আমি ফেইসবুক ব্যবহার করিনা, অনেক রাজারবাগি মুরিদ এইটা বিশ্বাস করেনা। জাহিলদের ব্রেইন আসলে নষ্ট হয়ে গেছে। আমি যদি ব্লগে ওপেন লিখতে পারি যেকোন কিছু তাহলে ফেইসবুকে গিয়ে ফেইক আইডি বানিয়ে আমাকে লুকিয়ে মুশরিক দিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখতে হবে কেনো? ফেইসবুকে লিখতে, বলতে হলে নিজের নামেই লিখতাম।
কেনো ফেইসবুক ব্যবহার করিনা?
অনেকগুলি কারণ, প্রথমত ফেইসবুক চালিয়ে চোখের ও মনের জিনা থেকে বেঁচে থাকা এখন অসম্ভব, ইচ্ছায় অনিচ্ছায় অনেক কিছুই দেখা লাগবে ফেইসবুক চালাতে হলে, কম্পিউটার ব্রাউজার ব্যবহার করে অশ্লীল ছবি, ভিডিও অফ করা গেলেও মোবাইল এপ্সের মধ্যে এর কোন সুযোগ নাই। তাছাড়া, এন্টি মুসলিমদের বিরুদ্ধে টানা লিখার কারণে আমার অফিশিয়াল পেইজ আইডি সহ অনেক আইডিই ফেইসবুক অফ করে দিয়েছে, নতুন খুলে আগের স্থানে যাওয়া পান্তা ভাত না, আর কুরআন হাদিসের অধ্যায়ন রেখে গালিগালাজপূর্ণ কমেন্টের পেছনে সময় দেওয়ার মতো সময় নাই, যেখানে ভাত খাওয়ার অনেক সময় সময় পাইনা ইল্ম অর্জনের পথে হাঠার ফলে।
এখন কথা হলো আমার ধাঁচের অনেক লিখাই বিজ্ঞ রাজারবাগি ফেইসবুকার চিনে, তাদের মনে প্রশ্ন উদয় হতে পারে, যে তাহলে এইসব আসে কীভাবে? খুবই সিম্পল, টেলিগ্রামে অনেকেই অনেক প্রশ্ন করে, উত্তর দেই, কেউ যদি সেইসব পোষ্ট আকারে, কমেন্ট আকারে ফেইসবুকে দেয় এর মানে কি আমি ফেইসবুকে ঘুমাই থাকি? দিল্লুর রহমানের হাজার হাজার কুফরি বক্তব্য তো অনলাইনে দৈনিক বিদ্যামান, এখন কি এর মানে দিল্লুর রহমান ফেইসবুক চালায়? মগজ কি নষ্ট হয়ে গেলো নাকি?
যাইহোক, কথা হলোঃ সোস্যাল মিডিয়া এখন রাজারবাগের মুশরিক পির দিল্লুর জাহিল মুরিদ দ্বারা পূর্ণ, এখন গলাবাজ, গালিবাজ ব্যতীত অনলাইনে যুক্তি, প্রজ্ঞা, আর দলিল ভিত্তিক আলোচক দেখা যায় না বলেই দাবী করেছেন অনেকে। আমাকে যেসকল স্ক্রিনশট দেওয়া হয় নিয়মিত সেগুলো, গীবত, গালিগালাজ ভিন্ন কিছুই পাওয়া যায়না। এক সময় যে রাজারবাগের মানুষ দলিল ছাড়া কথা বলেনাই, আজ তারা এমন পথভ্রষ্ট জাহিল হয়ে গেছে যে কেউ যদি রাজারবাগির বিরুদ্ধে কথা বলে তাহলে তাকে জারজ বলতেও ছাড়েনা, অথচ কেউ গালি দিলেও তাঁকে গালিগালাজ করা যাবেনা এটাই ইসলামের শিক্ষা। হাদিস শরীফে এসেছে মুমিন কখনোঃ “খোটাদানকারী, অভিশাপকারী, নির্লজ্জ, ও অশ্লীলভাষী হয় না” (তিরমিযি শরীফ ১৯৭৭)
এইযে তারা দিল্লুর বিরোধিতা করার কারণে সবাইকে জারজ বলে, তাহলে উপরের এই ভিডিওতে আমরা যে দেখছি খোদ রাজারবাগী মুশরিক পির দিল্লুর ভাইয়েরা তার বিরুদ্ধে বলছে, তাহলে তাদের উসুল অনুযায়ী, তাদের পিরের বিরোধিতা করা তার তিন ভাই জারজ, অর্থাৎ দিল্লুর রহমান নিজেই জারজ তাদের ফতওয়া অনুসারে।
যাইহোক, মূল কথায় ফিরে আসি, এখন জানিনা তাদের অবস্থান, জ্ঞান কেমন কিন্তু এক সময়, দেখেছিঃ পলাশ ভাইকে, সবচেয়ে বিচক্ষণ আর দলিল ভিত্তিক লেখকদের মধ্যে সবার উপরে ছিলেন যার মিছাল ছিলনা সেসময়, এমন সব বিষয়ে আমি নিজেকে তখন কম ইল্মের কারণে কন্ট্রোল করতে না পারলেও তিনি সালাফি, লা মাজহাবি, দেওবন্দিদের জবাব দিয়েছেন দলিল ভিত্তিক। এরপর ছিলেন ডঃ মারূফ ভাই, যিনি সব সময় ভদ্রভাবেই যারা বিরোধিতা করেছে রাজারবাগের তাদের উত্তর দিতেন উনার জ্ঞান অনুসারে, যার মিছাল ছিলনা সেসময়। এরপর ছিলেন আদনান ভাই, যার কলমের কালিতে এন্টি ইসলামিক, মুশরিক, নাস্তিক বানের পানির মতো ভেসে যেত যার মিছাল ছিলনা সেসময়। এরপর ছিলো আশিকুর রহমান, সালাফিদের অনেকের প্যান্ট খারাপ হতো তার যোক্তিক দলিল ভিত্তিক কমেন্ট পড়ে, যার মিছাল ছিলনা সেসময়। এরপর ছিলেন জুলহাস ভাই (তবে উনি চলে গেছেন রাজারবাগ ছেঁড়ে) উনার অনেক দক্ষতা ছিলো আরবির উপর, লিখতেন ও দলিল ভিত্তিক। তখন ব্লগিঙ্গে ছিলেন আরিফ ভাই সুপ্ত মিসাইল নাস্তিকদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ছিলেন নাহিন ভাই, যার কলমের মিছাল ছিলনা সেসময় আন্তর্জাতিক বিষয়ের অঙ্গনে। এরপর ছিলেন শাহজালাল ভাই, সেলিম ভাই, এক সময়ের খুবই প্রিয় বায়োজিদ ভাই, দেলোয়ার ভাই, একজন উন্নত মন মানসিকতার অধিকারী জয়নাল ভাই, ভারতীয় নাগরিক মিরাজ গাজি ভাই, রাশেদ ভাই, মনিরুল ভাই, সুমন চট্রগ্রামি দোস্ত ছিলেন বাতিলের আতংক আজ নিজেই বাতিল।
এই মানুষগুলিকে প্রতি এখনো মুহব্বত বিদ্যামান, তবে মুহব্বতের উপর ঈমানের পর্দা ফেলা, তাঁরা কুফর পরিত্যাগ করে ফিরে এলে মুহব্বত আবারো জেগে উঠবে। আমি জানি তাঁরা আমাকে ঘৃণা করেন তাদের অন্ধ আনুগত্যের ফলে। আমার দলিল ভিত্তিক লিখা না পারছেন হজম করতে না পারছেন ফেলতে। আল্লাহ পাঁক আমার এইসব ভাইদের হেফাজত করুন। এদের ঈমানদার হিসেবে কবুল করুন। আমীন।
আসসালামু আলাইকুম, ভাই আপনি কেমন আছেন? আপনার ব্লগ পড়ে আমার মাথা ঘুড়ায় গেল! আমি কখনোই রাজারবাগী ছিলাম না, কিন্তু আপনার কারনে রাজারবাগের প্রতি নমনীয় ছিলাম। সত্যি বলতে আমার কখনোই রাজারবাগীর কর্মকান্ড পছন্দ ছিল না!
ReplyDeleteঅনেকদিন আপনি নেট দুনিয়ায় ছিলেন না, কিন্তু হঠাৎ কালক্রমে আপনাকে পেলাম বিদ্রোহী অবস্থায়! এতদিন যাবত রাজারবাগীর বিরুদ্ধে অন্যেরা যা বলেছেন, আজ আপনি তাই বলছেন আরো উত্তমভাবে!!
তাহলে আব্বাসী সাহেব ত ঠিকই কাফের ফতুয়া দিয়েছিল এবং আব্বাসী সাব ত রাজারবাগীর চেয়ে বংশে ইলমে আমলে হাজারগুন উপরে। যদিও আমি তার অন্ধ ভক্ত না!