বর্তমানে যে বিষয়টা নিয়ে সারাদেশ উত্তাল তা হলো ট্রান্সজেন্ডার (বাস্তবে এমন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়ে থাকে যার ব্যক্তিগত পরিচয় এবং লিঙ্গের অনুভূতি তাদের জন্মের লিঙ্গের বিপরীত হয়ে থাকে।) কিন্তু আমাদের সম্মুখে যেসকল ট্র্যান্সজেন্ডার দাবীদার এরা মূলত (শারীরিকভাবে সুস্থ পুরুষ যে নারী সেজে, অথবা শারীরিকভাবে সুস্থ নারী যে পুরুষ সেজে) পশ্চিমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করে যাচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত তো অনেক আগেই হয়েছে, তবে কারেন্ট ইস্যু হলোঃ (সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডারবাদ নিয়ে পাঠ্যপুস্তকের একাংশের সমালোচনা ও ট্রান্সজেন্ডারবাদ এর ভয়াবহতা নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তাদেরই একজন শিক্ষক “আসিফ মাহতাব উৎস”কে চাকুরিচ্যুত করে দিয়েছে।) “আসিফ মাহতাব উৎস” সম্পর্কে অনলাইন ঘেটে যা পেলাম তা হচ্ছেঃ “তিনি বর্তমান সময়ে উত্তরাতে বসবাস করেন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে এ-লেভেল পাস করেন এরপর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি বিষয়ে ভর্তি হন। ২০১৭ সালে তিনি অনার্স কোর্স শেষ করেন। এরপর তিনি Master of Science in Analytical Philosophy বিষয়ে ২০১৯ সালে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হন। এরপর ২০২০ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন এবং Integration of Theism in Hobbes’s State of Nature গবেষণা করেন। ২০১৮ সালে ব্রিটিশ আমেরিকান রিসোর্স সেন্টারে কাজ করা শুরু করেছিলেন তিনি। এরপর তিনি ২০১৯ সালে মাস্টার মাইন্ড স্কুলে যোগদান করেন। এরপর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি প্রভাষক হিসেবে বেশ কয়েকদিন কর্মরত থাকেন। তারপর থেকে তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে শিক্ষকতা করেন। যেখানে তিনি বর্তমান সময় পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
আসিফ মাহতাব উৎস আসলে কি করেছিলেন?
তিনি গত ১৯ জানুয়ারী ২০২৪ ইং ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, কাকরাইল ঢাকা ও জাতীয় শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে ৭ম শ্রেনীর পাঠ্যবইয়ে উল্লেখিত শরিফ শরিফা নামক একটি টান্সজেন্ডার বিষয়ক গল্পের বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে পাঠ্যবই থেকে সেই গল্পের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেন এবং সবাইকে বই ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানিয়ে সমকামী ও ইসলামপন্থীদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম দেন।
এছাড়াও একটি সূত্র বলতেছে যে, আসিফ মাহতাব উৎসকে সমকামিতার বিরুদ্ধে কথা বলার অপরাধে ব্রাক থেকে বহিষ্কার করার পর এবার IUB থেকে ড. সারোয়ার হোসাইন নামক একজন শিক্ষক-কে বহিষ্কার করার বিষয় ও ভাইরাল হয়েছে। (বিস্তারিত)
এই হলো বর্তমান মদিনা ছনদে চলা সোনার বাংলা তথা ৯৫% মুসলিমদের দেশ বাংলাদেশের চিত্র। যারা নিজেদের মুসলিম দাবি করবে আর কাজ করবে ১৮০ ডিগ্রী কুরআন সুন্নাহর বিরোধী, তাদের মুসলিম মনে করার কোন কারনই নাই, সে যেই হোক। যদিও সে সরকারের পক্ষের বা বিপক্ষের কেউ হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে বিকৃত যৌনতার স্বাভাবিকীকরণের কার্যক্রম নতুন কিছু নয়, এর শুরু হয় ১০৯০ এর মাঝামাঝি। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে নানান ফ্লেভারে পাপিরা তাদের কাজ কর্ম করেই চলছে। পশ্চিমা ফান্ডিং আর কথিক মানুষপ্রেমী আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও দ্বারাই মূলত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক এলজিবিটি নেটওয়ার্ক পরিচালিত হয়ে আসছে, সাথে দেশীয় অনেক এনজিও জড়িত রয়েছে।
এলজিবিটি বা সমকামীতা ঢালাওভাবে বলা সহজ না বাংলাদেশে, যদিও ৯৫% নামধারী মুসলিমের দেশ হয়েও থাকে। এলজিবিটি বা সমকামীতাকে অনেক গুপ্ত নাম ও বিশাল মিনিং এর শর্টকার্ট নামে (উদাহরণস্বরূপঃ MSN, GI, SRHR, SOGI, SOGISEC, CSE, Transgender) উপস্থাপন করা হয়ে থাকলেও মূলে অর্থ এক, অর্থাৎ অবাধ বিকৃত যৌনাচার এবং ইচ্ছেমতো নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করে নেয়ার আইনি বৈধতা ও সামাজিকীকরণ নাউযুবিল্লাহ। অনেকের কাছে এইসব প্যাঁচাল, বা কঠিন জিনিস মনে হতেই পারে তবে মনে রাখবেন যখনই কিছু মানুষ যা সরাসরি দ্বীন বিরোধী অথচ তার অধিকার বলে দাবি করছে, হিউম্যান রাইটস বলে বুলি আওড়াচ্ছে তখনই বুঝে নেবেন যে এর পেছনে পশ্চিমা হাত আছে, ফিলিস্থিন, সিরিয়া, ভারত, চিন, বার্মা, ইরাক, লিভিয়া, আফ্রিকা ও আফগানিস্থানে যখন নির্বিচারে শিশু, নারী, বৃদ্ধা, আবাল বনিতার উপর গণহত্যা ও ধর্ষণ দিনের পর দিন চলতেছে আর এইসব চুপ করে কেবল দেখেই যাচ্ছেনা পশ্চিমারা নিজেরাই করে যাচ্ছে তখন তোমার আমার দেশের কতিপয় মানুষের নাপাক, গান্ধা হিউম্যান রাইটস দেখলেই বুঝবে এর মধ্যে পশ্চিমাদের বাম হাত বিদ্যমান।
বাংলাদেশের সমকামিতার প্রচার ও প্রসারে সরাসরি পশ্চিমাদের হাত যে বিদ্যমান এর প্রমান তারাই দিচ্ছে যেমনঃ (Florida Gov. Ron DeSantis repeatedly dinged the federal government for “promoting transgenderism in Bangladesh,” arguing that Funded $850,000 was a waste of taxpayer dollars.) ভাবা যায়? ৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশে ফান্ডিং করেছে সমকামিতার প্রসারে। তার মানে শুধু টাকাই নয় খুটিও অ্যামেরিকা।
আর কিছুই বলার নাই, একটা দেশের যেকোন বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে পশ্চিমারা দেখে বিষয়টা কতটা স্পর্ষকাতর, সোস্যাইটিতে এর কেমন প্রভাব পড়বে, আর যদি তা হয় ধর্মিয় বিষয় তাহলে তারা খুব ধৈর্য নিয়ে আগায়, প্রথমেই কিনে ফেলে সরকার, যদি তা না পারে তাহলে কিনে সুশীল বুদ্ধিজিবি, যদি তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেউ নীতি-নৈতিকতা বিশর্জন না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যায় তাহলে তাকে জব্দ করা হয় যেকোন নমুনায়, প্রয়োজনে হত্যার মতো জঘন্য কাজ করতেও তারা পিছ পা হয়না।
অতএব এটা স্পষ্ট হয়ে গেলো যে বাংলাদেশের নোংরা মিডিয়া, কথিত সুশীল সমাজ এবং বামপন্থীরাই এলজিবিটি এজেন্ডা বাস্তবায়নে কেউ প্রকাশ্যে, কেউ গোপনে সহযোগীতা করে গেছে। অনেকের মনে হতেই পারে যে ইসলামপন্থী না হলেও নৈতিকভাবে হলেও এলজিবিটি আন্দোলনের মতো একটা নোংরা সমাজবিরোধী প্রোজেক্টের বিরোধিতা এদেশের বামপন্থীদের করা কি উচিৎ ছিল না? অথচ তারা তা না করে উলটো সহযোগীতাই করে গেছে। কারন হিসেবে একটাই খুঁজে পাওয়া যায় আর তা হলোঃ “উপরে আমরা জেনেছি যে, এলজিবিটি এজেন্ডার মূল হোতা পশ্চিমাবিশ্ব, তথা অ্যামেরিকা আর তা পরিচালিত হয় আন্তর্জাতিক এনজিও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, আর বাংলাদেশের সুশীল, প্রগতিশীল ও বামপন্থীদের বড় একটা অংশের পেট, ও লাক্সারিয়াছ জীবন চলে এইসব এনজিওর ডলারে, তাই বিরোধিতা করার বা চুপ থাকার কোন প্রশ্নই আসেনা। তাছাড়া প্রগতিশীল চিন্তাধারা কিংবা তাদের ব্রেইনের সেটআপ যেহেতু পশ্চিমা ধাঁচে গড়া তাই তাদের মতবাদকে কোন চু-চেরা ছাড়াই অন্ধভাবে গ্রহণ করে নেয়ায় নৈতিকতা কোন বাধা প্রদান করেনা।”
তবে প্রগতিশীল বা সুশীলেরা এইসব কাজ মাঠ পর্যায়ে করেনা, এগুলো করানো হয়, নাস্তিক, এন্টিমুসলিম, বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত উগ্রপন্থী হিন্দুদের দ্বারা। আর এটার প্রকাশ্যে কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৩ সালে শাহবাগে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শাহবাগে ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখে গণজাগরণ মঞ্চ নামে শুরু হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত আসামী আব্দুল কাদের মোল্লার বিচারের রায় নামক মোড়কে এর যাত্রা হয়, কিন্তু ভেতর ভরা ছিলো ইসলাম বিদ্বেষী পশ্চিমা প্রপাগান্ডা।
তবে এইসব প্রোপাগান্ডার শুরুটা হয় ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগ সামহোয়্যার ইন ব্লগ (যা সামু নামে পরিচিত) এর দ্বারা। গুলসান ফেরদৌস জানা এবং তার ইহুদী স্বামী আরিল্ড ক্লোক্কেরহৌগ এই ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা। (আরিল্ড ক্লোক্কেরহৌগ যে বিশাল ব্যাকআপ নিয়ে চলতো তা তার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা ২০১২ সালের টুইট দেখলেই যারা বোঝার বুঝে ফেলবে) (আর্কাইভ) তখন থেকেই তারা কথিত নারীবাদ, ফ্রি থিংক, ফ্রি স্পিচ, ফ্রিডম অফ স্পিচ, উইম্যান রাইটস নামক মোড়কে, ইসলাম বিদ্বেষী লিখালিখি প্রকাশ্যে শুরু করে, যেহেতু তখন সোশ্যাল মিডিয়া ও মোবাইল ইন্টারনেট এভেইলেবল ছিলোনা, সেহেতু তাদের প্রোপাগান্ডাও একটা সংক্ষিপ্ত পরিসরে চলছিলো। কিন্তু ২০১২-১৩ সালের দিকে ফেইসবুক যখন খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, আর প্রায় সবার হাতে স্মার্টফোন চলে আসে, ইন্টারনেট ও সহজে পাওয়া যায় তখন তাদের ইসলাম বিদ্বেষী কাজগুলি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। তবে আমরা ইসলামিক ব্লগাররা যখন মুসলিম পরিবারের নাস্তিক সন্তান থাবা বাবা সহ বাকী নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কলম ধরলাম তখন থেকে তাদের প্রোপাগান্ডায় ভাটা পড়ে যায়।
মূল বোম ফাটানো হয় থাবা বাবার, “লাড়ায়া দে” লিখা প্রকাশ করে। এই নাস্তিকদেরই বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কলম চালিয়ে, হারাতে হয়েছে ২০১৩ সালের অনলাইনের সবচেয়ে বড় ইসলামপন্থী পেইজ Rajib Khaja Official এবং Rajib Khaja আইডী যা টিকে থাকলে হয়তো কোটির উপর ফলোয়ার ছাড়িয়ে যেত। যাইহোক সোশ্যাল মিডিয়া ২০২০ সালে ছেড়ে দেওয়ার ফলে অনেক বিষয়, অনেক মানুষ, অনেক গজিয়ে ওঠা মুল্লা, ভাড়াটে ওয়াজি ও ছেলিব্রিটির সম্পর্কে ইলমের কমতিতে ভুগছি, আর যারা নব্য ফেবুটুবার তাদের মুখের সম্মুখে তো টিকাই যাবেনা মনে হচ্ছে। যাইহোক আমরা যখন ছিলাম তখন যাদের পিটানো হয়েছে তারা আশাকরি চিরকাল মনে রাখবে। কারন রোদেলা প্রকাশনী, বদ্বীপ প্রকাশনীর নাস্তিকদের দমন যদি আমরা না করতাম (যদিও তা কথিত আইনিভাবেই) তাহলে আজ সমাজের চিত্র অনেক ভয়ানক হয়ে যেত, যদি আমরা তখন রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র (ইহুদী সাংবাদিক ডেভিড ছিলো পশ্চিমাদের অন্যতম এজেন্ট) অনলাইন আর মাঠে ময়দানে, কোর্টকাচারিতে দৌড়ে না রুখতাম তাহলে আজ এই হাল ও কেউ পেতনা যা বাকী রয়েছে। বিঃদ্রঃ আমি রায়ের পর কোর্টের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসার সময়ের ডেভিডের চেহারাটা আজো স্পষ্ট দেখি, আমি দেখি সালাহউদ্দিন আইয়্যুবি রহমতুল্লাহীর নগন্য সৈনিকরা আজো ইহুদীদের জন্য মাঠ খালি রাখেনি। যার সুত্র ধরেই মূলত নাস্তিক বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়, সৃষ্টি হয় হেফাজতে ইসলাম (এখন যদিও হেফাজত নিরীহ শহিদদের রক্তের সাথে গাদ্দারির সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত)। শুধু এরাই না ইসরাঈল যে তার শকুনের দৃষ্টি বাংলাদেশের উপর নিবদ্ধ রেখেছে তা আমরা ২০১৬ সালে যখন ব্যাপকভাবে শুরু করে তখনই বুঝতে পারি। যখন মেন্দি এন সাফাদির গোপন কার্যক্রম, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী, মাওলানা কাজী আজিজুল হক (মার্কিন ইহুদী রিচার্ড বেনকিনের দেশিও এজেন্ট মাওলানা), বাংলাদেশের মোসাদ এজেন্ট বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আদিবাসী পার্টির নেতা মিঠুন চৌধুরী ও হিন্দু স্ট্রাগল কমিটির বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মিঃ শিপন কুমার বসু, কলকাতার মোসাদ এজেন্ট বিবেক দেব। শুধু এরাই নয় এমনকি এদেশের ইসলামিক জীবনকে অস্থির করতে বাদ যায়নি রিটা কার্টজ নামের ইহুদী এজেন্ট যে নিজেকে টেরোরিষ্ট হান্টার বলে দাবি করে থাকা সাধারণত, অথচ তার পিতাকে ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ফাসিতে ঝুলিয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেনের ইরাক সরকার। এই মহিলা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আইএস রয়েছে এমন প্রোপাগান্ডাকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে কয়েক বছর আগে। এছাড়াও আরো অনেকেই আছে যা এইখানে প্রকাশ করলে লিখা অনেক লম্বা হয়ে যাবে।
উপরোক্ত প্রত্যেকটা বিষয়ই একটার সাথে অন্যটা জড়ীত, এইসব বিষয় ডিটেইলস, না জানলে পেছনের কলকাটি নাড়া ব্যক্তিদের না চিনলে যতই ঘবেষনা করা হোক, কোন ফায়দা হবেনা। সঠিক রোগ নির্নয় করে সঠিক ঔষধ প্রয়োগেই রোগ ভালো হয়, ঔষধ খাওয়ালেই রোগ ভালো হয়ে যাবেনা।
এবার আসি সমকামিতার বিরুদ্ধে দলিলভিত্তিক ধর্মীয় ফায়সালায়।
কেউ যদি জেনে বুঝে ইসলাম থেকে খারিজ হতে চায় তাহলে সে মুসলিম দাবীর পাশাপাশি এইসব কু কর্মের সমর্থন যেনো ভুলেও না করে, ব্যক্তিগত জীবনে যদিও সে খুব খারাপ মুসলিম হয়ে থাকে তার পরেও যেনো সে ভুলেও এই ফাদে পাড়া না দেয়।
এইযে এলজিবিটি নামক দ্বীন বিরোধী ক্যান্সার দ্বীনদারদের মধ্যে, দ্বীনদারদের পরিবারের মধ্যে ঢুকানোর কাজটা কেন করা হচ্ছে? কে করতে চায়? তা কিন্তু জাহেরিভাবে উপরে প্রমান সহ পেশ করা হয়েছে, তবে বাতেনিভাবে এর মূল হোতা কে তা না জানলে কিন্তু হবেনা।
মহান আল্লাহ পাক ইসলাম ও মুসলিমদের শত্রু হিসেবে কাদের কথা বলেছেন এটা না জানলে, না মানলে এই কুকর্ম থেকে বাঁচা সো কলেড মুসলিমদের জন্যে অসম্ভব হয়ে যাবে আগামীর দিনগুলোতে। মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ (لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ اِنَّهٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ) (তোমরা) শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (ছুরা বাক্বারা ২/১৬৮) এই শত্রু কি করবে এটাও স্পষ্ট বলে দিয়েছেনঃ (یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَّبِعۡ خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ فَاِنَّهٗ یَاۡمُرُ بِالۡفَحۡشَآءِ وَ الۡمُنۡکَرِ) হে মুমিনগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্কসমূহ অনুসরণ করো না। কেননা যে(বা যারাই) শয়তানের পদাঙ্কসমূহ অনুসরণ করবে, নিশ্চয় সে (তাদের) অশ্লীলতা-নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজের নির্দেশ দেবে। (ছুরা নূরঃ ২৪/২১)
নিস্বন্দেহে সমকামিতা যত অশ্লীল কাজ আছে এর মধ্যে সবার উপরে। কারণ এটা জিনার মধ্যেও নিকৃষ্ট জিনার অন্তর্ভুক্ত, আর জিনার ব্যপারে মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ (وَ لَا تَقۡرَبُوا الزِّنٰۤی اِنَّهٗ کَانَ فَاحِشَۃً ؕ وَ سَآءَ سَبِیۡلًا) আর জিনা(ব্যভিচারে)র ধারে-কাছেও যেও না, নিশ্চয় তা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। (আল কুরআন ১৭/৩২) অর্থাৎ, যেকোন বিষয় সেটা যতো সিম্পল আর সামান্যই হোক, যার দ্বারা জিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে, এর ধারে কাছে যাওয়া যাবেনা। ধরুন আপনার বাড়ীর পাশে একটি রাস্তা আছে, যেটার ৫ মাইল এর মাথায় একটি পতিতালয় আছে, মুমিন হলে সেই রাস্তায় ঢোকাই যাবেনা। ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া চালালে যদি আপনি জিনায় লিপ্ত হওয়ার ভয় থাকে তাহলে সেটাও আপনার জন্যে নিষিদ্ধ। এই জিনার কারণে সামাজিক অনাসৃষ্টির সৃষ্টি হয়, জিনা-ব্যভিচারের কারণে এটা এত প্রসার লাভ করে যে, এর কোন সীমা-পরিসীমা থাকে না। এর অশুভ পরিণাম অনেক সময় সমগ্ৰ গোত্র ও সম্প্রদায়কে বরবাদ করে দেয়। এ কারণেই সম্মানিত দ্বীন ইসলামে এই অপরাধটিকে সব অপরাধের চাইতে গুরুতর বলে সাব্যস্ত করেছেন। এবং এর শাস্তি ও সব অপরাধের শাস্তির চাইতে কঠোর করেছেন। কেননা, এই একটি অপরাধ অন্যান্য শত শত অপরাধকে নিজের মধ্যে সন্নিবেশিত করেছে। রছুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়াছাল্লাম বলেনঃ জিনাকারী ব্যক্তি জিনা করার সময় মুমিন থাকে না। (মুসলিম শরীফ ৫৭)
এছাড়াও জিনার ব্যখ্যা দিতে গিয়ে রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়াছাল্লাম বলেছেনঃ চোখের জিনা হল (যা হারাম সেদিকে) তাকানো এবং জিহ্বার জিনা হল মুখে (নিষিদ্ধ বিষয়ে কথা) বলা। (তখন) মন কামনা ও আকাঙ্ক্ষা করে (এইসব নিষিদ্ধ বিষয়ে, যার ফলশ্রুতিতে) লজ্জাস্থান তাকে হাক্বিকতে রূপ দেয়, অথবা বিরত রাখে। (বুখারি শরীফ ৬৬১২) সহীহ মুসলিম-এর অপর এক বর্ণনায় আছেঃ দুই চোখের জিনা (যা হারাম তার দিকে) দৃষ্টিপাত করা, কানের জিনা যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা, মুখের জিনা আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলা, হাতের জিনা (বেগানা নারীকে খারাপ উদ্দেশে) স্পর্শ করা আর পায়ের জিনা ব্যভিচারের উদ্দেশে অগ্রসর হওয়া এবং মনের জিনা হলো চাওয়া ও প্রত্যাশা করা। আর লজ্জাস্থান তাকে হাক্বিকতে রূপ দেয়, অথবা বিরত রাখে। (মুসলিম শরীফ ২৬৫৭)।
এখন কি চিন্তা করা যায়, সরাসরি সেক্সে দুইজন পুরুষ একে অন্যের সাথে, বা দুইজন নারী একে অন্যের সাথে লিপ্ত হচ্ছে এর ভয়াভহতা কত মারাত্বক?
তবে আকাশ থেকে পড়ার মতো বিষয় হলোঃ একদল মানুষ এমন দাবিও করে থাকে যে সম্মানিত দ্বীন ইসলামে নাকি সমকামিতা হারাম নয়, নাউযুবিল্লাহ। এদের আবার ইসলামিক লেবাস তথা, দাড়ি, টুপি, হিজাবে মুড়িয়ে এইসব বলায় পশ্চিমারা। কোন মানুষ কতটুকু জাহিল হলে এইসব উদ্ভট দাবি করতে পারে? তাদের দাবি “সোডম শহরে” যেখানে লূত য়ালাইহিছ ছালামের কওম সমকামিতায় লিপ্ত ছিলো, সেগুলো নাকি ভয়ঙ্কর কাজ ছিলো, কি সেই কাজ তাদের মতে? তা হচ্ছে জোর করে ধর্ষন করা, জোর করে বিকৃত যৌনাচারপূরন করা। সমলিঙ্গের মানে পুরুষ পুরুষের সাথে প্রেম/বিয়ে, নারী নারীর সাথে প্রেম/বিয়ের কোন সম্পর্কই নাকি ছিলোনা, আউযুবিল্লাহ। এইসব মূর্খ বলদ জাহিলদের আসলে কি বলা যায়। তবে যারা দ্বীনদার তাদের তো এদের জবাব জেনে রাখা প্রয়োজন। মহান আল্লাহ পাক হজরত লূত য়ালাইহিছ ছালামের উনার কওমকে বলা কথাগূলো হুবুহু নকল করে আমাদের জানিয়েছেন যেঃ (قَالَ لِقَوۡمِهٖۤ اَتَاۡتُوۡنَ الۡفَاحِشَۃَ مَا سَبَقَکُمۡ بِهَا مِنۡ اَحَدٍ مِّنَ الۡعٰلَمِیۡنَ اِنَّکُمۡ لَتَاۡتُوۡنَ الرِّجَالَ شَهۡوَۃً مِّنۡ دُوۡنِ النِّسَآءِ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ قَوۡمٌ مُّسۡرِفُوۡنَ) (ছাইয়্যিদুনা হজরত লূত য়ালাইহিছ ছালাম) উনার কওমকে বললেন, ‘তোমরা এমন এক অশ্লীল-নির্লজ্জ কাজের (প্রস্থাব পেশ) করছো, যা তোমাদের পূর্বে সৃষ্টিকুলের কেউই করেনি। তোমরা যৌন তৃপ্তির জন্যে নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের নিকট গমন করিতেছো। আসলে তোমরা এক সীমালংঘনকারী জাতী। (ছুরা আ’রফ ৭/৮০-৮১)।
এখন তারা যে উক্ত আয়াত শরীফের মনগড়া ব্যখ্যা করে জাহিলের মতো বল্লো এটা সমকামিতা নয় বরং আপন কামনা চরিথার্ত করার জন্যে তারা পুরুষদের ধর্ষন করতো, এটা একটা খারাপ নিকৃষ্ট কাজ, তাহলে কি মহিলাদের ধর্ষন করলে তা উত্তম বলে মনে হতো তাদের নিকট?
যাইহোক, উক্ত আয়াত শরীফ থেকে আমরা যা পেলাম, ছাইয়্যিদুনা হজরত লূত য়ালাইহিছ ছালাম উনার কওমই ছিলো প্রথম সমকামী, এবং সমকামিতাকে অশ্লীল-নির্লজ্জ কাজের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এবং যারা এইসব করে তারা হচ্ছে মুছরিফুনদের অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ যারা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্ধারিত সিমা লঙ্গন করে লানতপ্রাপ্ত হয়ে যায়, এবং নিজ কর্মে আযাবের হক্বদার হয়।
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে মহান আল্লাহ পাক সেক্সের বৈধ উপায় ও কাঁদের সাথে সেক্স বা যৌন তৃপ্তি কেউ লাভ করতে পারবে তা একেবারে ক্লিয়ার কাট বলে দিয়েছেন। (وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ لِفُرُوۡجِہِمۡ حٰفِظُوۡنَ اِلَّا عَلٰۤی اَزۡوَاجِہِمۡ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُہُمۡ فَاِنَّہُمۡ غَیۡرُ مَلُوۡمِیۡنَ فَمَنِ ابۡتَغٰی وَرَآءَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡعٰدُوۡنَ) আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে, তবে আপন স্ত্রী, কিংবা নিজেদের অধিকারভুক্ত দাসীদের বেলায় (এ বিধান প্রযোজ্য) নয়, (বরং এদের সাথে সহবাসে) তারা কখনো তিরস্কৃত হবে না, কিন্তু এই (বিধিবদ্ধ উপায়) ছাড়া যদি অন্য কোনো (পন্থায় কেউ সহবাস করতে) চায়, তাহলে তারা হবে সীমালংঘনকারী (জালিম)। (আল কুরআন ২৩/৫-৭, ৭০/২৯-৩১)। অতএব স্পষ্ট হয়ে গেলো যে স্ত্রী ও দাসি ব্যতীত অন্য কারো সাথে যৌন তৃপ্তি মেটানো যায়েজই না, সেখানে পুরুষদের সাথে চিন্তা করাও কুরআন সুন্নাহ বিরোধী আক্বিদাহ। আর নারীদের উপর যে পর্দা ফরজ করা হয়েছে, প্রেম ভালোবাসা হারাম করা হয়েছে বিয়ে ছাড়া দেখা সাক্ষাত করা হারাম, এর মূলেই হলো যৌনতা, যা স্পষ্ট ভাষায় মহান আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফে বলেই দিয়েছেনঃ (قُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَغُضُّوۡا مِنۡ اَبۡصَارِهِمۡ وَ یَحۡفَظُوۡا فُرُوۡجَهُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَزۡکٰی لَهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا یَصۡنَعُوۡنَ) (হে নবী ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম, আপনি) মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন (নারীদের বেলায়) তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে; এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্রতার বিষয়। (কেননা) তারা যা করে নিশ্চয় মহান আল্লাহ পাক সেই বিষয়ে সম্যক অবগত। (ছূরা নূর ২৪/৩০)
এই মূর্খ সমাকামি মুসলিম দাবীদাররা কি জানেনা যে নিজের সতরকে অন্যের সামনে উন্মুক্ত করা থেকে দূরে থাকাও যৌনাঙ্গ সংযত করার অন্তর্ভুক্ত। (ফাতহুল কাদীর) আর পুরুষের জন্য সতর তথা লজ্জাস্থানের সীমানা রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত নির্ধারণ করেছেন। তিনি বলেছেনঃ “নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত (পুরুষদের) সতর।” (দারুকুতনীঃ ৯০২) শরীরের এ অংশ স্ত্রী/দাসি ছাড়া আর কারোর সামনে ইচ্ছাকৃতভাবে খোলা হারাম। এক সাহাবী বলেন, একবার রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লামের মজলিসে আমার রান খোলা অবস্থায় ছিল। রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম বললেনঃ “তুমি কি জানো না, রান ঢেকে রাখার জিনিস?” (তিরমিযী শরীফ ২৭৯৬, আবু দাউদ শরীফ ৪০১৪) অন্য এক হাদীছে রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম বলেনঃ “নিজের স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া বাকি সবার থেকে নিজের সতরের হেফাজত করো।” এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করে, আর যখন আমরা একাকী থাকি? জবাব দেনঃ “এ অবস্থায় মহান আল্লাহ তায়ালা থেকে লজ্জা করা উচিত, তিনিই এর (সর্বচ্চো) হকদার।” (আবু দাউদ শরীফ ৪০১৭, তিরমিযী শরীফ ২৭৬৯, ইবনে মাজাহ শরীফ ১৯২০)। অন্য আরেক হাদীস শরীফে এসেছে, রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম বলেনঃ “কোন পুরুষ যেনো অপর পুরুষের লজ্জাস্থানের দিকে না তাকায়, অনুরূপভাবে কোন মহিলা যেনো অপর মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে না তাকায় এবং কোন পুরুষ যেনো অপর কোন পুরুষের সাথে একই কাপড়ে (উলঙ্গ হয়ে) অবস্থান না করে, তদ্রুপ কোন মহিলাও যেন অপর মহিলার সাথে একই কাপড়ে (উলঙ্গ হয়ে) অবস্থান না করে। (মুসলিম শরীফ ৩৩৮)
যারা ছুরা আ’রফ ৭/৮০-৮১ নং আয়াত শরীফের কু-ব্যখ্যা করতে চায় তারা হার্টলেছ নাপাক খিঞ্জীর মূলত, নাহলে এদের মগজে এটা অন্তত আসতো যে মহিলাদের দিকে প্রেমময় দৃষ্টি তো দূরের বিষয় সাধারণ দৃষ্টিও যায়েজ থাকতো, যাতে চোখে দেখে কামনার উদ্ভব হলে লজ্জাস্থানের বাসনা মেটানোতে কোন আপত্তি আসতনা, হেফাজতের উপর হুকুম জারি হতোনা।
অতএব স্পষ্ট হয়ে গেলো যে যত নিকৃষ্ট অশ্লীল কাজ রয়েছে কায়েনাতে এর মধ্যে, সমকামিতা হচ্ছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ। এখন এই অনাচারের ফলে কি শুধু সমাজই ধ্বংস হবে?
না মোটেও না, বরং আসমানি বলা, গজব নামানোর চেষ্টা যে করা হচ্ছে এতে কোন সন্দেহ নাই। কারণ নবী ছাইয়্যিদুনা হজরত লূত য়ালাইহিছ ছালাম উনার ক্বওমের মধ্যে প্রথম এই কুকর্মের উদ্ভব ঘটায় শয়তান। কেন? কারন সে জানে, কোন কোন কাজ দ্বারা একজন মানুষ কিংবা পুরো ক্বওম ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। সে খুব ভালো করেই জানে যে মহান আল্লাহ পাক তিনি শাস্তির বেলায় এটা দেখবেন না যে কু-কর্ম মুসলিম নাকি মুশরিক, নাকি নাস্তিক করতেছে, তিনি অপরাধের বিপরীতে ইনসাফ ভিত্তিক শাস্তি প্রদান করেন সেটা উনাকে স্বীকার করা বান্দারা হয়ে থাকলেও।
স্বরনীয় যে, যখন ছাইয়্যিদুনা হজরত লূত য়ালাইহিছ ছালাম উনার কওমকে নসিহত করেন সমকামিতায় লিপ্ত না হতে, এটা যে অত্যন্ত অশ্লীল কাজ, নাপাকি কাজ তখন তারা উনার নসিহতের বিপরীতে নিজ মুখেই এটা বলেছিলোঃ (اَخۡرِجُوۡهُمۡ مِّنۡ قَرۡیَتِکُمۡ ۚ اِنَّهُمۡ اُنَاسٌ یَّتَطَهَّرُوۡنَ) এদেরকে (ছাইয়্যিদুনা হজরত লূত য়ালাইহিছ ছালাম উনি ও উনার অনুসারীদের) তোমরা তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও, এরা নিজেদেরকে বড় পাক-পবিত্র রাখতে চায়। (আল আ’রফ ৭/৮২) অর্থাৎ তারা নিজেরাই বুঝতে পেরেছিলো যে তারা যে পুরুষে পুরুষে যৌনতৃপ্তি মেটাতে চায় ইহা অত্যন্ত নাপাক কাজ।
এখন এই যে তারা সমকামিতায় লিপ্ত হয়েছিলো, যার ফলে তারা মুছরিফুন অর্থাৎ সিমালঙ্গনকারিদের অন্তরভুক্ত হয়ে গেলো এর ফলে তাদের কি শাস্তি দেওয়া হলো? এটাও মহান আল্লাহ পাক আল কুরআনের মধ্যে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ (وَ اَمۡطَرۡنَا عَلَیۡهِمۡ مَّطَرًا ؕ فَانۡظُرۡ کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُجۡرِمِیۡنَ) আমি তাদের ওপর প্রচণ্ড (আযাবের) বৃষ্টি বর্ষন করলাম। অতঃপর আপনি (ভালো করে চেয়ে) দেখুন, পাপি-নিকৃষ্ট লোকদের পরিণাম কি হয়েছিল। (আল আ’রফ ৭/৮৪) রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম বলেনঃ আমার উম্মতের ব্যপারে যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশী ভয় পাচ্ছি তা হলো, তারা ছাইয়্যিদুনা হজরত লুত য়ালাইহিছ ছালাম উনার জাতির (মতো) কাজ করে বসবে’। (তিরমিযী শরীফ ১৪৫৭) আর যারা এরূপ কাজ করবে মুসলিম হয়ে, উম্মত হয়ে, তাদের ব্যপারে রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ছাইয়্যিদুনা হজরত লুত য়ালাইহিছ ছালাম উনার জাতির (মতো) কাজ করে তাকে মহান আল্লাহ পাক লা'নত করেছেন। (কথাটা তিনি ৩ বার বলেছেন।) (মুসনাদে আহমাদ শরীফ ১/৩০৯) শুধু তাই নয় উনার যারা উম্মত দাবীদার তাদের উপর এই হুকুম দিয়েও গেছেন যেঃ “যদি কাউকে তোমরা ছাইয়্যিদুনা হজরত লুত য়ালাইহিছ ছালাম উনার জাতির (মতো) কাজ করতে দেখ তবে যে এ কাজ করছে এবং যার সাথে করা হচ্ছে উভয়কেই হত্যা কর। (আবু দাউদ শরীফঃ ৪৪৬২)।
এখন ইসলামিক খেলাফত যেহেতু নাই, সেহেতু এই হুকুম তুমি চাইলেও পালন করতে পারবেনা এটা আমি তুমি সবাই জানি, কিন্তু প্রতিবাদ তো করতে পারবে হে? যদি তাও না করো তাহলে তুমি না উম্মত না বান্দা থাকবে, কারন মহান আল্লাহ পাক স্পষ্ট বলেই দিয়েছেনঃ (وَ مَاۤ اٰتٰىکُمُ الرَّسُوۡلُ فَخُذُوۡهُ ٭ وَ مَا نَهٰىکُمۡ عَنۡهُ فَانۡتَهُوۡا ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ۘ) রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম তোমাদেরকে যা (আদেশ) দেন, তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং তোমরা মহান আল্লাহ তা’আলার তাকওয়া অবলম্বন কর; নিশ্চয় মহান আল্লাহ তা’আলা শাস্তি দানে (অত্যন্ত) কঠোর।” (ছুরা হুজুরাত ৫৯/৭)
অতএব স্পষ্ট হয়ে গেলো যে কেবল মহান আল্লাহ পাক তিনিই নন, সমকামিতার ব্যপারে রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম যে আদেশ করেছেন তার ব্যপারে যদি কেউ গড়িমসি করে তাহলে তা মান্য করা ফরজ, আর এতে তাক্বওয়া হাছিল হবে। আর যদি কেউ না মানে তাহলে সে মুসলিম হলেও মহান আল্লাহ তায়ালা তার ব্যপারে কাহহার হয়ে যাবেন।
আর রছুলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম তিনি নিজেই বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোনো অন্যায়/গর্হিত কাজ হতে দেখবে, সে যেনো তা তার নিজ হাত দ্বারা প্রতিবাদ/প্রতিহত করে। যদি (তাতে) সক্ষম না হয়, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা (উপদেশ দিয়ে হলেও পরিবর্তন করে)। যদি (তাতেও) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তত অন্তর দ্বারা (ঘৃণা করে)। আর এ হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (বুখারী শরীফ ৯৫৬, মুসলিম শরীফ ৪৯, তিরমিযী শরীফ ২১৭২, নাসায়ী শরীফ ৫০০৮, ৫০০৯, আবূ দাউদ শরীফ ১১৪০, ৪৩৪০, ইবনু মাজাহ শরীফ ১২৭৫, ৪০১৩, আহমাদ শরীফ ১০৬৮৯, ১০৭৬৬, ১১০৬৮, ১১১০০, ১১১২২, ১১১৪৫, ১১৪৬৬, দারেমী শরীফ ২৭৪০১)।
এখন যারা মুসলিম হয়ে সবচেয়ে নিকৃষ্ট লানতপূর্ন কাজ সমকামিতাকে সাপোর্ট, আইন পাশের পায়তারা করছে, করবে তাদের ফায়সালা কি হবে এটাও কি আর বলে দিতে হবে?
আর মানুষ কি মনে করে নিয়েছে যে মহান আল্লাহ পাক তাদের ছেড়ে দিবেন? না মোটেও না মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ (وَ کَمۡ قَصَمۡنَا مِنۡ قَرۡیَۃٍ کَانَتۡ ظَالِمَۃً وَّ اَنۡشَاۡنَا بَعۡدَهَا قَوۡمًا اٰخَرِیۡنَ) ‘আমি ধ্বংস করেছি কত জনপদ, যার অধিবাসীরা ছিল জালিম (পাপাচারী) এবং তাদের পরে সৃষ্টি করেছি অন্য জাতি। (ছুরা আম্বিয়া য়ালাইহিছ ছালাম ২১/১১) এই জিনিস আযাযিল খুব ভালো করেই জানে, সাথে জানে ইহুদীরাও যে কোন কাজ করলে মুসলিম জাতির উপর গজব নামবে, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে বঞ্চিত তো হবেই, উল্টো গজবে পতিত হবে, আর তারা নিজেরাও জান প্রান দিয়ে দেয় যখনই কোন যায়গায় কোন ঈমান ওয়ালা মুসলিম মিল্লাত তারা খোজে পায়, কারণ তারা হচ্ছে ইসলাম ও মুসলিমদের সবচেয়ে বড় শত্রু, যা মহান আল্লাহ পাক স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেনঃ (لَتَجِدَنَّ اَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَۃً لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوا الۡیَهُوۡدَ وَ الَّذِیۡنَ اَشۡرَکُوۡا) অবশ্যই মুমিনদের ব্যপারে শক্রতায় মানুষের মধ্যে প্রথমে ইহুদী অতঃপর মুশরিকদেরকেই আপনি সবচেয়ে উগ্রপন্থী হিসেবে দেখতে পাবেন। (ছুরা মায়েদা ৫/৮২) তাই তারা তাদের শত্রুতা প্রকাশ করেই যাবে, গাজা ও ফিলিস্থিন আর ভারতের দিকে তাকালে উক্ত আয়াত শরীফ পানির মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে যখন তারা সরাসরি কাউকে দমাতে না পারে তখন মুসলিমদের দিয়ে এমন সব কাজ করাবে যাতে করে তারা নিজেরাই মহান আল্লাহ তায়ালা উনার গযবে পতিত হয়। তারা জানে যে সমকামিতা, জিনা ব্যভিচার যদি মুসলিম জনপদে লাভ করে, তাহলে অচিরেই কোন যুদ্ধ, বা টাকা পয়সা খরচ করা ছাড়াই তারা মুসলিম জাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার গজব দিয়েই ধ্বংস করে দেবে।
শুধু সোডোম নগরীর (ছাইয়্যিদুনা হজরত লূত য়ালাইহিছ ছালাম উনার) জাতিই সমকামিতার কারণে ধ্বংস হয়েছে এমন না, বরং ইতালির পম্পেই নগরী ও তার বাসিন্দারাও সমকামিতার, জিনা ব্যভিচারের জন্যে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো, যা আজ আমাদের সম্মুখে প্রকাশ হয়ে গেছে। পৃথিবীর প্রাচীনতম অভিজাত জনপদগুলোর একটি ছিল এই পম্পেই নগরী। সে সময় প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি ছিল নগরটি। এটি ছিল দুই হাজার বছরের পুরনো একটি অভিজাত শহর। কিন্তু সমকামিতার, জিনা ব্যভিচারের দরূন তারাও ইতিহাসের পাতায় ইতিহাস হয়ে যায়।
৭৪ ঈসায়ী সনের এক ভরদুপুর। আত্মহারা খোদাবিমুখ সমকামী জেনাখোর পম্পেই নগরীর অধিবাসীরা আনন্দ-উল্লাসে নিজেদের মত্ত রেখেছিল। এমনই সময়ে নেমে এলো খোদায়ি গজব। ঐতিহাসিকদের বর্ণনা অনুযায়ী, শহরের পাশে অবস্থিত ভেসুভিয়াস পর্বতের আগ্নেয়গিরিতে শুরু হয় বিশাল আকারের অগ্ন্যুৎপাত, যাতে পম্পেই শহরসহ শহরের দুই লাখ অধিবাসী দিনদুপুরে মাত্র অল্প কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে অন্তত ৭৫ ফুট অগ্নির লাভা আর ছাইভস্মের নিচে বিলীন হয়ে যায়। তাত্ক্ষণিক জীবন্ত কবর রচিত হয় শহরের মধ্যে থাকা সমকামী জেনাখোরসহ সকল মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদসম্ভারের। উল্লেখ্য, ১৯৪৪ ঈসায়ী সনে আবারও এই আগ্নেয়গিরিটি বিস্ফোরিত হয়েছিল, যাতে অন্তত ১৯ হাজার মানুষ নিহত হয়। কিন্তু সেটি ৭৪ ঈসায়ী সনের বিস্ফোরণের মতো ভয়াবহ ছিল না, যা টানা ১৯ ঘণ্টা পর্যন্ত অগ্নিবৃষ্টি বর্ষণ করেছিল। আর ভূমধ্যসাগরের সাত মাইল ভেতর পর্যন্ত অগ্নি-লাভা ছড়িয়ে গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে তখন এর অগ্নি-লাভার তীব্রতা পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের চেয়েও শক্তিশালী ছিল। ওপরের দিকে অন্তত ৯ মিটার পর্যন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ধাবিত হয়েছিল। এর পর থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত শত শত বছর ধরে আধুনিক মানবসভ্যতার অগোচরেই থেকে যায় এই অভিশপ্ত শহরটি। কিন্তু ১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে কিছু অ্যামেচার আর্কিওলজিস্ট সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন ধ্বংস হয়ে যাওয়া পম্পেই নগরী। শুরু হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে ধ্বংসলীলা থেকে মমি হয়ে থাকা মৃতদেহ আর অভাবনীয় সব স্থাপনা উদ্ধারের মহাযজ্ঞ। আর ধীরে ধীরে সেখানে বাড়তে থাকে উত্সাহী জনতার আনাগোনা। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, দুই হাজার বছরের পুরনো এই ধ্বংসলীলা থেকে এখনো অবিকৃত অবস্থায় তাদের দেহগুলো পাওয়া যাচ্ছে। যে যেভাবে ছিল, অবিকল সেভাবেই পড়ে আছে, এমনকি সমকামিতার হালেও পাওয়া যায় মুর্তি। মহান রব আল্লাহ তা’য়ালা আগত প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য উনার নিদর্শন নৈপুণ্যতায় এসব মৃতদেহকে বছরের পর বছর মাটির নিচে সযত্নে সংরক্ষণ করে রেখেছেন। কালের বিবর্তনে কয়েক হাজার বছরের পুরনো সেই পর্যটনকেন্দ্র আবার পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু চির উন্নত সেই পম্পেই নগরী ইতিহাসের অভিশপ্ত নগরী হয়ে মানুষের শিক্ষা গ্রহণের পাঠশালা হয়ে আত্মপ্রকাশ করলেও মানুষ তার থেকে শিক্ষা নিতে মোটেও রাজি না।
এখন যারা বোঝার তারা তো বুঝে গেছেন মুসলিম থাকতে হলে প্রতীবাদ করাই লাগবে, পলায়নের সুযোগ নাই। সেহেতু করণীয় কি?
করণীয় হলো টানা তীব্র প্রতীবাদ, রাজধানীর কোন একটা যায়গায় যারা নিজেদের মুমিন দাবি করবে তারা শান্তিপূর্ন মানববন্ধন ও অনশনে বসে যেতে পারে। এই আইন কোন অবস্থায় পাশ হতে দেওয়া যাবেনা। কারণ আইন পাশ হওয়ার পর আপনি চাইলেও কিছু বলতে পারবেন না, করতেও পারবেন না। বরং এর বিরুদ্ধে বলার জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে। আইন পাশ হলে ট্রান্স-ওম্যানঃ “মানে যে নিজেকে নারী দাবি করে কিন্তু শরীর মাশাআল্লাহ পুরুষের” যেহেতু সে নারী হিসাবে বিবেচিত হবে তাই সে ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে আমাদের বোনের রুমে পাশাপাশি থাকবে। আর যে ঢুকবেই কু নিয়তে সে আমাদের বোনের সাথে কি করতে পারে তা বলার কি কোন প্রয়োজন আছে?
সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের বিশেষ কিছু সুযোগ রয়েছে, উক্ত পশুদের জন্যে আইন পাশ হলে ট্রান্স-ওম্যান যেহেতু নারী হিসাবে বিবেচিত হবে, এই ট্রান্স ওম্যান তখন নারীদের সেই সুযোগ-সুবিদায় ভাগ বসাবে। একটা আস্তো জোয়ান ছেলে, সারাজীবন পুরুষ থেকে হঠাৎ করে নিজেকে নারী দাবি করা শুরু করলো, বছর ছ-মাস ফেবুতে সুশীলদের ট্যাগাই অতপর নারী কোটা ব্যবহার করে চাকরি নিয়ে নিল। এতে কি পুরুষদের কোন লস আছে? নাকি নারীদেরই সর্বনাশ হলো?
এই নোংরা আইন একবার পাশ হলে আপনি আপনার ছেলে কিংবা মেয়েকে আর কোন ধরণের শাসন করতে পারবেন না যদি হঠাৎ করেই তারা নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার নামক পশু দাবি করে বসে। তখন শাসন করতে গেলে উল্টো আপনাকেই শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের মামলায় ফাসানোর জন্যে মুখিয়ে আছে শত শত এনজিও।
অতএব প্রত্যেক ফেইসবুকার ইউটিউবার যারাই নিজেদের মুসলিম ভাবে, তাদের দিন যেনো শুরু হয় এই বিষয়ে যেকোন ভালো লেখকের লিখা শেয়ার করে হ্যাসট্যাগ দিয়ে হলেও। মনে রাখতে হবে যে ইস্যু টাকে জারি রাখতে হবে। বানের পানির মতো এক দুই দিনের মধ্যে শেষ হওয়ে যাওয়া কোন ইস্যু বানানো যাবেনা। বরং খসড়া আইন যেটার প্রস্তাব দেওয়া হয়ছে, এই বছরের ডিসেম্বরেই পাশ করার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত ইস্যুটা জীবন্ত রাখতে হবে, যদিও কাজটা সহজ নয় তবে একতাবদ্ধ হয়ে করলে সবই সম্ভব। প্রতিদিন ভ্লগাররা লাইভে এর প্রতীবাদ করতে পারে, যাতে করে ইস্যুটাকে জিইয়ে রাখা যায়, নতুবা ইসলাম বিদ্বেষীরা নব্য কোন ইস্যু দিয়ে এই ইস্যুটাকে গায়েব করে দিবে। আর যখন তা মানুষের অন্তর থেকে মুছে যাবে তখন তা তাদের নিল নকশা বাস্তবায়নে আর কোন বাধা থাকবেনা।
যাইহোক আযাব, গজব, নসিহত, ইতিহাস,
কুরআন সুন্নাহ থেকে দলিল প্রমান দিয়েও কতটুকু কাজ হবে আমার জানা নাই, কারণ হেদায়েত
মূলত মহান আল্লাহ তায়ালা উনার হাতে, তবে বান্দা হিসেবে আমার উপর যে হক্ব মহান
মালিকের, এর পরমাণু পরিমাণ আদায়ের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছি।
0 ফেইসবুক: