অহে এক সময়ের প্রিয় ভাই, এক সময়ের সহযোদ্ধা, এক সময়ের সূফী। তোমার কি বোধদ্বয় হয়না? একবার ও কি ফিকিরে আসেনা? একবার ও কি ৫ মিনিট বসে চিন্তা করার মতো ঈমান ও তোমার অবশিষ্ট নাই? যে, যে ভাই আমাদের মিসাইল ছিলেন, আমাদের হয়ে এক সময় বাতিল ফেরকার দিকে তাক করে তাদের ধ্বংস করে দিতেন, আজ কেনো সেই ভাইয়ের কলম আমাদের লক্ষ্য করেই চলে, আজ কেনো উনার দৃষ্টিতে আমরা বাতিল বলে গন্য হলাম। দেখিতো উনি কি বলে? কেনো উনি বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে?
হ্যাঁ তাহলে শোন, যদি শোনার মতো ঈমান তোমার অবশিষ্ট থাকে?
১) আমি কি দিল্লুর রহমান আউলিয়া হিসেবে আউলিয়া হওয়ার ব্যপারে বিদ্বেষ প্রকাশ করেছি?
২) আমি কি দিল্লুর রহমান মুমিন হলে তার মুমিন হওয়ার ব্যপারে বিদ্বেষ প্রকাশ করেছি?
৩) আমি কি দিল্লুর রহমান যামানার ইমাম হলে তার ইমামাতে বিদ্বেষ প্রকাশ করেছি?
৪) আমি কি দিল্লুর রহমান মুজাদ্দিদ হলে তার মুজাদ্দিদ হওয়ার ব্যপারে বিদ্বেষ প্রকাশ করেছি?
৫) আমি কি দিল্লুর রহমান মুজাহিদ হলে তার জ্বিহাদী হওয়ার ব্যপারে বিদ্বেষ প্রকাশ করেছি?
৬) এমনকি আমি তো দিল্লুর উপর আরোপিত মানুষের যায়গা জমি আত্মসাতের বিষয়েও কিছু বলিনাই।
৭) আমিতো মূর্খদের মতো কাফির বলিনাই "ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম" দুরুদ পাঠের উপর ও কাফের ফতওয়া দেইনি, শরীয়ত দ্বারা দেওয়া যায়না বলে।
না না না, আমি এইসব নিয়ে কোন বিদ্বেষ প্রকাশ করিনি, আমি কোন মিথ্যাচার করিনি তার চারিত্রিক, তার পারিবারিক কোন বিষয়ে, আমি প্রশ্ন তুলিনাই তার জন্ম নিয়ে। তার মেয়েদের, তার ছেলের তার দুই দামাদের চরিত্রের ব্যপারে।
তাহলে আমার বিরুদ্ধাচারন কিসের উপর? আসো জানো, বুঝো, মানো হে আল্লাহ পাঁকের বান্দা দাবীদার, নবীজির উম্মত দাবীদার ভাই ও বোনেরা।
আমরা জানি স্রষ্টাতে আল্লাহ পাঁক একক, আর সৃষ্টিতে সবচেয়ে সম্মানিত নবী মুহাম্মদুর রসুলুল্লাহ ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম। একারণেই যারা খালিস বান্দা, তাদের অন্তর জুড়ে থাকে মহান আল্লাহ পাঁকের ভয়, মুহব্বত এবং আনুগত্য আর উম্মত হিসেবে নবীজি ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লামের জন্য বুক জুড়ে থাকে হৃদয়ভরা ভালোবাসা, মুহব্বত আর আনুগত্য। উনাদের মতেই মত হয়, উনাদের পথেই পথ হয়। যখনই কোন মানুষ উনাদের মত ও পথের বাহিরে গিয়ে নিজস্ব কোন তরীকা পথ ইখতিয়ার করে তখনই যারা মুখলিস বান্দা ও উম্মত, তাঁরা সেই পথ কে পরিত্যাগ করে। এখন আমার জিজ্ঞাসা হলোঃ তোমরা কি আগে মুরিদ পরে বান্দা ও উম্মত নাকি আগে বান্দা ও উম্মত পরে মুরিদ?
তোমরা কি এমন মানুষকে মুহব্বত করবে যে তোমাদের আল্লাহ ও তোমাদের রসূলের স্থানে নিজেকে বসিয়ে দেয়? তোমরা কি এমন মানুষকে মুহব্বত করবে যে সরাসরি মহান আল্লাহ পাঁক ও রসূলে পাঁক ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম উনাদের বিরুদ্ধাচারন করে? তাহলে দেখো মহান আল্লাহ পাঁক কি বলেনঃ হে আমার হাবীব ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম (لَا تَجِدُ قَوۡمًا یُّؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ یُوَآدُّوۡنَ مَنۡ حَآدَّ اللّٰهَ وَ رَسُوۡلَهٗ وَ لَوۡ کَانُوۡۤا اٰبَآءَهُمۡ اَوۡ اَبۡنَآءَهُمۡ اَوۡ اِخۡوَانَهُمۡ اَوۡ عَشِیۡرَتَهُمۡ ؕ اُولٰٓئِکَ کَتَبَ فِیۡ قُلُوۡبِهِمُ الۡاِیۡمَانَ وَ اَیَّدَهُمۡ بِرُوۡحٍ مِّنۡهُ) মহান আল্লাহ তা’আলা ও আখেরাতে বিশ্বাস করে এমন কোন সম্প্রদায়-(কে) আপনি পাবেন না যারা মহান আল্লাহ তা’আলা ও উনার রসূল ছ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লামের বিরোধিতাকারীদেরকে ভালবাসেঃ- যদিও এই বিরোধী-(তা কারীরা) তাদের পিতা অথবা পুত্র অথবা তাদের ভাই অথবা তাদের জ্ঞাতি গোষ্ঠী (হয়)। (আর) মহান আল্লাহ তাআলা এদের-(ই) অন্তরে ঈমানকে বদ্ধমূল করে দিয়েছেন, আর নিজের পক্ষ থেকে রূহ দিয়ে তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন। (আল কুরআন ৫৮/২২)।
এখন আমাকে তোমরা বলোঃ যে লোক আউযুবি-মামদুহ, নাউযুবি-মামদুহ, সুবহানা-মামদুহ, মা’শা-মামদুহ, ইন’শা-মামদুহ, আলহামদুলি-মামদুহ, বিইসমি-মামদুহ ইত্যাদি কুফুরি বাক্য চালু করিয়েছে তাকে আমি মুহব্বত করবো? এইসব যদি আজকে দিল্লুর রহমান না করে কোন সালাফি, ওহাবী, নজদি, দেওবন্দি, কওমী, রেজাখানি করতো তাহলে তোমরা কি করতে?
যেখানে খোদ মহান আল্লাহ তা’আলাও অন্য কোন নবী রসূল আলাইহিমুস সালামদের বেলায়ও, রহমাতাল্লীল আলামিন (সারা কায়েনাতবাসির জন্যে রহমত স্বরূপ) ব্যবহার করেন নাই, সেখানে কোন সালাফি, ওহাবী, নজদি, দেওবন্দি, কওমী, রেজাখানি যদি নিজেকে রহমাতাল্লীল আলামিন দাবী করতো তাহলে তোমরা কি করতে?
আজকে নসব, বংশধারা, বংশ লতিকা মওজুদ থাকা অবস্থায় পাকিস্থনি রেজাখানি পির তাহের-সাবের শাহ, দেওবন্দি মাদানিরা, জর্ডান মরক্কোর বাদশাহদের তোমরা আওলাদে রসূলে, আহলে বাইতের মর্যাদা যেখানে দাওনা সেখানে দিল্লুর রহমানকে মিথ্যা আহলে বাইতের দাবীদার প্রমানের পরেও আহলে বাইত বলে চালাচ্ছ? আজকে অন্য কেউ এই কাজ করলে তোমরা কি করতে?
তোমরা তো আল্লাজীর বান্দা, নবীজির উম্মত বলে দাবী করো, হুব্বে ইলাহী, হুব্বে রসূলের সর্বচ্চো দাবী করে থাকো, এই কি মুহব্বত আর আনুগত্যের নমুনা? যখনঃ
১) আউযুবিল্লাহ থেকে আল্লাহ তা’আলাকে কেটে/ডিলিট করে দিল্লুর রহমানের নাম লাগানো হয় তখন তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার বদলে তোমরা তার আনুগত্যে, মুরিদ হয়েই তৃপ্ত থাক।
২) বিসমিল্লাহ থেকে আল্লাহ তা’আলাকে কেটে/ডিলিট করে দিল্লুর রহমানের নাম লাগানো হয় তখন তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার বদলে তোমরা তার আনুগত্যে, মুরিদ হয়েই তৃপ্ত থাক।
৩) সুবহানাল্লাহ থেকে আল্লাহ তা’আলাকে কেটে/ডিলিট করে দিল্লুর রহমানের নাম লাগানো হয় তখন তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার বদলে তোমরা তার আনুগত্যে, মুরিদ হয়েই তৃপ্ত থাক।
৪) আলহামদুলিল্লাহ থেকে আল্লাহ তা’আলাকে কেটে/ডিলিট করে দিল্লুর রহমানের নাম লাগানো হয় তখন তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার বদলে তোমরা তার আনুগত্যে, মুরিদ হয়েই তৃপ্ত থাক।
৫) মা’শাআল্লাহ থেকে আল্লাহ তা’আলাকে কেটে/ডিলিট করে দিল্লুর রহমানের নাম লাগানো হয় তখন তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার বদলে তোমরা তার আনুগত্যে, মুরিদ হয়েই তৃপ্ত থাক।
৬) ইন’শা-আল্লাহ থেকে আল্লাহ তা’আলাকে কেটে/ডিলিট করে দিল্লুর রহমানের নাম লাগানো হয় তখন তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার বদলে তোমরা তার আনুগত্যে, মুরিদ হয়েই তৃপ্ত থাক।
৭) ইসলামিক শ্লোগানঃ নারায়ে তাক্ববির, আল্লাহু আক্ববার কে পরিবর্তন করে মুরিদদের দিয়ে নারায়ে মামদুহ, মুর্শিদে আক্ববর বলানো হয় তখন তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার বদলে তোমরা তার আনুগত্যে, মুরিদ হয়েই তৃপ্ত থাক।
৮) সে যখন আহলে বাইত না হয়েও, আওলাদে রসূল না হয়েও দাবী করে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে তাকে মুহব্বত করাতে বাধ্য করে তখন তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার বদলে তোমরা তার আনুগত্যে, মুরিদ হয়েই তৃপ্ত থাক।
৯) সে যখন নিজেকে রহমাতুল্লিল আলামিন দাবী করে, যা অন্য কোন নবীর বেলায় ও প্রযোজ্য না, তখন তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার বদলে তোমরা তার আনুগত্যে, মুরিদ হয়েই তৃপ্ত থাক।
১০) পঙ্গপাল হালাল হওয়ার পরেও যখন তা খাওয়া হারাম বল্ল, এটা ছোট্ট এক ধরেনের পাখীর মতো বল্ল, অথচ মরা পাখি খাওয়া হারাম, মরা পঙ্গপাল হালাল, তখনও তোমরা ঘর বৈঠকি মূর্খ পিরের হাদিস বিরোধি কথার তাহকীক হিসেব আল যারাদ কি জিনিস তা ন্যাশনাল জিওগ্রাফি কিংবা উইকির ওয়েব সাইটে গিয়ে দেখতে চাওনি, চাওনি ইউটিউব খুলে আরবের মানুষ কীভাবে কিনে খাচ্ছে হালাল জিনিসটা প্রটিন হিসেবে, অথচ তখন তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার বদলে তোমরা তার আনুগত্যে, মুরিদ হয়েই তৃপ্ত থাক মানুষকে মুনাফিক ফতোয়া দিয়ে। (পঙ্গপাল সম্পর্কিত সকল হাদিস এইখানে)
এর পরেও তোমরা চাও আমি তাঁকে মুহব্বত করি? ভালোবাসি, তার মুরিদ হই?
অথচ মুহব্বত আর আনুগত্য আর অনুসরণের মাপকাঠি কি? এর সম্মান ও মর্যাদা কি তোমরা কি জানো? দেখো জেনে নাও হাদিসে কি বলা হয়েছেঃ
আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে দিন মহান আল্লাহ পাকের (রহমতের) ছায়া ব্যতিত আর কোন ছায়া থাকবে না, সেদিন সে দুই ব্যক্তিকে, “যারা পরস্পরকে মুহব্বত করে মহান আল্লাহ পাকেরই জন্যে, মিলিত হয় মহান আল্লাহ পাকেরই জন্যে এবং পৃথকও হয় মহান আল্লাহ পাকেরই জন্যে”। ছায়া প্রদান করা হবে। (বুখারী শরীফঃ ৬৬)
আর ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রসূলুল্লাহ ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে মানব সন্তান মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য তথা উনাকে পাওয়ার উনাকে খুশি রাজি করার উদ্যেশ্যে কাউকে ভালোবাসে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য কাউকে ঘৃণা করে, এবং যে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য বন্ধুত্ব নষ্ট করে অথবা উনার জন্য শত্রুতা ঘোষণা করে, সে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছ থেকে নিরাপত্তা পাবে৷ এটা ছাড়া কেউই প্রকৃত ঈমানের স্বাদ পাবে না, যদিও তার নামাজ রোজার পরিমাণ অনেক হয়৷ মানুষ দুনিয়াবী বিষয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে, যা তাদেরকে কোন উপকারই করতে পারবে না৷ (ইবনে রজব আল হাম্বালী, জামি আল উলূমওয়াল হাকিম, পৃষ্ঠা ৩০)।
এবার আমাকে তোমরা বলো যে এর পরেও একজন মানুষের পক্ষে দিল্লুর রহমান অরূন কে মুসলিম মনে করা, তার প্রতি মুহব্বত রাখার মতো সাহস প্রদর্শন কি যৌক্তিক যে নিজেকে আল্লাজীর বান্দা ও নবীজির উম্মত বলে দাবী করে?
তোমাদের আর নাস্তিকদের মধ্যে কোন তফাৎ নাই, নাস্তিকেরাও আখিরাত বিলিভ করেনা, একারনে তাঁরা ঈমান আনেনা আমল করেনা। কারণ তাদের দাবী আখিরাত বলে কিছুই নাই। অথচ আমরা ঈমান রাখি আমল করি। কারণ যদি নাস্তিকদের কথা অনুসারে আখিরাত বলে কিছু না থাকে আমাদের কোন লস নাই, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস অনুসারে যদি আখিরাত হাজির থাকে তাহলে নাস্তিকদের জন্য দৈনিক চিকেন গ্রিল এর ব্যবস্থা হাজির থাকবে। তোমরাও সেইসব নাস্তিকদের মতো ১০০% রিস্ক নিয়ে আল্লাহ রসূলের শান মান ব্যবহারকারী দিল্লুর পা চেটে, গোলামি করে, মুরিদ রয়েছ, অথচ দিল্লু যদি মুসলিম হতো আর কেউ তাকে পরিত্যাগও করতো তাহলেও তার কোন লস নাই দুনিয়া আখিরাতে যেরূপ তাঁকে না চিনা পৃথিবীর ৫৭ দেশের মুসলমানের হবেনা ১০০%।
তোমরা কেমন মূর্খ বুঝো? যে অভিযোগ আমি উত্থাপন করেছি, তা দলিল প্রমান দিয়ে প্রমান ও করেছি। যদি আমি প্রমান নাও দিতাম, যদি দিল্লুর একজন মুসলিম পির ও হতো এর পরেও যদি তোমরা দিল্লুকে পরিত্যাগ করতে তাহলেও চুল পরিমাণ ক্ষতি হতনা তোমাদের আখিরাতে, যদি তোমরা ঈমান নিয়ে মারা যেতে। কিন্তু এখন আমল সহ মারা গেলেই ঈমান যাবেনা তোমাদের সাথে, এই আমলের কোন দাম আছে? আমল তো কাদিয়ানীদের ও আছে? আমল তো খারেজীদের, মুতাজিলাদের, বাহাইদের ও আছে, হুব্বে রসূলে তো শিয়াদের চেয়ে কোন সুন্নীও জমিনে পাওয়া যাবেনা। তাহলে এদের কেনো আখিরাত বরবাদ হলো? কেনো এরা চিরস্থায়ী যাহান্নামি হবে তোমরাকি কখনো ভেবে দেখেছ?
0 ফেইসবুক: