ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ে ওহাবী মতবাদী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মিথ্যাচারের দাঁতভাঙ্গা জবাবঃ বাংলাদেশে ওহাবী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপপ্রয়াসকারী, কুস্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কুখ্যাত শিক্ষক আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ে নিকৃষ্টভাবে একের পর এক মিথ্যাচার করেছে। সহীহ এবং স্পষ্ট দলীল সমূহকে সে বারবার না দেখার ভান করে সরাসরি অস্বীকার করেছে।
এই ইহুদী এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার এক
লেখায় উল্লেখ করেছে-
/// এভাবে আমরা হাদীস
শরীফের আলোকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম
বৎসর ও জন্ম বার সম্পর্কে জানতে
পারি। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন
হাদীসে তাঁর জন্মমাস ও জন্মতারিখ সম্পর্কে কোন
তথ্য পাওয়া যায় না। একারণে
পরবতী যুগের আলেম ও ঐতিহাসিকগণ তাঁর
জন্মতারিখ সম্পর্কে অনেক মতভেদ করেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিনঃ আলেমগণ
ও ঐতিহাসিকদের মতামতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম
তারিখ সম্পর্কে যেহেতু হাদীসে রাসূলের
হাদীসে কোন বর্ণনা আসে নি
এবং সাহাবীগণের মাঝেও এ বিষয়ে
কোন সুনির্দিষ্ট মত প্রচলিত ছিল
না, তাই মুসলিম ঐতিহাসিকগণ এ বিষয়ে
বিভিন্ন মত পোষণ করেছেন।//
এর পর সে বিভিন্ন
ঐতিহাসিক ও আলেমদের নামে পাইকারী
মিথ্যাচার করেছে।
সে বলেছে ১২ রবিউল
আউয়াল সম্পের্কে নাকি কোন সহীহ
সনদ নাই । এমনকি বিখ্যাতি ঐতিহাসিক ইবনে
ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পের্কেও সে নিলর্জ্জের মতো
মিথ্যাচার করেছে। তিনিও নাকি সনদ
ছাড়া বর্ননা করেছেন।
ইহুদী এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরে মুখোশ খুলে
দিতে নিম্নে সহীহ হাদীসের সনদ
সহ দলীল দেয়া হলো, যেখানে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার আগমন মাস, বার, তারিখ সব স্পষ্ট
উল্লেখ আছেঃ
দেখুন সহীহ হাদীস শরীফে হুজুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার বিলাদত শরীফের তারিখ, বার, মাস সবই
বর্ণনা করা আছে। হাফিজে হাদীস
হযরত আবু বকর ইবনে আবী
শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেটা বিশুদ্ধ
সনদে হাদীস শরীফে বর্ননা করেন-
ﻋﻦ ﻋﻔﺎﻥ ﻋﻦ
ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﻣﻴﻦ ﻋﻦ
ﺟﺎﺑﺮ ﻭﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﻭﻟﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺻﻠﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ
ﻋﺎﻡ ﺍﻟﻔﻴﻞ ﻳﻮﻡ ﺍﻻﺛﻨﻴﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﻋﺸﺮ
ﻣﻦ ﺷﻬﺮ ﺭﺑﻴﻊ ﺍﻻﻭﻝ
অর্থঃ হযরত আফফান রহমাতুল্লাহি আলাইহি
হতে বর্নিত, তিনি হযরত সাঈদ ইবনে
মীনা রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ননা
করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত
ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ
হস্তি বাহীনি বর্ষের ১২ই রবীউল
আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল।”
দলীল
সুত্রঃ-
√ মুছান্নাফ ইবনে আবী
শায়বা
√ বুলুগুল আমানী শরহিল
ফতহুর রব্বানী ২য় খন্ড ১৮৯
পৃস্ঠা।
√ বিদায়া ওয়ান নিহায়া
৩ য় খন্ড ১০৯ পৃষ্ঠা,
প্রকাশনা-
দারূল ফিকর, বৈরূত লেবানন।
উক্ত হাদীস শরীফ এর
রাবীগন অত্যান্ত সেকাহ বা বিশস্ত।
রবীগনের নাম ও তাদের সম্পর্কে রেজাল
বিদগন কি বলেছেন আসুন দেখা
যাক। উপরোক্ত হাদীস শরীফের সনদে
রাবীগন হচ্ছেন,
– হযরত ইবনে
আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু।
– হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু।
– সাঈদ ইবনে মীনা
রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
– হযরত আফফান রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
সনদের উপরের দুজনতো সাহাবী
উনাদের তে কোন তুলনাই নাই
। অপর দুই জন রাবী
সাঈদ ইবনে মীনা রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও
হযরত আফফান রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে রেজালের কিতাবে
বলা হয়েছে– উচ্চ পর্যায়ের নির্ভযোগ্য ইমাম, সিকাহ, তীক্ষ্ণ স্মরন শক্তি সম্পন্ন,
বিশস্ত
এবং নির্ভরযোগ্য ,দৃঢ় প্রত্যয় সম্পন্ন ব্যাক্তিত্ব।’’
দলীল
সুত্রঃ-
√ খুলাছাতুত তাহযীব ২৬৮
পৃষ্ঠা
√ ত্বাকরীবুত তাহযীব ২
খন্ড ১২৬ পৃষ্ঠা।
শুধু তাই নয় সহীহ
হাদীস শরীফে অন্য সনদেও এ
বিষয়ে হাদীস শরীফ উল্লেখ আছে।
ইমাম হাকিম নিশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি এ প্রসঙ্গে উনার
কিতাবে উল্লেখ করেন, মুহম্মদ বিন ইসহাক রহমতুল্লাহি আলিইহি
(তাবেয়ী) বলেন, নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ১২ ই রবিউল আউয়াল
শরীফ এর রাতে বিলাদত (জন্ম)
লাভ করেন।’’ ইমাম হাকিম ও ইমাম
যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহিম বলেন- উক্ত
হাদীস শরীফটি সহীহ।
দলীল
সুত্রঃ-
আল মুস্তাদরাকে হাকিম ২য় খন্ড
৬৫৯ পৃস্ঠা, কিতাবুল মানাকিব অধ্যায়, হাদীস নম্বর ৪১৮২।
শুধু তাই নয় পৃথীবির
ইতিহাসে সকল নির্ভযোগ্য ইমাম ও ঐতিহাসিকগন একবাক্যে ইজমা
করেছেন ‘নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম রবিউল আউয়াল শরীফ মাসের
১২ তারিখ সোমবার তাশরীফ আনেন।
এবিষয়ে বিস্তারিত দেখতে এই লেখাটি
পড়তে পারেনঃ এখানে গিয়ে।
সূতরাং আমরা দেখতে পেলাম
সহীহ হদীস শরীফ এবং ইজমায়ে
উম্মত দ্বারা প্রমানিত যে নবীজীর আগমনের
বার, মাস, দিন সবই উল্লেখ করা
আছে। অথচ তারপরও এই ইহুদী
এজেন্ট জাহাঙ্গীর একদম ইচ্ছাকৃতভাবে সেসব গোপন
করে স্পষ্ট মিথ্যাচার করেছে। হাদীস শরীফে
আছে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন‘ যে আমার নামে মিথ্যাচার করলো
সে যেনো দুনিয়ায় থাকতেই তার
স্থান জাহান্নমে নির্ধারন করে নিলো। (বুখারী
শরীফঃ হাদীস
শরীফ ১১০
)আমরা সবাই জানি যারা
হাদীস শরীফ এর ব্যাপারে মিথ্যা বলে,
পরবর্তীতে
তওবা করলেও হাদীস শরীফের ব্যাপারে তাদের
কোন কথা, স্বাক্ষী, কোন বিষয় গ্রহনযোগ্য নয়। (সকল
উসূলের কিতাবে দ্রষ্টব্য।
যেহেতু প্রমান হলো আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সহীহ
হাদীস শরীফের ব্যাপারে মিথ্যাবাদী এবং হাদীস শরীফ
গোপনকারী তাই তার কোন কথা, বক্তব্য লেখা গ্রহনযোগ্য নয়।
0 ফেইসবুক: