এভাবেই পোষাক পাল্টে দিল্লুর রহমানের নির্দেশে মাঠে নামে রাজারবাগির মুনাফিক মুরিদেরা |
মুনাফিক রাজারবাগিদের কথাবার্তা শুনলে আপনি তাজ্জুব হবেন আর ভাব্বেন এরা আসমানের নিচে একমাত্র প্রাণী যারা ছবি তোলা হারাম বলে এবং তা মেনে চলে। কিন্তু ভাই ও বোনেরা ব্যপারটা কি এরূপ?
এই রাজারবাগি পির দিল্লুর রহমানকে আমি ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত খুবই কাছ থেকে দেখেছি প্রতিদিনের রাতের মাহফিলের পরে, কদমবুসির জন্য লাইন ধরে থাকা মুরিদের থেকে হাদিয়ার টাকা ৫০/১০০/৫০০/১০০০ এর নোট নিতে। আমিও অনেক বার দিয়েছি (আস্তাগফিরুল্লাহ)।
প্রথমে বলে রাখিঃ (দ্বীন ইসলামে প্রনির ছবি আঁকা ও ডিজিটাল ক্যামেরায় প্রাণীর ছবি তোলা সম্পর্কে কুরআন সুন্নাহর হুকুম কি? এটা এখতিলাফি এক মাছালা এই জামানায়। ডিজিটাল ইমেইজ, বা ভার্চুয়াল ছবির ব্যপারে সকল ফেরকার ৯৯% ইসলামিক স্কলার যায়েজ বল্লেও দুনিয়ার সকল ফেরকার সকল ইসলামী স্কলার একমত যে হাতে আক্বা প্রাণীর ছবি তৈরি করা হারাম। কিন্তু রাজারবাগিরাতো সকল ছবিই হারাম বলে, কেবল অঙ্কন করাই না তোলা, আঁকা, রাখা দেখাও হারাম।
এবার আসুন তাদের মুনাফিকির নমুনা দেখাই। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশী টাকার এই নোটগুলী, সকল নোটে শেখ মুজিবের ছবি আছে। তবে এই ছবিগুলো কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরার তোলা ইমেইজ না, বরং আঁকা ছবির অন্তর্ভুক্ত, যা হারামের ব্যপারে সবাই একমত। এখন হাদিসে এসেছে যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে সেখানে রহমতের সাধারণ ফেরেশতাই না কেবল, খোদ জিবরাঈল আলাইহিস সালাম ও প্রবেশ করেন না। (দেখুন) এইসব হাদিস তো তাদের দাবী অনুসারে তারাই একমাত্র জানে, অথচ নিজে মানেনা। মানুষের দেওয়া ছবি ওয়ালা হাদিয়ার টাকা যখন তার পকেটে ঢোকায় মসজিদের ভেতর, তখন কি সেখানে রহমতের ফেরেশতাগণ থাকেন? এই মসজিদের সাথেই তার নাপাক ক্যান্টিন, সেখানে অনবরত বিকিকিনি চলছে, ক্যাশ ভরা অঙ্কিত ছবি ওয়ালা টাকা, এই যে টাকায় ছবি বিদ্যমান, সেখানে কি রহমতের ফেরেশতা থাকেন? আবার বলে পবিত্র ক্যান্টিন শরীফ নাউযুবিল্লাহ!!! পবিত্র হলে রহমতের ফেরেশতা নাই কেন? থাকলে হাদিস অস্বীকার করা হয়না?
এই হারাম ছবিযুক্ত টাকা ছাড়া রাজারবাগি মুনাফিক দিল্লুর রহমান তো এক দিনও চলতে পারছেনা। সে তো বিরাট মামলাবাজ, এই, সেই, যাই হোক, সে বিভিন্ন বিষয়ে রিট করে, তো আজ পর্যন্ত কেনো টাকা থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানোর ব্যপারে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রিট করেনাই? কেনো ফতওয়া দেয় নাই যে শেখ মুজিব এই ছবির কারণে যাহান্নামের সবচেয়ে বেশি আযাবের অধিকারী, শেখ হাসিনা হারাম কাজ করেছেন বাপের বিষয়ে, করেছেন যুলুম। জি হ্যাঁ, কবি এইখানেই নিরব।
নিম্নোক্ত ভিডিওতে কথিত এইসব ভাড়াটিয়া ফেইক উলামা লিগ তথা পোশাক পরিবর্তন করা রাজারবাগিরা নিজেরাই বলতেছে যে দিল্লুর তার ন্যাশনাল আইডি বানিয়েছে, ছবি তোলে, এটা নাকি শরীয়তের ভিত্তিতে, ইজমা ক্বিয়াসের ভিত্তিতে। অরে কেউ আমার ধরে আমি হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম...।
এবার আসি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের দরবারের মধ্যে থাকা বাসভবন, সেখানের বিদ্যুতের লাইন, গ্যাসের লাইন, পানির লাইন, রাজারবাগির হাঁসপাতাল, রাজারবাগির ৭.৫ এঁকোর জমি, আল বায়্যিনাত, আল ইহসান পত্রিকা, মুহম্মদিয়া জামেয়া শরীফ নামক কথিত মাদ্রাসা, এগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট বিকাশ, ব্যঙ্ক, সহ অন্যান্য টাকা লেনদেনের, জমির মালিকানার, কানেকশনের সময় কি ছবি তোলেনাই? যদি বলা হয় এগুলো রেজিস্ট্রেশন অন্যের নামে তাহলে দ্বিগুণ দায় আসবে তার উপর। কেউ নিজে জিনা না করে কাউকে দিয়ে করালে যেরূপ দ্বিগুণ পাপের ভাগীদার হতে হয়, অনুরূপ নিজে ছবি না তুলে অন্য কাউকে দিয়ে তুলালে সম পরিমাণ দ্বিগুণ গুনাহ হবে। আমার শাশুড়ি অনেক সময় আমার মেয়ের জন্য পোশাক নিয়ে আসেন, তো আমার আহলিয়া জানেন যে ছবি ওয়ালা পোশাক আমি ব্যবহার করিনা, তো প্রথম প্রথম প্রতিবেশির মেয়েকে দিতে চাইতেন, কিন্তু আমি একদিন বুঝালাম যে আমি যা ব্যবহার করছিনা তা কি আরেকজন মুসলিমকে দিয়ে ব্যবহার করাবো? এরপর থেকে ছবি কেটে ব্যবহারের উপযুক্ত হলে রাখা হয় না হলে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে এই মুশরিকের অনুসারীরা কখনো রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম উনার অপমানে রাস্থায় নামেনাই, জীবন দেয় নাই, করেনাই মিসিল মিটিং, সেমিনার। অথচ অনেক আশিকে রসূলদের উপর ফতওয়া মেরেছে সময় সময় যারা নবীপ্রেম দেখাতে গিয়ে ছবি ভিডিও করেছে, অনেকে জীবন দিয়েছে। অথচ যখন দিল্লুর হাক্বিকত ফাঁশ হলো, তার মামলাবাজির গোমর ফাঁস হলো তখন সকল মুরিদ মাঠে নেমে গেলো, তখন ছবি তোলা, দিল্লুর পাসা বাঁচাতে হারাম ভিডিও করা, মহিলাদের নিয়ে প্রেস কনফারেন্সের ভিডিও করা সব যায়েজ হয়ে গেলো।
লিঙ্ক মহিলা কনফারেন্স
এই মুনাফিকেরা রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের শানে কটূক্তির বেলায় ডাস্টবিনে ফেলা কাগজ দিয়ে প্রতীবাদ জানালেও, এদের বাবার পাছা বাঁচানোর সময় কিন্তু ঠিকই ময়দানে নেমেছিলো, মূলত জুব্বুল হুজুনের সর্বোচ্চ হক্বদার হলো এই রাজারবাগী মুশরিকরা। এই মুনাফিকেরা একিই কাজের জন্য বিগত দিনগুলিতে জামায়াত, কওমী, দেওবন্দী, সুন্নী সহ প্রায় সবাইকেই বাতিল মুর্তাদ বলে ফতওয়া মেরেছে, অথচ সেইসব দলগুলো তাগুত প্লাস বিভিন্ন অনৈসলামিক কাজের জন্য, গুস্তাখে রসুলদের জন্য এইসব করেছিলো আজও করছে। অথচ রাজারবাগ এর মুশরিকরা নিজেদের পাসায় হাত যখন পড়োলো তখন অন্যের উপর নিজেদের দেওয়া ফতোয়া ভুলে গিয়েছিলো।
মহান আল্লাহ পাক, রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম, আল কুরআন ও সম্মানিত দ্বীন ইসলামের কটুক্তির বেলায় এক পিস কাগজ এম্বেসিতে পাঠিয়ে ফেইসবুকে পোষ্ট দিয়ে রাজ্য উদ্ধার করে ফেলে, অথচ রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের কটূক্তির বেলায় তাদের কখনো রাজপথে প্রতীবাদ করতে দেখা না গেলেও নিজেদের নবী দিল্লুরের উপর অভিযোগ আসার সাথে সাথেই হারাম ভিডিও করে প্রতিবাদ শুরু করে দিলো। দেখুন ভিডিওতেঃ
এছাড়াও মুখে
গণতন্ত্র হারাম নামক বুলি আওড়ালেও, মুখে মুখে কেবল আল্লাহ পাকই নন দিল্লু
বাবাও আছ্ব ছ্বমাদ, সুলতানুন নাছির বলে যারা দাবি করে তারাই নিজেদের আওয়ামীলীগের
নেতা-লিডার এদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে সমাজে টিকে থাকার জন্যে। যা নিচের
ছবিতে ১০০% প্রমানীত হয়েছে।
এবার আসি স্পেশাল একটি বিষয়ে, সবাই আলহামদুলিল্লাহ পড়েন, কারণ এখন যা দেখবেন তা রাজারবাগি মুশরিক, মুনাফিক মুরিদদের কল্পনার বাহীরে। ছবি এবং ভিডিওতে যে আইডির এক্টিভিটিস দেখছেন তা হলো দিল্লুর রহমান অরূনের বড় জামাই মুহম্মদ শফিউল্লার, কিভাবে সে বেগানা নারীদের ছবি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শেয়ার করলো, তা আমার মাথায় ধরেনাই, যখন আমার নিকট নোটিফিকেশন আসে আমি তাজ্জুব হয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে আল্লাজির শুকরিয়া আদায় করলাম। সে হয়তো ভাবেইনাই আমি তার লিঙ্কডিনের ফ্রেন্ড লিষ্টে ঘাপটি মেরে বসে আছি। এরূপ নাযায়েজ কাজ সে যখন প্রকাশ্যে করতে পারছে, সেহেতু না জানি আরো কতো খ্রিষ্টান মেয়েদের সাথে তার গোপন যোগাযোগ আছে, আল্লাহু আলম। তবে একটি বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই যে, এই সবই তার ফরেন ডোনেশনের ধান্দার অংশ। আর এরূপ গোপন কত কিছু বেপর্দা নারীদের সাথে তার বিদ্যমান আল্লাহু আলম। অথচ এরাই আবার তাদের, বোন, বউ নন রাজারবাগি কার সাথে কখন কি করলো এইসব নিয়ে ফেইসবুকে গিবতে লিপ্ত থাকে।
আরো আছে, এখানেই শেষ নয়, এদের বাবা নাকি অন্তর্যামী, বাবা নাকি সব জানে মুরিদের, মুরিদের সকল জিনিস নাকি সে দেখতে পায়, মুরিদ একারণেই মামদুহ মাদুহ যিকর করে, অথচ যখন এদের কিছু মানুষ গুম হলো, তখন এদের ফেইক লানতুল্লাহ বাবার থেকে সিসি টিভি ফুটেজের দিকে রুজু হয়ে অনলেইনে সেইসব প্রচার করা শুরু করলো, যেনো দিল্লুর অক্ষমতার সিসিটিভি বাবা তাদের গুম হওয়া লোকদের ফিরে পেতে সাহায্য করে।
আজকের পরে কোন রাজারবাগি যদি ছবি হারাম বা কারো ছবি বিকৃত করে ফেইসবুকে, অনলাইনে আক্রমন করে তাহলে এই লিঙ্ক তাদের দিবেন আর ডেকে এনে জুতাপেটা করবেন আর বলবেন তোদের বাবার জামাইকে আগে ঠিক কর বদমাইশের দল। আজ এ পর্যন্তই, আগামিতে আরো চমক থাকবে, সব চমক তো এক সাথে দিলে হবেনা।
এইসব লিখা, আমজাদ আলি, মুঞ্জির সহ তার সাঙ্গ পাঙ্গদের উৎসর্গ করলাম যারা আমার নামে ফেইসবুকে মিথ্যাচার করেছিল করে যাচ্ছে অথচ আমি ফেইসবুক আইডি অফ করেই রেখেছি ২ বছরের উপর। এরা না ঘাটালে আমি হয়তো আজীবন অফলাইনেই থাকতাম। শফিউল্লার উচিৎ এদের কোলে নিয়ে চুমু খাওয়া।
0 ফেইসবুক: