Wednesday, June 15, 2022

মুশরিক দিল্লুর রহমানকে “আহলে বাইত” বানাতে রাজারবাগি ফেবু খলীফাদের হাদিস অস্বীকার!!!

লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ (لَآ حَوْلَ وَ لَآ قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ)। আউযুবিল্লাহ!!! নাউযুবিল্লাহ!!! আস্তাগফিরুল্লাহ!!!

১০০% খারেজীদের অন্তর্ভুক্ত জাহান্নামের কুকুর রাজারবাগি বালহুম আদল ও তার বান্দারা এখন প্রকাশ্যে হাদিস শরীফ অস্বীকার আর বিকৃত করছে বুক ফুলিয়ে। তাদের মুশরিক মালিক দিল্লুর তাদেরকে শিখিয়ে দেয় যেরূপ সয়তান তার অনুসারিদের শিখায়, তখন একজন ফেইসবুকে এসে পোষ্ট দেয় অন্যজন সাপোর্ট দিয়ে এগিয়ে নেয় সেই কুফুরকে। আসলে হাদিস শরীফে যে এদের হত্যা করার হুকুম এসেছে, তা এমনি এমনি আসেনাই, এই হাদিস শরীফ যখন প্রথম পড়ি তখন না বুঝলেও আজ পরিষ্কার, কেনো রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম এতো কঠোর ছিলেন এদের ব্যপারে।

আসেন এদের ব্যপারে হাদিস শরীফে কি এসেছেঃ (سُوَيْدُ بْنُ غَفَلَةَ قَالَ عَلِيٌّ إِذَا حَدَّثْتُكُمْ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا فَوَاللهِ لأَنْ أَخِرَّ مِنْ السَّمَاءِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَكْذِبَ عَلَيْهِ وَإِذَا حَدَّثْتُكُمْ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ فَإِنَّ الْحَرْبَ خِدْعَةٌ وَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ سَيَخْرُجُ قَوْمٌ فِي آخِرِ الزَّمَانِ أَحْدَاثُ الأَسْنَانِ سُفَهَاءُ الأَحْلاَمِ يَقُولُونَ مِنْ خَيْرِ قَوْلِ الْبَرِيَّةِ لاَ يُجَاوِزُ إِيمَانُهُمْ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنْ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنْ الرَّمِيَّةِ فَأَيْنَمَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاقْتُلُوهُمْ فَإِنَّ فِي قَتْلِهِمْ أَجْرًا لِمَنْ قَتَلَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

সুয়ায়দ ইবনু গাফালা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (মাওলা হযরত) আলী (কাররমাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম) বলেছেন, আমি যখন তোমাদেরকে রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন হাদীস (শরীফ) বয়ান করি, মহান আল্লাহ তা’আলার শপথ! তখন উনার উপর মিথ্যা কথা আরোপ করার চেয়ে আকাশ থেকে নিচে পড়ে যাওয়াটাই আমার কাছে শ্রেয়, (অর্থাৎ আমি কখনো মিথ্যা হাদিস বর্ণনা করিনা, এর চেয়ে আসমান থেকে নিয়ে পড়ে মরে যাওয়াই আমার নিকট উত্তম)। কিন্তু আমি যদি আমার ও তোমাদের মধ্যকার বিষয় সম্পর্কে কিছু বলি, তাহলে মনে রাখতে হবে যে, যুদ্ধ একটি কৌশল। আমি রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, শেষ যুগে এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটবে যারা হবে অল্পবয়স্ক যুবক, (আর তারা হবে) নির্বোধ। তারা সর্বোত্তম কথা উপস্থাপন করবে (মানুষের সম্মুখে), আর তারা কোরআন তেলাওয়াত করবে কিন্তু তা তাদের গলার নিচে যাবে না (অর্থাৎ কল্বে পৌঁছাবেনা)। (একারণেই) তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায়। (অতএব) তাদেরকে যেখানেই তোমরা পাবে হত্যা করবে। কেননা তাদেরকে হত্যা করলে হত্যাকারীর জন্য কিয়ামতের দিনে প্রতিদান আছে। (দেখুন)

এবার দেখি মুশরিক রাজারবাগির ফেবু খলীফা কি লিখেছেঃ

সে হাদিস পেশ করেছেঃ অথচ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, নছবনামা দিয়েই কেউ আহলু বাইত দাবি করতে পারবে না। আহলু বাইত তারাই হবেন যারা আল্লাহভীরু, পরহেজগার ব্যক্তি। (সুনানে আবু দাউদ ৪২৪৩)

অথচ মূল হাদিসে কি বলা হচ্ছে দেখুনঃ (ثُمَّ فِتْنَةُ السَّرَّاءِ دَخَنُهَا مِنْ تَحْتِ قَدَمَىْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي يَزْعُمُ أَنَّهُ مِنِّي وَلَيْسَ مِنِّي وَإِنَّمَا أَوْلِيَائِيَ الْمُتَّقُونَ) অতঃপর দেখা দেবে “ফিতনাতুস্ সাররা”(অর্থাৎ সম্পদের প্রাচুর্যের বিলাসিতায় লিপ্ত হয়ে যাওয়ার ফিতনাহ্), উক্ত ফিতনার ধোঁয়া আমার আহলে বাইতের (দাবীদার) এক ব্যক্তির পায়ের নিচ হতে উৎপত্তি লাভ করবে। (বাস্তবতা হচ্ছে) সে আমার বংশের লোক বলে দাবী করবে, অথচ প্রকৃতপক্ষে সে আমার আপনজনদের কেউ নয়। মূলত পরহেজগার (মুত্তাকী) লোকেরাই হলো আমার আপনজন। (এই হাদিস দ্বারা আমি প্রমান করেছি অলরেডি দিল্লুর রহমানের মতো মিথ্যা আহলে বাইত দাবীদারের ব্যপারে হাদিসে কি ভবিষৎবাণী এসেছে) এছাড়াও প্রমান করে দিয়েছি যে (রাজারবাগের পির দিল্লুর রহমান ১০০% মিথ্যা আওলাদে রসূল ও আহলে বাইতের দাবীদার!)।

আসুন হাদিসের শরাহ (হাদিসের ব্যখ্যা ইমামদের থেকে) কি বলা হয়েছে তা দেখিঃ অর্থাৎ যে লোক থেকে “সম্পদের, প্রাচুর্যের, বিলাসিতার ফিতনাহ্ সৃষ্টি হবে, সে নিজেকে রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম এর বংশধর বলে দাবী করবে যাতে মানুষ তাকে সম্মান করে, মুসলিম মনে করে আহলে বাইত হিসেবে, কিন্তু রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লামের সাথে রক্তের সম্পর্ক থাকলেও ইহার কোন মুল্য নাই যদি না সে তাক্বওয়াশিল, মুত্তাকী, পরহেজগার হয়। (মূল আরবি টেক্সটও এখানে দেখতে পারেন)

এবার আসি, তার করা দাবী অনুসারে “আহলু বাইত তারাই হবেন যারা আল্লাহভীরু, পরহেজগার ব্যক্তি” নাউযুবিল্লাহ!!! কতো বড় ভন্ড আর জাহিল কাজ্জাব সে। বলে আহলু বাইত তারাই হবেন যারা আল্লাহভীরু, পরহেজগার ব্যক্তি হলেই আহলে বাইত, অথচ হাদিস শরীফে কিয়ামত পর্যন্ত আহলে বাইত কারা তা স্পষ্ট বলাই আছেঃ (وَعَن يَزِيدَ بنِ حَيَّانَ، قَالَ : انْطَلَقْتُ أنَا وحُصَيْنُ بْنُ سَبْرَة، وَعَمْرُو ابنُ مُسْلِم إِلَى زَيْدِ بْنِ أرقَمَ رضي الله عنه، فَلَمَّا جَلسْنَا إِلَيْهِ قَالَ لَهُ حُصَيْن : لَقَدْ لقِيتَ يَا زَيْدُ خَيْراً كَثِيراً، رَأيْتَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، وَسَمِعتَ حَدِيثَهُ، وغَزوْتَ مَعَهُ، وَصَلَّيْتَ خَلْفَهُ : لَقَدْ لَقِيتَ يَا زَيْدُ خَيْراً كَثيراً، حَدِّثْنَا يَا زَيْدُ مَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ : يَا ابْنَ أخِي، وَاللهِ لقد كَبِرَتْ سِنِّي، وَقَدُمَ عَهدِي، وَنَسِيتُ بَعْضَ الَّذِي كُنْتُ أعِي مِنْ رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم، فَمَا حَدَّثْتُكُمْ، فَاقْبَلُوا، وَمَا لاَ فَلاَ تُكَلِّفُونيهِ . ثُمَّ قَالَ: قَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَوماً فِينَا خَطِيباً بمَاءٍ يُدْعَى خُمَّاً بَيْنَ مَكَّةَ وَالمَدِينَةِ، فَحَمِدَ الله، وَأثْنَى عَلَيهِ، وَوعظَ وَذَكَّرَ، ثُمَّ قَالَ: «أمَّا بَعدُ، ألاَ أَيُّهَا النَّاسُ، فَإنَّمَا أنَا بَشَرٌ يُوشِكَ أنْ يَأتِي رَسُولُ ربِّي فَأُجِيبَ، وَأنَا تَارِكٌ فِيكُم ثَقَلَيْنِ : أوَّلُهُمَا كِتَابُ اللهِ، فِيهِ الهُدَى وَالنُّورُ، فَخُذُوا بِكِتَابِ الله، وَاسْتَمْسِكُوا بِهِ»، فَحَثَّ عَلَى كِتَابِ الله، وَرَغَّبَ فِيهِ، ثُمَّ قَالَ: «وَأهْلُ بَيْتِي أُذكِّرُكُمُ اللهَ في أهلِ بَيْتي، أُذَكِّرُكُمُ الله في أَهلِ بَيتي»فَقَالَ لَهُ حُصَيْنٌ : وَمَنْ أهْلُ بَيتهِ يَا زَيْدُ، أَلَيْسَ نِسَاؤُهُ مِنْ أهْلِ بَيْتِهِ ؟ قَالَ : نِسَاؤُهُ مِنْ أهْلِ بَيتهِ، وَلكِنْ أهْلُ بَيتِهِ مَنْ حُرِمَ الصَّدَقَةَ بَعدَهُ، قَالَ : وَمَنْ هُمْ ؟ قَالَ : هُمْ آلُ عَلِيٍّ وَآلُ عَقِيلٍ وَآلُ جَعفَرَ وآلُ عَبَّاسٍ . قَالَ : كُلُّ هَؤُلاَءِ حُرِمَ الصَّدَقَةَ ؟ قَالَ : نَعَمْ)

ইয়াযীদ ইবনু হাইয়ান বলেন, “আমি, হুসাইন ইবনু সাবরাহ ও আমর ইবনু মুসলিম; যায়েদ ইবনু আরক্বাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট গেলাম। যখন আমরা উনার পাশে বসলাম, তখন হুসাইন তাঁকে বললেন, “হে যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! আপনি অসংখ্য কল্যাণ লাভ করেছেন; আপনি রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছেন, উনার হাদীস শরীফ শুনেছেন, উনার সাথে থেকে যুদ্ধ করেছেন এবং উনার পিছনে নামায পড়েছেন। হে যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! আপনি প্রভূত কল্যাণপ্রাপ্ত হয়েছেন। আপনি আমাদেরকে রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম-এর সেই হাদিস শরীফ শুনান, যা আপনি (স্বয়ং) উনার নিকট থেকে শুনেছেন”। তিনি বললেন, “হে ভাতিজা! মহান আল্লাহ পাঁকের কসম! আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি এবং (নবী করীম ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে) আমার যে যুগটা কেটেছে, তাও যথেষ্ট পুরানো হয়ে গেছে। (ফলে) রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম-এর যেসব কথা আমার স্মরণে ছিল, তার কিছু ভুলে গেছি। সুতরাং আমি যা বলব, কেবল তাই গ্রহণ কর এবং যা বর্ণনা করব না, তার জন্য আমাকে বাধ্য করো না।’

অতঃপর তিনি বললেন, “একদিন রসূলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে মক্কা ও মদ্বীনার মধ্যে “খুম” নামক ঝর্ণার নিকটে খুতবাহ দেওয়ার জন্য দাঁড়ালেন। তিনি সর্ব প্রথম মহান আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করলেন এবং খুৎবা প্রধান ও নসিহত করলেন। অতঃপর বললেন, “আম্মা বা’দ। হে লোকেরা! শোনো, আমি একজন মানুষ মাত্র (অর্থাৎ আমার ও অফাৎ হবে), শীঘ্রই (আমার নিকট) আমার প্রতিপালকের (মৃত্যু) দূত আসবেন এবং আমি (মহান আল্লাহ পাঁকের নিকট যাওয়ার জন্য) উনার ডাকে সাড়া দেব। আমি তোমাদের মাঝে দু’টি ভারী (গুরুত্বপূর্ণ) বস্তু রেখে যাচ্ছি। তার মধ্যে একটি হচ্ছে মহান আল্লাহ তা’আলার কিতাব, যাতে হিদায়াত ও নূর রয়েছে। সুতরাং তোমরা মহান আল্লাহ তা’আলার কিতাবকে গ্রহণ কর এবং তা মযবুত করে আঁকড়ে ধরে থাকবে।’’ সুতরাং তিনি মহান আল্লাহ তা’আলার কিতাবের উপর (আমল করার প্রতি) উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করলেন। অতঃপর বললেন, “(আর দ্বিতীয় বস্তুটি হচ্ছে) আমার আহলে বাইত; আমি তোমাদেরকে আমার আহাল পরিবারের ব্যাপারে মহান আল্লাহ তা’আলার ভয়কে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি (কথাটি তিনবার বল্লেন)।

তারপর হুসাইন রহমতুল্লাহ উনাকে বললেনঃ “রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবার কারা? হে যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! উনার স্ত্রীরা কি উনার আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত নন?” তিনি (যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, “(নিঃসন্দেহে) স্ত্রীরাও উনার আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু (গাঁদিরে খুমে যাদের) তিনি আহলে বাইত বলেছেন, উনারা হলেন “যাঁদের উপর উনার (অফাৎ)-এর পর (কিয়ামত পর্যন্ত) যাকাত/সাদাকাহ হারাম করা হয়েছে”। হুসাইন রহমতুল্লাহ জিজ্ঞাসা করলেন, উনারা কারা? যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু জবাব দিলেন, “উনারা হচ্ছেন আলে আলী, আলে আক্বীল, আলে জা’ফর, এবং আলে আব্বাস’। হুসাইন রহমতুল্লাহ বললেন, “এদের সকলের প্রতি যাকাত/সাদাকাহ হারাম করা হয়েছে’। তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। (দেখুন)

অর্থাৎ স্পষ্ট হয়ে গেলোঃ যারা হাক্বিকতে আহলে বাইত, তারা ধনী হোক, কিংবা গরীব তাদের জন্যে যাকাত, সাদাকাহ খাওয়া, ব্যবহার করা হারাম কিয়ামত পর্যন্ত। (এছাড়াও কুরআন সুন্নাহর আলোকে আওলাদে রসূল ও আহলে বাইত কারা ও কত প্রকার তা আমি অলরেডি প্রকাশ করেছি চাইলে পড়তে পারেন)। এখন এই মূর্খ জাহিল মুশরিকদের মনগড়া মিথ্যা ব্যখার হাদিস অনুসারেঃ মুত্তাকী পরহেজগার হলে তাকে যাকাত দেওয়া যাবেনা, কারণ তাদের কথায় “আহলু বাইত তারাই হবেন যারা আল্লাহভীরু, পরহেজগার ব্যক্তি” নাউযুবিল্লাহ!!!

এছাড়াও এই জাহিলরা চায় স্বপ্ন দিয়ে শরীয়তের দলিল দিতে, আসলে জাহিল হলে আর কি বলার আছে?

শরীয়তের দলিল কি স্বপ্ন? নাকি কুরআন সুন্নাহ? কুরআন সুন্নাহর দলিলের বিপরীতে কোন স্বপ্ন কি গ্রহণযোগ্য?

শায়েখ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী রহমতুল্লাহী উনার ‘মা ছাবাতা বিসছুন্নাহ ফী আইয়ামিস ছ্বনাহ’ কিতাবে ৩৩৫ পৃষ্ঠায়ঃ এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন, কানযুল উম্মাল কিতাবের সংকলক শায়েখ আলী আল মুত্তাকীর সূত্রে। ঘটনাটি হলঃ “এক ব্যক্তি দাবী করে, স্বপ্নে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেনঃ (اشرب الخمر) “তুমি মদ পান কর”। বিস্তারিত উনার উত্তর কি ছিলো মুশরিকেরা যেনো দেখে নেয় উনার সেই কিতাব খুলে।

পাঠকের উদ্যেশ্যে বলছি, এখন কি মদ তাঁর জন্যে হালাল হয়ে যাবে যেখানে খোদ আল্লাহ পাঁক হারাম ঘোষণা করেছেন আল কুরআনে, রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম হারাম বলেছেন হাদিসে। 

অতএব প্রমাণিত হলোঃ এরা খারেজী, মিথ্যা আহলে বাইতের দাবীদার, কাজ্জাব, হাদিস অস্বীকারকারী মুরতাদ। কারণ তারা এরূপ মশহুর স্পষ্ট হাদিসের হুকুম অস্বীকার করে মনগড়া দাবী জানায়।

এছাড়াও এদের নিকট কুরআন হাদিস অনুসারে নসবনামার/বংশলতিকার দলিল চাইলে, উত্তরে কিরূপ নিকৃষ্ট গালিগালাজ করে তাও দেখুন, আর বুঝুন এরা পশুর কাতারেও পড়ে কি না। আসলে বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুনঃ

এডমিন

আমার লিখা এবং প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বে আইনি।

1 comment:

  1. মা শা আল্লাহ! জাযাকাল্লাহ! এতো সুন্দর দলিল ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে ভন্ডদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন যা ইতিপূর্বে বিচ্ছিন্ন ভাবে অনেকে লিখলেও গুছিয়ে বলতে পারেন নাই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'লা আপনার ইলমের মধ্যে বারাকাহ দান করুন। নিঃসন্দেহে এটা মুসলিম উম্মাহর ইমান ও আমল বাচানোর কাজে আপনার পক্ষ থেকে অতি উত্তম একটি উপহার।

    ReplyDelete