Friday, June 10, 2022

দিল্লুর রহমানের মতো মিথ্যা আহলে বাইত দাবীদারের ব্যপারে হাদিসে ভবিষৎবাণী

মিথ্যা আহলে বাইত দাবীদার ফিত্নাবাজ রাজারবাগি পিরের মতো লোকের ব্যপারে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগেই রসূলে পাক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম সাবধান করে গেছেন মুসলিম উম্মাহ-কে

রাজারবাগিরা আহলে বাইত সম্পর্কিত যেকোন হাদিস পেলেই তাদের বাবার দিকে ফিট করাবে তাই তাদের সিস্টেম তাদের উপর- প্রয়োগ করা হবে ইলমে তাসাউফ আর সুন্নীয়তের নাম দিয়ে রাজারবাগি দিল্লুর তার পরিবার যে বিলাসী জীবনযাপন করছে, এরূপ জীবনযাপন তো শরীয়তের অনুসারী কোন পহেজগার মুত্তাকির জন্যেও ভয়ঙ্কর, সেখানে ইলমে তাসাউফের উচ্চ মাক্বামে থাকা কোন অলি আউলিয়ার ব্যপারে তো এরূপ জীবনের কল্পনাই করাই যাবেনা

সারাদিন থাকে এসির ভেতর, জানেনাঃ কখন কাটফাটা রোদ উঠে, ঘর্মাক্ত দেহে পেডেল মারা রোজাদার রিক্সা/ঠেলা ড্রাইভার, দিনমজুর, কৃষক, ইফতারেও ঠান্ডা পানিও খাওয়ার যে সুযোগ পায় না কখন বৃষ্টি নামে, বন্যা হয়, কোন ধারণাই নাই, এমনকি সেই বৃষ্টিতে ভিজে ড্রেনের নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করা মানুষগুলির জীবন কেমনে যায় জানেইনা জানেনা মশা মাছির যন্ত্রনা কেমন, জানেনা, ঘুমানোর স্থান না পেয়ে ফ্লাই ওভারের নিচে ইট বিছিয়ে ঘুমানোর কষ্টটা কেমন বিভিন্ন ছুতানাতায় অধীনস্তদের বেতন কর্তনের মজায় লুটেরা কখনই জানে না যে এই জুলুমে পড়ে যারা পায়ে হেঁটে দূরদূরান্ত থেকে এসে ১২ঘন্টার কর্মদিবস শেষ করে আবার পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরে যায় তাদের কষ্ট কি ভক্তদের মানসিক দুর্বলতাকে পুঁজি করে দিনের পর দিন শিক্ষিত মেধাবীদের ঈমানের ভয় দেখিয়ে অনুগত করে রেখে, পিতামাতার হক্ব আদায়ের পথে অন্তরায়ের হোতারা কিভাবে বুঝবে যে একজন সন্তানকে পড়াশোনা করিয়ে বড় করার পরে এভাবে হারিয়ে ফেললে তাদের কষ্ট টা কি অসহ্য তারা তো সেসব বিনা বেতনের কর্মীদের সংগৃহীত ভিক্ষার টাকায় দিব্বি অট্টালিকার ভিত মজবুত করে চলেছে তাদের নিজ বংশধরদের ভোগবিলাসের জন্য ভক্তদেরকে পর্দার সাথে চিকিৎসার নামে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের ধান্দায় এক হাসপাতাল তৈরি করেছে বটে, কিন্তু সেখানে চিকিৎসা না করলে মুরিদকেও মোনাফেক বলে আখ্যায়িত করে অথচ নিজ মেয়ের বাচ্চা প্রসব হয় দেশের নামীদামী হাসপাতালে যেকোনো চিকিৎসায় অত্যাধুনিক ব্যক্তিগত এম্ব্যুল্যান্সে করে ছুটে যায় সেসব হাসপাতালে আর প্রচার করা হয় এই অম্ব্যুল্যান্স নাকি জনসেবার জন্য কেনা হয়েছে। আর তার ভাড়া শুনলে রোগী এমনিতেই সরকাত থেকে খাড়া হয়ে দৌড় দিবে। বলুনতো তার কোন আচরনটি আহলে বাইতের মত? কোন স্বভাবটি তার আহলে বাইতের সাথে মিলে? এক চোখা দাজ্জালের চেলাগুলি বলে উক্ত নামধারী আহলে বাইত নাকি দুই হাতে খরচ করে কিন্তু একটা ইয়াতীম বা একজন অনাথ বিধবা বা ঋণগ্রস্থের পুনর্বাসনের বা ঋণের দায়িত্ব কি সে নিতে পেরেছে কখনো মানুষের কষ্টের উপার্জিত টাকা নবীজি ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লামের মুহব্বতে খরচ করার দাবি করে বটে, কিন্তু সেই অর্থ সে ঈমানের ভয় দেখিয়ে নবীজীর মুহব্বতের দোহাই দিয়ে হাদীয়ার নামে জোর করে আদায় করে অথচ এক চোখা দাজ্জালটার খরচের সকল প্রশংসাই তার নামে প্রচার করে মূর্খ মুরিদেরা আর এর পোষা দাজ্জালগুলিতো সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল প্রশংসার অধিকারী এই ফেতনার হোতাকে বানিয়েও রেখেছে নাউযুবিল্লাহ!!!

তার ভুঁড়ি দেখলেই মনে পড়ে দেওয়ানবাগির কথা, যেনো দিল্লুর লানতুল্লাহি ক্বায়ীম মাক্বামে দেওয়ানবাগি। অথচ খন্দকের যুদ্ধে রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের পেটে পাথর বাঁধা ছিলো, সাহাবীরা ছিলেন দিন অনাহারে। তার গায়ে কখনো ধুলো বালি পড়েনা, তার পোশাক দৈনিক নতুন ঝলমলে থাকে, তার জুতায়ই কখনো মাটি লাগেনা। যেখানে রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লামের হড়ীতে আগুন জ্বলতনা অনেক দিন, সেখানে দৈনিক সবচেয়ে ভালো গোশত, মাছ সে খায় পরিবার নিয়ে, আর মুরিদেরা পায় উচ্ছিষ্ট। মুরিদের জন্য রান্না করা হয় যেমন তেমন, মজা হোক বা না হোক খেতে হবে, যদি কেউ ভুলে বসে যায় কথিত তাবারুকের জন্য তাহলে তা বাধ্যতামূলক গিলতে হবে।

এই বিলাসী পির নিজে তার মুরিদেরা দাবি করে সে আহলে বাইত, কিন্তু যদি তাদের নিকট প্রমান চাওয়া হয়, তাহলে তাদের ১৪ পুরুষের কেউ নসবনামা, বংশধারা, বংশ লতিকা দিতে পারেনা। তবে আমি প্রমান করে দিয়েছি যে, (রাজারবাগের পির দিল্লুর রহমান ১০০% মিথ্যা আওলাদে রসূল আহলে বাইতের দাবিদার!) শুধু আহলে বাইত বলে ক্ষান্ত নয় একমাত্র খাস আহলে বাইত সে, আর বাকি দুনিয়ার সব আহলে বাইত ধইঞ্চা। তবে এরূপ লোকের যে আগমন হবে, গায়েবের খবর দেনে ওয়ালা নবী, রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের ইলমে মহান আল্লাহ পাঁক দিয়ে দিয়েছিলেন, এবং তিনি তা আমাদের জন্য রেখেও গেছেন, যেনো যখনই এরূপ কাজ্জাব পাওয়া যাবে তখনই আমরা সাবধান হতে পারি। আসুন দেখি হাদিস শরীফে কি এসেছেঃ

(عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ: كُنَّا قُعُودًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ، فَذَكَرَ الْفِتَنَ فَأَكْثَرَ فِي ذِكْرِهَا حَتَّى ذَكَرَ فِتْنَةَ الْأَحْلَاسِ، فَقَالَ قَائِلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا فِتْنَةُ الْأَحْلَاسِ؟ قَالَ: هِيَ هَرَبٌ وَحَرْبٌ، ثُمَّ فِتْنَةُ السَّرَّاءِ، دَخَنُهَا مِنْ تَحْتِ قَدَمَيْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي يَزْعُمُ أَنَّهُ مِنِّي، وَلَيْسَ مِنِّي، وَإِنَّمَا أَوْلِيَائِي الْمُتَّقُونَ، ثُمَّ يَصْطَلِحُ النَّاسُ عَلَى رَجُلٍ كَوَرِكٍ عَلَى ضِلَعٍ

ثُمَّ فِتْنَةُ الدُّهَيْمَاءِ، لَا تَدَعُ أَحَدًا مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ إِلَّا لَطَمَتْهُ لَطْمَةً، فَإِذَا قِيلَ: انْقَضَتْ، تَمَادَتْ يُصْبِحُ الرَّجُلُ فِيهَا مُؤْمِنًا، وَيُمْسِي كَافِرًا، حَتَّى يَصِيرَ النَّاسُ إِلَى فُسْطَاطَيْنِ، فُسْطَاطِ إِيمَانٍ لَا نِفَاقَ فِيهِ، وَفُسْطَاطِ نِفَاقٍ لَا إِيمَانَ فِيهِ، فَإِذَا كَانَ ذَاكُمْ فَانْتَظِرُوا الدَّجَّالَ، مِنْ يَوْمِهِ، أَوْ مِنْ غَدِهِ)

আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা নবী করীম ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট বসা ছিলাম। তখন তিনি (ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) নানাবিধ ফিতনাহ্ সম্পর্কে আলোচনা করলেন, এমনকি “ফিতনায়ে আহলাস”-এরও উল্লেখ করলেন। জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, “ফিতনায়ে আহলাস” কি? তিনি (ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাতে পলায়নপর হবে (পরস্পরের মধ্যে শত্রুতার দরুন একে অন্যের থেকে পলায়ন করবে) এবং ছিনতাই হবে।

অতঃপর দেখা দেবে “ফিতনাতুস্ সাররা” (অর্থাৎ সম্পদের প্রাচুর্যের বিলাসিতায় লিপ্ত হয়ে যাওয়ার ফিতনাহ্), উক্ত ফিতনার ধোঁয়া আমার আহলে বাইতের (দাবীদার) এক ব্যক্তির পায়ের নিচ হতে উৎপত্তি লাভ করবে। (বাস্তবতা হচ্ছে) সে আমার বংশের লোক বলে দাবি করবে, অথচ প্রকৃতপক্ষে সে আমার আপনজনদের কেউ নয়। মূলত পরহেজগার (মুত্তাকী) লোকেরাই হলো আমার আপনজন। অতঃপর লোকেরা এমন (এক) ব্যক্তির ওপর ক্ষমতা হস্তান্তরে একমত হবে, যে পাঁজরের হাড়ের উপর নিতম্বের মতো হবে (অর্থাৎ অনভিজ্ঞ ও অযোগ্য ব্যক্তিই হবে তাদের অধিনায়ক)।

এরপর তিনি “দুহায়মা” বা ঘন অন্ধকারময় ফিতনা প্রসঙ্গে বলেন, সেই ফিতনা এই উম্মাতের কোনো লোককেই একটি চপেটাঘাত না করে ছাড়বে না (অর্থাৎ ফিতনার শিকার হয়ে পড়বে)। অতঃপর যখন বলা হবে যে, তা শেষ হয়ে গেছে, তখনই তা আরো প্রসারিত হবে। এ সময়ে যে লোকটি সকালে মু’মিন ছিলো সন্ধ্যায় সে কাফির হয়ে যাবে। অবশেষে সব মানুষ দু’টি শিবিরে বিভক্ত হবে। একটি হবে ঈমানের শিবির, যেখানে মুনাফিকী থাকবে না। আর একটি হবে মুনাফিকীর শিবির, যেখানে ঈমান থাকবে না। যখন তোমাদের এ অবস্থা হবে, তখন দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের অপেক্ষা করবে ঐ দিন বা তার পরের দিন থেকে। (সূত্রঃ আবূ দাউদ ৪২৪২ দেখুন এখানে)

ব্যাখ্যাঃ হাদীসে উল্লেখিত বাক্য (وَلَيْسَ مِنِّىْ) সে আমার আপনজনদের কেউ নয়। অর্থাৎ সে আমার হাক্বিকি অনুসারীই নয়, অথবা আমল-আক্বিদাহর ক্ষেত্রে সে আমার পরিবারভুক্ত বা আমার (আহলে সুন্নতের) দল ভুক্ত নয়। কেননা সে যদি আমার অনুসারী হত তবে বিলাসিতা/আরাম আয়েশের (فِتْنَةُ السَّرَّ) ফিতনায় পতিত হত না। এর স্বপক্ষে মহান আল্লাহ তা’আলার বাণী যা তিনি হযরত নূহ আলাইহিস সালামকে উনার পথভ্রষ্ট মুশরিক আওলাদের বেলায় বলেছিলানঃ (قَالَ يٰنُوحُ إِنَّهُۥ لَيْسَ مِنْ أَهْلِكَ ۖ إِنَّهُۥ عَمَلٌ غَيْرُ صٰلِحٍ) নিশ্চয় সে আপনার আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত নয় (১)। সে অবশ্যই অসৎকর্মপরায়ণ। (সূরাহ হূদ ১১/৪৬ দেখুন এখানে)

(১) এ আয়াতাংশের তাফসীরে বলা হয়েছেঃ সে ঈমানের বদলে কুফর গ্রহণ করেছিল। আর মুক্তি বা নাজাতের ব্যাপারে যারা কুফরে লিপ্ত তাদের সাথে ঈমানদারের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। অর্থাৎ কেউ যদি আওলাদে রসূল বা আহলে বাইত হয়ে থাকে রক্ত সম্পর্কের বদৌলতে, তাহলেও সে খারিজ হয়ে যাবে যদি সে কুফরে লিপ্ত হয়। একে তো রাজারবাগি দিল্লুর শিরক করে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত, হাক্বিকতে সে যদি নসব দ্বারা আহলে বাইত হতো তাহলেও সে অলরেডি খারিজ হয়ে যেত (তার হয়েছে উভয় সংকট, ডাঙায় বাঘ - পানিতে কুমির)। যেহেতু সে আহলে বাইত দাবীদার অথচ আহলে বাইত নয় সেহেতু এই হাদিস অনুসারে সে একজন ফেত্নাবাজ বিলাসী মিথ্যা আহলে বাইতের দাবীদার যার দ্বারা সুন্নী সমাজে ফেত্নার সৃষ্টি হয়েছে বিলাসী জীবনযাপন করে আল্লাহ পাঁক ও রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম উনাদের শান মান নিয়ে টানাটানির কারণে। 


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুনঃ

এডমিন

আমার লিখা এবং প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বে আইনি।

0 ফেইসবুক: