উত্তরঃ সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক
উনার জন্য। এবং শতকোটি দরূদ ও সালাম পেশ করছি আমাদের প্রানের আক্বা নূরে মুজাসসাম
হাবিবুল্লাহ হুযুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার উপর; আর উনার তামাম আহলে বাইত
শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর,
উনার
খোলাফায়ে রাশেদিন ও সাহাবেয়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন এবং কিয়ামত
পর্যন্ত যারা সুন্দরভাবে উনাদের অনুসরণ করবে তাদের উপর।
আসুন জেনে নেই “কাফের” কারা?
>> ‘কুফর’ শব্দের অর্থ হচ্ছে
অস্বীকার করা, অবিশ্বাস
করা অথবা গোপন করা। বাংলাতে ‘কাফের’ শব্দের অর্থ করা হয়
অবিশ্বাসী। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার নাযিলকৃত বিধান দ্বীন ইসলাম বা
ইসলামের কোন অংশকে, কোরাআনুল
কারীম বা এর কোন আয়াত শরীফ বা হরফ কে, এবং
নূরে
মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা কোন একজন নবী
অথবা রাসূলকে অস্বীকার করে,
ইসলামি
আকিদাহ বা এর মৌলিক কোন ধর্মীয় বিশ্বাস বা অকাট্য দলিল দিয়ে প্রমানিত ইসলামের কোন
বিধি-বিধানকে অস্বীকার করে,
অবিশ্বাস
করে, প্রত্যাখ্যান
অথবা এইগুলো নিয়ে হাসি-ঠাট্টা বা অবজ্ঞা করে, নিঃসন্দেহে সে ব্যক্তি একজন কাফের। কাফের চির জাহান্নামী, সে কোনদিন জাহান্নাম
থেকে বের হতে পারবেনা। অনন্তকাল সে জাহান্নামে কঠিন শাস্তি পেতে থাকবে। এবং নূরে
মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনিও তাদের কে
কখনো শাফায়াৎ করবেন না।
উদাহরণঃ ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানরা নূরে
মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে ‘আখেরি রাসুল’ বা মহান আল্লাহ পাক উনার
দূত হিসেবে বিশ্বাস করেনা,
কোরাআনুল
কারীম ‘মহান
আল্লাহ পাক উনার কালাম’ বলে বিশ্বাস করেনা, একারণে তারা কাফের, তারাও চির জাহান্নামী
যদিওবা তারা এক মাবুদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। অনুরূপভাবে নাস্তিক যারা, যারা
মহান আল্লাহ পাক উনার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা তারাও কাফের। হিন্দুরাও নূরে
মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে রাসুল হিসেবে
বিশ্বাস করেনা, সুতরাং
এইদিক থেকে তারা যেমন কাফের অন্যদিকে মূর্তিপূজা করার কারনে তারা মুশরেক।
আসুন জেনে নেই
“মুশরেক”
কারা?
>> ‘শিরক’
শব্দের
অর্থ হচ্ছে কোন কিছুতে কাউকে শরিক বা অংশীদার বানানো। যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে
মুশরেক বলা হয়, বাংলাতে
‘মুশরেক’ শব্দের অর্থ করা হয়
অংশীবাদী। মুশরেক বলা হয় তাকে যে কোন কিছুকে মহান আল্লাহ পাক উনার অপ্রতিদ্বন্দ্বী
একক সত্ত্বা, মর্যাদা
বা ক্ষমতার সমান বা অংশীদার বলে বিশ্বাস করে, মনে করে অথবা দাবী করে। মুশরেক চির জাহান্নামী, সে কোনদিন জাহান্নাম
থেকে বের হতে পারবেনা। অনন্তকাল সে জাহান্নামে কঠিন শাস্তি পেতে থাকবে।
উদাহরণঃ হিন্দুরা তাদের মাটির তৈরী
দেব-দেবীদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার সমান মনে করে, সুতরাং জাতিগতভাবে হিন্দুরা মুশরেক। খ্রীস্টানরা ঈসা আলাইহিস
সালাম কে এবং ইহুদিরা মুসা আলাইহিস সালাম কে মহান আল্লাহ পাক উনার পুত্র মনে করে
(নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক),
একারণে
তারাও এক ধরনের মুশরেক।
আসুন জেনে নেই “মুনাফেক” কারা?
>> ‘নিফাক’ অর্থ কপটতা, ভন্ডামি বা দ্বিমুখী
নীতি। যার মধ্যে নিফাক থাকে তাকে মুনাফেক বলা হয়। যে ব্যক্তি মুখে নিজেকে ঈমানদার, মুসলমান বলে দাবী করে
কিন্তু যার অন্তরে ঈমান নেই,
যে
ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম এবং মহান আল্লাহ পাক উনার নাযিল করা একমাত্র সত্য ধর্ম, কোরাআনুল কারীম মহান
আল্লাহ পাক উনার বাণী, নবী
করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার প্রেরিত রাসুল, এগুলো বিশ্বাস করেনা বা
এগুলো নিয়ে চুল পরিমাণ সন্দেহ করে,
তাকে
মুনাফেক বলা হয় এমনকি যারা নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে তাদের মতো
সাধারণ মাটির মানুষ, নূর নবী নন, উনার কোনো ক্ষমতা নাই, তিনি মৃত তিনি গায়েব
জানতেন না এমন কথা যারা বলে বা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে তারাও মুনাফিক।
উদাহরণঃ যারা ‘সেকুলারিজম’ বা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ
মতবাদে বিশ্বাসী,
যারা নারী নেতৃত্ব, রাজনীতি, গণতন্ত্র কে জায়েজ মনে করে বা প্রতিষ্টা করতে চেষ্টা
করে, যারা
ইসলামের নামায, রোযা, হজ্জ, কোরবানি মানে কিন্তু ‘শরিয়াহ’ বা মহান আল্লাহ পাক উনার
আইন দিয়ে কোরআন শরীফ, হাদীস শরীফ দিয়ে দেশ পরিচালনা করা, আইন-আদালত ও বিচার করাকে
অস্বীকার করে, মুসলমান
নাম নিয়ে হিজাব-পর্দাকে কটাক্ষ করে তারা মুনাফেক।
আসুন জেনে নেই “মুর্তাদ” কারা?
>>‘রিদ্দা’
অর্থ
হচ্ছে পূর্বের অবস্থানে প্রত্যাবর্তন করা বা ফিরে যাওয়া। যে ব্যক্তি একবার ইসলাম
ধর্ম কবুল করে মুসলিম হয়ে অথবা পূর্বে মুসলিম থাকার পরে কুফুরী অথবা শিরক করে অথবা
ইসলামকে অস্বীকার করে পুনরায় কাফের হয়ে যায়, তাকে মুর্তাদ বলা হয়। দেশে ইসলামী আইন চালু থাকলে এবং সরকার
প্রধান যদি মুসলিম হয় তাহলে আদালতে নেওয়ার পূর্বে সে যদি তোওবাহ না করে, তাহলে আদলতে বিচার
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুর্তাদকে হত্যা করা হবে। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন, “যদি
কেউ দ্বীন ত্যাগ করে (কুফুরীতে) ফিরে যায় তাহলে তোমরা তাকে হত্যা করো”
[সহীহ বুখারী শরীফঃ ৩০১৭] কোন ব্যক্তি যদি সারা জীবন নামায রোযা
করে কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে কাফের হয়ে মুর্তাদ অবস্থায় মারা যায় তাহলে তার আমল যাই
হোক না কেনো, যদি সে কয়েক কোটি লোক কে মুসলিম ও বানায় তাহলে সে মুরতাদ যেমন জাঁকির
নায়েক, এবং কোন সন্দেহ নেই সে
ব্যক্তি চির জাহান্নামী,
সে
কোনদিন জাহান্নাম থেকে বের হতে পারবেনা। অনন্তকাল সে জাহান্নামে কঠিন শাস্তি পেতে
থাকবে।
উদাহরণঃ যে ব্যক্তি মুসলমানদের ঘরে
মুসলমান হিসেবে বেড়ে উঠে কিন্তু পরবর্তীতে নাস্তিক হয়ে যায় অথবা ইয়াহুদী বা
খ্রীস্টান হয়ে যায়, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম কে কঠাক্ষ করে, গালিগালাজ করে বা ইসলাম সম্পর্কে কটুক্তি করে তবে সে
মুর্তাদ হয়ে যাবে।
আসুন জেনে নিই “আহলে কিতাব” কারা?
>> আহলে কিতাব অর্থ হচ্ছে মহান
আল্লাহ পাক উনার নাযিল করা আসমানী কিতাব এর অনুসারী। ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানদেরকে
আহলে কিতাব বলা হয়। কারণ ইয়াহুদীরা দাবী করে তারা মুসা আলাইহিস সালাম উনার উপর
নাযিল করা তাওরাত (Old Testament)
এর
অনুসরণ করে আর খ্রীস্টানরা দাবী করে তারা ঈসা আলাইহিস সালাম এর উপর নাযিল করা
ইঞ্জীল (New Testament)
এর
অনুসরণ করে। উল্লেখ্য, যদিও
তাদেরকে আহলে কিতাব বলা হয় পরিচয় হিসেবে, প্রকৃতপক্ষে তারা তাওরাত বা ইঞ্জীলের অনুসরণ করেনা। ইয়াহুদী ও
খ্রীস্টানরা তাদের সুবিধা ও খেয়াল-খুশি অনুযায়ী কিতাবের বিকৃত বা অপব্যখ্যা করে
সেইগুলোকে পরিবর্তন করে ফেলেছে। বর্তমানে ‘বাইবেল’
নামে
যা আছে ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানদের কাছে, Old testament ও New testament এর সমন্বয়ে, এটা আসলে তাওরাত ও
ইঞ্জীলের বিকৃত রূপ। আর রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার আগমনের
পরে আর আহলে কিতাব থাকার কোনো সুযোগ নেই যেখানে আজকে ঈসা এবং মুসা আলাইহিমুস সালাম
উনারা জমিনে থাকলে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার উম্মত হতে হতো।
আসুন জেনে নেই “ফাসেক” কারা?
>> ‘ফিসক’ শব্দের অর্থ হচ্ছে
অবাধ্যতা। বাংলাতে ‘ফাসেক’ শব্দের অর্থ করা হয়
পাপীষ্ঠ। যে ব্যক্তি নিয়মিত কবীরাহ গুনাহতে লিপ্ত থাকে অথবা প্রকাশ্যে মহান আল্লাহ
পাক উনার নিষিদ্ধ ঘোষিত হারাম কাজ করতে অভ্যস্ত এবং তোওবা করে পাপ কাজ থেকে ফিরে
আসেনা, তাকে
ফাসেক বলা হয়। ফাসেক ব্যক্তি যদি নামাযী মুসলমান হয়, দ্বীনের অন্য বিধি-বিধান মেনে চলে কিন্তু কিছু কবীরাহ গুনাহতে
লিপ্ত থাকে, তাহলে
মীযানে তার নেক আমল যদি পাপ কাজের ওজনের চাইতে ভারী হয় তাহলে সে জান্নাতে যাবে।
অথবা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ রহমতে তিনি যদি তাকে ক্ষমা করে দেন, তাহলে সে কোনো শাস্তি
ছাড়াই সরাসরি জান্নাতে যাবে। কিন্তু তার পাপ কাজ যদি নেকীর চাইতে বেশি ভারী হয় এবং
মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত পেতে ব্যর্থ হয় তাহলে সে জাহান্নামে পাপের শাস্তি ভোগ
করবে। জাহান্নামে কঠিন শাস্তির পরে পাপের প্রায়শ্চিত্ত হলে তারপরে সে জান্নাতে
যাবে ইন শা’ আল্লাহ্।
উদাহরণঃ নিচের প্রত্যেকটা কাজই কবীরাহ
গুনাহঃ
- যে ব্যক্তি পিতা-মাতার অবাধ্য বা
তাদের হক্ক আদায় করেনা।
- যে ব্যক্তি কোন ওযর ছাড়া জামাতে শরীক
হয়না।
- যে ব্যক্তি দাঁড়ি মুন্ডন (শেইভ) করে।
- যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে কাপড় পড়ে।
- যে ব্যক্তি স্ত্রীর হক্ক আদায় করেনা, ঘরের লোকদের সাথে অন্যায়
ও যুলুম অত্যাচার করে।
- দাইয়ুস এবং যে ব্যক্তি ঘরের নারীদেরকে
হিজাব-পর্দার আদেশ করেনা।
- যে নারী হিজাব-পর্দা করেনা, পর পুরুষদের সাথে
চলা-ফেরা করে।
- যে নারী স্বামীর অবাধ্য, স্বামীকে কষ্ট দেয়।
- যারা অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা ও
জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত।
এই কাজগুলো বা এইরকম কবীরাহ গুনাহর সাথে
যারা জড়িত থাকবে, যারা
এইগুলো থেকে বাঁচার চেষ্টা করবেনা তারা ‘ফাসেক’
বলে
বিবেচিত হবে।
এবার “সর্বশেষ সতর্কতা” যারা আলিম নন এবং কোরআন সুন্নাহর যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন না তাদের
প্রতি।
আপনারা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি, যে নিজেকে মুসলিম দাবী করে
তাকে আন্দাজে ‘কাফের’ বা ‘মুশরেক’ বলে ফতোয়া দেবেন না অথবা
কারো মাঝে কোন গুনাহের কাজ দেখলেই তাকে ‘ফাসেক’
বলে
গালি দেবেন না। কোনো কুফর বা শিরক করলেই কেউ কাফের বা মুশরেক হয়ে যায়না যদি সে
অজ্ঞ না না জেনে কোন ভুল করে ফেলে যা আসলে শিরক বা কুফর, বা কোনো কিছু তাকে জোর করে
করানো হয় বা সে ভয়ে বা অজান্তে কুফুরী-শিরকের সাথে জড়িত হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে তাকে
কোনমতেই কাফের বা মুশরেক বলা যাবেনা। প্রথমে তাকে সেই ভুলের ব্যপারে সতর্ক করতে
হবে, দলিল
দেওয়ার পরেও সে যদি স্বেচ্ছায় কোন শিরক অথবা কুফরে লিপ্ত হয় তাহলে সে কাফের বা মুশরেক
বলে বিবেচিত হবে। আর কাউকে কাফের বলে ঘোষণা করা খুব জটিল ও বিপদজনক একটা বিষয়।
অযথা কাউকে নাস্তিক বা কাফের বলা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ! আপনারা ভালো করে নিচের হাদীস
শরীফটি লক্ষ্য করুনঃ
প্রানের আক্বা রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মোবারক করেছেন, “যে ব্যক্তি তার অপর কোন ভাইকে কাফের বলে, তাহলে তা দুইজনের যেকোন
একজনের দিকে ফিরবে। যদি সে যে (কাফের) বলেছে বাস্তবে তাই হয়, তাহলেতো ঠিক আছে। আর সে
যদি কাফের না হয় তাহলে উক্ত বিষয়টি (কুফুরী) যে বলেছে, তার দিকেই ফিরে আসবে।” [সহীহ মুসলিম শরীফঃ হাদিস
শরিফ নং ২২৫]
অনুরূপভাবে, কোন ব্যক্তি যদি দাঁড়ি
শেইভ করে অথবা কোন নারী যদি বেপর্দা চলাফেরা করে আপনারা তাকে ‘ফাসেক’ বলে গালি দেবেন না বা
তাকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না বরং তাকে বোঝাবেন নাহলে উল্টো সে ইসলাম থেকে আরো
দূরে সরে যাবে, যার
জন্য আপনি নিজেই দায়ী থাকবেন। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে কেউ কোনো পাপ কাজ করলে তাকে
উপদেশ দেওয়া, তাকে
ভালো কাজের দিকে আহবান করা ও তাকে দলিল দিয়ে বুঝানো। সে মানুক না আর না মানুক সেটা
তার ব্যপার তাকে তখন মহান আল্লাহ পাক উনার হাতে ছেড়ে দিবেন। কে ফাসেক আর কে
আল্লাহর ওলী সেটা বিচার করার এখতিয়ার মহান আল্লাহ পাক উনার এবং যারা উনার বিধান কে
কব্জা করেছে একমাত্র উনাদের, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের না।
0 ফেইসবুক: