, কাফের মুশরিকদের কথা বাদ দিলাম। যারা মুসলিম হয়েও “গোস্তাখে রসূল” হয় তারা কতটা দুর্ভাগ্যবান তা বলে বোঝানো যাবেনা। অনেকে আবার নিজেকে আলীম দাবী করে অথচ গোস্তাখীতে লিপ্ত, শুধু যে সে একাই গোস্তাখীতে লিপ্ত এরূপ না, কেউ যদি তাদের গোস্তাখী প্রকাশ করে তাওবা করতে বলে, তাহলে তারা তা না করে উল্টো মুমিন আশিকে রসূলদের পিছে তাদের অন্ধ অনুসারীদের লাগিয়ে দেয়, যারা মুসলমানদের এমনভাবে গালিগালাজ করে তাদের শায়েখ বা বাবাদের বাঁচাতে, যে কেউ মনে করবে গালিগালাজই জ্বিহাদ, নাউযুবিল্লাহ!!! অথচ হাদিস শরীফে এসেছে মুসলমানদের গালিগালাজ করা ফাসেকি (سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ)। আর আল্লাহ পাঁক কুরআনের বলছেন (وَ اللّٰہُ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الۡفٰسِقِیۡنَ) তিনি ফাসেকদের হেদায়েত দান করেন না যদিও তারা সবাই ফাসেক হয়ে যায়।

আল কুরআনের যে কয়টা আয়াত শরীফকে আমি যমের চেয়েও ভয় পাই তার মধ্যে এটি অন্যতম। মহান আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا لَا تَرْفَعُوٓا أَصْوٰتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِىِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُۥ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمٰلُكُمْ وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ) হে ঈমানদারগণ, (তোমরা যখন কথা বলো তখন) তোমাদের আওয়াজ যেনো (আমার) নবী ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম উনার আওয়াজের চেয়ে উর্ধ্বে না যায়। এবং (তোমরা) নিজেদের মধ্যে একে অপরের সাথে যেভাবে উচ্চস্বরে (বা আদব ছাড়া) কথা বলো, অনুরূপ ভাষায়ও কথা বলনা; এমন যেনো কখনো না হয় যে তোমাদের সকল নেক আমল বা ইবাদত (শুধুমাত্র এই কারনেই) বরবাদ করে দেওয়া হবে, অথচ তোমরা তা জানতেও পারবেনা। (আল কুরআন ৪৯/২)

তাফসীরঃ এ আয়াতটি হযরত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালামের ব্যাপারে নাযিল হয়। হযরত আবূ মুলাইকা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল যে, দুই মহান ব্যক্তি অর্থাৎ আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালামের যেন প্রায় ধ্বংসই হয়ে যাবেন এই আয়াত শোনার পরে, যেহেতু উনারা রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের সামনে উনাদের কণ্ঠস্বর উঁচু করেছিলেন যখন বনী তামীম গোত্রের প্রতিনিধি হাযির হয়েছিল। তাদের একজন হযরত হাবিস ইবনে আকরার রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর প্রতি ইঙ্গিত করেন এবং অপরজন ইঙ্গিত করেন অন্য একজনের প্রতি। তখন হযরত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালামকে বলেনঃ “আপনি তো সব সময় আমার বিরধিতাই করে থাকেন?” উত্তরে হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস হযরত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালামকে বলেনঃ “এটা আপনার ভুল ধারণা” এই ভাবে উভয়ের মধ্যে মতানৈক্য হয় এবং উনাদের কণ্ঠস্বর উঁচু হয়ে যায়। তখনই এই আয়াতটি নাযিল হয়।

এখানে সেই আদব, শ্রদ্ধা, ভক্তি ও মর্যাদা-সম্মানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে, যা প্রত্যেক মুসলিমকে রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের জন্য নিবেদন করতে হয়। প্রথম আদব হল, উনার উপস্থিতিতে যখন তোমরা আপোসে কথোপকথন কর, তখন তোমাদের কণ্ঠস্বর যেন উনার কণ্ঠস্বরের উপর উঁচু না হয়ে যায়। যারা রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের মজলিসে ওঠাবসা ও যাতায়াত করতেন তাদেরকে এ আদব-কায়দা ও শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাক এই আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন। এর উদ্দেশ্য ছিল রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের সাথে দেখা-সাক্ষাত ও কথাবার্তার সময় যেন ঈমানদাররা উনার সম্মান ও মর্যাদার প্রতি তীক্ষনভাবে লক্ষ্য রাখেন। কারো কণ্ঠ যেন উনার কণ্ঠ থেকে উচ্চ না হয়। রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করতে গিয়ে কেউ যেন একথা ভুলে না যায় যে, কার সাথে সে কোন কথা বলছে। তাই সাধারণ মানুষের সাথে যেরূপ কথাবার্তা এবং স্বয়ং মহান আল্লাহ তা’আলার হাবীব রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের সাথে কথাবার্তার মধ্যে পার্থক্য থাকতে হবে এবং কেউ রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের সাথে উচ্চস্বরে কথাবার্তা বলবেন না যেমন পরস্পর বিনা দ্বিধায় করা হয়; কারণ তা হলো সবচেয়ে নিকৃষ্ট বে-আদবি ও ধৃষ্টতা দেখানো। আর একারণেই এই আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার পর সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের অবস্থা পাল্টে যায়। উনারা এরপর থেকে খুব আস্তে আস্তে কথা বলতেন। সাবেত ইবনে কায়স রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কণ্ঠস্বর স্বভাবগতভাবেই উচু ছিল। এই আয়াত শরীফ শুনে তিনি ভয়ে সংযত হলেন এবং তখন থেকে চিরদিনের জন্য উনার কণ্ঠস্বর নীচু করলেন। (বুখারী শরীফঃ৪৮৪৬, মুসনাদে আহমাদঃ ৩/১৩৭)

অনুরূপভাবে রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের কোনো সুন্নত মুবারক সম্পর্কে জানার পরেও সেটা মানতে যদি কেউ গড়িমসি বা সামান্যতম অনীহা প্রকাশ করে তাহলে তাও চরম বে-আদবি। এ আয়াত শরীফ এর নিষেধাজ্ঞার অধীন। রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের হুজরা মোবারকের সামনেও বেশি উঁচুস্বরে সালাম ও কালাম করা নিষিদ্ধ ছিলো, রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের সম্মান ও আদব উনার বিছাল শরীফের (ওফাতের) পরও দুনিয়ার জমিনের ন্যায় ওয়াজিব। তাই উনার পবিত্র রওজা শরীফের সামনেও বেশী উচুস্বরে সালাম ও কালাম করা আদবের খেলাফ (এবং যারা ওয়াজ মাহফিলে ও বেয়াদবের মতো সম্বোধন করে তারাও এই হাদীছ শরীফের অন্তর্ভুক্ত)। হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালাম দুই ব্যক্তিকে মসজিদে নববী শরীফে উচ্চস্বরে কথা বলতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কোথাকার লোক? তারা বললঃ আমরা তায়েফের লোক। তিনি বললেন, যদি তোমরা মদীনাবাসী হতে তবে আমি তোমাদের বেত্ৰাঘাত করতাম। তোমরা রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের মসজিদে উচ্চস্বরে কথা বলছ কেন? (বুখারী শরীফঃ ৪৭০)

উপরোক্ত আয়াতের তাফসিরের মধ্যেই হাদিস শরীফ আনা হয়েছেঃ রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম যখন হযরত মু'আয বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়েমনে প্রেরণ করেন তখন উনাকে প্রশ্ন করেনঃ “তুমি কিসের মাধ্যমে ফায়সালা করবে?" উত্তরে তিনি বলেনঃ “মহান আল্লাহ তা’আলার কিতাবের মাধ্যমে। আবার তিনি প্রশ্ন করেনঃ “যদি মহান আল্লাহ তা’আলার কিতাবে না পাও?" জবাবে তিনি বলেনঃ “তাহলে সুন্নতে রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে ফায়সালা করবে” পুনরায় তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ “যদি তাতেও না পাও?” তিনি উত্তর দিলেনঃ “তাহলে আমি চিন্তা-গবেষণা করবো এবং ওরই মাধ্যমে ফায়সালা করবে” তখন রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম খুশি হয়ে উনার বুকে চাপড় মেরে বললেনঃ “মহান আল্লাহ তা’আলার জন্যেই সমস্ত প্রশংসা যিনি উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের দূতকে এমন বিষয়ের তাওফীক দিয়েছেন যাতে তাঁর রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম সন্তুষ্ট। (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ রহমতুল্লাহ, ইমাম আবু দাউদ রহমতুল্লাহ, ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহ এবং ইমাম ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহ ও বর্ণনা করেছেন)। তাফসীরের মুসান্নিফ বলেন এখানে এ হাদীসটি আনয়নের উদ্দেশ্য এই যে, হযরত মু'আয বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় ইজতিহাদকে কিতাবুল্লাহ ও সুন্নতে রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের পরে স্থান দিয়েছেন। সুতরাং স্বীয় মতকে কিতাব ও সুন্নাতের আগে স্থান দেয়াই হলো মহান আল্লাহ তা’আলা ও উনার রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের আগে বেড়ে যাওয়া, উনাদের নাফরমানী করা। (দেখুন আরবি তাফসীরঃ ইবনে কাসির, তাবারি)

অতএব যারা নিজেদের মুমিন বলে মনে করে, তাদের বাবা পূজা, শায়খ পূজা ছাড়ার জন্য এই ইবরতনাক হাদিস শরীফই যথেষ্ট, যদি তারা বুঝতে পারে যে সামান্য গোস্তাখীর বিষয়েও সাহাবীদের আমল আক্বিদাহ কেমন ছিলো। হযরত আনাস ইবনু মালিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, একদা রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম সাবিত ইবনু কায়স রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে খুঁজে পেলেন না। একজন সহাবী বললেন, হে মহান আল্লাহ তা’আলার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম, আমি আপনার কাছে উনার সংবাদ নিয়ে আসছি। তারপর লোকটি উনার কাছে গিয়ে দেখলেন যে, তিনি উনার ঘরে মাথা নীচু করে বসে আছেন (ভিত হয়ে)। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনার কী অবস্থা? তিনি বললেন, (খুবই) খারাপ। কারণ এই (অধম) তার আওয়াজ রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের এর আওয়াজের চেয়ে উঁচু করে কথা বলত। ফলে, তার ‘আমাল বরবাদ হয়ে গেছে এবং সে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। তারপর লোকটি রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের কাছে ফিরে এসে খবর দিলেন যে, তিনি এমন এমন কথা বলছেন। (রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম তখন উনার বিনয়ে খুশি হয়ে যান) মূসা বলেন, এরপর লোকটি এক মহাসুসংবাদ নিয়ে তাঁর কাছে ফিরে গেলেন (এবং বললেন) রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন, তুমি যাও এবং তাকে বল, তুমি জাহান্নামী নও, বরং তুমি জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত। (বুখারি শরীফ ৪৮৪৬)

এখন আমাদের ফিকির করা উচিৎ যে যদি রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের সম্মুখে উচ্চস্বরে কথা বলায় উম্মতের সর্বশ্রেষ্ট মানুষদের ও আল্লাহ পাঁক কোন লেহাজ না করেন তাহলে যারা আজকে বয়ানে, ওয়াজে, লিখায় বে আদবি করে তাদের পরিণতি কি হতে পারে? এদের কোন বেইল আছে হযরত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালামের সম্মুখে?

অতএব আয়াতের হুকুম ও হাদিস শরীফ এবং তাফসীর থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেলোঃ কোন মানুষ নিজেকে মুসলিম দাবী করে অথচ সে রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে বে আদব, ডেসপারেট, তাহলে তার সমস্থ নেক আমল ডিলিট করে দেওয়া হবে, কিয়ামতের মাঠে সে এমনভাবে উত্তিত হবে যে তার নেক আমলের খাতা হবে “জিরো” অথচ কেউ শিরক করলেও তার নেক আমলে আল্লাহ পাঁক হাত দিবেন না। চিন্তা করা যায় কি ভয়াভহ বিষয়? এর পরেও কি আপনি সাবধান হবেন না রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের সাথে সম্পর্কিত যেকোন বিষয়ে কথা, মন্তব্য প্রকাশ ও লিখার আগে?


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুনঃ

এডমিন

আমার লিখা এবং প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বে আইনি।

0 ফেইসবুক: